এইমাত্র
  • আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    তথ্য-প্রযুক্তি

    হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই, মিলবে যেসব সুবিধা
    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিশ্বে জনপ্রিয় প্লাটফর্মের মধ্যে একটি হলো হোয়াটসঅ্যাপ। নিত্যনতুন উদ্ভাবনে যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতিতে বেশ এগিয়ে রয়েছে এই প্লাটফর্মটি।সম্প্রতি এই প্লাটফর্মে মেটা এআই যুক্ত হওয়ায় মিলবে ভয়েস মোড ফিচারের সুবিধা।প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেটা এআইয়ের ব্যবহারে এখন থেকে ব্যবহাকারীরা সরাসরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। মেটা এআই ব্যবহারের সময় নিজেদের পছন্দমতো কণ্ঠস্বরও বেছে নেয়া যাবে। এক্ষেত্রে তিনটি আলাদা ধরনের ব্রিটিশ ও দু’রকমের মার্কিন কণ্ঠস্বর থেকবে বেছে নেয়ার সুযোগ। এরপরে আরও চারটি কণ্ঠস্বর যোগ করা হতে পারে। যে কণ্ঠস্বরগুলো জনপ্রিয় ব্যক্তিদের। মেটা এআই ছাড়াও ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সুবিধা পেয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা।  এসএফ
    বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বছরে লোকসান ৬৬ কোটি টাকা
    আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্পের একটি বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ওই স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য গঠিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এক পয়সাও জমা দিতে পারেনি। উল্টো বিএসসিএলের বছরে লোকসান হচ্ছে ৬৬ কোটি টাকা। তবে সবমিলিয়ে সরকারের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি।বিএসসিএলের অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ১৯ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে বিএসসিএল। এরপর ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে ১৮৭ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের অডিট রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি এবং বিএসসিএল দুই বছর কোনো আর্থিক বিবরণীও প্রকাশ করেনি।জানা গেছে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পরিকল্পনা কমিশনের কিছু আপত্তি সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার এই প্রকল্প অনুমোদন করেন, যার ব্যয় পরে কমে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায় এসে দাঁড়ায়। এর মধ্যে এই প্রকল্পে সরকার দিয়েছে ১ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা এবং এইচএসবিসি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২ বছর মেয়াদে প্রায় ১৫৫ মিলিয়ন ইউরো ঋণ নিয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যখন এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়, তখন ১৫৫ মিলিয়ন ইউরোর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।এর মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার পর ২০১৮ সালে নবগঠিত বিএসসিএলের কাছে স্যাটেলাইটটি হস্তান্তর করে বিটিআরসি। তবে বিটিআরসির ২০২১ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেহেতু এইচএসবিসির সঙ্গে বিটিআরসির মধ্যে ঋণচুক্তি সই হয়েছিল, সেহেতু এই সম্পদের হিসেবও বিটিআরসির কাছেই রাখতে হচ্ছে, যদিও ভবিষ্যতে এ প্রকল্প থেকে কোনো সুফল আসবে না।এর ফলে ২০১৮ সালের মে মাসে স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা স্যাটেলাইটের জন্য প্রতি ছয় মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এইচএসবিসিকে প্রায় ৮৫ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হয়। এপ্রিল পর্যন্ত সুদসহ ১২টি কিস্তিতে এইচএসবিসিকে ১০১ দশমিক ৭০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০২৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৬৪ মিলিয়ন ডলারের আরও আটটি কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু গত কয়েক বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার ৪০ শতাংশ অবমূল্যায়নের কারণে বিটিআরসির ওপর ঋণ পরিশোধের বোঝা আরও জেঁকে বসেছে। এখন বিটিআরসিকে প্রতি বছর দুই কিস্তিতে ১৯০ কোটি টাকা থেকে ২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিটিআরসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমরা জানি না কেন আমরা কোনো আর্থিক সামর্থ্য ছাড়াই জনগণের এই বিপুল পরিমাণ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলাম- ব্যাপারটা অনেকটা এমন যেন টাকার মূল্য কাঁঠাল পাতার সমান হয়ে গেছে এবং আমরা এমন এক ছাগলকে সেটা খাওয়াচ্ছি যা আমাদের কোনো উপকারেই আসবে না।