এইমাত্র
  • আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    রাজনীতি

    পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
    ২০০৯ সালে মাত্র ৫ মাস দায়িত্ব পালন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ পদত্যাগ করেছিলেন। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তিনি নিজের পদত্যাগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি যেদিন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলাম, সেদিন কেঁদেছিলাম। আমি সেদিন অনুধাবন করতে পেরেছিলাম যে, আমি বড় একটি দায়িত্ব নিতে যাচ্ছি। আমি বাংলাদেশকে পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে খুবই উৎসাহী ছিলাম। কিন্তু আমার সঙ্গে, দেশের সঙ্গে ও দলের সঙ্গে শত্রতা করা হয়েছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। মাঠ পর্যায় থেকে রাজনীতি শুরু করেছি। আমি যাতে রাজনীতিতে না আসতে পারি সে জন্য ওপর থেকে অনেকেই বাধা দিয়েছিল। প্রথম টার্মে যখন নির্বাচিত হয়, সেবার আমার দল মাত্র ৫৮টা আসন পায়। বিরোধী দলের রাজনীতি করতে অনেক জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। আন্দোলনে-মিটিং-মিছিলে সক্রিয় ছিলাম। দলে আমার কন্ট্রিবিউশন ছিল। আমি কারো পরিচয়ে মন্ত্রিত্ব চাইনি। আমি মনে করি, নিজের যোগ্যতায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলাম।’মন্ত্রিত্ব কেন ছেড়েছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সোহেল তাজ বলেন, ‘আমি দুর্নীতি দেখেছি, অনিয়ম দেখেছি। বিডিআর বিদ্রোহের তদন্তকাজ আমার ভালো লাগেনি, সেখানে অনিয়ম হয়েছে। আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছিলাম না। একটা পর্যায়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কথা না শুনতে। তারা আমার কথা শুনবে না কিন্তু আমাকে আবার ওই পদে থাকতে হবে! সুতরাং আমার মনে হয়েছিল, আমাকে এবং আমার পরিবারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হচ্ছিল না। এরপরও পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যাই। পরে সেখান থেকে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। আমি বারবার বলেছি, আমাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি আমাকে ছাড়বেন না। ওটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বিস্ময়কর ফোনালাপ। আমি তাকে (শেখ হাসিনা) বারবার বলেছি আমাকে ছেড়ে দেন। কিন্তু তিনি (শেখ হাসিনা) বলেন, না তোমাকে থাকতে হবে। তোমার কী লাগবে? দলের পদ, যুগ্ম সম্পাদক? কিন্তু আমি বারবার বলেছি থাকব না।’সোহেল তাজ বলেন, ‘সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল- তিনি (শেখ হাসিনা) ফোনকলে গান গাওয়া শুরু করলেন। তিনি গাইলেন, ‘আমি তোমাকে ছাড়ব না, আমি কাউকে ছাড়ি না’। আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এটার মানে কি? প্রধানমন্ত্রী কি আমাকে হুমকি দিলেন, নাকি স্নেহ দেখালেন! অনেকেই বলেন, এটা স্নেহের একটা বিষয় ছিল। এরকম অনেকগুলো কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।’তিনি বলেন, ‘পদত্যাগের পর আমাকে নাজেহাল হতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে আসলে গোয়েন্দারা আমাকে অনুসরণ করত। ওই সময় আবার অনেকের গুম হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। একটা আতঙ্কের পরিবেশ ছিল। আমার এক ভাগিনাকে তার ব্যক্তিগত কারণে গুম করা হয়েছিল।’এসএফ 
    কাল নিবন্ধন পাচ্ছে গণসংহতি আন্দোলন
    আগামীকাল মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফলে দলটির নিবন্ধন পেতে কোনো বাধা ছিল না।জানা গেছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। রেজিস্ট্রেশন না দেওয়ায় গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ সাকি হাইকোর্টে রিট করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল আবেদন করেন। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।নিয়ম অনুযায়ী এরই মধ্যে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে কোনো আপত্তি উত্থাপিত না হওয়ায় আগামীকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় নিবন্ধনের প্রজ্ঞাপন ও নির্বাচনী প্রতীক  আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের হাতে তুলে দেবে নির্বাচন কমিশন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলসহ নেতারা এ সময়ে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।এসএফ 
    অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে একটি মহল কাজ করছে: ফখরুল
