এইমাত্র
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি মামুন গ্রেফতার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    রাজনীতি

    অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
    বিএমডিসির (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে ডাক্তারি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গুলিবিদ্ধ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সোহাগের চিকিৎসার খোঁজ নিতে গিয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।ডা. রফিক বলেন, "ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই চিকিৎসা করছেন এবং এর বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ নিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশিরা ভারতে চিকিৎসা নিতে গেলে বৈধ কাগজপত্র জমা দিতে হয়।"ভারত-বাংলাদেশের ভিসা সংক্রান্ত ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. রফিকুল বলেন, "ভারত বাংলাদেশে তাদের পোষ্য সরকারের পতনের পর থেকে আমাদের চিকিৎসাসহ সব ভিসা স্থগিত রেখেছে।" তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না, বরং একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে।বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া দোসররা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।"দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ডা. রফিকুল বলেন, "দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।"এসএফ 
    অসুস্থতার কারণে মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দেবেন না খালেদা জিয়া
    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যোগ দিতে পারবেন না বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অসুস্থতার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, "খালেদা জিয়া গত পরশু রাত থেকে অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার ২১ ডিসেম্বরের সমাবেশে উপস্থিত থাকার পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।"  জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক আজিজ উলফাত জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে ২১ ডিসেম্বর এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।  গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খালেদা জিয়া সাজামুক্ত হন। এরপর তিনি ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির একটি সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। গত ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর সশরীরে অংশ নেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।  এর আগে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবারের মতো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন তিনি।  এসএফ 
    নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী: ফখরুল
    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ও অস্পষ্ট  বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 'নির্বাচন নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে বিএনপি হতাশ’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেয়া ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচনের সময় একেবারে অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। তিনি ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। এমন বক্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াবে। আমরা হতাশ হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো সুস্পষ্ট বক্তব্য প্রত্যাশা করে।তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। রাজনৈতিক দল ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা উচিত।‘বিএনপি সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ আশা করে’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নতুন কমিশন গঠন হয়ে গেছে, অতি দ্রুত নির্বাচন সম্ভব। ঘোষিত টাইমলাইন যৌক্তিক হয়নি।  এই সময়, শেখ হাসিনার আমলে যত নির্বাচন হয়েছে তার সবই অবৈধ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।এদিকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে শফিকুল আলম বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। নির্বাচনী রোডম্যাপ খুব স্পষ্ট দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত তারিখ কী? সেটা নির্ভর করবে সংস্কারের ওপর। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়ে দিয়েছেন। এর চেয়ে পরিষ্কার রোডম্যাপ কী হতে পারে? আপনি আশা করতে পারেন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন আপনি যদি বলেন মনোনয়ন দাখিলের সময় কবে? সেটা নির্বাচন কমিশন দেবে। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ।এ সময় উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ, কবে মনোনয়ন দাখিল হবে এগুলো নির্বাচন কমিশনের কাজ। সরকারের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করা। এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, যদি অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে আরও অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।এবি 
    জনগণ ইসলামী দলের মধ্যে ঐক্য কামনা করছে: জামায়াত আমির