এদিকে, স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ১৫ বছর- অর্থাৎ ২০৩৩ সালের পর এর অস্তিত্বই থাকবে না তাই প্রকল্পের খরচ পুনরুদ্ধারের সময়ও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের কারণে সরকারের দেড় হাজার কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হতে চলেছে। এই স্যাটেলাইটের বেশিরভাগ গ্রাহক স্থানীয় টিভি স্টেশন যাদের থেকে এই বিশাল প্রকল্পের ব্যয় তোলা সম্ভব নয়।বিটিআরসির আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, আপনি যখন ক কোম্পানির সম্পদ খ কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করবেন, তখন অ্যাকাউন্টিং নীতি অনুসারে খ কোম্পানি সমস্ত খরচ বহন করার কথা। কিন্তু এখানে, বিটিআরসি স্যাটেলাইটটি বিএসসিএলের কাছে হস্তান্তর করলেও এখনো তার ঋণ পরিশোধ করে যাচ্ছে।বিএসসিএলের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্যদিকে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জহিরুল ইসলামের ফোনে টেক্সট মেসেজ করা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত স্যাটেলাইট প্রকল্পটি পর্যালোচনা করা। আর্থিক কার্যকারিতা এবং লাভজনক কিনা সেটা যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার পরে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল নাকি শুধুমাত্র মর্যাদা বাড়ানোর জন্যই এটি করা হয়েছিল তা পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত।তিনি আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চেয়ে বাইরের উৎস থেকে স্যাটেলাইট পরিষেবা নেয়া বেশি লাভজনক ছিল কিনা এবং তা নির্ধারণের জন্য ব্যয় অনুপাতে প্রাপ্য সুবিধা বিশ্লেষণ করা হয়েছিল কিনা? যে সময়ে প্রকল্পটি ভাবা হয়েছিল, তখন কি এর আর্থিক সম্ভাব্যতা এবং ব্যয় অনুপাতে সুবিধার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিল?নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাই ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং এতে বাজারের চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং রাজস্ব সম্ভাবনাকে অতি মূল্যায়নসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল। যা পুরো প্রকল্প পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলে। এতে বলা হয় স্যাটেলাইটের সক্ষমতা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের কাছে বিক্রি করা যাবে। তবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সাত বছরেও বাংলাদেশ এসব দেশে বাজার তৈরি করতে পারেনি।বিএসসিএল সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত একটি নথি অনুসারে, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের আগে এই দেশগুলির সাথে ফ্রিকোয়েন্সি সমন্বয় করা উচিত ছিল বলে বলা হয়েছে। ফলে এসব দেশে ল্যান্ডিং রাইটস পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ফ্রান্সভিত্তিক থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের তৈরি স্যাটেলাইটটি সক্ষমতার চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম ব্যবহার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সি-ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সির মাত্র ৫৯ শতাংশ বিক্রি হয়েছে এবং কেইউ-ব্যান্ডের ২৫ শতাংশ বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে। সি-ব্যান্ড বৃষ্টিতে ভালো করলেও এর জন্য বড় অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়, অন্যদিকে কেইউ-ব্যান্ড বেশি ব্যান্ডউইডথ দিতে পারলেও আবহাওয়া খারাপ থাকলে এর কাজ ব্যাহত হয়।