এইমাত্র
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    শিক্ষাঙ্গন

    কাওয়ালী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় মুখরিত বুটেক্স ক্যাম্পাস
    বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কাওয়ালী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ।জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে শহীদদের আত্নার মাগফিরাত কামনায় ও বন্যার্তদের পূণর্বাসনে সহায়তার লক্ষ্যে এই কাওয়ালী সন্ধ্যার আয়োজন করে বুটেক্সের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে দেশাত্মবোধক গান, হামদ ও নাত এবং কাওয়ালী পরিবেশন করেন 'হ্যাভেন টিউন' ব্যান্ড। পাশাপাশি একক পরিবেশনা, দলীয় হামদ-নাত, দেশাত্নবোধক গানসহ বিভিন্ন সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের স্বল্পদৈর্ঘ্যের নাটক পরিবেশন করে 'কোলাহল' ব্যান্ড। ব্যান্ডগুলো ছাড়াও অনুষ্ঠানে একক ও দলীয় দেশাত্নবোধক গান ও হামদ-নাত পরিবেশন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।অনুষ্ঠানের একজন আয়োজক বলেন, অনুষ্ঠানটির প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো বন্যার্তদের জন্য ফান্ড কালেকশন করা। তাছাড়া এরকম অনুষ্ঠান বুটেক্সে নতুন। বাংলাদেশ আসলে বৈচিত্রপূর্ণ সাংস্কৃতিক আবহের একটি দেশ। সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সাংস্কৃতিক ঐক্য গড়তে পারলেই সুন্দর হবে দেশ।অনুষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিক ফাওয়াজ বলেন, অনুষ্ঠান অনেক ভালো ছিলো। মূলত হ্যাভেন টিউনের পারফরম্যান্স দেখার জন্য সবাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসেছে, ব্যাপারটা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে এমন প্রোগ্রাম আরো আয়োজন করা হবে আশা করছি।এইচএ
    ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড বেরোবি শিক্ষার্থীদের
    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ভিসি নিয়োগের দাবিতে এবার উত্তরবঙ্গ ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। বারবার আল্টিমেটাম দিয়েও ভিসি না পেয়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে সবাই একত্রিত হয়। পরে নগরীর মর্ডান মোড়ে গিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় তারা আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে বৈষম্য চলবে না চলবে না,ভিসি নিয়ে টালবানা চলবে না চলে না,ব্লকেড ব্লকেড উত্তরবঙ্গ ব্লকেড ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত সময়েও আমাদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে। আমরা সেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি। আমরা এখন আর বৈষম্য চাইনা। যেখানে নোবিপ্রবি ভিসি পায় সেখানে আমরা ভিসি পাই নাই। অথচ কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। আবু সাঈদের শহীদ না হলে এই আন্দোলনের গতি পেত না। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের থেকে একটি চিঠি আসে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক কে দেওয়ার কথা থাকলে সেটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা এর আগেও ৫ দিনের আল্টিমেটাম ও সর্বশেষ ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিই। কিন্তু তারপরও আমরা ভিসি পাইনি। আমরা দ্রুত ভিসি চাই। ক্লাস পরীক্ষা ফিরতে চাই।কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আমরাও কোনো বৈষম্য চাই না।বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দ্রুত ভিসি নিয়োগ দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভিসি না থাকায় ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এআই 
    নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক সাইফুল
    জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ড. সাইফুল ইসলাম পরবর্তী দুই বছরের জন্য প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ড. মো. সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী সম্মানী এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তিনি যোগদানের দিন থেকে হল প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন শুরু করবেন এবং সার্বক্ষণিকভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে হবে।অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম এক সম্মানিত শিক্ষক,  একাডেমিক ও প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এর আগেও তিনি বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। হলের আবাসিক সুবিধা এবং সার্বিক শৃঙ্খলা ও পরিবেশ উন্নয়নে তিনি নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করছে শিক্ষার্থীরা।এআই 
    দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যায় মুখর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধ্যার আয়োজন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মুক্তমঞ্চে এই কাওয়ালী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিভিন্ন গান ও কবিতা পরিবেশন করে। এছাড়াও মঞ্চে কাওয়ালী পরিবেশন করে ব্যান্ড 'রূহানী রঙ'।কাওয়ালী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে মঞ্চে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মিজানুর রহমান, প্রক্টর মো. মাহবুবুর রহমান ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম। ড. ইমদাদুল হুদা বলেন, 'আমাদের এমন সুস্থধারার সংস্কৃতির চর্চা আরো বেশি করে চাই। যারা এই আয়োজন করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে করে, আমাদের এটাও শিখতে হবে কীভাবে দেশের প্রয়োজনে আমরা দেশের পাশে থাকতে পারি।’এদিন শিক্ষার্থীরা কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে গ্যাজেট আকারে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়েও জনমত প্রচার করে।এছাড়া নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কাওয়ালী সঙ্গীতশিল্পী মরহুম সালমান আজাদীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে শিক্ষার্থীরা। আয়োজনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনভাবে কোন অনুষ্ঠান করা যায় নি। দীর্ঘ একটি সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ ও ক্যাম্পাস এখন স্বাধীন। বিশ্ববিদ্যালয় এখন উন্মুক্ত জ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চার যায়গা। জুলাই বিল্পবকে লালন করে, ভারতীয় আগ্রাসন এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরির লক্ষ্যে “দ্রোহের গান ও কাওয়ালী সন্ধার” আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া। যেখানে দেশ সেরা কাওয়ালী শিল্পীরা অংশ নিবে এবং আবৃত্তি,অভিনয় ও বিল্পবী গান গাইবে ক্যাম্পাসের শিল্পীরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ অংশ নেয়া  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত উদ্যোগে এই আয়োজন। আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধর্মের, মতের, আদর্শের মানুষের অনুষ্ঠানের স্বাধীনতার এ ধারা বজায় থাকবে।’এআই 
    ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের পহেলা অক্টোবরের মধ্যে ক্লাস শুরু দাবিতে মানববন্ধন
    গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অবিলম্বে চূড়ান্ত ভর্তি সম্পাদন করে দ্রুত শ্রেণি কার্যক্রম আরম্ভ সহ দুই দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গুচ্ছের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এ-সময় কয়েকজন অভিভাবকও অংশ নেয় শিক্ষার্থীদের সাথে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহিবুর রহমান বলেন, আমরা গুচ্ছের মধ্যে এসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে শঙ্কিত। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুরা ক্লাস শুরু করেছে সেখানে আমরা এখনো ভর্তি সমাপ্ত করতে পারেনি। গুচ্ছের সকল কিছুতে এত ভোগান্তি কেন? বিগত শিক্ষাবর্ষের মতো আমরাও একেই রকমের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দেশের সবকিছুতে পরিবর্তন হলেও এখানে কোনো পরিবর্তন হয়নি।মানববন্ধনে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবুন আতিকা বলেন, 'কোটা আন্দোলন, শিক্ষক আন্দোলন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি সবকিছু শেষ হলেও আমাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়নি এখনো। আমরা এখনো অনিশ্চয়তায় ভুগছি আমাদের ভর্তি কার্যক্রম কবে নাগাদ শেষ হবে এবং কখন ক্লাস শুরু হবে। কারো কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য পাচ্ছি না। আমি আজ বৃষ্টির মধ্যে সভার থেকে এখানে এসেছি শুধু গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তাল-বাহানার জন্য। আমরা চাই অবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা শুরু হোক। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, আমার মনে হয় গুচ্ছভূক্ত বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কোন মেরুদন্ড নেই। তারা শুধু বসে বসে টাকা গুনতে পারে কিন্তু কোন শিক্ষার্থী জীবন নিয়ে ভাবে না। আজকে যে আমাদের এত সময় নষ্ট করা হচ্ছে আগামীতে বিসিএস, জুডিশিয়ারি সহ প্রতিটি চাকরিতে আমরা পিছিয়ে যাব। আমরা চাই দ্রুততম সময়ে আমাদের চূড়ান্ত ভর্তির কার্যক্রম শেষ করে ক্লাসে ফিরতে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রহিমা সুলতানা বলেন, আপনারা বলেছেন পহেলা আগস্ট ক্লাস শুরু করবেন কিন্তু পারেননি। আমরা এমন একটা হতভাগা শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে শুধু বলে অপেক্ষা কর। আমরা আর কতদিন, কতকাল অপেক্ষা করব বলুন? আপনাদের কি এখনো ঘুম ভাঙ্গেনি? আপনরা এবার ঘুম থেকে জেগে উঠুন। হালুয়া-পরোটা নাস্তা খেয়ে সজাগ হন আমাদের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে। নতুবা আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মানববন্ধন শেষে গুচ্ছের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা দুই দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো:১.আগামী ২২শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। ২.পহেলা অক্টোবরের মধ্যে আমাদের ক্লাস শুরুর চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করতে হবে।এমআর
    ঢাকা কলেজস্থ জয়পুরহাট ছাত্রকল্যাণের সভাপতি রোমান, সাধারণ সম্পাদক আফ্রিদি
    রাজধানীর ঢাকা কলেজের জয়পুরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান রোমানকে সভাপতি এবং একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আফ্রিদি হাসানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর), ঢাকা কলেজস্থ জয়পুরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর পরামর্শক্রমে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী এক বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জুয়েল হোসাইন পিয়াস বলেন, ঢাকা কলেজ দেশের অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য অনেকেই মুখিয়ে থাকে ঢাকা কলেজের দিকে, আমাদের ছাত্র কল্যাণের উদ্দেশ্য আমাদের জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গঠন করে একে অপরের বিপদে যাতে সহযোগিতা করতে পারে, এছাড়া নতুনদের অনুপ্রাণিত করতে নবীনবরণসহ নানান আয়োজন আমাদের এই ছাত্রকল্যাণ করে আসছে।উপদেষ্টা মন্ডলীর আরেক সদস্য মিফতাহুল ইসলাম সুইট বলেন, দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর যাবৎ আমরা জয়পুরহাট ছাত্র কল্যাণের মাধ্যমে নানান ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি, শিক্ষা সংস্কৃতি ও ভ্রাতৃত্বের এই উর্বর ভূমিতে সবাই যাতে মিলেমিশে থাকে এইটাই আমাদের লক্ষ্য।২০১৮ সালে প্রথম ঢাকা কলেজস্থ জয়পুরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ গঠিত হয়। সেখানে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ছিলেন ফিরোজ হোসেন ফাহিম, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আহসান হাবিব ইমরান। এছাড়া মাহমুদুল হাসান রেজা, মেফতাহুল ইসলাম সুইট, জুয়েল হোসাইন পিয়াস, ইমতিয়ার আহমেদের হাত ধরে প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে।ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান রোমান বলেন, প্রতি বছরই জয়পুরহাট থেকে অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়, তাদের নানান সুযোগ সুবিধাসহ যেকোনো সমস্যার সমাধানে জয়পুরহাট ছাত্রকল্যাণ তাদের পাশে থাকবে। এ ছাড়া যারা নতুন আসছে তাদেরও দিক নির্দেশনামূলক নানান ধরনের প্রোগামের কথা আমাদের মাথায় রয়েছে।ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কার্যক্রম সম্পর্কে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আফ্রিদি হাসান বলেন, জয়পুরহাটের শিক্ষার্থীদের জন্য এক আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে আমাদের এই সংগঠন, আমাদের এখানে যেহেতু একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাও রয়েছে তাদের নিয়েও আমাদের বিশেষ কিছু প্রোগাম থাকবে। ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি: জাহিদ হাসান, মিন্টু পাল, শাহরিয়ার অভি, আল আমিন ইসলাম। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: ফাহিম শাহরিয়ার, আব্দুল্লাহ আল নোমান, রয়েল হোসেন নয়ন, রবি সজীব, আল আমিন। সাংগঠনিক সম্পাদক: ফারহান আদনান মাসুম, শামিম হোসাইন, সাদমান, মেজবাহ, মোস্তাফিজুর রহমান।এছাড়া দপ্তর সম্পাদক তাওহীদ ইসলাম সজীব, উপ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হাসান, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক জাবেদ ওমর জয়, উপ গবেষণা সম্পাদক জুলফিকার হোসেন, প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান মাসুম, উপ-প্রচার সম্পাদক আসিফ আল রাজি, রিফাত পারভেজ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোহাম্মদ হাফিজার, তথ্য ও প্রযুক্তি উপ সম্পাদক মোস্তাকিম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সুমন রহমান, ছাত্র ও বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক তানভির আহমেদ, ছাত্র ও বৃত্তি বিষয়কসহ সম্পাদক মতিয়র রহমান, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক সিয়াম আহমেদ, সমাজসেবা বিষয়ক উপ সম্পাদক আরিফুর রহমান পারভেজ, সহ-সম্পাদক তানভীর আহমেদ, আবিদ শাহরিয়ার, আরিফুর রহমান পারভেজ, জাহিদ এবং আল কবির খান।এসএফ 
    ঢাকা কলেজের বাস ভাঙল আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা
    ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী পরিবহনের মিরপুর রোডের শঙ্খনীল  বাস ভাঙচুর  করেছে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা । দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর করে সড়কে ঝটিকা মিছিল করে রাজধানীর আইডিয়াল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা কলেজ টু মিরপুর চলাচলকারী  শঙ্খনীল বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর সড়কে আইডিয়াল কলেজের একদল শিক্ষার্থী ঝটিকা মিছিল বের করে। এই মিছিল থেকেই ঢাকা কলেজের মিরপুরগামী শঙ্খনীল বাস ভাঙচুর করে।  তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যেতে বাধ্য করে পুলিশ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা। ঘটনা পরবর্তী সাইন্সল্যাব ও আইডিয়াল কলেজের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঢাকা কলেজের একটি বাস ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে আসলে আইডিয়াল কলেজের ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর করে। ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বাসের দিকে। এতে বাসের সামনের ও জানালার কাচ ভেঙ্গে গেছে। রাস্তায় জ্যাম না থাকার সুযোগে ড্রাইভার  বাস দ্রুত টান দিয়ে এখান থেকে চলে গেছে।উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় কলেজের ১৫ জন শিক্ষার্থী হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বরের ক্লাস বন্ধ করা হয়েছিল।এইচএ
    ইবির টিএসসিসি যেন অন্ধের যষ্টি!
