এইমাত্র
  • আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    বিচিত্র

    রহস্যঘেরা যে স্থানটিতে চিরতরে হারিয়ে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ
    বিপজ্জনক বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের চেয়ে বেশি মানুষ চিরতরে হারিয়ে গেছে রহস্যঘেরা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে। আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে রহস্যময়ভাবে হারিয়ে যায় যাত্রীবাহী জাহাজ, উড়োজাহাজ। এদিকে, ১৯৭০ সাল থেকে আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল এলাকায় নিখোঁজ হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ভিনগ্রহের বাসিন্দা ইউএফও আর বিগ ফুট সেখানে দেখা যাওয়ার নানা কাহিনি রয়েছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের মতোই এই অঞ্চলের শক্তিশালী তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ ও ভিনগ্রহের প্রাণীদের এর জন্য দায়ী করেছেন কেউ কেউ। আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের অঞ্চলটির দক্ষিণে দুটি স্থান হচ্ছে জুনাও এবং অ্যাংকোরেজ এবং উত্তরে উপকূলীয় শহর উটকোয়েগভিগ অবস্থিত। ত্রিভুজাকৃতির এলাকাটি আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল নামে পরিচিতি পেয়েছে। আলাস্কার অন্য সব অঞ্চলের মতো এখানেও জনবসতি কম। কিন্তু এখানে মানুষ চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার হার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের দ্বিগুণের বেশি। অসংখ্য অস্বাভাবিক এবং রহস্যময়ী ঘটনার গল্পও শোনা যায় এই এলাকায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭০ সাল থেকে গত ৫৪ বছরে জায়গাটি থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন ২০ হাজার মানুষ। অবশ্য এই সংখ্যা নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে।রহস্যঘেরা অতিপ্রাকৃত এই এলাকাটি নিয়ে প্রচলিত আছে নানা ধরনের ভয়ার্ত গল্প। এখানে থাকতে পারে ‘সাসকুয়াচ’ বা ‘বিগফুটে’র মতো প্রাণীদের বিভিন্ন শহরে আতঙ্ক ছড়ানোর গল্পও। যেমন কেনাই পেনিনসুলার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত পোর্টলক নামের এক শহরকে ঘিরে জন্ম নেওয়া সেই কাহিনিটির উদাহরণ টানা যায়। শহরটি ১৯৫০- এর দশকে পরিত্যক্ত হয়। কথিত আছে ‘নানতিনাক’ নামের একটি অচেনা প্রাণী শহরের বাসিন্দাদের আক্রমণ করে মেরে ফেলছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও আলাস্কা ট্রায়াঙ্গল থেকে অনেক মানুষ রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও আলাস্কার কেবল এক শতাংশ এলাকায় মানব বসতি আছে, তারপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্য যেকোনো রাজ্যের তুলনায় এখানে মানুষ নিখোঁজের হার বেশি। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, এই সংখ্যা প্রতি লাখে ৪২ দশমিক ১৬ জন। এদিক থেকে এর পরের অবস্থানে রয়েছে অ্যারিজোনা। সেখানে সংখ্যাটি লাখে ১২ দশমিক ২৮। আর দেশটির অন্য রাজ্যে এমন রহস্যজনক নিখোঁজের গড় হচ্ছে সাড়ে ছয়। প্রথম যে নিখোঁজের ঘটনা আলাস্কা ট্রায়াঙ্গলের প্রতি মানুষের মনে কৌতূহলের জন্ম দেয় সেটি ঘটে ১৯৭২ সালে। মার্কিন কংগ্রেসম্যান হেল বোগস, নিক বেগিচ, তাদের একজন সহকারী এবং পাইলট সন্দেহভাজন উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পরে নিখোঁজ হন। অ্যাংকোরেজ থেকে জুনাও যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ৪০ দিনের অনুসন্ধান অভিযানে কারও দেহ তো পাওয়া যায়ইনি, এমনকি মেলেনি উড়োজাহাজটির কোনো ধ্বংসাবশেষ। এবি 
    বিয়ের তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ!
    বিয়ে হয়েছে তবে সংসার শুরু করার আগেই কবুল বলার মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিচ্ছেদ হয়েছে এক  দম্পতির। ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যমে এটিকে ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের বিয়ে বলে দাবি করেন নেটিজেনরা।   দাম্পত্য জীবনে অনেক সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হয় না। একটা সময় যা বিচ্ছেদে গিয়ে গড়ায়। কিন্তু এত কম সময়ে ডিভোর্স সত্যিই বিরল। কিন্তু কীভাবে ভাঙল বিয়ে!সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বর নাকি কনেকে অপমানজনক কথা বলেন। জানা যায়, তাকে বিয়ে সেরে বেরনোর পরই এক তুচ্ছ ঘটনার জন্য নববধূকে ‌‘বোকা’ বলে  বিদ্রুপ করে বসেন তিনি। আর তাতেই নববধূ ক্ষেপে যান। মাত্র কয়েক মিনিট আগেই বিয়ে সেরে বের হচ্ছিলেন দম্পতি। অনুষ্ঠান শেষে দম্পতি যখন কোর্ট হাউস থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখনই হোঁচট খান কনে। আর তারপরই ধপাস করে যান পড়ে।    আর সদ্য বিবাহিত বউ পড়ে যেতেই বর তাকে বোকা বলে বিদ্রুপ করেন। এ কথা শোনামাত্রই রেগে লাল হয়ে যান নববধূ। তাকে কোনোভাবেই শান্ত করা সম্ভব হয়নি। তিনি বিচারকের কাছে গিয়ে অবিলম্বে তাদের বিয়ে বাতিল করতে বলেন। নববধূর যুক্তি শুনে, তার দাবি মেনে নেন বিচারকও। মাত্র তিন মিনিটের মাথায় বিয়ে বাতিল করে দেন তিনি।  ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ বছর আগে। কোনো কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার তা ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ কনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।মাইক্রোব্লগিং প্লাটফর্মে এক ব্যক্তি লেখেন, সম্মান ছাড়া বিবাহ শুরু থেকেই ব্যর্থ হয়। আরেকজন আবার লিখেছেন, কেউ যদি শুরুতেই এভাবে আচরণ করে তাহলে তাকে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। এর আগে ২০০৪ সালে যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি বিয়ের মাত্র ৯০ মিনিটের পরে বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। দম্পতির নাম ছিল, স্কট ম্যাককি ও ভিক্টোরিয়া অ্যান্ডারসন। কনে বরযাত্রীদের কথায় অপমানিত বোধ করার পর বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।এবি 
    ১ জোড়া চটির দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা
