এইমাত্র
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি মামুন গ্রেফতার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    আইন-আদালত

    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
    ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই পর্যবেক্ষণের আলোকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় করা এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে ১ ডিসেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ গ্রেনেড হামলা মামলার আসামিরা খালাস পান।আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল, জেল আপিল ও বিবিধ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। এতে ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি–জামায়াত জোট সরকার। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মামলা হয় মতিঝিল থানায়। মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে তৎকালীন সরকার নানা তৎপরতা চালায় বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলার তদন্ত নতুনভাবে শুরু করে। ২০০৮ সালে এ মামলায় প্রথমে ২২ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে এ মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক) অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের আগে অন্য একটি মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। এর আগে গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১১ সালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য পরে তা আদালতে প্রত্যাহার করেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তারা বলছেন, জবানবন্দি প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন হাইকোর্ট।বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৮ সালে মামলার সব নথিপত্র হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। এটি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ‘ডেথ রেফারেন্স’ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। কোনো ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত।বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তারা হলেন- সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দিন, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা আবু সাঈদ, মুফতি মঈনউদ্দিন শেখ ওরফে আবু জান্দাল, হাফেজ আবু তাহের, মো. ইউসুফ বাট ওরফে মাজেদ বাট, আবদুল মালেক, মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হোসাইন আহমেদ তামিম, রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ও মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন। তাঁদের মধ্যে আবদুর রহিম ও শেখ আবদুস সালাম মারা গেছেন।বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপির নেতা হারিছ চৌধুরী (এখন প্রয়াত), কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন, আরিফুল ইসলাম, মুফতি আবদুর রউফ, হাফেজ ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মাওলানা আবদুল হান্নান ওরফে সাব্বির, মুরসালিন, মুত্তাকিন, জাহাঙ্গীর বদর, আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, আবু বকর সিদ্দিক ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মো. ইকবাল, রাতুল আহমেদ, মাওলানা লিটন, মো. খলিল ও শাহাদত উল্লাহ ওরফে জুয়েল।বিচারিক আদালতে রায়ে ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছিল। তারা হলেন মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমীন, লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ওরফে ডিউক, সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী; সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান, ডিএমপির সাবেক ডিসি (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সিআইডির সাবেক পুলিশ সুপার রুহুল আমীন এবং সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ ও মুন্সী আতিকুর রহমান। এসএফ  
    জুলাই-আগস্টে হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, স্বীকারোক্তি পলকের
    গত জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ কোনো দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয় বলে জানিয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জিজ্ঞাসাবাদে পলক এ তথ্য দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধের এ নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।এসএফ 
    জুলাই গণহত্যায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ
    জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও গাজী এম এইচ তামিম।জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানসহ আট কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্য পাঁচ জন হলেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।এর আগে, গত ২০ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখতে নির্দেশ দেন আদালত। সেদিন এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছিলেন।তখন জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এবি 
    রিমান্ড শেষে কারাগারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী রিভা
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় করা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান এ আদেশ দেন।এর আগে দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার শাহবাগ থানার মামলায় রিভাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। একপর্যায়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মাসুমা রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে তামান্না জেনমিন রিভাকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক তাকে দুই দিনের রিমান্ডে দেন।মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে গত ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। ওই ঘটনায় অন্তত ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।ওই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী আবু সায়াদ বিন মাহিন সরকার। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৯১ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভাও এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি।এসএফ 
    ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৬ আসামি খালাস
    চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এনামুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন ও জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী।তাদের মধ্যে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৬ সালের মে মাসে মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।একই সঙ্গে উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে আবেদন করেন বাবর। এর আগে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। সেদিন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ কয়েকজন আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। এ নিয়ে কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী (অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর), সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রায়সহ মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন।এইচএ
    ৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ও এমপি সোলায়মান সেলিম
    বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালিয়ে শামীম নামে এক যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান সেলিমকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক ফেরদৌস জামান সাবেক এ দুই মন্ত্রী-এমপিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এই সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা-সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হন এবং যুবদল নেতা শামীম মারা যান।এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।এইচএ 
    গোপন কারাগারে গুম-খুনের ‘নিউক্লিয়াস’ ছিলেন শেখ হাসিনা: চিফ প্রসিকিউটর
    বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে চলা গুম, নির্যাতন, খুনের ‘নিউক্লিয়াস’ ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব কার্যক্রমে তার সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আজ দুটি মামলার নির্ধারিত তারিখ ছিল। একটি মামলা ছিল শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের এবং অন্যটি তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা এবং উপদেষ্টাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের।তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন আদালত, সেবিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটিও জানতে চেয়েছেন আদালত।চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সেটি জানাতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিন মাস তিনি দেশের মধ্যেই ছিলেন। এরপরও তিনি কীভাবে বিদেশে চলে গেলেন সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত। এবিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার। যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।এইচএ
    আপনারা মুক্ত আছেন তো? ‘আমরা বোবা’
    সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে পুলিশি পাহারায় চুপচাপভাবে প্রিজনভ্যানে ওঠেন। এরপর আরও কয়েকজনকে ওঠানো হয় সেই গাড়িতে। ভ্যানটি ছাড়ার পর ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে তাকান সাবেক প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন- ‘আপনারা মুক্ত আছেন তো’? ‘আমরা বোবা’।মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।সরেজমিনে দেখা যায়, প্রিজনভ্যানটি ছেড়ে যাওয়ার সময় ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে উঁকি দেন পলক। এ সময় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তাকে উদ্দেশ করে বলেন, পলক ভাই ইন্টারনেট আছে। এ প্রশ্ন শোনার পর মুখে আঙুল দিয়ে তাকে কিছুক্ষণ চুপ থাকতে দেখা যায়। এরপর তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন- ‘আপনারা ভালো আছেন’, ‘আপনারা ভালো থাকলেই ভালো’। এ সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্ন করেন- ‘আপনারা মুক্ত আছেন তো’?। পরক্ষণই তিনি বলেন ‘আমরা বোবা’। তারপর পলকসহ আরও কয়েকজন হেভিওয়েট আসামিকে নিয়ে পুলিশের গাড়িটি ট্রাইব্যুনাল ছেড়ে চলে যায়।এর আগে আজ জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যার’ মামলায় গ্রেফতার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।মূলত, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।এরপর গত ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১০ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়।এসএফ 
    স্ত্রী ও ভাইসহ ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
    অবৈধভাবে প্রায় ৪১ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদসহ তার স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে থেকে মামলাগুলো করে দুদক। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।মামলার এজাহারে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, তার তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং তার ভাই হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে।এর আগে গত ২৪ অক্টোবর অবৈধভাবে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিবি হারুনসহ তার স্ত্রী ও শ্বশুরসহ ১২ জনকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে গত ১৮ আগস্ট হারুনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে শুরু করে দুদক।এসএফ 
    ‘বিচার বিভাগ ধ্বংসের দায় সাবেক দুই প্রধান বিচারপতির’
    তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ধ্বংসের জন্য সাবেক দুই প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে দায়ী করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করার পর তিনি এ মন্তব্য করেন।এই রায়ে হাইকোর্ট নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।রায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল এবং বিচার বিভাগকে ধ্বংস করার মূল দায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের। এর পর আরেক সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সেই ধ্বংসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।"রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট উল্লেখ করেছেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ছিল ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত রায়ের পরিপন্থী। এই পর্যবেক্ষণ সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়ায় বৈধতার প্রশ্ন তুলেছে।এসএফ 
    হাসিনা-রেহানা পরিবারের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু
    রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং অন্যান্য প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের এক ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চায়, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলার বা প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটমের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকে এই অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নাম এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র ও অস্ত্র চুক্তি করেন। এতে তার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করেন। এই মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের একটি বড় অংশ তিনি ও শেখ রেহানার মধ্যে ভাগ হয়।এছাড়া, "প্রচ্ছায়া লিমিটেড" নামে একটি ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক "জুমানা ইনভেস্টমেন্ট" নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।এসএফ 
    ওবায়দুল কাদের দেশ ছাড়া নিয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল
    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশ ছাড়লেন পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২ সপ্তাহের মধ্যে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত ৩ মাস ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেয়া হয় সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে।তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও যদি কেউ কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।তাজুল ইসলাম বলেন, গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে গুম কমিশন। গুম কমিশনের দেয়া রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ছিলেন জুলাই-আগস্ট গণহত্যার নিউক্লিয়াস। তার বিরুদ্ধে আনা তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের অগ্রগতি আইজিপির কাছে জানতে চেয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়েছেন বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালত তদন্ত শেষ করতে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।এ ছাড়া গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে দুই মাস সময় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই সময় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন– বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।এইচএ
    হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ২ মাস বাড়লো
    গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও ২ মাস সময় চেয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ওই সময় মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও দুই মাস সময় চেয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ওই সময় মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এ সময় আবেদন করেন আইনজীবী। পরে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তাদের অভিযোগের অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়ে শুনানিতে এ আদেশ দেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।এর আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সময় আবেদন করেন।তার আগে গত ১৮ নভেম্বর গণহত্যার মামলার শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ নির্দেশ দেন।এদিকে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো।এর আগে কড়া নিরাপত্তায় সকাল ১০টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে ১৩ আসামিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার দেখানো হয়।গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।অন্যরা হলেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনায়েদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেক ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী, সাবেক বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বতী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।এইচএ
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা পঞ্চদশ সংবিধানের সংশোধনী অবৈধ: হাইকোর্ট
    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিধান অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে রায়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ ঘোষণা দেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করা হয়েছিল।হাইকোর্ট বলেন, সংবিধানের মূল কাঠামো হচ্ছে গণতন্ত্র। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই পারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। সংবিধানের সৌন্দর্য হচ্ছে জনগণের ক্ষমতায়ন, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।হাইকোর্ট বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে হয়েছিল। যে কারণে এটি সংবিধানের মৌলিক ভিত্তি হয়ে গেছে।এর আগে, ৫ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন,রিটকারী সুজনের বদিউল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল,ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান সিদ্দিকী। ইনসানিয়াত বিপ্লবের পক্ষে শুনানি করেন, অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, চার আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী, ইন্টারভেনর হিসেবে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ।এর আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার পক্ষভুক্ত হন। এরপর ইনসানিয়াত বিপ্লব, গণফোরাম, চার আবেদনকারী রুলে ইন্টারভেনর হিসেবে পক্ষভুক্ত হন।গত ১৯ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।এইচএ
    সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করলেন আপিল বিভাগ
    রাজধানীর মিরপুর থানায় সিয়াম হত্যা মামলায় সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে মাহবুব আলীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম সুমন।রাজধানীর মিরপুর থানার সিয়াম হত্যা মামলায় সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।গত ১২ ডিসেম্বর মাহবুব আলীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল ইসলাম সুমন।তার আগে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে জামিন দেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে মাহবুব আলীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল। পরদিন ১৬ সেপ্টেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম সিয়াম সরদার (১৭) রাজধানীর মিরপুরের হোটেল রাব্বানীতে চাকরি করতেন। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ডিউটি শেষে বাসায় যাওয়ার পথে মিরপুর-১০ এ গুলিতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর তার বাবা সোহাগ সরদার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মিরপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।এইচএ

    Loading…