    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় রাখতে একটি মহল কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা নাকি একবারে সংস্কার করে দেশটাকে পরিবর্তন করে ফেলবে। তাহলে তো জনগণ ও পার্লামেন্টের দরকার নেই।তিনি বলেন, একটি পত্রিকায় ব্র্যাক ইনস্টিটিউট জরিপ করে দেখিয়েছে যতদিন খুশি এই সরকার থাকুক। আমি জানি না তারা কীভাবে এই জরিপ করল। কিন্তু জনগণ তো এটা মেনে নেবে না।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির আয়োজনে ‘দ্বি-কক্ষ পার্লামেন্ট- উচ্চকক্ষ গঠন’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। জনগণের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট প্রয়োজন। পার্লামেন্ট না হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ফলে দ্রুত অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর সেই সরকার সিদ্ধান্ত নিবে কোথায় কোন জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে। তখন সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে নাকি সংশোধন হবে সেটা সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে।মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার এই দেশে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে ফেলছে। নির্বাচন করার জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার প্রয়োজন, তা করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করে প্রয়োজন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ছাত্র জনতার বুকের রক্ত দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেটাকে নস্যাৎ করার জন্য একটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতোমধ্য সমাজের গুরুত্বপূর্ণ লোক বিভ্রান্তমূলক কথা বলছে। এই সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে তাদের মধ্য অনেকে বলছে নতুন দল করতে হবে। আমাদের বিস্ময় লাগে, নতুন দল গঠনের দায়িত্ব এদের কে দিয়েছে। তাহলে বলেন জনগণ কীভাবে বুঝবে এরা নিরপেক্ষ কাজ কাজ করছে।জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।এবি 
    আন্দোলনে বিএনপির ৪২২ নেতাকর্মী নিহত: ফখরুল
    কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ৮৭৫ জন নিহত হয়েছে বলে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪২২ জন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থক।রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে ওঠেনি। এটি বহু বছরের নির্যাতন, নিপীড়ন ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বিএনপির দীর্ঘদিনের নিরবচ্ছিন্ন পরিক্রমা। এখানে বিএনপির অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই।তিনি বলেন, এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস, গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যাথাতুর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধূর স্ত্রীর আর্তনাদ। তাদের সবার ১৬ বছরের রক্ত, শ্রম দিয়ে চলমান ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বস্তুত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ এক হাজার ৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ এবং মামলা দেড় লাখ। এসব কেবল বিএনপির ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয় বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যে ঐক্য বিনষ্ট হতে পারে বলে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিভেদ নয় নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখাই মূল কাজ।ছাত্র জনতার আন্দোলনকে বিনষ্ট করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররাই বিভিন্ন শিল্প কারখানায় আন্দোলন করছে আর ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘুদের বিষয় নিয়ে নানাভাবে উসকানি দেওয়া হচ্ছে।ধৈর্য ধরে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুলের দাবি সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান এবং সালাউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।এইচএ
    শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধ আর বিভাজনের রাজনীতি: মামুনুল হক
    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিলো প্রতিশোধ, বিভাজন আর মুক্তিযুদ্ধের নামে ব্যবসার রাজনীতি। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাইবান্ধার ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।সমাবেশে মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে যে বিজয় হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। দেশে সাম্প্রদায়িকতাসহ কোনও ধরনের সহিংসতা করা যাবে না। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে চলতে হবে। বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়তে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে আমাদেরই নিরাপত্তা দিতে হবে। তাই সহিংসতা কিংবা দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ৫০ বছর রাজনীতি করেছেন, কিন্তু তার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধ, বিভাজন আর মুক্তিযুদ্ধের নামে ব্যবসার রাজনীতি। অথচ শেখ হাসিনার পরিবারের কোনও সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ কিংবা শাহাদাত বরণ করেননি। কিন্তু তারপরেও শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে বাংলাদেশকে বিভক্ত করেছেন। তিনি যখন-তখন যাকে ইচ্ছে তাকে রাজাকার বানিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করেছিলেন।’ মামুনুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না। অথচ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে গোটা দল ও নেতা-অনুসারীদের হুমকির মুখে ফেলে স্বার্থপরের মতো নিজেকে আর বোনকে নিয়ে সব লাগেজ ভর্তি করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। খুন, গুম ও হত্যাসহ দেশটাকে একটা মৃত্যুকূপে পরিণত করেছিলেন। বিভিন্ন দেশে থেকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে প্রবাসীরা বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠান। সেই রেমিট্যান্সের লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত নষ্ট করেছেন।’ গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির গাইবান্ধা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ মুফতি ইউসুফ কাসেমী। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন– খেলাফত মজলিসের যুগ্ম আহ্বায়ক জালালুদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান।এসএফ 
    বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে নেই, ঐক্য অটুট রাখতে হবে: মির্জা ফখরুল
    বিরোধীদের চক্রান্ত থেমে নেই, এখনও চলছে নানামুখী ষড়যন্ত্র- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপি আয়োজিত গণআন্দোলনের বীর শহীদদের এক স্মরণসভায় একথা বলেন তিনি। এসময়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।মির্জা ফখরুল বলেন, তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দরকার। অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নিরপক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়।তিনি আরও বলেন, ১৬ বছর ধরে যারা সংগ্রাম করছি তারা অত্যন্ত নির্যাতিত, অত্যাচারিত হয়েছি। আমাদের ৭০০ ভাই-বোন খুন হয়ে গেছে। আয়নাঘর হয়েছে। ছোট্ট শিশুটি এখনো তার বাবাকে খুঁজছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।এসময় গত দেড় দশকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এবং ভাতা দেয়ার দাবি তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারকে জোরালোভাবে বলতে হবে।উল্লেখ্য, রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে।এসএফ
    রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে নির্বাচনী রূপরেখা প্রকাশ করুন: ফারুক
    সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে নির্বাচনী রূপরেখা প্রকাশ করতে হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে রুর‌্যাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে “আমাদের প্রত্যাশা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।এই সময় তিনি আরো বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লুট হওয়া অর্থ ফেরত এনে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।  জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনার আত্মীয় স্বজনরা গার্মেন্টস বন্ধ রেখে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন এবং অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের গ্রেফতার করে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।আরজেএফ’র চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক।বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বরিশাল জেলা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার একেএম রেজাউল করিম, এস আর ক্রীড়া সংঘের সভাপতি এ্যাডভোকেট সাহিদা রহমান রিংকু, সামাজিক পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন এইচ এম ইব্রাহীম ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী ডাঃ জাহিদুল বারী, দশ আঙ্গুল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হৃদয় চৌধুরী, পল্টন থানা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ ফজলুল হক মনি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট এ্যাডঃ খান চমন-ই-এলাহী, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম সরওয়ার। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আরজেএফ’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সৈয়দ আল-আমিন হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শাহ মেহেদী হাসান লিটন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ সাহিদুল ইসলাম, সহ-আপ্যায়ন সম্পাদক ঈশা খাঁ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আরজেএফ’র অর্থ সচিব মোঃ ফারুকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আরজেএফ’র সদস্য সচিব মোঃ জামাল সিকদার।এবি 
    শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত: নানক
    আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, শেখ হাসিনা পাহাড় সমান কষ্ট নিয়ে ও হিমালয় সমান মনোবল অটুট আছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই ইনশাল্লাহ। শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।নানক বলেন, ইতিহাসের ভয়াবহতম নির্মম, পাশবিক ও অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, সংখ্যালঘু বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সারা বাংলার স্বাধীনতার স্বপক্ষের আপামর দেশবাসী। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবার বাড়ি-ঘর, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে গোয়ালের গরু, পুকুরের মাছ, ক্ষেতের শস্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কোটি কোটি নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগের কোটি কোটি নেতা কর্মী ঘর ছাড়া, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে। বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যে বর্বরোচিত ভাবে চরম অপমানিত করেছে, এ যেন একাত্তরের বিজয়ী বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে পরাজিতদের প্রতিশোধের উন্মত্ততা।নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই নেতা আরও বলেন, মনোবল হারাবেন না, যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখবেন। মাননীয় সভানেত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড় সমান কষ্ট নিয়ে ও হিমালয় সমান মনোবল অটুট আছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা সদা প্রস্তুত। এই আঁধার কেটে যাবে খুব শিগগিরই ইনশাল্লাহ। সবার সুস্থতা ও নিরাপত্তার দোয়া কাম্য।বিবৃতির শেষাংশে বিশেষ দ্রষ্টব্যে বলা হয়, পহেলা জুলাই থেকে এই পর্যন্ত আমাদের যে সকল নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী সমর্থককে হত্যা করেছে এবং যাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও আগুন দিয়েছে তাদের তালিকাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা অতিসত্বর তৈরি করে নিজের কাছে রাখুন এবং এই হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিন। জনমত সৃষ্টির জন্য কাজ করুন।গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছেন। এরপর থেকে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এবং সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমে একাধিক বিবৃতি পাঠিয়েছেন। যদিও এসব বিবৃতি অফিশিয়ালি না পাঠিয়ে তার একাধিক অনুসারীর মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়।এসএফ 
    স্বল্প সময়ে নির্বাচনের দিকে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার, আশা ফখরুলের
    রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ অতি দ্রুত শেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিকে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা মনে করি তারা কাজ করছে। এই কাজের জন্য তাদেরকে সময়-সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আশা করি তারা যথাশিগগির সম্ভব ও স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে নির্বাচনের দিকে যাবে।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।তিনি বলেন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সংস্কারে জনগণের চাওয়া ও প্রয়োজনকে মূল্যায়ন করতে হবে।বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে তিনি জানান, ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য দুইদিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করা হবে। ১৫ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ হবে। একই দিনে বিভাগীয় শহরে গণতন্ত্র র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।এ সময় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় অবহেলা করেছে। তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।এইচএ
    স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনও ঘোরাফেরা করছে: তারেক রহমান
    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে তবে তার প্রেতাত্মারা এখনও ঘোরাফেরা করছে। তারা বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা জনগণের প্রিয় দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা তাদের রুখে দেবে।’বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইলের গোপালপুর সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনিপর সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছি। এতে আংশিক সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামী দিনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। আগামীতে বিএনপির সরকার গঠনে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। সরকার গঠন হলেই বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো। তাহলে দেশের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করবে।’  তিনি বলেন, ‘সরকার গঠন করলে টাঙ্গাইলের শাড়ি, চমচম, পাটজাত পণ্য, আনারস ব্যাপকহারে বিদেশে রফতানির উদ্যোগ নেয়া হবে। বিভিন্ন জেলার সম্ভাবনা নিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।’বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ সব রাজবন্দিদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি কর্তৃক সমাবেশটির আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত প্রমুখ।পিএম
    বেশি সময় নিলে মানুষের মধ্যে ক্ষমতার স্বাদ এসে যায়: জামায়াতের নায়েবে আমীর
    বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বেশি সময় নয়, বেশি সময় নিলে মানুষের মধ্যে ক্ষমতার স্বাদ এসে যায়। অতীতে দেখা গেছে এই ধরনের শক্তি যখন ক্ষমতায় যায় , ক্ষমতার স্বাদ যখন পেয়ে যায় তখন আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, নতুন নতুন দল তৈরি করে ক্ষমতাকে আগলে ধরার চেষ্টা করে। তাই বলছি খুব বেশি নয় এক বছরের মধ্যেই সরকারকে সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে কাঙ্খিত শিক্ষানীতি ও আমাদের করণীয় নির্ধারণে শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।মুজিবুর রহমান বলেন, যার ভিতরে আল্লাহর ভয় আছে সেই ব্যক্তি শিক্ষক, যার ভিতরে ভয় নেই, শিক্ষক নন। রাসূল সাঃ এসেছিলেন মানুষের চরিত্রের পূর্ণতা দিতে। যারা ভিতরে নৈতিকতা নেই, সে পশু।পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কত ডিগ্রি ছিল তার, অথচ তিনি বলেছিলেন, "দেখা মাত্রই গুলি করতে হবে"। কিন্তু সেই ব্যক্তি পালিয়ে গেছে। চরিত্রহীন মানুষই পশুর সমান। জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে চরিত্রহীন মানুষ গড়ার কোন কোন দরকার নাই। শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার উপযোগী নয় জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার আসলে সে দাবিটা পূরণ হওয়ার মত। উপযুক্ত সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের সংস্কার কাজ গুলো করবে। বেশি সময় নিলে মানুষের একটা ক্ষমতা স্বাদ এসে যায়, অতীতে দেখা গেছে এই ধরনের শক্তি যখন ক্ষমতায় যায় , ক্ষমতার স্বাদ যখন পেয়ে যায় তখন আর ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, নতুন নতুন দল তৈরি করে ক্ষমতাকে আগলে ধরার চেষ্টা করে। তাই বলছি খুব বেশি নয় একটি বছরের মধ্যেই সরকারকে সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে।নির্বাচনের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটা নির্বাচন ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচিত সরকার এসেই জনগণের উপযোগীদের শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করা দরকার সেটি তারা করবেন। নির্বাচিত সরকারের কাছে এটি দাবি করতে পারেন কিন্তু উপদেষ্টা সরকারের কাছে এত পরিমাণ দাবি করছে মানুষ! আমি বলতে চাই দাবি পূরণ করার জন্য উপদেষ্টা সরকার নয়।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা দেশের ধ্বংস কালো অন্ধকার দেখেছি, যেখানে কেউ বৈঠক করলেই বলতো জঙ্গিবাদ ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আমরা ভাবতাম এই কালো অন্ধকার পরিবেশের কি অবসান হবে না? তখন এ দেশের ছাত্র জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সেই কালো যুগের অবসান করেছে। তাদের ত্যাগ ও বিনিময়ে আমাদের দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের মঞ্জিল হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের মূল লক্ষ্য হলো সভ্য সমাজ ও জাতিকে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানো। এখন ছাত্র ও শিক্ষার্থী নৈতিকতা পরে কথা এখন শিক্ষকদের নৈতিকতা ধ্বংস হয়ে গেছে।তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্রের সব অঙ্গে ঘাঁ, মলম দেবো কোথায়? আধুনিক শিক্ষার নামে আজকে জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। শুধু এক জায়গায় মেরামত করে জাতির বিভাজন দুর করা যাবে না। ফলে জোড়াতালি দিয়ে শিক্ষানীতি তৈরি করে তরুণ প্রজন্মের রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে না। গোটা শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে নতুন কারিকুলাম প্রণনয় করতে হবে।এসময় আলোচকরা বলেন, শিক্ষা মানুষকে আলোর দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু এখনকার শিক্ষা মানুষকে অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে, যে যত শিক্ষিত সে তত বড় দুর্নীতিবাজ। এটা তাহলে শিক্ষা নয়, যেটি তার ভিতরে পরকালীন ভয় দিতে পারেনি। ধর্মীয় শিক্ষায় দ্বারাই মানুষ তার চরিত্র গঠনে কাজ করতে পারবে।
    মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতে যেসব আলোচনা হলো
     বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় হাইকমিশনারের পতাকাবাহী গাড়ি কার্যালয়ে প্রবেশ করে। দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব হাইকমিশনারকে মধ্যাহ্নভোজে আপ্যায়ন করেন। সাক্ষাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলের আন্তর্জাতিক সস্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পোবকে এবং প্রথম সচিব লারা অ্যাডামস।ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের সাথে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পাশাপাশি শেখ হাসিনার সরকার চলে যাওয়ার পরে আমরা কি ভাবছি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি রকম করছে এবং তাদের একমাস কেমন গেলো, আগামী দিনে আমাদের কি প্রত্যাশা, বাংলাদেশের কি প্রত্যাশা ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তিনি বলেন, ‘ এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়েয় আলোচনা হয়েছে। দুইদেশের মধ্যকার সহযোগিতা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে তা নিয়ে তারা কি করতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’ আমীর খসরু বলেন, ‘ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে তারা(অস্ট্রেলিয়া) জানতে চেয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কি কি পরিবর্তন দরকার;  সেগুলো কিভাবে এগুচ্ছে সে বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছে।’  ‘মূলত সার্বিক আলোচনার পরে তাদের ধারণা যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে আগামীতে বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।’ নির্বাচনের সময়ের বিষয়টি খোলাসা করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ আমরা যৌক্তিক সময়ের তো কথা বলেই যাচ্ছি। সময়ের যৌক্তিকতা এখানে যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে। অ্যাকচুয়ালি, আমরা একটা টাইম ফ্রেম বলছি না… একটা সময় দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাচ্ছি না।’তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেমন নির্বাচন কমিশন চলে গেছে, নতুন কমিশন গঠন করতে হবে… এর মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজটা শুরু হতে হবে। আমি নিশ্চিত সেই কাজগুলো তারা(অন্তবর্তীকালীন সরকার) খুব দ্রুত করবে। কারণ একদিকে ফায়ার ফাইটিং করতে হবে এবং অন্যদিকে আমাদের দেশে যে প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাগুলো হয়ে গেছে সেগুলো সমাধান করে নির্বাচনী কার্যক্রমের দিকে তাদেরকে যেতে হবে।’বিএনপির এই সিনিয়র নেতার ভাষ্য- ‘ সকলের একই প্রশ্ন এই কাজগুলো কত তাড়াতাড়ি হবে, কতদিন লাগতে পারে এবং কবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমাদের পক্ষ থেকে সহায়তা করছি… সার্বিকভাবে সহায়তা করছি।’‘ কারণ এটা সমস্ত জাতির প্রত্যাশা যে, এই সরকার জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পুরাণে সমর্থ হবে। আমরা এই সরকারকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি এবং দিয়ে যাব্। বাংলাদেশের মানুষ যে আগামীর বাংলাদেশ তৈরির নতুন স্বপ্ন দেখছে, এটা আমাদের সকলকে মিলে করতে হবে। এটা কেউ একা করতে পারবে না, জাতির একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকতে হবে। সেখানে আমাদের সকলকে এক থাকতে হবে… সেই কথাগুলো আমরা বলেছি।’এমএইচ
    ২ দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
    বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।জাহিদ হোসেন জানান, ছাত্র-আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্বজনদের নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণসভা করা হবে। এছড়া, গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশ করার কথা রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থানীয় কমিটির সদস্য ও রবিবার সমাবেশে সমন্বয়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ছাড়াও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সারা দেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় কমপক্ষে ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন। আর আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ চিত্র তুলে ধরে।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।এইচএ
    অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক: অলি
     অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার বাস্তবায়নের গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য ৮৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সংস্কার বাস্তবায়নে গতি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সব কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে দেওয়া অনেক নিয়োগ নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। লোক দেখানো কাজ করলে হবে না। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে নিয়োগ দিতে হবে।অথর্ব ও অকর্ম ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন অলি। তিনি বলেন, এমনটা করলে ছাত্র-জনতার রক্ত ব্যর্থ হবে।তিনি আরও বলেন, একজন উপদেষ্টা বলেছেন- জাতীয় সংগীত একটি বিতর্কিত বিষয় এটি পরিবর্তন করা যাবে না। তার জানা উচিত, জনগণের মতামতের ওপর ভিত্তি করে সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।গণভবন কারও বাবার সম্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান ও গর্ব উল্লেখ করে অলি আহমদ বলেন, এটি জাদুঘর করা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে, প্রশ্ন হলো গণভবন কেন? অন্য কোনো জায়গা নয় কেন?এমএইচ
    দলীয় নেতাকর্মীদের বিশেষ বার্তা বিএনপির
     দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দিয়েছে বিএনপি। দলীয় নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক কাজে সফরকালে যানবাহনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।গতকাল (রোববার) দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তৃণমূল পর্যায়ে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। খবর বিবিসি বাংলার। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে, দলটির সকল সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের উদ্দেশ্যে সাংগঠনিক কাজের উদ্দেশ্য সফরের সময় কোনো ধরনের মোটর সাইকেল বহর ও গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনের শোভাযাত্রা পরিহার করতে বলা হয়েছে।সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, যে এলাকায় সাংগঠনিক সভা, কর্মী সভা অথবা জনসভা অনুষ্ঠিত হয় সেই এলাকায় ঊর্ধ্বতন নেতাদের আগমন ঘটলে শোভাযাত্রার কারণে প্রচণ্ড যানযটের সৃষ্টি হয় এবং মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।একইসাথে দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যানার, ফেস্টুন বা নিজেদের নামে পোস্টার প্রদর্শন না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এ বার্তায় বলা হয়েছে, এটি অত্যন্ত দৃষ্টিকটু, অনভিপ্রেত এবং দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এমএইচ

    Loading…