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য কামনা করছে। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ব্যবস্থা যেন আল্লাহ করে দেন এ দোয়াই করি।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এখনো তারা ইসলামী আদর্শের উপর অটল ও অবিচল আছেন এবং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি সবসময়েই পরস্পরের কাছাকাছি থেকে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলাম পার্টি যার যার জায়গা থেকে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার যে আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা পূরণ করার জন্য আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। মতবিনিময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজী, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আতাহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান মাহমুদী ও মাওলানা ডা. ইলিয়াস খান প্রমুখ।এবি 
    প্রাথমিক শিক্ষকদের টাইমস্কেলের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি
    ২০১৩ সালের জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত প্রাথমিক ৪৮৭২০ শিক্ষকদের ‘জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সংক্রান্ত বিধির বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের প্রজ্ঞাপন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দলটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।শিক্ষকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের চিঠি দেওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছিলেন। অনেক শিক্ষক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে মৃত্যুবরণও করেছেন। দুঃখজনক হলে সত্য যে বর্তমানে যারা পিআরএল, পেনশনে যাচ্ছেন তারা ওই পত্রের কারণে অমানবিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আবার অনেকে ন্যায্য পাওনা না পেয়ে অসুস্থতায় ভুগছেন এবং কেউ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, যা সম্পূর্ণ অমানবিক ও বেআইনি। ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি শিক্ষকদের অবর্ণনীয় কষ্ট লাঘবে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে জরুরি ভিত্তিতে সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনাদের মাধ্যমে আমাদের নিম্নবর্ণিত দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অবৈধ পত্রটি বাতিল করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যের শিকার জাতীয়করণ করা শিক্ষকরা ৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা বিগত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব কেউই কোনো প্রকার গুরুত্ব দেননি। অবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিগত সরকার বিতাড়িত হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বারবার সদয় দৃষ্টি কামনা করা হয়। কিন্তু আজ অবধি এ বিষয়ে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষকরা মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিটি দ্রুত সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেব। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার শিক্ষকদের দাবি মনে নেবে বলে আশা করছি।সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব ড. আতিক মুজাহিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান, জয়নাল আবেদিন শিশির, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি আলী আক্কাস, মহাসচিব মহিউদ্দিন খন্দকার, আবুল কালাম আজাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এবি 
    সালমান রহমানের দাড়ি কামানো নিয়ে যা বললেন ডা. জাহিদ
    আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এত পরিমাণ গুম খুন ও লুট করেও শেষ রক্ষা হয়নি। নিজেকে বাঁচার ভয়ে আপনি (সালমান এফ রহমান) নিজের দাড়ি কামিয়েছেন। অতএব অহংকার পতনের মূল। প্রত্যেকটা কাজের হিসাব কিন্তু আগামী প্রজন্মের কাছে দিতে হবে। কেউ হয়তো নেদারল্যান্ড গেছেন। কলকাতা গেছেন। কেউ চট করে ঢুকার চেষ্টা করছেন। সৎ সাহস থাকলে ঢুকেন বিচারের মুখোমুখি হোন।বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. জাহিদ বলেন, আমরা রাষ্ট্র মেরামত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা নিয়ে কাজ করছি। অতিদ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এরশাদের পতনের সময় কতদিন পর নির্বাচন হয়েছিলো সেটি সবারই মনে থাকার কথা। নির্বাচন করতে কতদিন লাগে সেটি দেশের মানুষ জানে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচার সরকার সাড়ে ১৫ বছরে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। সেজন্যই সব রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বতীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।তিনি অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সব সংস্কার তো আপনারা করতে পারবেন না। কখন নির্বাচন হবে সেটা স্পষ্ট করুন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন একরকম, আবার তার প্রেস সচিব বলেন, আরেক রকম। আপনাদেরকে তো আমরাই সবাই মিলে সহযোগিতা করছি। আপনার কে কথা বলবেন দায়িত্ব নিয়ে বলুন। না হলে মানুষ বিভ্রান্ত হবেন।তিনি আরো বলেন, মানুষের দুর্বিষহ জীবন। এখান থেকে উত্তরণের জন্য জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রেত্মাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুন। তবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। যারা দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করতে চায় তাদেরকে দেশবাসী স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে ইনশাআল্লাহ।