    কুয়েতে একটি দোকানে দুই ফিতার এক জোড়া স্যান্ডেল বা চটি যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তা দেখে সাধারণ মানুষের চোখ কপালে উঠে যাবে। চটির কিছু ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা এখন ভাইরাল হয়েছে নিমেষেই। চটির দাম লেখা ৪ হাজার ৫৯০ সৌদি রিয়াল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বেশি।অথচ, সাধারণত শৌচাগারে যেতে হরহামেশাই আমরা ওই ধরনের স্লিপার ব্যবহার করি ও সাধারণ ঘরে পরার জন্য যে চপ্পল ব্যবহার করি তা একেবারে গয়নার মতো সাজিয়ে রাখা রয়েছে সেখানে। সম্প্রতি ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘জানোউবা’ আনলাইনে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। ভিডিওটির ক্যাপশন, ‘জানোউবায় ৪ হাজার ৫০০ রিয়ালে সর্বশেষ ফ্যাশন’।জানোউবার ভিডিওতে দেখা যায়, হাতে গ্লাভস পরা এক ব্যক্তি কাচে ঘেরা একটি বাক্স থেকে নীল-সাদা রঙের একটি চটি বের করে তার গুণমান দেখাচ্ছেন। সেটির ফিতা কতটা ভালো, সেটি কতটা নরম...। কাচের বাক্সের ভেতর আরও কয়েক রঙের চটি দেখতে পাওয়া যায়।অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসংখ্য মানুষ, বিশেষ করে ভারতীয়রা ওই ভিডিও শেয়ার করেন এবং বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেন।কেউ কেউ মনে করছেন বিত্তশালীদের নজর কাড়ার জন্যই এই চালাকি। এমন চপ্পল ৬০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায় বলেও মজা করেছেন কেউ কেউ।বিষয়টি নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি অনেকেই। একজন বলেছেন, মাতৃ দিবসে মাকে উপহার দেওয়ার জন্য ওই হাওয়াই চপ্পল একেবারে আদর্শ। ওই জুতো পায়ে গলাতেও কাজে লাগবে, আবার সন্তানদের শাসন করার ক্ষেত্রেও হাতিয়ার হিসাবেও কাজে লাগবে বলে মন্তব্য জানান তিনি। কেউ কেউ বলেছে, ঝাঁ চকচকে দোকানে দিনে-দুপুরে ডাকাতি চলছে। এই চটির দাম কোনওভাবেই ১লক্ষ টাকা হতে পারে না, সেই বিষয়ে একমত সকলেই।
    চাকরি পেতে পোশাকে জীবনবৃত্তান্ত নিয়ে ঘুরছেন তরুণ
    চাকরি যেন সোনার হরিণ। মনমতো একটি চাকরির জন্য কত না চেষ্টা-তদবির থাকে সবার। কেউ সফল হন, আবার কাউকে হতে হয় হতাশ। এমনই হতাশার মধ্যে ব্যতিক্রমী এক পথ বেছে নিয়েছিলেন চীনের এক তরুণ। চাকরিদাতাদের নজরে পড়তে নিজের পোশাকেই জীবনবৃত্তান্ত ছাপিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন তিনি।ওই তরুণের নাম সং জিয়ালি, বয়স ২১ বছর। হুবেই প্রদেশের উহান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। এবার স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা শুরুর পালা। এর আগে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টার্নশিপ করতে চাইছিলেন সং। তবে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেও সাড়া পাননি তিনি। এ নিয়ে একরকম হতাশ হয়ে পড়েছিলেন সং।তবে কথায় আছে, সমস্যা থাকলে সমাধানও আছে। সংও বুদ্ধি করে একটি সমাধান বের করেছিলেন। এর আগে তিনি দেখেছেন, অনেকেই নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পোশাকে বিজ্ঞাপন ছেপে রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। সং ভাবলেন, চাকরি পেতে তিনিও একই পথ ধরবেন। তবে পণ্যের বিজ্ঞাপনের বদলে পোশাকে ছাপবেন নিজের জীবনবৃত্তান্ত।এরপরই জীবনবৃত্তান্ত ছাপা টি-শার্টে রাস্তায় দেখা যায় সংকে। টি-শার্টের সামনের অংশে লেখা ছিল, ‘২০২৪ সালের একজন শিক্ষার্থী চাকরি খুঁজছেন। বিস্তারিত জানতে পেছনে দেখুন।’ আর পেছনে ছাপা ছিল সংয়ের জীবনবৃত্তান্ত। তাতে ছিল তাঁর নাম, ছবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, পড়াশোনার বিষয় এবং শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁর নানা কর্মকাণ্ডের হিসাব।একটু চালাকি করে টি-শার্টে একটি কিউআর কোডও যুক্ত করেছিলেন সং। পাশে লেখা ছিল, ‘মানবসম্পদ বিভাগের যাঁদের আমার এই কৌশল ভালো লেগেছে, তাঁরা এই কিউআর কোড স্ক্যান করে যোগাযোগ করতে পারেন।’ সং মজা করে এ-ও লিখেছেন, ‘জীবনসঙ্গী খোঁজার মতোই চাকরি খোঁজা কঠিন।’যাহোক সংয়ের এই বুদ্ধি কিন্তু কাজে এসেছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। শেষ পর্যন্ত পোশাক খাত নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি।এমআর
    ফেসবুকের যে পেজ ভারত- বাংলাদেশের মানুষকে শিকড় খুঁজে দিচ্ছে
      বাংলাদেশের পিরোজপুরের মানুষের সহায়তা চেয়ে এক ভারতীয় নারী একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন এ বছর জুন মাসের গোড়ায়। তার আকুতি ছিল যে প্রায় আশি বছর আগে ফেলে আসা একটা বাড়ির খোঁজ যদি পিরোজপুরের কেউ দিতে পারেন।‘বঙ্গ ভিটা’ নামের ফেসবুক পেজের সেই পোস্টে শ্বেতা রায় নামের ওই ভারতীয় নারী লিখেছিলেন পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার হারজি গ্রামের কথা।গত চার বছরে ওই ‘বঙ্গ ভিটা’ ফেসবুক পেজটি ভারত আর বাংলাদেশের পাঁচশোরও বেশি পরিবারকে খুঁজে দিয়েছে তাদের হারিয়ে যাওয়া শিকড়ের সন্ধান।“গ্রামের পাশে একটা খাল আর খালের পাশেই বাড়ি ছিল,” ফেসবুকে লিখেছিলেন মিজ রায়।সেটা ছিল তার মায়ের বাবা, অর্থাৎ দাদু মহাদেব দাসের বাড়ি। কাজটা ছিল একরকম ‘খড়ের গাদায় সুঁচ খোঁজার’ মতো।মাত্র ১৮ দিনের মাথায় খুঁজে পাওয়া যায় পিরোজপুরে মি. দাসের ফেলে আসা বাড়ির সন্ধান, চলে আসে সেখানকার ছবি।বিবিসি বাংলাকে তিনি জানাচ্ছিলেন, “দাদুর কাছে ছোট থেকেই ওই গ্রামের বাড়ির কাহিনী শুনতাম। এর আগে পূর্ব বঙ্গে আমার ঠাকুমার পৈত্রিক বাড়ি খুঁজে পেয়েছিলাম আমরা। তাই এবার আমি আর মা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে দাদুর বাড়িটা খোঁজা শুরু করি।“তিনি বলছিলেন, “বঙ্গ ভিটায় আমার পোস্টটা দেখে প্রথম যিনি যোগাযোগ করলেন, তিনি হলেন ফজলে আলি খানের নাতির নাতি। এই ফজলে আলি খানই আমার দাদুর পরিবারকে স্বাধীনতা-পূর্ব দাঙ্গার সময়ে বন্দুক নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিতেন। এই ভদ্রলোক নিজের নাম জানাতে চান না অবশ্য। এরপরে এমন একজনের সাহায্যে সব তথ্য পাই, যিনি আবার বাড়িটির বর্তমান বাসিন্দাদের পরিচিত।““দাদু তো ভাবতেই পারে নি যে এতবছর পরে আবার তাদের ফেলে আসা বাড়ির ছবি দেখতে পাবে। ওই ছবিগুলো দেখে একবারেই চিনতে পেরেছে। বারবার বলছিল বাড়িটা, পাশের খালটা এখনও আছে, তবে একটা বটগাছ ছিল, সেটা কেটে ফেলা হয়েছে,” জানাচ্ছিলেন ব্যাঙ্গালুরুতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে কর্মরত শ্বেতা রায়।আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে যাওয়া আব্দুস সেলিম ওই ‘বঙ্গ ভিটা’ পেজের মাধ্যমেই জানতে পারেন যে পশ্চিমবঙ্গের যে স্কুলে তিনি পড়াশোনা করতেন, সেখানকার এক প্রিয় মাস্টারমশাই কয়েক বছর আগেই মারা গেছেন।এমএইচ
    খাবারের আইটেমে মাংস নেই, কনেপক্ষকে পেটাল বরপক্ষ!