    বৈরি আবহাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ এর যেন এক অদ্ভুত বৈরিতা। বিরূপ আবহাওয়ায় যেমন প্রাণ ফেরে প্রকৃতিতে তেমনি কিছুটা অদ্ভুত নিয়মে মানবজীবন থেকে নিভে যায় কৃত্রিম লন্ঠন ‘বিদ্যুৎ’। বিদ্যুৎ নির্ভর স্মার্ট জীবন যেন মুহুর্তেই রং হারায়। ব্যাটারী চার্জশূন্য মহামূল্যবান মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ হয়ে পরে মূল্যহীন।গতকাল থেকে শুরু হওয়া প্রকৃতির বিরুপ আচরণের ছাপ পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে। দু'দিন ধরে বিদ্যুৎ এর এমন ছিনিমিনি খেলায় বেকায়দায় এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। ফোন, ল্যাপটপ কিংবা পাওয়ার ব্যাংক সবকিছুই দেউলিয়া! এমন পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবনের সবচেয়ে ব্যবহৃত ফোনটি চার্জ দিতে শিক্ষার্থীদের সহায় শিবরাত্রির সলতে হিসেবে ভূমিকা রাখা ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)।গতকাল থেকেই টিএসসিসি’র প্রায় প্রতিটা বৈদ্যুতিক পয়েন্টে মাল্টিপ্লাগ যোগে ফোন চার্জ দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। হলে বিদ্যুৎ না থাকার কারণেই হঠাৎই টিএসসিসি হয়ে উঠে শিক্ষার্থীদের উপলক্ষ-বিহীন মেলবন্ধনের পটভূমি। এছাড়াও ফোন চার্জে বসিয়ে অলস সময়টুকু অনেকেই পার করেন আড্ডায় কিংবা কার্ড খেলে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আড্ডাকে ক্যাম্পাস লাইফ এর অন্যতম সেরা স্মৃতির তালিকা বলছেন আড্ডা পিপাসু বেশকিছু শিক্ষার্থী।চার্জ দিতে আসা ইমরান বলেন, আসলে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত থেকে বিদ্যুত না থাকাটা দুর্ভাগ্যের। আমরা এখন ২০২৪ সালে আছি যেখানে ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া একমুহূর্তও সম্ভব না। হলে বিদ্যুৎ না থাকায় ফোন, ল্যাপটপ সব কিছুর চার্জ শেষ। মনে হচ্ছে পুরো দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই এখানে আসলাম চার্জ দিতে।অপর শিক্ষার্থী আরিফ বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতেই পারে তাই বলে যে সারাদিনেও বিদ্যুৎ আসবে না বা জেনারেটর দেওয়া যাবে এমনটা তো হওয়ার কথা না। বিদ্যুৎ না থাকায় অনেক কাজ কর‍তে পারছি না। আমার এসাইনমেন্ট রেডি করতে হবে কিন্তু ল্যাপটপের চার্জ না থাকাও সেটার কাজও করতে পারছিলাম না। রিপোর্টার্স ইউনিটির পেজে দেখলাম টিএসসিতে জেনারেটরের লাইন আছে। তাই চার্জ দিতে এসেছি। বিদ্যুৎ না থাকার দায়টা আমাদের না উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সঞ্চালন লাইনের কোন ত্রুটি নেই। ক্যাম্পাসের বাইরে একজায়গায় ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে ৩৩ কেভি লাইনের তার পুড়ে ছিড়ে গেছে। গতকাল রাতে মূল তারের পাশ দিয়ে ঝুলন্ত আরেকটি তার দিয়ে সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছে। আবহাওয়া একটু ভালো হলেই মেরামত শুরু হবে।এইচএ
    ডুয়েটে ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে চলতি সেমিস্টারের স্থগিত পরীক্ষা
    গাজীপুরে চলমান সেমিস্টার গতবছর ২৬ ডিসেম্বর শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি। এদিকে সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর চলমান সেমিস্টারের নিয়মিত পরীক্ষা শেষ হতে চলেছে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর রিভিউ, থিসিস ডিফেন্স সহ ৪র্থ বর্ষের ফলাফল আগামী ৬ অক্টোবর, অনান্য বর্ষের ফলাফল ৩ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। নতুন একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১লা অক্টোবর থেকে নতুন সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হবে।যেসকল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তাদের বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সাথে কথা বললে তিনি জানান " অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের পরীক্ষার ফলাফল ও ক্লিয়ারেন্স প্রদান স্থগিত থাকবে" এবং এ বিষয়ে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ডুয়েট ওয়েবসাইটে এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের তদন্ত চলাকালীন সময়ে হলের সিট বরাদ্দ সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন " বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পরিক্ষা নিয়ে বাঁচিয়ে দিচ্ছে ডুয়েট প্রসাশন" শিক্ষার্থীদের এই দাবিটি সঠিক নয়। পরিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, যেহেতু বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়াই তারা এখনও দোষী প্রমাণিত হয় নাই, ফলে তাদের পরীক্ষা দিতে বাধা দিতে পারি না। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে প্রসাশন থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে এবং এজন্য ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বর্তমান তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও শিক্ষার্থীদের জানানো হয়। উল্লেখ্য যে, পূর্বের নোটিশ অনুযায়ী চলমান পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর (রবিবার) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় শেষে পরীক্ষা দুইদিন পিছানো হলেও পূর্বের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী রেজাল্ট ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে ডুয়েট প্রসাশন। তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলেও শিক্ষার্থীদের জানিয়েছেন।এইচএ
    দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে চান ইবি শিক্ষার্থীরা
    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৪তম উপাচার্য হিসেবে একজন দুর্নীতি-মুক্ত, সংস্কারমনাসহ শিক্ষার্থীবান্ধব ব্যক্তিকে উপাচার্যের চেয়ারে দেখতে চায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও প্রায় ৩৭ দিন ধরে উপাচার্যের আসন শূন্য থাকায় ক্যাম্পাসে যে নিষ্ক্রিয় অবস্থা তৈরী হয়েছে তা সমাধানে দ্রুত সময়ে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করা হয়।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দুপুরে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।এসময় তারা ‘সংস্কারমনা ভিসি চাই, সেশনজট নিরসন চাই, বিশ্বমানের ভিসি চাই, শিক্ষার্থীবান্ধব ভিসি চাই, সৎ ও সাহসী ভিসি চাই, ক্লাস চাই পরীক্ষা চাই, অবিলম্বে ভিসি চাই, ক্লিন ইমেজের ভিসি চাই, রেকর্ড দেখে ভিসি দিন, দূর্নীতির খবর নিন, ইবির আঙিনায়, দূর্নীতিবাজের ঠাই নাই লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দেন।শতাধিক শিক্ষার্থীদের সমাবেশে সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা এখানে যেভাবে দাঁড়িয়েছি তা ছাত্রজনতার আন্দোলনের ফসল। দেড় মাস আগে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের কাঙ্খিত ভিসি পাইনি। একজন সৎ, যোগ্য ও দূর্নীতিমুক্ত উপাচার্যের মাধ্যমে আমরা ইবির যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই। এআই 
    খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি: ক্রীড়াঙ্গনে সংঘর্ষের নেপথ্য কাহিনী
    গত দু'দিন ধরে উত্তপ্ত সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) ক্যাম্পাস। আন্তঃবিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেখানে মারামারি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত দুই দফায় মারামারিতে প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনা ঘটে।পরদিন বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আইন বিভাগে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় এবং প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের কক্ষের সামনে মিছিল করে। তারপরে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে তারা গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (গবিসাস) কার্যালয়ের সামনে জমায়েত সৃষ্টি করে সংগঠন বন্ধ ও তালা মারার হুমকি দেয় এবং ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়। সবশেষে উপাচার্যের সভা কক্ষে দাবি উপস্থাপনের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পক্ষ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে উপাচার্য তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এসময় তিনি জানান, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে তদন্তকারী দল।মারামারির ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা কি বলছেন ?খেলা দেখতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, ‘প্রথম দফায় বিএমবির সাথে আইনের মারামারির পরে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বিএমবির টিম মাঠ ছেড়ে চলে গেলেও আইন বিভাগের টিম মাঠ ছেড়ে যায়নি। আমি মাঠের দক্ষিণ পাশের গোল বারের দিকের ছাউনিতে বসে ছিলাম। আরেক ছাউনিতে বাংলা বিভাগের শীতল ভাই বসে ছিলো। আইন বিভাগের কিছু জুনিয়র ফুটবল নিয়ে খেলছিলো। তখন শীতল ভাইয়ের গায়ে কাঁদা ছিটে আসলে তিনি বিনয়ের সাথে তাদের আস্তে খেলতে বলেন। কিন্তু সে ভাইয়ের সাথে তর্ক করতে থাকে। তখন তাদের আইন বিভাগের শাওন নামে সিনিয়রকে ডাকা হয়, তিনি তার জুনিয়রকে ক্ষমা চাইতে বললেও ওই জুনিয়র তর্ক করতে থাকে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আইন বিভাগ এবং রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার সময় উভয় বিভাগকে আমি আমের ডাল ভাঙতে দেখি, পাশাপাশি আশেপাশে থাকা বিভিন্ন লাঠি, স্টাম্প, পতাকা স্ট্যান্ড ইত্যাদি নিয়ে তারা মারামারি শুরু করে। বাংলা বিভাগের শীতল ভাই যেহেতু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা আবাহনীর খেলোয়াড় ও বিশ্ববিদ্যালয় মূল দলের খেলোয়াড় তাই সেখানে  উপস্থিত বাংলা বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের খেলোয়াড়রাও তাকে রক্ষা করতে আসে কিন্তু তাদের উপরেও আক্রমণ করা হয়।’ আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মোতাকাব্বির বিল্লাহ বলেন, 'ঘটনার দিন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সোলায়মান ভাই রাজনীতি ও প্রশাসন বনাম মেডিকেল ফিজিক্স বিভাগের খেলা দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। প্রথম দফায় আইন বিভাগ ও বিএমবি বিভাগের যে মারামারি হয় ঐখানে উনি কিছুই করেন নাই। সেখানে মারামারি লাগলে একটা সময় স্যাররা সিদ্ধান্ত জানালো ম্যাচ পরিত্যক্ত। এটা  আইন বিভাগ না মেনে মাঠের মাঝখানে বসেছিল। পরের ম্যাচ তারা হতে দিবেনা। তখন বার পোস্টের পিছনে শীতল ভাই, নাহিদ ভাই আর সোলায়মান ভাই বসে ছিলেন। আইনের একটা ছেলে বল নিয়ে খেলতেছিল, কাঁদার মধ্যে বল লাগলে কাঁদার ছিটা শীতল ভাইয়ের গায়ে লাগে৷ তখন শীতল ভাই বলেন, "এই তুমি আস্তে খেলো। তখন ঐ ছেলে বেয়াদবি করে বলে, 'এখানে বসছেন কেনো?' তখন এটা নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। সোলায়মান ভাই প্রথমে উনাকে ঠেকাইসে, মারেন নাই। পরে নাহিদ ভাইয়ের গায়ে আইনের ছেলেরা হাত তুললো। এর মধ্যে রাজনীতি ও প্রশাসন আর আইনের একটা মারামারি লেগে গেলো। যার মধ্যে ভেটেরিনারি অনুষদ, বাংলা বিভাগ সহ সবাই ছিলো। আমরা যারা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছিলাম আমি, সোলায়মান ভাই, প্রকাশ দাদা সবাই প্রথমে মারামারি ঠেকাচ্ছিলাম। এসময় জাকারিয়া নামের একটা ছেলে সোলায়মান ভাইয়ের পিঠে ঘুষি মেরে বসে। তা দেখে আমাদের মাইক্রোবায়োলজির ইব্রাহীম, যোবায়েরসহ আমরা সবাই রাগান্বিত হয়ে যাই। মূলত মারামারি ঠেকাতে গিয়ে সোলায়মান ভাই, নাহিদ ভাই, শীতল ভাইদের আঘাত করায় আমরা সেখানে জড়িয়ে পড়ি।"ঘটনার কেন্দ্রে থাকা বিভাগের শিক্ষার্থীরা কি বলছেন?বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি(বিএমবি) বিভাগের খেলোয়াড় হাসিবুল শান্ত বলেন, 'খেলার শেষের দিকে মাত্র চার মিনিট বাকি থাকা অবস্থায় একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আইন বিভাগের দল উত্তর দিকের গোলপোস্টে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে বিএমবি বিভাগের একজন খেলোয়াড় বল নিয়ে গোল লাইনের বাইরে চলে যান, যার ফলে প্রতিপক্ষ দল একটি কর্নার কিক লাভ করে। এসময় একটি দূর্ঘটনা ঘটে যখন আইন বিভাগের একজন খেলোয়াড় পিছলে পড়ে যান। দুই দলের খেলোয়াড়রা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে কথা বলছিলেন, কিন্তু পরিস্থিতি হঠাৎ করেই জটিল আকার ধারণ করে যখন আইন বিভাগের কিছু উত্তেজিত দর্শক মাঠে প্রবেশ করে এবং খেলোয়াড়দের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব প্রদর্শন করে। এসময় পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটে এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করলেও, তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়। বিশেষ করে, জাবেদ নামে বিএমবির একজন শিক্ষার্থীকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়। তার সহপাঠী সুমি সাহায্য করতে এগিয়ে এলে তাকেও আক্রমণ করা হয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন বিএমবি দলের সেরা খেলোয়াড় মোয়াজ হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেন। তাকে প্রথমে মুখে আঘাত করা হয় এবং পরে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি চলতে থাকে। অবশেষে, রেফারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া কমিটির কর্মকর্তারা খেলা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন।'তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, 'প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং আইন বিভাগের শিক্ষক আল-আমিন স্যার, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেননি। রেফারি যখন খেলা বাতিলের ঘোষণা দেন, বিএমবি দলের ম্যানেজার দীপু স্যার এবং অধিনায়ক মুকুল ভাই তাদের দলকে নিয়ে সম্মানজনক ভাবে মাঠ ত্যাগ করেন। অন্যদিকে, আইন বিভাগের ম্যানেজার আল-আমিন স্যার তার দল নিয়ে মাঠে থেকে যান এবং রেফারির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করতে থাকেন।'