সভাপতির বক্তব্যে জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের স্বাধীনতার গৌরব ছিনতাই করতে চায়। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ যুদ্ধ করে অপরিসীম ত্যাগ শিকার করেছেন। আমরা নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যকে ঘৃণা করি, প্রত্যাখ্যান করি। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে সেটি কেউ বিনষ্ট করতে পারবেন না। আগামীতেও সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ।সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার শামিল। রক্ত দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে আমরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে পিছপা হবোনা।বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই সরকারকে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। যদি কোনো উপদেষ্টা কিংস পার্টি গঠনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার কল্পনা করেন সেটি হবে ভুল চিন্তা। কারণ আমরা লড়াই করতে জানি। রাজপথে এখনও আছি।এসএফ 
    ভোটের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি: সালাহউদ্দিন
    ভোটের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির যে প্রত্যাশা ছিলো তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। সরকার আন্তরিক হলে ৪-৬ মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব বলেও জানান তিনি।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানীর কড়াইল এলাকায়, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সালাউদ্দিন আহমেদ। এ সময় গণতান্ত্রিক যাত্রায় কোনো কৌশল প্রয়োগ না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটের অপেক্ষায় আছে, তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার সেরে ভোটের আয়োজন করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনেক ফ্যাসিবাদের দোসররা পালিয়ে গেছে। দোসরদের পালাতে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের চিহ্নিত করার দাবিও জানান তিনি।এ সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবিধানে এ ব্যবস্থা পুরোপুরি ফিরে আসা দেশ ও জাতির জন্য ইতিবাচক।এসএফ
    বিএনপির প্রত্যেক কর্মীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিএনপির জনসমর্থন দেখে কিছু শক্তি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে, তবে তাদের ষড়যন্ত্র থামেনি। তিনি বিএনপির সকল নেতাকর্মীকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তারেক রহমান বলেন, দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে বিএনপির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পৌঁছাতে হবে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করা প্রতিটি কর্মীর জন্য প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার বাসন থানার টেকনগপাড়ায় সাগর-সৈকত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত "রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি" শীর্ষক এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, "বিএনপির প্রত্যেক কর্মীকে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। এটাই রাজনৈতিক কর্মীর সবচেয়ে বড় সফলতা।" তিনি আরও বলেন, জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে এবং তাদের আস্থা অর্জন করা একজন রাজনৈতিক কর্মীর দায়বদ্ধতা। জনগণ যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিএনপি কাজ করবে। বিএনপি কখনোই জাল ভোট, কারচুপি বা ভোটাধিকার হরণে বিশ্বাসী নয়, বরং জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দিতে চায়।তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, "যারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে, তাদের কঠোরভাবে রুখে দিতে হবে।" রাষ্ট্র মেরামতের জন্য জনগণের সমর্থন অর্জন জরুরি এবং এ সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়, তা তিনি উল্লেখ করেন।তারেক রহমান বলেন, আসন্ন নির্বাচনে সফল হতে হলে বিএনপির নেতাকর্মীদের জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। আগামী নির্বাচন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও কঠিন হবে। তাই সকল নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে হবে এবং তাদের সমর্থন ধরে রাখতে হবে।এ কর্মশালায় গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যা মাহমুদা হাবিবা, কেন্দ্রীয় সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, বিএনপি নেতা আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, শাহ রিয়াজুল হান্নান সহ আরও অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে তাদের মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানান এবং তারেক রহমান তাদের উত্তর দেন।এসএফ 
    কয়েকজন লোক টেবিলে বসে সংস্কার করা যায় না: আমীর খসরু
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কয়েকজন লোক টেবিলে বসে সংস্কার করা সম্ভব নয়। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সরকারই সংসদে পরিপূর্ণ সংস্কার করতে পারে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আয়োজনে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আমীর খসরু আরও বলেন, "যদি রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য খারাপ হয়, তাহলে কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না।" তিনি জানান, দলের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপি বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো যে টিকে আছে, তা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সংস্কারের ফল বলে তিনি দাবি করেন।অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে আমীর খসরু আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।এসএফ