    বিয়ের আয়োজনে ছিল পোলাও-পনির। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু সব কারিও ছিল। এমনকি বরকে যৌতুক হিসেবে কয়েক লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপরও বিয়ে ভেঙে গেছে। শুধু বিয়ে ভেঙে যায়নি, কনেপক্ষের লোকদের রীতিমতো লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে বরপক্ষের লোকেরা। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওরিয়া জেলার আনন্দনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বরপক্ষের অভিযোগ, বিয়ের খাবারে মাছ ও মাংসের কোনো আইটেম রাখা হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এ কারণে বিয়েবাড়িতেই লেগে যায় হট্টগোল। কনেপক্ষের লোকদের ওপর চড়াও হয় বরপক্ষ। তাদের কিলঘুষিতে আহত হয় কয়েকজন। এমনকি লাথিও দেওয়া হয় কনেপক্ষের লোকদের। এ ঘটনার পর কনেপক্ষের লোকেরা থানায় গিয়ে হয়রানির মামলা করে। এ ছাড়া বরপক্ষের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলাও করা হয়।এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে দেখা যায়, কনেপক্ষের লোকদের পেটাচ্ছে বরপক্ষের লোকেরা। কনেপক্ষের দাবি, যৌতুক হিসেবে ৫ লাখ রুপি দিয়েছিল তারা।এফএস
    সর্বোচ্চ অক্ষর-সংখ্যা শনাক্ত করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস মুরগির
    কানাডার এক নাগরিক, একটি মুরগি কিনেছিলেন প্রতিনিয়ত ডিম খাওয়ার জন্য। তবে এখন  ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের সেই মুরগি গড়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। এটি সংখ্যা, রং ও অক্ষর দেখে তা শনাক্ত করতে পারে। গ্যাব্রিওলা আইল্যান্ডের নাগরিক এমিলি ক্যারিংটনের মুরগি লেসি গড়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। লেসি এক মিনিটে সর্বোচ্চ সংখ্যক অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করে এই রেকর্ড অর্জন করে।  এমিলি ক্যারিংটন জানান, ডিমের জন্য তিনি গত বছর পাঁচটি হাইলিন প্রজাতির মুরগি কিনেছিলেন। কিনেই তিনি তাদের চৌম্বকীয় অক্ষর ও সংখ্যা শনাক্ত করার প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। নানাইনো নিউজ বুলেটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যারিংটন বলেন, মুরগিগুলোর কাজ ছিল নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যা ও অক্ষর ঠোকরানো, যেগুলো আমি তাদের শিখিয়েছিলাম। অপরিচিত অক্ষর ও সংখ্যাগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।ক্যারিংটন বলেন, মুরগিগুলো বেশ ভালোভাবেই কাজটি রপ্ত করে। এরপরই তিনি তাদের দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস করার চিন্তা করেন। মুরগিগুলোকে এক মিনিটে কত দ্রুত তারা সংখ্যা ও অক্ষর শনাক্ত করতে পারে তার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।লেসি নামের মুরগিটি এক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে যায়। এক মিনিটে সে ছয়টি অক্ষর, সংখ্যা ও রং শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস লেসির জন্য একটি নতুন ক্যাটাগরি তৈরি করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এক মিনিটে মুরগির সর্বোচ্চ শনাক্তকরণ’। এমিলি ক্যারিংটন মুরগিগুলোর প্রশিক্ষণ ও তাদের কর্মকাণ্ডের ভিডিও আপলোড করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন, যার নাম দিয়েছেন ‘দ্য থিংকিং চিকেন’। তিনি বলেন, লেসির বুদ্ধিমত্তা দেখে তিনি আনন্দিত।ক্যারিংটন আরও বলেন, ‘প্রাণীদের মধ্যে মুরগিকে সবচেয়ে কম বুদ্ধিমান হিসেবে দেখা হয়। আমার মনে হয়, মুরগিকে যদি বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে ভাবা হয়, তাহলে দেখা যাবে, তারা আমাদের চিন্তার চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান।’এবি 
    ইউরোপের যে শহরে মাত্র ৭ হাজার ৭০০ টাকা কিনতে পারবেন প্লট
      আমাদের দেশে এমনকি ছোটখাটো শহরেও এখন জমির দাম আকাশছোঁয়া। এখন যদি শোনেন ইউরোপের এক শহরে মাত্র ৭-৮ হাজার টাকাতেই মিলছে একটি চমৎকার প্লট, তাহলে নিশ্চয় চোখ কপালে উঠবে। আশ্চর্য এই সুযোগ করে দিচ্ছে উত্তর ইউরোপের দেশ সুইডেন। দেশটির রাজধানী স্টকহোমের ২০০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে জাতানে নামের শহরটির অবস্থান। এখানেই ২৯টি প্লট বিক্রি করা হচ্ছে। দাম প্রতি বর্গমিটার (১১ বর্গফুট) এক সুইডিস ক্রোনার বা ৯ মার্কিন সেন্ট। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১১ টাকার চেয়ে একটু বেশি। সর্বনিম্ন ৭০০ বর্গমিটারের একটি প্লট কিনতে আপনার গুনতে হবে ৭ হাজার ৭০০ টাকা।এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।এই জমিতে ক্রেতারা বানাতে পারবেন নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি। এর আগে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ ইতালিতে অস্বাভাবিক কম মূল্যে জমি বা বাড়ি বিক্রির সুযোগ থাকলেও সেখানকার গরমের কারণে যাঁরা দ্বিধায় ছিলেন, উত্তর ইউরোপের শীতল আবহাওয়া তাঁদের উৎসাহিত করতেই পারে।একটু দুর্গম এলাকায় অবস্থিত জাতানের মূল শহরে বসবাস ৫ হাজার মানুষের। শহর ঘিরে পৌরসভার মালিকানাধীন এলাকায় বাস আরও ১৩ হাজার মানুষের। সুইডেন তথা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের সবচেয়ে বড় হ্রদ ভেয়ানেনের তীরে এর অবস্থান। কাছাকাছি চমৎকার একটি পর্বতও আছে।