অন্যদিকে আইন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম শিপন বলেন, ‘প্রথম দফায় বিএমবির সাথে যে মারামারির ঘটনা ঘটে সেটি ছিলো অনাকাঙ্ক্ষিত। খেলার এক পর্যায়ে আমাদের খেলোয়াড় পড়ে যায়, সে সময় তাকে আঘাত করতে আসে বিএমবির খেলোয়াড়। এটি দেখে উপস্থিত আইন বিভাগের দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং দু'পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। মারামারির এক পর্যায়ে বিএমবির একজন শিক্ষার্থী রড নিয়ে আসে ও আঘাত করার সময় তাদেরই একজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায় বলে আমরা জানতে পারি। এ ঘটনায় খেলা থেমে থাকে। রেফারিরা তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে দেরী করে। এসময় বিএমবির টিম দুইবার মাঠ থেকে বেরিয়ে যায়। নিয়ম অনুসারে বিপরীত টিম মাঠ থেকে বের হয়ে গেলে অপর টিমকে বিজয়ী ঘোষণা করার কথা। তবুও বিএমবির টিমকে ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয় মাঠে ফেরার জন্য। কিন্তু ২০ মিনিট হয়ে গেলেও তারা মাঠে ফেরেনা। রেফারি তাদের বুঝানোর চেষ্টা করে, তবুও তারা না মানায় খেলা বাতিল করা হয়।মারামারির দ্বিতীয় দফার বিষয়ে তিনি বলেন, 'এসময় আমাদের ২য় সেমিস্টারের কিছু জুনিয়র বল নিয়ে খেলতে মাঠের বিপরীতের গোলবারের দিকে যায়। সে সময় সেদিকে বসে থাকা বাংলা বিভাগের শীতল ও রাজনীতি প্রশাসনের জার্সি পরিহিত সোলাইমান তাদের গায়ে কাঁদা লাগার কথা বলে তাকে অন্য দিকে খেলতে বলে। সে সময় তাকে (মুন্না) ডেকে পরিচয় জিজ্ঞেস করা হয় ও জুনিয়র হয়ে সিনিয়রের সাথে তর্ক করার অভিযোগ করা হয়। পরে সেখানে উপস্থিত আমাদের আরেক শিক্ষার্থী শাওনকে ডাকা হয়। শাওন মুন্নাকে ক্ষমা চাইতে বলে, কিন্তু  কোন অপরাধ না করায় মুন্না ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপরে আক্রমণ করে বসে। সে সময় আইনের সাথে রাজনীতির ও বাংলা বিভাগ সংঘর্ষে জড়ায়। মার খেয়ে ফিরে আসার পরেও বাস্কেটবল কোর্টের কাছে আসার পরে তারা আবার আমাদের উপরে আতর্কিত আক্রমণ করা শুরু করে। তারা ফ্ল্যাগস্টান্ড, গাছের ডাল, স্টাম্প ও পায়ের বুট দিয়ে আমাদের আঘাত করতে থাকে। এসময় আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। সেখানে উপস্থিত আমাদের শিক্ষকদেরকেও তারা গালিগালাজ করতে থাকে। সেখানে বাংলা বিভাগের অনেকে রাজনীতি বিভাগের জার্সি পরিহিত ছিলো, বিধায় আমরা এটিকে পরিকল্পিত হামলা বলছি। ইতোমধ্যে আমাদের শিক্ষকরা প্রতিবাদলিপি জমা দিয়েছে। রবিবার আমরা উপাচার্য বরাবর প্রতিবাদলিপি জমা দিবো এবং সম্পূর্ণ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাইবো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলনে,  ঘটনাটা ঘটছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়ের সাথে। তিনি বাংলা বিভাগের, আমাদের খেলা থাকায় অনেকেই আমাদের টিমের জার্সি বানিয়েছে।বাংলা বিভাগের ওই খেলোয়াড় আমাদের অনেক কাছের মানুষ। সবাই তাকে চিনে, সে অনেক ভদ্র। যখন তাকে মারা শুরু করেছে, তার পরই আমাদের ছাত্ররা সহ সকল বিভাগের ছাত্ররা সেখানে যায়। পরে আইনের ছাত্ররা তেড়ে আসলে নিজেদের বাঁচাতে ওই পরিস্থিতি তৈরি হয়।গবিসাসে হামলার বিষয়ে তিনি বলনে, সেখানে (মারামারির ঘটনায়) সব বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলো, কিন্তু দোষ পড়লো রাজনীতির। সাথে নিউজও হইছে রাজনীতির ছাত্রদের নিয়ে। শুধু এটা শোধরাতেই তাদের যেয়ে বলা যে সঠিক নিউজ করার জন্য। একটা ছাত্রও গবিসাসের রুমে একটা টোকাও দেয় নাই।খেলা পরিচালনাকারী রেফারি কি বলছেন?ঘটনার দিন ম্যাচ পরিচালনাকারী ক্রীড়া শিক্ষক মো: হাবিব উদ্দিন বলেন, খেলার সময়ে উত্তর পাশের বারের দিকে দুই প্লেয়ার স্লাইড ট্যাকেল করে চলে যায়। একজন আইন বিভাগের আমিনুল আরেকজন বিএমবির খেলোয়াড়। দুইজনেই একটু রিয়েক্ট করে, এগুলো খেলার অংশ। গোলপোস্টের পিছনে আইনের শিক্ষার্থীরা ছিলো তারা হুট করে মাঠে ঢুকে বিএমবির খেলোয়াড়কে মারতে শুরু করে। পরবর্তীতে বিএমবির যারা ছিলো তারাও মারামারিতে জড়িয়ে যায়। আমরা রেফারি ছিলাম। গন্ডগোল যাতে না হয় সে চেষ্টা করছিলাম। এক পর্যায়ে দেখি বিএমবির এক খেলোয়াড়ের (মুয়াজ) মাথা ফেটেছে।তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি দুই দলেরই  দুইজন ম্যানেজার ও ক্যাপ্টেনকে ডাকি খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু তারাও প্রথমে রাজি হয়না কারণ মারামারির পর মাঠে নামা কেউ নিরাপদ বোধ করছিলোনা। তাই খেলার ফলাফল আনার এক পর্যায়ে টাইব্রেকারের জন্য রাজি করলেও খেলার নিয়ম মানতে চায়না আইন বিভাগ। অন্যদিকে বিএমবিও খেলতে অস্বীকৃতি জানালে এক পর্যায় খেলা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করি। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বিএমবি মাঠ ত্যাগ করলেও আইন বিভাগের কেউ মাঠ ছাড়ে না। তারা তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করতে বলে। এসময় আমি ও আল আমিন স্যার যথেষ্ট চেষ্টা করি তাদের বুঝানোর। কিন্তু তারা এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি না হয়ে দাবি করে এতক্ষণ ধরে মাঠে ছিল তারা এখন মাঠ ছাড়বে না। আমরা যারা রেফারীর দায়িত্বে ছিলাম তাদেরকে ভুয়া ভুয়া বলে ডাকে। সাথে অনেক আজে-বাজে কথা বলে।তিনি আরও জানান, দুপুর আড়াইটায় পরের ম্যাচ ছিল রাজনীতি-প্রশাসন ও মেডিকেল ফিজিক্সের। এই ঘটনার জন্য আমরা খেলা শুরু করতে না পারায় তারাও খেলা হবে কিনা জানতে চায়। তাদের বলি এই অবস্থায় ম্যাচ হবে কিনা ক্রীড়া কমিটি কমিটি সিদ্ধান্ত দিবে। দ্বিতীয় দফার মারামারি আমি দেখিনি। আইন বিভাগের প্রধান ও ক্রীড়া কমিটির সদস্য সহ বাকি শিক্ষকদের সাথে কথা বলার মাঝে জানতে পারি পুনরায় মারামারি হচ্ছে।ফুটবল মাঠে রড, স্টাম্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় বড় যে ছাতা থাকে ওইটার সাপোর্টের জন্য স্ট্যাম্প নেওয়া ছিলো, আর ঐগুলো দিয়ে ছাতা বাধা ছিলো। সকাল বেলা রড কিভাবে আসলো জানি না, তবে মাঠের পাশে মেহেগুনি গাছের ঐদিকে রড পড়ে থাকতে দেখেছিলাম সেদিন সকালে।পরিত্যাক্ত ম্যাচের সিদ্ধান্ত কি হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আইন বিভাগ নাম প্রত্যাহার করার আবেদন জানিয়েছে। রবিবার মিটিংয়ের পর জানানো হবে। তারা যদি না থাকে বিএমবি জিতে যাবে। মেয়েদের টিমের ক্ষেত্রে তাদের পরবর্তী খেলার প্রতিপক্ষকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।কি বলছেন প্রক্টোরিয়াল বডির অভিযুক্ত সদস্য?ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাঠে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন আসার ব্যপারে ঘটনাস্থলে থাকা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য (সাময়িক অব্যহতি প্রাপ্ত) এবং ক্রিড়া কমিটির সদস্য আল আমিন হোসেন জানান, ১১ সেপ্টেম্বর খেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত, এই ঘটনার সাথে মাঠের খেলোয়াড়দের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দুইটি ঘটনার মাঝে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার ব্যবধান ছিলো। প্রথম ঘটনা (বিএমবি বনাম আইন) মাঠে উত্তেজিত দর্শক পক্ষের মধ্যদিয়ে ঘটেছে। যেখানে মাঠের খেলোয়াড়দের স্লাইড ট্যাকেলের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত সমর্থকরা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়ে, ঘটনা চক্রে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেখানে মাঠের মাঝে বাস্কেটবল কোর্টে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সাথেই আমরা অবস্থান করছিলাম যেখানে সব মিলিয়ে ৬-৭ জন শিক্ষক ছিলেন। ঘটনা শুরু হওয়া মাত্রই সেখানে উপস্থিত হই এবং হাটু কাদাতে নেমে আইনের শিক্ষার্থীদের সংযত করতে চেষ্টা করি। সেখানে দু-পক্ষ কে নিবৃত করা হয় এবং খেলা হবে কিনা সে সম্পর্কে কথা চলে। রেফারির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনের আহত গোলকিপারের ব্যাপারে ফিফা রুল অনুযায়ী ফিল্ডের খেলোয়াড় থেকেই বদলি করা হয়। যেখানে বিএমবির ক্যাপ্টেন টিম ম্যানেজার সহ আমরাও সমর্থন জানাই। কিন্তু বিএমবির কতিপয় শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাপ্টেনের মতামত উপেক্ষা করেই মাঠ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ১০ মিনিট সময় বেধে দেওয়া হয় মাঠে ফেরত আসার জন্য যেটা তারা ফিরে আসেননি৷পরবর্তীতে রেফারি সিদ্ধান্ত জানায় খেলা স্থগিত থাকবে। যেটা আইনের খেলোয়াড়রা মানতে নারাজ হন, ৩ ঘন্টা পরে কেনো এমন সিদ্ধান্ত আসবে এ ব্যপারেও তারা প্রশ্ন করেন। বরং আজই যেন ফলাফল জানানো হয়।পরবর্তী ম্যাচ ছিলো রাজনীতি প্রশাসন বনাম মেডিকেল ফিজিক্স। প্রথম ঘটনার শেষ হতেই ২য় ঘটনার উৎপত্তি সেখানে মাঠের অন্য প্রান্তে দুজন শিক্ষার্থীর মধ্যকার কথা কাটাকাটির জের ধরে ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানেও কোনো খেলোয়াড় সম্পৃক্ত না। কথা-কাটাকাটি একপর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যেখানে আইনের অনেক শিক্ষার্থী আহত হন। অনেকে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন।তিনি আরো জানান, ঘটনা মোকাবেলায় প্রক্টরিয়াল বডি সহ মাঠে উপস্থিত সব শিক্ষকই সোচ্চার ছিলেন, এ-ব্যাপারে মাঠে উপস্থিত অন্যরাও বলতে পারবেন। এ মর্মে আইন বিভাগ থেকে বিচার চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসন বরাবর লিখিত দেওয়া হয়েছে। স্পষ্টত কতিপয় দুষ্কৃতিকারী শিক্ষার্থীদের দায়ভার আইন বিভাগ নিবে না৷ক্যম্পাসে উদ্ভূত পরিস্থিতি  নিয়ে সাবেক শিক্ষার্থীরা কি ভাবছে ?বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স এবং বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান ফয়সাল বলেন, 'আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে এমন বর্বর হামলার ঘটনার ইতিহাস নেই। এ ঘটনায় আমরা সাবেক শিক্ষার্থীরা স্তম্ভিত। একজন শিক্ষার্থীর আচরণ কেনো বর্বরের মতো হবে? এরা আসলে চায় কি? সকল শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে নিত্য নতুন দাবি আদায় এবং নিজেদের মধ্যে মারামারির মতো ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। একজন সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে এমন কাজ সমর্থন করিনা। অপরাধীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।গবিসাসে হামলা এবং গবিসাস সদস্যদের হুমকির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ। মুখকে বন্ধ করে দেওয়া মানে বিশ্ববিদ্যালয়কেই বন্ধ করে দেওয়া।  গবিসাস স্বাধীন একটি সংগঠন। এখানে কেউ সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। গবিসাসের উপর হামলা চেষ্টা এবং হুমকি খুবই জঘন্য ধরনের একটি ঘটনা। আশা করি প্রশাসন এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ব্যবস্থা নিবে।'রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো: রিয়াদ হাসান যিনি বৃহস্পতিবার(১২ সেপ্টেম্বর) ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিলেন তিনি জানান, আমরা চাচ্ছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার। কারণ এর পূর্বে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদকে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে জনসম্মুখে মেরে পঙ্গু করেছে। যথাযথ তথ্য প্রমাণ থাকার সত্বেও প্রশাসন এর কোন বিচার করেনি। আবার তার আগেও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিনা অপরাধে ইভটিজিং এর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের শিহাব নামের এক শিক্ষার্থীকে  মারধর করে। ঘটনা সম্পর্কে জানতে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী তাদের কাছে গেলে তাদের সাথে তর্কাতর্কি, হাতাহাতি এক পর্যায়ে দু'পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। প্রশাসনে বিচার যাওয়ার পরে তারা একপাক্ষিক বিচার করে ও অন্যায় ভাবে আমাদের দুই শিক্ষার্থীকে বিশ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ও তাদের একজনকে এক সেমিস্টারের জন্য বরখাস্ত করে। প্রশাসনের সাথে আমরা সভাকক্ষে বসেছিলাম যাতে এবারের ঘটনার বিচার ধীরগতিতে না হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছি।গবিসাস কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমরা তাদের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলাম। সেখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। কেউ কোন অপ্রীতিকর কিছু করে থাকলে তাদের সাথে আমরা সম্পৃক্ত নই।গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি- গবিসাস কার্যালয়ে হামলা চেষ্টা ঘটনাস্থলে উপস্থিত গবিসাসের সহ-সভাপতি ইউনূস রিয়াজ জানান, কিছু অতি উৎসাহী শিক্ষার্থী পেছন থেকে ইন্ধন দিয়ে এই কাজ করতে পারে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিলো নিউজ পক্ষপাতী হয়েছে কিন্তু তারা এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। এসময় রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের একজন শিক্ষক ও কতিপয় শিক্ষার্থী মিলে তাদের বুঝাতে সক্ষম হই এবং তারা মিডিয়া চত্বর ত্যাগ করে। এসময় বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী গবিসাস কার্যালয়ের দরজায় লাথি মারে। কেউ কেউ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া সহ নানা ধরনের হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও গবিসাসের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততায় যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর ভিত্তিতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চিত করেছেন। সংবাদের ক্ষেত্রে যদি কোন ভুল থাকে তাহলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের অভিযোগ জানানোর সুযোগ আছে। প্রমাণসহ লিখিত আকারে কোন অভিযোগ জমা দিলে সেটা আমরা খতিয়ে দেখবো। স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবাদিকতার উপর আক্রমণ কোনভাবেই কাম্য না।