এইমাত্র
  • আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    আইন-আদালত

    আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
    কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুরে হোটেল কর্মচারী সিয়াম সরদার (১৭) নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা তাদের জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।আদালতে কর্মরত একজন উপ-পরিদর্শক বলেন, ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মোশাররফ হোসেন আজ সোমবার এই আদেশ দেন।এর আগে রোববার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে বিশিষ্ট নাট্যকর্মী আসাদুজ্জামান নূর এবং ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৩ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা সোহাগ সরদার (৪৫) বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলাটি করেন।এসএফ
    আসাদুজ্জামান নূর-মাহবুব আলীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন
    সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিয়াম সরদার (১৭) রাজধানীর মিরপুরের হোটেল রাব্বানীতে চাকরি করতেন। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে মিরপুর-১০ নম্বরে গুলিতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা সোহাগ সরদার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।এর আগে, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দয়া করে একটি মামলায় গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।তবে, সে মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকায় তাকে মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা সিয়াম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ।একই মামলায় রোববার রাত ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসাদুজ্জামান নূরকে।এসএফ 
    সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে
    ঢাকার আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান জ্যোতির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া। শুনানি শেষে বিচারক তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়া থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসির সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান ও তাদের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান পলাতক ছিলেন। গত ১ সেপ্টেম্বর আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দুই সন্তানের মধ‌্যে একমাত্র ছেলে জ‌্যোতি পারিবারিক ব‌্যবসা প্রতিষ্ঠান সাভার রিফ্রাক্টরিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।সাভারে গণহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জ্যোতির বিরুদ্ধে পুলিশের পদোন্নতি, বদলি, টেন্ডার বাণিজ্য থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশনে নিম্নমানের সামগ্রী সরবরাহের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।এসএফ
    সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার
    সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা জেলা পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আহম্মদ মুঈদ বলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলে সাফি মুদ্দাসির খান জ্যোতিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে আদালতে পাঠানো হবে। এফএস
    লাশ পোড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার ডিবির আরাফাতের ৩ দিনের রিমান্ড
    আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলায় গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের মিয়া তার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মো. রবিউল সানি। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার ১০ নম্বর আসামি আরাফাত। মামলার পর রাজধানীর আফতাবনগর থেকে আরাফাতকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪। এ মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ইউজিসি’র সাবেক সচিব ড. ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।এফএস
    হত্যা মামলায় তথ্য-প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার নয়: পুলিশ সদর দফতর
    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন থানা ও আদালতে দায়েরকৃত হত্যা ও অন্য মামলার প্রাথমিক তদন্তে কোনো আসামির সম্পৃক্ততা না পাওয়া গেলে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হবে। একইসঙ্গে, সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া এসব মামলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতর থেকে এ নিয়ে একটি চিঠি তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (কনফিডেন্সিয়াল) কামরুল আহসান সই করা চিঠিটি সারাদেশের প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফ্যাক্স করে দেয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে চিঠির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী পরিবার বা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিভিন্ন আদালত বা থানায় করা মামলায় সঠিক তথ্যপ্রমাণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার না করার।পাশাপাশি, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক দায়ের করা হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য মামলায় তদন্তের পূর্বে কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তির সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া না গেলে তাদের নাম প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও উপদেষ্টাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একের পর এক মামলা হচ্ছে। প্রায় তিন শতাধিক এসব মামলার অধিকাংশই হত্যা মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলা।  প্রতিটি মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে সবাই মারা গেছেন।এসএফ 
    সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় বাবরের জামিন
    সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এই আদেশ দেন।২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটির সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে মামলা করা হয়।এ মামলায় আদালতে হাজির হন আরিফুল হক চৌধুরী। মামলার অন্যতম আসামি বাবর ঢাকায় কারাগারে বন্দি থাকায় আদালতে হাজির করা হয়নি। পরে আদালতের বিচারক বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে বিএনপি সরকারের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঘটিত হলে ২০০৭ সালের ২৮ মে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আটক করা হয়। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এসএফ    
    সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ডে
    ২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যা’র অভিযোগে গ্রেপ্তার ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক গোলাপ মাহমুদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এর আগে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাবের একটি দল।২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যা’র অভিযোগে ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের বর্তমান ও সাবেক ১৩ কর্মকর্তাসহ ৬২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ঘটনার ৯ বছর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় জনির বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে নূরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠী মইন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যায়। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেরার পথে আসামিরা জনি ও মইনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে তাদের ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন-দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েও নির্যাতন করা হয়।