কিন্তু বসবাসের জন্য এমন একটি চমৎকার শহর কেন এত কম মূল্যে প্লট ছেড়েছে?শহরের মেয়র জুয়ান মুনসুন জানান, বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা ও জনসংখ্যা হ্রাসের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘বর্তমানে আমাদের অঞ্চল তথা গোটা সুইডেনের আবাসন বাজারে মন্দা চলছে। তাই আমরা বাজারে একটু উত্তাপ ছড়াতে চেয়েছিলাম’, মেয়র মুনসুন সিএনএনকে বলেন, ‘আমাদের জন্মহার কম এবং বয়স্ক জনসংখ্যাও বাড়ছে। তাই এখানে আরও লোককে বসতি গাড়তে আগ্রহী করার জন্য এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছিল আমাদের জন্য ।’মুনসুন জানান, তাঁরা টোকেন ফি দিয়ে ২৯টি প্লট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। অনেক বছর ধরে বাজারে আছে কিন্তু বিক্রি হচ্ছে না এমন জমি বেছে নিয়েছেন তাঁরা।মেয়র জানান, গত মাসে এই প্রকল্প চালু করা হয়। আগ্রহী ৩০ জন ক্রেতা নিয়ে এর শুরু হয়। ওই সময় বর্গমিটারপ্রতি এক ক্রোনা মূল্যের চারটি প্লট বিক্রি করা হয়। প্লটের আকার ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ বর্গমিটার।তার পরই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। ‘বিষয়টি ভাইরাল হয়ে গেলে ফোনে হাজারে হাজারে আবেদন আসতে শুরু করে।’ বলেন মেয়র মুনসুন, ‘সিটি হলে আমাদের দুজন কর্মচারীকে ফোনের সামনে বসিয়ে রাখতে হয়েছে। গত কিছুদিন তাদের খুব ব্যস্ত সময় কাটে। আমরা বেশ একটা ঝামেলায় পড়ে যাই।’সারা বিশ্ব থেকে ফোন আসায় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হন আগস্টের শুরু পর্যন্ত প্রক্রিয়াটি স্থগিত করতে। যখন পুনরায় এর কার্যক্রম শুরু হবে, তখন বর্তমান স্বল্পমূল্যের বদলে হয়তো নিলামের মতো একটা ব্যাপার থাকতে পারে। কেউ আগ্রহী না হলে তখন ওই সর্বনিম্ন মূল্য এক ক্রোনা কার্যকর হবে।  মুনসুন জানান, সাধারণত এ ধরনের প্লটের দাম ৫ লাখ ক্রোনা বা ৪৭ হাজার ডলারের মতো হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত যে নিয়ম, তাতে এই প্লট কেনার জন্য সুইডেনের বাসিন্দা হতে হবে না আপনাকে। তেমনি স্থায়ীভাবে থাকতেও হবে না। তবে নিয়মেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র।এদিকে একটি বাড়ি তৈরি করলেই যে এখানে সারা জীবন  থাকতে পারবেন না তা নয়। কারণ ভিসার বিষয়টি সরকারের হাতে বলে জানান মুনসুন। আর শহরটির কর্তৃপক্ষ প্লট কেনার মূলত যে শর্তের ওপর জোর দিচ্ছে তা হলো, কেনার দুই বছরের মধ্যে বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করা।এমএইচ
    যে দেশে এখন ২০১৬ সাল চলছে!
    ইথিওপিয়ানদের সময়ের হিসাবটিও বিচিত্র। যেখানে বেশিরভাগ দেশে দিনের শুরুটা হিসাব করা হয় মধ্যরাত অর্থাৎ রাত ১২টা থেকে, ইথিওপিয়ায় সেটি হিসাব করা হয় সকাল থেকে। বেশিরভাগ দেশ যেখানে ২৪ ঘণ্টার ঘড়ি পদ্ধতি ব্যবহার করে, সেখানে ইথিওপিয়ানরা ব্যবহার করে ১২ ঘণ্টার ঘড়ি। এ ঘড়ি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। তবে মজার ব্যাপারটি হলো এই ঘড়িতে সময় শুরু হয় সকাল ১টা থেকে।২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে যদি আপনাকে বলা হয় এখন ২০১৬ সাল এবং সেটি যে আপনি বিশ্বাস করবেন না, তা শতভাগ নিশ্চিত। এমনকি বিষয়টি আপনার কাছে উদ্ভটও মনে হতে পারে। কিন্তু যদি বিষয়টি বাস্তব হয়, তাহলে?হ্যাঁ, বিষয়টি সত্যিই। এটি কোনো গল্প নয়। পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায় এখন ২০১৬ সাল! আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ইথিওপিয়ানরা ২০১৬ সালকে বিদায় জানাবেন। সেই সাথে পালন করবেন বর্ষবরণ উৎসব। তারা যে সালকে স্বাগত জানাবেন, ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেটি হলো ২০১৭। -সিএনএনআফ্রিকার দ্বিতীয় জনবহুল এই দেশটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে সাত বছর আট মাস পিছিয়ে। কেন দেশটি পিছিয়ে, আর কীভাবে পিছিয়ে থেকেও দেশটি বহির্বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে কাজ করছে, এখন সেটিই প্রশ্ন?এসব প্রশ্নের উত্তর মেলে ইথিওপিয়ানদের শতাব্দী পুরনো ঐতিহ্যের মধ্যেই। অনন্য বর্ষপঞ্জি:সময়ের দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণ হলো- ইথিওপিয়ায় যিশু খ্রিস্টের জন্ম সাল গ্রেগরিয়ান বা 'পশ্চিমা' বর্ষপঞ্জির সময়ের চেয়ে সাত বা আট বছর পিছিয়ে হিসাব করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, রোমান চার্চ ৫০০ খ্রিস্টাব্দে নতুন করে তাদের বর্ষপঞ্জিতে সামঞ্জস্য আনলেও ইথিওপিয়ান অর্থোডক্স চার্চ পুরনো বর্ষপঞ্জিতেই থেকে যায়। বিশ্বের অন্য দেশগুলোও গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করলেও ইথিওপিয়া করেনি।রোটেট ইথিওপিয়া ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলের প্রধান নির্বাহী এশেতু গেতাশু বলেন, 'আমরা অনন্য। আমাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি আছে, নিজস্ব বর্ণমালা ও সংস্কৃতিগত ঐতিহ্য আছে।'ধারণা করা হয়ে থাকে ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার দেড় হাজার বছরের পুরনো। এ ক্যালেন্ডারের সাথে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার কপ্টিক অর্থোডক্স চার্চের কপ্টিক ক্যালেন্ডারের বহু মিল রয়েছে।