প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কি ?বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি ও কিছু ভিডিও নিয়ে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যায়। সবার কথা শুনে প্রশাসন থেকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ  দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়।এসময় রাজনৈতিক প্রশাসনের শিক্ষার্থী আবিদের ঘটনার বিচার সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, 'আমাদের এই অভিযোগটি বর্তমানে স্থগিত রেখে প্রতিবেদন জমা করা হয়েছে। এটির মূল কারণ আবিদ নিজেই। সে আলাদাভাবে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছে। আমাদের কিছু না জানিয়ে সে মামলা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তেও সাহায্য করেনি।'অন্যদিকে, শিক্ষার্থীদের খেলা চালিয়ে যাওয়ার দাবির প্রেক্ষিতে এই বিষয়ে রবিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে এবং মঙ্গলবার থেকে আবার খেলা শুরু হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়। এসময় গবিসাসে হামলা চেষ্টার ঘটনায় প্রশাসন থেকে নিন্দা জানানো হয়। একইসাথে প্রতিটি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চয়তা দেয়া হয়।এমআর
    যেমন উপাচার্য চান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
    ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একে একে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে উপাচার্য পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কার্যক্রম সচল রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২রা সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েরও আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীন।শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে  কেমন উপাচার্য চান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা- তা জানতে চেয়েছেন সময়ের কন্ঠস্বরের ববি প্রতিনিধি তানজিদ শাহ জালাল ইমন। ২০১২ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় তুলনামূলক নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু,একই সাথে প্রতিষ্ঠিত হওয়া অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে এগিয়ে রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শিক্ষা ও পেশাগত দক্ষতায় বিশ্বের দরবারে তাদের সক্ষমতার পরিচয় দিলেও শিক্ষা, সহশিক্ষা,গবেষণার সুযোগ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা পাচ্ছে না। অপ্রতুল এই সুবিধার ইতি টেনে শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের একজন প্রকৃত শিক্ষক আমাদের অভিভাবক হয়ে আসুক এমনটিই আমাদের চাওয়া। সাদিয়া আফরোজ বৃষ্টি, ইতিহাস বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে এমন একজন কে আমরা চাই, যার প্রধান  উদ্দেশ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সংকট কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নতি করা। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে , যার মধ্যে ক্লাসরুম সংকট, শিক্ষক সংকট অন্যতম। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের  কে শিক্ষা ও গবেষণা জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া। নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা ও কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিস সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত করবেন। সেই সাথে শিক্ষক,  শিক্ষার্থীদের কে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক কর্মকাণ্ডের থেকে বিরত রেখে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এমন একজন অবিভাবক আমরা চাই।মো: হাসিবুর রহমান হাসিব,রসায়ন বিভাগ ২০১৮-২০১৯ সেশন।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা চাওয়া এমন একজন উপাচার্য আসুক যিনি দক্ষ,যোগ্য, সৎ,শিক্ষার্থী বান্ধব এবং ব্যক্তিত্ববান হবেন।এর ফলে তিনি বর্তমান বৈশ্বিক রাজনীতি, শিক্ষা,সংস্কৃতি এবং গবেষণার চিন্তাধারাই অবগত থেকে শিক্ষার্থীদের  সকল ধরনের   চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যাম্পাসকে শিক্ষা,গবেষণা এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনিক কার্যক্রম মুখী করে তুলবে।যার ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কে মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রুপান্তর করতে সক্ষম হবে। শাহারিয়ার আলম,একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস,২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ।বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে। আয়তন বৃদ্ধির পাশাপাশি একাডেমিক ভবনের অভাব পূরণ এবং আবাসিক হল বৃদ্ধি ও পরিবহন সংকট কাটিয়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনরে দাবি। সেই সাথে সেশনজট সমস্যা এবং নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা এমন একজন শিক্ষার্থী বান্ধব উপাচার্য আসুক যিনি কথা নয় তার অমীয় কাজের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তর করবেন। এমআর
    ইবিতে বিতর্কিত ব্যানারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত
    ছাত্র আন্দোলন সমর্থন করার পরেও একাধিক শিক্ষকের ছবি সংযুক্ত করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার টাঙানোয় ক্ষেপে উঠেছে একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। নিজ বিভাগের শিক্ষককে সমর্থন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রধান ফটকে অবস্থান সমাবেশ পালন করতে দেখা যায় কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীদের। তাদের দাবি ঐ বিভাগের শিক্ষক তন্ময় সাহা জয় শিক্ষার্থীদের পক্ষেই ছিলেন।এসময় বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী এই সমাবেশে অংশ নেন এবং তাদের শিক্ষকের বিরুদ্ধে তোলা এমন মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার প্রত্যাখ্যান করে ঐ শিক্ষকের পাশে আছেন বলে জানান তারা।একই দাবিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক মিঠুন বৈরাগীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের বিরুদ্ধে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে প্রধান ফটকে আন্দোলন করেন প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সাথে জড়িত, জুলাইয়ের গণহত্যা সমর্থনকারী সহ নানা অভিযোগ তুলে ৯জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ১৫টি ব্যানার টানানো হয়। পরে সহ-সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল ঘুরেঘুরে এসব ব্যানার ছিঁড়ে প্রধান ফটকে পুড়িয়ে দেন। ব্যানারের নিচে ‘প্রচারে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ উল্লেখ্য থাকলেও কারা এই ব্যানার জানিয়েছে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়নি।এইচএ