তখন নুরুজ্জামান জনির ৭ (সাত) মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুনিয়া পারভিনসহ আত্মীয়স্বজনরা খিলগাঁও থানা, ডিবি দক্ষিণ অফিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসসহ বিভিন্ন থানায় হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ান। প্রায় ২ দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করার পরেও নুরুজ্জামান জনির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।পরে ২০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর খেলার মাঠের আশপাশের মানুষজন চিৎকার করা কণ্ঠে কান্নার শব্দ শুনতে পায়। নির্যাতিত ব্যক্তিটি পানি-পানি বলে চিৎকার ও মা-মা বলে আর্তনাদ করতে থাকেন।ঘটনাস্থলের এলাকার পাশে সি-ব্লকের বাসিন্দা লাভলী বেগম রাতের কান্নার শব্দ শুনেছে বলে জানান। এ-ব্লকের বাসিন্দা সাইফুদ্দিনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সেতু জানান, রাত ৩টার দিকে ‘ওমাগো, মা, মা.. বাঁচাও’ বলে কয়েকবার চিৎকার শুনেছেন।সেই সময় আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পায়। ভোর রাতে বাদীসহ সাক্ষীরা ও প্রতিবেশীরা খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর মাঠের দিকে গিয়ে পুলিশদের দেখতে পায়। আসামিরা বলে যে, নুরুজ্জামান জনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তার মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।বাদী ঢাকা মেডিকেল মর্গে গিয়ে দেখতে পান নুরুজ্জামানের বুকের বামে, ডান দিকে, দুই হাতের তালুতে ১৬টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার সব শরীর ঝাঁঝরা করে ফেলেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কর্কশ ভাষায় গালিগালাজ করে। লাশ গ্রহণ না করলে মামলা দেওয়ার হুমকিও দেয় তারা।এসএফ 
    পাঠাও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিমের হত্যাকারীকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড
    ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ ‘গোকাদা’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তারই ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস হাসপিল। এই অপরাধে তাকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এই তথ্য জানিয়েছে।ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপ 'পাঠাও'র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নাইজেরিয়াভিত্তিক মোটরবাইক স্টার্টআপ 'গোকাদা'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ে ম্যানহাটনের অ্যাপার্টমেন্টে তার মরদেহ পাওয়া যায়।এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার অভিযোগের পাশাপাশি, ফাহিম সালেহ'র কাছ থেকে চার লাখ ডলার চুরি এবং অন্যান্য অভিযোগে ২৫ বছর বয়সী টাইরেস হাসপিলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।প্রসিকিউটররা জানান, হাসপিল ফাহিম সালেহ'র কাছ থেকে নগদ অর্থ চুরি করছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ। বিষয়টি ফাহিম বুঝতে পারলে হাসপিলকে মামলা থেকে বাঁচাতে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য দুই বছর সময় দেন।কিন্তু হাসপিল তখনও ফাহিমের কোম্পানি থেকে টাকা চুরি করে যাচ্ছিলেন এবং এটা তার বস জেনে যেতে পারে, এমন ভয় থেকে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।২০২০ সালের ১৩ জুলাই হাসপিল হত্যা করেন ফাহিমকে। এর পরের দিন একটি বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমের শরীর টুকরো টুকরো করার জন্য অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন। ফাহিমের মরদেহ কাটার এ পর্যায়ে করাতের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে তিনি চার্জার কিনতে বাইরে যান। এর মধ্যে ফাহিমের চাচাতো ভাই অ্যাপার্টমেন্টে এসে তার ছিন্নভিন্ন মরদেহ দেখতে পান। এ ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে।এইচএ
    কারাগারে পলক-মামুন-ইনু-মেনন
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিভিন্ন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক বিচারক এ আদেশ দেন।এর আগে, গত ২৬ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। পরদিন ২৭ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার তার সাতদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় গত ২৩ আগস্ট তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিকে গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)।এইচএ
    বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
    দুদকের করা মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত অভিযোগ পত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় অন্য আসামিরা হলেন- বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক। একই মামলায় আমিন আহমেদ জামিনে রয়েছেন। এর আগে ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ৫ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেন, আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ২০১২ সালের ৮ জুলাই ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৬ নম্বর প্লটের ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় ক্রয়ের জন্য চুক্তি করেন। এই চুক্তি করা জমির মূল্য ১১০ কোটি টাকা ও চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের সময় পরিশোধিত অর্থ ১০ কোটি টাকা। চুক্তিপত্র অনুযায়ী দুটি দলিলে ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর প্রথম দলিলে ১৮ কাঠা জমির দাম ৯ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, শেখ শাহরিয়ার পান্না ও শিরিন আক্তার। অন্যদিকে দ্বিতীয় দলিলে ওই একই বছরে ১২.২৫ কাঠার দাম ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যেখানে গ্রহীতা হলেন শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। অর্থাৎ জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশনে মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে অবৈধ আয় গোপন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। এছাড়া জমির মূল্য কম দেখিয়ে সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার রাজস্বও ফাঁকি দিয়েছেন।পিএম
    ফের রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি
    ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফিকে সাভারের একটি হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক আব্দুল্লা বিশ্বাস। আসামি পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগ থানার এক অপহরণ মামলায় তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাভার থানাধীন এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ইয়ামিন। এ ঘটনায় তার মামা আব্দুল্লাহ আল মুন কাদির বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়। আরইউ
    সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন
    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে নেওয়া হয়েছে সিএমএম আদালতে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসাদুজ্জামানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।২০১৫ সালে ছাত্রদল নেতা জনি হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত খিলগাঁও থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। জনির বাবা ইয়াকুব আলী গত ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করেন।আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।
    ডিএমপির সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া গ্রেপ্তার
    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, রাজধানীর খিলগাঁও থানায় দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ বর্তমান ও সাবেক ১৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করা হয়। গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। জনির বাবা ইয়াকুব আলীর এ মামলা দায়ের করেন।এফএস
    তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ৪ দিনের রিমান্ডে
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রেজাউল আলম। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুন করেন।গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।গত ১৯ জুলাই ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিতে সুমন সিকদার নিহত হন। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।এসএফ 

    Loading…