সৌর-চন্দ্র পদ্ধতি অনুযায়ী, ইথিওপিয়ার ক্যালেন্ডারে মাসের সংখ্যা ১৩টি। প্রথম ১২টি মাস ৩০ দিনের। আর শেষ মাস অর্থাৎ ১৩তম মাসটি খুবই ছোট। মাত্র পাঁচ দিনের। তবে অধিবর্ষে মাসটি ছয়দিনের হয়ে থাকে।দেশটিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্কুলগুলো গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে পরিচালিত হয়। তাই অনেক ইথিওপিয়ানই ইচ্ছা না থাকার পরও নিজেদের বর্ষপঞ্জির পাশাপাশি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেন।বর্তমানে জার্মানিতে অবস্থানরত ইথিওপিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক গৈতম ডব্লিউ টেকল বলেন, 'এটি খুবই কঠিন। আমি ওই ক্যালেন্ডারের সাথে মানিয়ে নিতে পারি না। এটি চ্যালেঞ্জিং।'তিনি আরও বলেন, 'আমাকে ঘণ্টা নিয়ে, দিন নিয়ে, কখনো মাস নিয়ে এবং এমনকি কখনও বছর নিয়েও ভেবে তারপর নিশ্চিত হতে হয়।'টেকল জানান, কিছু প্রতিষ্ঠানকে ইথিওপিয়ানদের সাথে বিশেষ করে যারা প্রত্যন্ত এলাকায় কিংবা দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, তাদের সাথে যোগাযোগের সময় দুটি ক্যালেন্ডারই অনুসরণ করতে হয়।তিনি জানান, সময়ের এ ভিন্নতার কারণে জন্ম সনদের আবেদনের মতো সহজ কাজটিতেও দুটি ক্যালেন্ডারের সময়ে সামঞ্জস্য আনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে।তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি:এ বিষয়ে জার্মান ইতিহাসবিদ ভেরেনা ক্রেবস জানান, ধরুন একটি শিশুর বয়স তিন বছর। আপনি শিশুটির জন্ম সনদের জন্য স্থানীয় সরকারের কাছে আবেদন করলেন। আবেদনের সময় আপনি ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শিশুটির জন্মের সময় উল্লেখ করলেন। এরপর কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শিশুটির জন্ম তারিখ লিপিবদ্ধ করবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকে যায়।তিনি আরও জানান, দুই ক্যালেন্ডারের সময়ের পার্থক্যের কারণে শিশুটির বয়স সঠিক বয়সের চেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণও হয়ে যেতে পারে।তিনি উল্লেখ করেন যে যারা বিষয়টির সাথে অভ্যস্ত নন, তাদের এটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।১২ ঘণ্টার ঘড়ি: ইথিওপিয়ানদের সময়ের হিসাবটিও বিচিত্র। যেখানে বেশিরভাগ দেশে দিনের শুরুটা হিসাব করা হয় মধ্যরাত অর্থাৎ রাত ১২টা থেকে, ইথিওপিয়ায় সেটি হিসাব করা হয় সকাল থেকে। বেশিরভাগ দেশ যেখানে ২৪ ঘণ্টার ঘড়ি পদ্ধতি ব্যবহার করে, সেখানে ইথিওপিয়ানরা ব্যবহার করে ১২ ঘণ্টার ঘড়ি। এ ঘড়ি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। তবে মজার ব্যাপারটি হলো এই ঘড়িতে সময় শুরু হয় সকাল ১টা থেকে।সকাল ১টা শুনে মনে খটকা তৈরি হতে পারে। তবে বিষয়টি হলো বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যে সময়কে সকাল ৭টা বলে বিবেচনা করে, ইথিওপিয়ানদের ঘড়ি অনুযায়ী সেটি হলো সকাল ১টা।আলোকচিত্রী আবেল গেশাও বলেন, 'ইথিওপিয়া একটি অত্যন্ত রক্ষণশীল খ্রিস্টান দেশ, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাকি বিশ্বের কথা চিন্তা করে না। পশ্চিমা বিশ্বে যেভাবে কাজ করা হয়, তা নিয়ে অনেক ইথিওপিয়ানেরই, বিশেষ করে যারা গ্রামে বাস করেন তাদের ন্যূনতম আগ্রহও নেই।তিনি বলেন, 'তারা আপনাকে একটি সময় বলে…তারা হয়ত এটা জানেও না যে সময় গণনার আরেকটি উপায় আছে।'ইথিওপিয়া তার সময় পদ্ধতি, ক্যালেন্ডার বা বছর গণনার পদ্ধতি পরিবর্তন না করেই নিজস্ব ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৪ বা ২০১৬ সালে পৌঁছেছে।  তবে এখন প্রশ্ন হলো- তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষেরাও দিন দিন বিশ্বের অন্যান্য অংশের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে ইথিওপিয়ানরা কি তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি থেকে বেরিয়ে আসবে, নাকি তাদের আদি বর্ষপঞ্জিতেই থেকে যাবে?এফএস
    হেঁটে বেড়ানো গাছ জিতলো নিউজিল্যান্ডের সেরা বৃক্ষের পুরস্কার
     হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে লম্বা লম্বা পা ফেলে এটি এগিয়ে যাচ্ছে মাঠ ধরে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও গল্পটি ‘ওয়াকিং ট্রি’ নামে পরিচিত একটি বৃক্ষের। নিউজিল্যান্ডের বছরের সেরা গাছ বা ‘ট্রি অব দ্য ইয়ার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে এটি।এ তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে।নিউজিল্যান্ড আরবারিকালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে হয় প্রতিযোগিতাটি। নর্দার্ন রাতা জাতের এই গাছটির লর্ড অব দ্য রিংস চলচ্চিত্রের এন্টদের সঙ্গে দেখতে বেশ মিল পাবেন। গাছটির ‘হেঁটে বেড়ানো গাছ’ বা ‘ওয়াকিং ট্রি’ নাম পেতে ভূমিকা রেখেছে এই এন্টরা। চলচ্চিত্রের এন্টরা দেখতে গাছের মতোই।৩২ মিটার বা ১০৫ ফুট লম্বা গাছটির দেখা পাবেন সাউথ আইল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলে কারামিয়ার কাছে। তৃতীয়বারের মতো হওয়া এই বার্ষিক প্রতিযোগিতায় শতকরা ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে অন্য জনপ্রিয় গাছদের অনায়াসে পেছনে ফেলে। এর মধ্যে আছে দেশটির সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা বৃক্ষ লেক ওয়ানাকার উইলো গাছটিও।