    মোদির বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা: রিজভী
    বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মোদির বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা নিয়ে করা মন্তব্যকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।মোদী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে একটি স্ট্যাটাসে লেখেন, "আজকের এই বিজয় দিবসে, সেইসব নির্ভীক সেনাদের সাহস ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই, যারা ১৯৭১ সালে ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রেখেছিল।" রিজভী মোদির এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ, যেখানে ৩০ লাখ শহিদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। তিনি দাবি করেন, ভারত স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশের মিত্র ছিল, কিন্তু মোদির এই বক্তব্য বাংলাদেশ ও তার মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করছে।রিজভী আরও বলেন, "আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, ভারতের কাছে মাথা নত করার জন্য নয়।" তিনি মোদির বক্তব্যের বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, "১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের বিজয়ের দিন, ভারত ছিল আমাদের মিত্র, এর বেশি কিছু নয়।"এই বক্তব্য কেরানিগঞ্জে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিজয় র‍্যালির পর তিনি ব্যক্ত করেন, যেখানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।এসএফ
    ভালো মানুষ রাজনীতিতে না এলে সংস্কার করে লাভ হবে না: পার্থ
    বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, "ভালো মানুষ রাজনীতিতে না এলে কোনো সংস্কার করেই লাভ হবে না।" তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "বিশেষ করে তরুণদের বিজেপিতে যোগ দিতে হবে, কারণ তাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ।"সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে পার্থ বলেন, "নির্বাচনকে কোনো দলের ক্ষমতায় আসার হাতিয়ার হিসেবে বিলম্বিত করা উচিত নয়। সাধারণ মানুষ আজ অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে আছে। তাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।"পার্থ অভিযোগ করেন, "আওয়ামী শাসনামলের দুর্নীতিবাজরা এখনও বিচারের আওতার বাইরে। সামিট গ্রুপের আজিজ খান বা এস আলমের মতো ব্যক্তিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।" তিনি লুটপাটকারীদের বিচার এবং তাদের সম্পত্তি ক্রোক করার দাবি জানান।সংস্কার প্রয়োজন হলেও তা শুধুমাত্র কাঠামোগত পরিবর্তনে সীমাবদ্ধ থাকলে লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন পার্থ। তিনি বলেন, "যদি সৎ ও যোগ্য মানুষ রাজনীতিতে না আসে, তবে সংস্কারের প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে না। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে এবং নিজেদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।"এসএফ 
    ৫৩ বছরেও এই রকমের রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি হয়নি: নুর
    বাংলাদেশের ৫৩ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে এই রকমের রাজনৈতিক ঐকমত্য এর আগে দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশ্নে যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, তা এক নতুন দৃষ্টান্ত।”  সোমবার সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নুর এসব কথা বলেন।  নুর বলেন, “অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। তার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান দেশের উন্নয়নে কাজে লাগবে বলে আমরা আশাবাদী। যদিও চার মাসে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে, আমরা হতাশ নই। আশা করি, সরকার জনআকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পথ সুগম করবে।”  তিনি আরও বলেন, “চার মাসের মধ্যে কোনো সরকারের মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়, বিশেষ করে এমন একটি পরিস্থিতিতে যেখানে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চপর্যায় থেকে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। এমন ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থা থেকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সময়ের প্রয়োজন।”  এবারের বিজয় দিবস সম্পর্কে নুর বলেন, “২০২৪ সালের বিজয় দিবস আমাদের জন্য বিশেষ। কারণ গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসন থেকে মুক্তির পর এবার সবাই আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপন করছে। অতীতে শহিদ মিনার বা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অনেক রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে, যা এ বছর দেখা যায়নি।”  