    সাবেক শিক্ষামন্ত্রী’র রাহুমুক্ত ক্যাম্পাস দাবি চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের
    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অর্থে নির্মিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব চসিককে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে করেছে চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীরা।  শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় প্রেসক্লাবে এম এ খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তাঁর পরিবারমুক্ত করার দাবি তোলেন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা অতি দ্রুত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনসহ সাত দফা দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, রাষ্ট্রের অর্থে নির্মিত প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। একইসাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে যারা প্রত্যক্ষভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে নিন্দনীয় হামলা চালিয়েছে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্বাসনে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অনতিবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বাইত উল্লাহ বায়াত বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনে যারা বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছি। একইসাথে স্বৈরাচারের দোসরদের পদত্যাগ করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ভাড়া করা চিহ্নিত ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের নিয়ে সমাবেশ ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ও ছাত্র আন্দোলনে আমাদের ৭ জন যোদ্ধাকে বহিষ্কারের ভয়ভীতির তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রকৃত মালিককে স্থানান্তর করে অতি দ্রুত ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করতে হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবি গুলো হলো— ১) অতি দ্রুত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে।২) বিগত সময়ের অবৈধ নিয়োগসহ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরপেক্ষ সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।৩) জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি পূর্বক স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৪) শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি আইন ২০১০ অনুসরণ করে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।৫) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে যারা প্রত্যক্ষভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে নিন্দনীয় হামলা চালিয়েছে তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্বাসনে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।৬) সংস্কারপন্থী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধকারী এবং হত্যার হুমকিদাতাদের চিন্তিত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৭) শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধকারী এবং হত্যার হুমকিদাতাদের চিন্তিত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মুসফিক, বায়াত, মাওয়াজ, ব্যবসায় অনুষদের ফারহাদ, হাসান ইকবাল, আইনান তাজরিয়ান, জুনায়েদ আসাদসহ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও অনুমতি চেয়ে আবেদন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। পরবর্তীতে ২০০২ সালের ২১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার অনুমোদন পায় সংস্থাটি। সেসময় মেয়র ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ফলে পদাধিকার বলে ২০১০ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর তিনি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ সালের মেয়র নির্বাচনে বিএনপি নেতা এম মনজুর আলমের কাছে পরাজয়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ হারান মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু সেসময় মেয়র মনজুর আলম চসিকের সাধারণ সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টির সদস্য হিসেবে মনোনীত করেন। ২০১৫ সালের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সম্বোধন করে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘাটতি পদগুলো পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠি দেয়। এরপরই মূলত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় চসিকের। কারণ নাছিরের সঙ্গে মহিউদ্দিনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ ছিল পুরনো। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মহিউদ্দিনপুত্র নওফেল।এইচএ
    বাকৃ‌বি‌তে না‌তে রাসুল ও না‌শিদ সন্ধ‌্যায় সু‌রের ঝংকার, ছাত্র-জনতার ঢল
    বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পবিত্র রবিউল আউয়াল এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনায় "নাতে রাসুল ও নাশিদ সন্ধ্যা" অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে মাগরিবের নামাজের পর পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। দেশাত্মবোধক গান, গজল এবং নাশিদের সুরের ঝংকারে মিলনায়তন মুখরিত হয়ে ওঠে। এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং নাশিদ মিশনের শিল্পীগোষ্ঠী।নাতে রাসুল ও নাশিদ সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন জনপ্রিয় শিল্পী মাহমুদ হুজাইফা।শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর কণ্ঠে "দে দে পাল তোল দে", "ইয়া রাসুল আল্লাহ", "ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ", "কারার ঐ লৌহ-কপাট ভেঙে ফেল কর রেলুপাত", "ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি সোনার চেয়েও দামী", এবং "আজ কেন পৃথিবীটা লাগে এত সুন্দর" প্রভৃতি নাশিদ এবং দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির অর্থ ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শহীদুল হক, প্রক্টর ড. মো. আব্দুল আলীমসহ আরও অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. কাওছার আহমেদ মিজান জানান,  বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এ ধরনের সুন্দর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত একটি সুস্থধারার ইসলামিক নাশিদ সন্ধ্যা, যা হৃদয়ে গভীর প্রশান্তি এনে দিয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্রোহী সংগীত আমা‌দের বিপ্লবী মনকে আরও উজ্জীবিত করেছে।তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্ত জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, যা ভবিষ্যতে বারবার আয়োজন করা উচিত। এ অনুষ্ঠান ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি হয়ে থাকবে।এইচএ

    Loading…