নর্দার্ন রাতা গাছটি একটি পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ হিসেবে হিসেবে জীবন শুরু করে। অর্থাৎ অন্য একটি গাছের ওপর আশ্রয় করে ছিল এটি। অবশেষে, এর শিকড় মাটিতে পৌঁছায় এবং এটি মূল গাছকে ঢেকে দেয়। এ প্রজাতির বৃক্ষ এক হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারে। অবশ্য ‘ওয়াকিং ট্রি’র বয়স কত সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ১৮৭৫ সালে গাছটির অস্তিত্ব ছিল এতটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে।কারামিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা পিট কারি বলেন যে তার পরিবার ১৮৭৫ সালে এই অঞ্চলে আসার সময় এখানকার জমি পরিষ্কার করেছিল। ‘জমিতে ছিল ঘন ঝোপ-জঙ্গল। আমার পরদাদা ও তাঁর ভাইয়ের খামার করার জন্য জমি পরিষ্কার করেন।’ বলেন তিনি। তবে এখন ‘ওয়াকিং ট্রি’ নামে পরিচিত গাছটিকে তারা রেখে দেন।নিউজিল্যান্ড আরবারিকালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রিচি চিল বলেন, ‘ওয়াকিং ট্রি নিউজিল্যান্ডে যে অসাধারণ সব বৃক্ষ আছে তার একটি বড় উদাহরণ।’তিনি জানান, এই পুরস্কারটি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনে যে গাছগুলি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে তার স্বীকৃতি দেয়।এমএইচ
    আজ ‘সবার ওপরে তুমি’ দিবস
    ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে, আমার নামটি লিখো-- তোমার মনের মন্দিরে। ভালোবাসা কী? এর ব্যাখ্যা একেকজনের কাছে একেকরকম। আমার কাছে, ভালোবাসা হলো পৃথিবীর বিশুদ্ধতম অনুভূতি, অন্যের জন্য নিজের জীবন বাজি রাখার প্রতিশ্রুতি। সেখানে মান-অভিমান সব আছে। আছে সুখ ও দুঃখ। তবে, বিরক্তি হয়তো নেই সেখানে। ভালোবাসা না স্পর্শ করা যায়, না দেখা যায়। এটি কেবলই অনুভবের বিষয়।  কাউকে ভালোবাসার পর মানুষের ভেতর তৈরি হয় অদ্ভুত এক ঘূর্ণন, যার কেন্দ্রে থাকে ভালোবাসার মানুষটি। কেন্দ্রমুখী বলের টানে সে তার কাছে ফিরে আসে বারবার। গোটা পৃথিবীর সব কোলাহল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে স্থির হয় প্রেমের কাছে। কিছুই আর আগের মতো থাকে না তার। জীবনের গতিপথ বদলে যায়। বদলে যায় চেনা জগৎ। হুমায়ুন আজাদ তো কবেই বলেছেন,আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার, যেমন হিরোশিমার পর আর কিছুই আগের মতো নেই’  সত্যিই তা–ই। যেন আর কোথাও কেউ নেই, কোথাও যাওয়ার নেই। তসলিমা নাসরিনের কবিতার মতো কেবলই মনে হয়, ‘কী হচ্ছে আমার এসব!/ যেন তুমি ছাড়া জগতে কোনো মানুষ নেই...।’প্রেম এমনই। যে মানুষটি একবার নিজেকে প্রেমের কাছে সমর্পণ করেছে, কেবল তিনিই জানেন, সবার ওপরে প্রেম সত্য, তার ওপরে নাই। এই যে সবার আগে, সবকিছুর কেন্দ্রে ভালোবাসার মানুষকে স্থান দেওয়া, ইংরেজিতে একেই বলে ‘বিএই’ বা ‘বিফোর এনিওয়ান এলস’। আজ ১০ জুন, বিফোর এনিওয়ান এলস ডে, সাদা বাংলায় ‘সবার আগে সে’ বা ‘সবার ওপরে তুমি’ দিবস। প্রেমিক বা প্রেমিকা, স্বামী বা স্ত্রী—অর্থাৎ প্রেমময় সম্পর্কে থাকা মানুষের জন্য আজকের এই দিন। একটি সূত্রমতে, লিলি পনস নামের যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুকলিনের এক লেখক, শিল্পী দিবসটির প্রচলন করেন। সম্পর্কের গভীরতার যে স্বর্গীয় শক্তি, শৈল্পিক সৌন্দর্য এবং গুরুত্ব রয়েছে, সেটিকে উদযাপন করতে তিনি দিনটি চালু করেন। চাইলে আপনিও কিন্তু দিনটি পালন করতে পারেন। প্রিয় কিছু উপহার দেওয়া, বাইরে ঘুরতে যাওয়া, খেতে যাওয়া, সিনেমা দেখতে যাওয়া—যেকোনোভাবেই পালন করা যেতে পারে। তবে সবকিছু শেষে ভালোবাসার মানুষটিকে এই সত্যি বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি—সর্বপ্রথম, সবার আগে, সবার ওপরে সে।এবি 
    ৩৬ বছরের গৃহপরিচারিকাকে বিদায় সংবর্ধনা দিল পরিবার
    বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের কল্যাণে নানান ঘটনার সাক্ষী হন মানুষ। ভালো, খারাপ অনেক কিছু ভাইরাল হয় ফেসবুকে। সেগুলোতে কেউ পান বাহবা, কেউ পান ধিক্কার। মা দিবসে মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করেছেন। সেগুলো নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলেও শেয়ার করেছেন।তবে কামরুন নাহার ও এন এম শরীয়ত উল্লাহ দম্পতির জন্য এবারের মা দিবস ছিল একেবারেই অন্যরকম। বিশেষ এক কাজের জন্য তাদের বাহবা দিচ্ছেন পুরো দেশের মানুষ। ফেসবুকে নিশ্চয়ই আপনার চোখে পড়েছে এক পরিবার তাদের দীর্ঘদিনের গৃহসঙ্গী (যাকে আমরা সাধারণ বুয়া বলে থাকি) তার বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছেন।শনিবার ৮ মে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তাহসিনা আফরিনের ফেসবুক পোস্টে দেখা যায় এই অসাধারণ মুহূর্ত। তাহসিনা আফরিনের মা সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যাপক কামরুন নাহার ও বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা এন এম শরীয়ত উল্লাহ। তাদের পরিবারে সাহায্যকারী হিসেবে আনোয়ারা বেগম আছেন ৩৬ বছর ধরে।