ভিপি নুর বলেন, “১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। কিন্তু ৫৩ বছর পরও সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বরং তরুণ প্রজন্মকে এখনো বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এ থেকে স্পষ্ট যে, রাষ্ট্রের গভীর সংস্কার দরকার। জনগণের এই চাহিদা পূরণ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।”  নুর বলেন, “আমাদের অস্তিত্বের জায়গা হলো মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করতে হলে ১৯৭১-এর চেতনা মেনে চলতে হবে। তবে আমি মনে করি, এখন স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি বলে আর কিছু নেই। দেশে যারা আছে, তারা সবাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বিভাজন ও ট্যাগ দেওয়ার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।”  নুর তার বক্তব্যে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ভবিষ্যৎ কামনা করেন। তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ সফল হলে ৫৩ বছরের অপূর্ণতা দূর হবে, এবং আমরা মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার একটি বাস্তবায়িত বাংলাদেশ পাবো।”  এসএফ 
    হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
    দুই ঘণ্টার বেশি সময় সাভার সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থেকে গুলশানের বাসায় ফিরেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় বিএনপি মহাসচিব বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।তিনি বলেন, 'মহাসচিব বাসায় পৌঁছেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, তিনি সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। এখন তিনি বিশ্রামে আছেন।''সাভার সিএমএইচে ওনার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্টগুলোর ফলাফল ভালো। সিএমএইচের চিকিৎসকরা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি মহাসচিবকে বাসায় যাওয়ার ছাড়পত্র দেন,' বলেন তিনি।এর আগে, বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে অসুস্থ পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ধরাধরি করে দ্রুত সাভার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যান।
    কীভাবে দেশ ছাড়েন ওবায়দুল কাদের?, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য
    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী দোসরদের অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এখন কোথায়?, সেই প্রশ্ন অনেকদিন ধরেই। যদিও সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে নিশ্চিতভাবে বলা হয়, গেল ৮ই নভেম্বর ওবায়দুল কাদের কলকাতায় পৌঁছেছেন। ৫ই আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন। কীভাবেই বা দেশ ছাড়লেন। খবর রয়েছে, তিনি এক বিশেষ স্থানে আদর-যত্নে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কীভাবে দেশ ছাড়বেন তার ফন্দি-ফিকির করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা। দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেল। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। শেখ হাসিনা এক্ষেত্রে অনেকটাই নীরব। আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট কাদেরের এই মন্তব্যে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরিণতিতে শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হয়। এ কারণে হাসিনা কাদেরের ওপর যারপরনাই বিরক্ত। তাকে নিয়ে ছাত্র-জনতার মধ্যেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ছিল।
    বিজয় দিবসে ভবিষ্যত বাংলাদেশ নিয়ে যে বার্তা দিলেন তারেক রহমান
    বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর) উপলক্ষে ভবিষ্যত বাংলাদেশ নিয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া একটি ইংরেজি পোস্টে এমন বার্তা দিয়েছেন তিনি। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-‘‘ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে পালিত এই বিজয় দিবস অবশ্যই আরও আনন্দের, গৌরবময় এবং তাৎপর্যপূর্ণ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিটি স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস জনগণের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্বের অঙ্গীকারের প্রতীক হবে।বৈষম্য ও বিভেদমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এই ঐক্যকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, জনগণের ক্ষমতায়ন ছাড়া জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী বা টেকসই হতে পারে না। রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সাধনের জন্য সংস্কার অনিবার্য। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবহারিক রোডম্যাপ - এটি কী অর্জনের পরিকল্পনা করছে এবং প্রয়োজনীয় সময়সীমা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন থেকে রাষ্ট্র ও সরকারকে রক্ষা করার জন্য, দৈনন্দিন অনুশীলনে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা নিয়ম ও বিধান মেনে চলার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। একটি পাবলিক ম্যান্ডেটের মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংসদ, রাষ্ট্র ও সমাজ উভয় ক্ষেত্রেই গণতান্ত্রিক শাসনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা সত্যিকার অর্থে সুরক্ষিত হয় যখন একটি জবাবদিহিমূলক সরকার এবং কার্যকর সংসদ মিলেমিশে কাজ করে।’’পোস্টের সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকার একটি জিফ ছবিও সংযোজন করেছেন তিনি। যেখানে পতপত করে উড়ছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।এসএফ 

    Loading…