বর্তমানে ৭০ বছর বয়স আনোয়ারা বেগমের। তাকে নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ করে দিতেই এই ব্যবস্থা করেছেন তারা। কিছুটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় আনোয়ারা বেগম নিজের পরিবারে কাছে ছিলেন অবহেলিত। মা ছোটবেলায় মারা যান, স্বামী ছেড়ে চলে যান। একমাত্র মেয়েকে দত্তক দিয়ে চলে আসেন কামরুন নাহার ও এন এম শরীয়ত উল্লাহ দম্পতির বাড়িতে। সেই থেকে ৩৬ বছর এখানেই ছিলেন পরিবারের সদস্য হয়ে।তাহসিনা আফরিন ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘ছোটবেলায় বুঝ হওয়ার পর থেকে জেনেছি আমাদের পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৭ জন। বাবা, মা, ভাই-বোন, দাদু আর বুয়া। আমাদের বুয়া, আনোয়ারা বেগম আম্মুর কাছে আসেন যখন আমার দাদি বৃদ্ধ, চলৎশক্তিহীন ছিলেন আর তানিয়া একদম নতুন হওয়া বাবু। আম্মু তখনো অনার্সের ছাত্রী। এরপর কেটেছে ৩৬ বছর! বুয়া আমাদের ছেড়ে কোথাও যাননি।’বুয়া ছিলেন কিছুটা বুদ্ধিতে খাটো এবং খেয়ালি। নানা কারণে স্বামী তাকে পরিত্যাগ করেছিল, একটা মেয়ে ছিল তাকেও পালক দিয়ে দিয়েছিল। ফলে তিনি ছিলেন একা। আমাদের বাসায় কাজে এসেও তিনি আজন্ম নিজের খেয়াল খুশি মতো কাজ করতেন, কাউকেই সেভাবে মানতেন না, সারাদিন পান চিবানো, তুচ্ছ কারণে চেচিয়ে পাড়া জাগানো-এসব ছিল তার স্বভাব! আম্মু কলেজ থেকে ফিরলে আমাদের সারাদিনের কর্মকাণ্ড আম্মুকে জানিয়ে দেওয়ার কারণে ছোটবেলায় বুয়াকে সহ্যই হত না! কিন্তু বড় হতে হতে বুঝেছি, আমাদের বাসায় আসলে বুয়া ছিলেন একটা গুরুত্বপূর্ণ পিলারের মতন। তাই আম্মু এত শত সমস্যার পরেও বুয়াকে আগলে রেখেছেন। এবং এখন একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে বুঝি, বাসায় একটা বিশ্বস্ত সহচর পাওয়া কত বড় নেয়ামত।বুয়া এই ৩৬ বছরে কত কি করেছেন আমাদের জন্যে! আম্মু পড়াশোনা শেষ করলেন, বিসিএস দিলেন, আমাদের একটা নতুন ভাই হলো, আম্মু জবে জয়েন করলেন, আমরা স্কুল পেরিয়ে বড় হচ্ছিলাম, ২০০০ সালে দাদি মারা গেলেন, আম্মু চট্টগ্রাম-ফেনী -ঢাকার একাধিক পোস্টিং প্লেসে কাজ করলেন, আর আমাদের ‘আম্মুর বাসা’ আগলে রাখলেন আমাদের বুয়া। যে কোনো সময় মায়ের বাসায় এলেই হত, কারণ দরজা খোলার মানুষটা অন্তত ছিল!এখন খাগড়াছড়ির রামগড়ে, বুয়ার পরিবার দিনে দিনে আর্থিক ভাবে বেশ সচ্ছল হয়েছেন। তারা বুয়ার খোঁজ খবর নিয়মিত নিতেন। তারা চাইতো না তিনি আর কাজ করুক। এরপরেও আরও দশ বছর বুয়া নিজের আগ্রহেই রয়ে গেলেন আমাদের সাথে। কখনো রুপকথার টানে, কখনো শেহজাদ, আর কখনো আনন্দের বিয়ে দেখে যাবার ইচ্ছেয়।অবশেষে বুয়ার যাবার সময় হল। শরীরের শক্তি থাকতে থাকতে তাকে তার মত করে বাকি জীবন প্রিয়জনের সাথে থাকার জন্যে আম্মু আব্বু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিলেন। বুয়ার পরিবারও তাকে আদরে সাদরে টেনে নিলো। আমাদের আম্মুর বাসাটা, বুয়ার চেচামেচি-হইচই আর সরব উপস্থিতি বিনে একদম শুনশান শুনায় এখন!গত মা দিবসে আম্মু বুয়ার জন্যে একটা ছোট্ট ফেয়ারওয়েল পার্টির আয়োজন করলেন। ব্যানার বানালেন, আমাদের সবাইকে ইনভাইট করলেন, বুয়ার জন্যে আলাদা করে অনেক গিফট কিনলেন। আমরা সবাই মিলে তার অপরিসীম অবদানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ নিলাম। এরপর স্বজনদের কাছে তাকে পৌঁছে দিয়ে এসেছেন আম্মু নিজে। দীর্ঘদিনের সারথিকে বিদায় দিতে আম্মুর চোখে বার বার পানি দেখেছি।আমাদের বুয়াকে তার গ্রামের লোকজন অপদার্থ ভেবে এক সময় তুচ্ছ করেছে। তার জীবনটা পৃথিবীর কোথাও কোন কাজে লাগবে, কেউ গ্রাহ্য করেনি। কিন্তু আমরা জানি, আমাদের পাঁচজনের এই পরিবারে বুয়ার কত অবদান, আমাদের দাদির বৃদ্ধ সময়টায় বুয়ার কত অবদান। এমন নিভৃতে অন্যের জীবনে আলো ধরে যাওয়া মানুষগুলোকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিক। আমাদের আদরের বুয়ার অবসর সময় অনেক ভালো কাটুক।এমআর
    বরের বয়স ১০০, কনের ৯৬
    কি অবাক হচ্ছেন? কিন্তু ঘটনাটি সত্য। বরের বয়স ১০০, কনের বয়স ৯৬। একসঙ্গে তাদের বয়স প্রায় ২০০ বছর। কিন্তু এ বয়সে গাঁটছড়া বেঁধে তাঁরা প্রমাণ করলেন প্রেম চিরন্তন।হ্যাঁ, ১০০ বছর বয়সে বিয়ে করে তাক লাগালেন প্রবীণ মার্কিন সেনা হ্যারোল্ড টেরেন্স। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ‘ডি ডে বীচ’-এ ৯৬ বছর বয়সি প্রেমিকা জিন সয়েলিনের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। শনিবার ঐতিহাসিক এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। খবর: দ্যা গার্ডিয়ান।ফ্রান্সের নরমন্ডির ক্যারেন্টান-লেস-মারাইস টাউন হলে নব দম্পতি তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান উদযাপন করেন। এ বিয়ের পর যে রাষ্ট্রীয় ভোজসভার আয়োজন করা হয় তাতে যোগ দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।নবদম্পতিকে অভিনন্দন জানান মাখো। তিনি বলেন, ক্যারেন্টান শহর আপনাদের বিয়ে এবং বিয়ে উত্তর নৈশভোজের আয়োজন করতে পেরে আমরা ভীষণ খুশি। টেরেন্স বলেন, বিয়ের এ দিনটিকে আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা দিন। উৎফুল্ল কনে বলেন, জেনে রাখুন ভালবাসা কেবল তরুণ-তরুণীদের জন্যে নয়,ছোট এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা এখন প্রজাপতিতে পরিণত হয়েছি। এফএস
    রোগীর মনকে সতেজ করে দিচ্ছে থেরাপি ডগ!
    মনের সাথে শরীরের একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে , শরীর ও মন পরস্পর অবিচ্ছেদ্য অংশ। মন ভালো থাকলে শরীরও চাঙ্গা থাকে। তাই আমরা আমাদের মন কে চাঙ্গা রাখতে নানা রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি, কখনো লং ড্রাইভ বা কখনো বন্ধুদের সাথে পার্টি , কখনো আবার আমাদের পচ্ছন্দের জিনিসের সাথে সময় কাটায়।স্পেনের বার্সেলোনার দুটি হাসপাতালে রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য নেয়া হয়েছে অভিনব এক উদ্যোগ। রোগীদের মনকে প্রফুল্ল করতে দেয়া হচ্ছে থেরাপি ডগের সঙ্গ। আদুরে প্রাণীগুলোর মায়াভরা উপস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন রোগীর স্বজন ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও।    অনেক মানুষ আছে যারা কুকুর পছন্দ করেন, তাছাড়া বাড়ি পাহারা দেয়ার জন্য কুকুর পোষেন অনেকেই। তবে কোভিড কালীন সময়ে কুকুর পোষার একটা বড়ো কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল নিঃসঙ্গতা। একাকীত্ব দূর করতে, বিষাদমুক্ত হতেই অনেকে দ্বারস্থ হয়েছিলেন সারমেয়ের কাছে। বিশ্বাস করা খানিকটা কঠিন হলেও, সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণাতেও উঠে এসেছে এমন তথ্য। কুকুরের অনুষঙ্গই নাকি মন ভালো করে দেয় মানুষের। এমনকি বহুক্ষেত্রে শুধু মানুষের শারীরিক চিকিৎসার কাজেও সাহায্য করে কুকুর। অনেকক্ষেত্রে হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম, লাইব্রেরি, এমনকি স্কুলেও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রাখা হয় মানুষের সাহায্যের জন্য। তাদেরকে বলা হয় ‘থেরাপি ডগ’।স্পেনের বার্সেলোনার ডে মা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির দ্বিতীয় দিন ভিদা ও লু নামের দুটো কুকুরকে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন জোয়েল বুয়েনো নামের এক রোগী। তার ভাষায়, ওদেরকে দেখে আমার নিজেরটার কথা মনে পড়ছিলো। ওরা আমাকে চেনেও না। অথচ মুহূর্তেই আমাকে কতো আপন করে নিয়েছে। রক্ত জমাট বাধার রোগে আক্রান্ত হয়ে চারদিন থেকে হাসপাতালে রয়েছেন তিনি। জোয়েল বুয়েনো বলেন, যে কোন কিছুর চেয়ে আপনাকে বেশি ভালোবাসে এমন কেউ থাকার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। ওরা একবার আপনাকে ভালোবাসলে আপনার জন্য সবকিছু করতে পারে।বার্সেলোনার দে মা হাসপাতাল ও অ্যাফিনিটি ফাউন্ডেশন রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই থেরাপি ডগের কর্মসূচি চালু করেছে। এ সম্পর্কে ওক রোগী বলছিলেন, চিকিৎসকরা যখন জানালেন কতোদিন হাসপাতালে থাকতে হবে তার কোন ঠিক নেই, আমি খুবই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু যখন জানলাম, মাঝে মাঝে কুকুরের সঙ্গ পাবো তখন থেকে আর খারাপ লাগছে না। এই উদ্যোগ অসাধারণ।প্রাথমিক অবস্থায় এই প্রোগ্রামের আওতায় রোগীদের প্রতি সপ্তাহে দুইবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট থেরাপি ডগের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেন, এখন পর্যন্ত এটি পরীক্ষামূলক অবস্থায় আছে। আমরা ধারণা করছি, প্রাণীরা রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বেশ ইতিবাচক প্রভাব রাখে।তবে শুধুই রোগীরা না, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে অক্লান্ত পরিশ্রম করা স্বাস্থ্যকর্মীরাও ক্লান্তি ভুলে যাচ্ছে আদুরে থেরাপি ডগের সান্নিধ্য পেয়ে। প্রতি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় ঠাসা হাসপাতালে নিরীহ প্রাণীগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে স্বস্তি। তারা বলেন, রোগী, হাসপাতালের স্টাফ, রোগীদের স্বজন, চিকিৎসক সহ সবার মনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে কুকুরগুলো। অনেকেই আসছে, আদর করছে। এতে তাদের দৈনিক মানসিক চাপ কমছে। জানা যায়, ডগ থেরাপির আগে ও পরে রোগীদের শরীর থেকে সালিভা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষণা চালানো হচ্ছে। যার ফলাফলও মিলছে নিমেষেই। মজার বিষয় হল, এই বিশেষ শব্দবন্ধটির জন্ম হয়েছিলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষলগ্নে। এরপর থেকে খেরাপি ডগ বিষয়টি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে।এবি
    ঘুষি মেরে কুমিরের মুখ থেকে বোনকে বাঁচিয়ে রাজকীয় সম্মাননা পাচ্ছেন জর্জিয়া
    ২০২১ সালের কথা! যমজ বোন জর্জিয়া লরি ও মেলিসা অবকাশ যাপনের জন্য ঘুরতে যান মেক্সিকোতে। অতঃপর সেখানে একটি সৈকতে সাঁতার কাটার সময় হঠাৎ মেলিসাকে আক্রমণ করে বসে একটি কুমির। কিন্তু তাতে কী! জমজ বোনকে বাঁচাতে মৃত্যুর মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েন জর্জিয়া। ৮০ কেজির দৈত্যাকার কুমিরের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন।  কুমিরটির মুখে একের পর এক ঘুষি মেরে বাঁচান আদরের বোনকে। সেই সাথে নিজেও আহত হন। পরবর্তীতে দুই বোনই সুস্থ হয়ে ওঠেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে মেলিসা ও জর্জিয়া মেক্সিকোর পুয়ের্তো এসকোনদিদোর একটি অগভীর হ্রদে সাঁতার কাটছিলেন। তখন মেলিসাকে একটি কুমির টেনে পানির নিচে নিয়ে যায়। তখন জর্জিয়া হঠাৎ করে দেখতে পান তার বোন অজ্ঞান অবস্থায় এবং উল্টো হয়ে পানিতে ভেসে আছে।এরপর তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে তার বোনকে নৌকায় উঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে কুমিরটি আবারও আক্রমণ করে বসে। তবে এবার সাহস না হারিয়ে জর্জিয়া, কুমিরটিকে মাথায় একাধিক ঘুষি মারেন এবং তার বোনকে নৌকায় তুলতে সমর্থ হন।তবে এই সময় জর্জিয়া নিজেও বেশ আহত হন। তবে কুমিরের হামলায় মেলিসা এতটাই আহত হয়েছিলেন যে তিনি কোমায় চলে যান। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যান। মেলিসার কব্জিতে বড় ক্ষত হয়। তার পেটে কামড়ের বড় বড় দাগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া তার পা ও পায়ের পাতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপরদিকে কুমিরটি জর্জিয়ার হাতে কামড় দেয়।   জর্জিয়ার এই অসামান্য বীরত্বের জন্য ব্রিটিশ রাজা চার্লসের (তৃতীয়) কাছ থেকে পাবেন মেডেল। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিবিএস নিউজ এ তথ্য জানায়।    প্রতিবেদনে বলা হয়, পদকের খবরটি জানার পর জর্জিয়া বলেছেন, এটি একটি সম্মানের বিষয়। যে মুহূর্তে চিঠিটি পেয়েছি তখন খুব অবাক হয়েছি। এতটা আশা করিনি।তবে ওই উদ্ধারের জন্য আক্রমণের শিকার মেলিসার সাহসিকতাকেই কৃতিত্ব দেন লরি। দাবি করেন, কুমির আক্রমণ করার পরও মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন মেলিসা। এবি

    Loading…