তিনি আরও বলেন, অরবিটাল স্লটের জন্য রাশিয়াকে ৩৬ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। শিল্প বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পেমেন্ট অনেক বেশি ছিল। এই ধরনের স্লটের জন্য সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়। ফ্রিকোয়েন্সি সমন্বয় এবং পরিকল্পনার ব্যর্থতা ফলে এই প্রকল্প ব্যয়বহুল হয়েছিল। আরও ভালো ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যা এড়ানো যেত। স্যাটেলাইটটি ২০১৭ সালে উড্ডয়নের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এক বছর দেরি হয়। এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় খরচ হয়েছে।দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে গঠিত কমিটির প্রধান ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অডিটের তথ্য অনুযায়ী, স্যাটেলাইটটি এখন নিঃসন্দেহে বিপুল ব্যয়ের যেসব প্রকল্প রয়েছে সেই তালিকার একটিতে পরিণত হয়েছে। এই প্রকল্পের বোঝা এখন জনগণের উপর চাপানো হচ্ছে, এবং সেই বোঝা দিন দিন বাড়ছে। যেহেতু এই প্রকল্পটি একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে অনুমোদিত হয়েছিল যার কোনো জবাবদিহিতা ছিল না, তাই এখন সময় এসেছে শীর্ষ কর্মকর্তারা যারা এই প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা।তবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিগত সরকার পুরস্কৃত করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শ্যাম সুন্দর সিকদার, যিনি প্রকল্পটি চালু করার সময় টেলিযোগাযোগ সচিব ছিলেন, তাকে পরে বিটিআরসির চেয়ারম্যান করা হয় এবং শাহজাহান মাহমুদকে পরে স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা করা হয়।এবি 
    পৃথিবীর কক্ষপথে দুই মাস ঘুরবে নতুন গ্রহাণু
    পৃথিবীর আকাশে শীঘ্রই একটি সাময়িক ছোট সঙ্গী যোগ হতে যাচ্ছে। এটা একটি মিনি মুন হিসেবে পরিচিত হবে। প্রায় দুই মাসের জন্য এই ছোট্ট গ্রহাণুটি পৃথিবীর চারপাশে ঘুরবে। একটি বিরল ঘটনার মধ্যে দিয়ে, এই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আটকে থাকা গ্রহাণু ২০২৪ PT5 পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে।নাসার তহবিলপুষ্ট ‘অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম’ (ATLAS) দ্বারা ৭ আগস্ট গ্রহাণুটি শনাক্ত করা হয়। আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রহাণুটির ব্যাস মাত্র ১০ মিটার (৩৩ ফুট), যা খুব বড় নয়। পৃথিবীর চারপাশে ৫৩ দিনের যাত্রার সময়, ২০২৪ PT5 সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে সক্ষম হবে না, বরং এটি একটি ঘোড়ার খুরের মতো আকারে অর্ধেক প্রদক্ষিণ করবে এবং পরে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ থেকে মুক্তি পাবে।প্রতিবেদনের লেখক কার্লোস দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস এবং রাউল দে লা ফুয়েন্তে মার্কোস জানিয়েছেন, পৃথিবী মাঝে মাঝে গ্রহাণুদের মাধ্যাকর্ষণে আটকে ফেলে এবং তারা পৃথিবীর চারপাশে এক বা একাধিক পূর্ণ প্রদক্ষিণ করে। আবার অনেক সময় তারা পুরো কক্ষপথ শেষ করার আগেই মাধ্যাকর্ষণ থেকে মুক্তি পায়।  ২০০৬ সালে, একটি গ্রহাণু পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণে আটকে এক বছর ধরে (জুলাই ২০০৬ থেকে জুলাই ২০০৭ পর্যন্ত) পৃথিবীর চারপাশে ঘুরেছিল। তবে, নতুন আবিষ্কৃত ২০২৪ PT5 গ্রহাণুটির পথ ২০২২ NX1-এর মতো বলে মনে করা হচ্ছে, যা ১৯৮১ ও ২০২২ সালে পৃথিবীর কাছ দিয়ে ঘুরে যায়, কিন্তু কখনো সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে পারেনি। এটি ২০৫১ সালে আবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে অর্ধেক পথ ঘুরতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, পৃথিবী মাঝে মাঝে মহাকাশের বর্জ্যকে তার কক্ষপথে টেনে নেয়, তবে ২০২৪ PT5 একটি প্রাকৃতিক বস্তু। কারণ এর গতিপথ এবং কক্ষপথের বৈশিষ্ট্য ২০২২ NX1-এর মতোই, যা নিশ্চিতভাবে একটি প্রাকৃতিক গ্রহাণু ছিল। এছাড়াও, এর কক্ষপথের গঠন আর্জুনা গ্রহাণুপুঞ্জের গ্রহাণুগুলোর সাথে মিল পাওয়া গেছে।এমআর
    পুরোনো ফোন বিক্রির আগে যা করা জরুরি
    বাজারে নতুন মডেলের ফোন এলেই অনেকে পুরোনো ফোনটি বিক্রি করে দেন কিংবা কাউকে দিয়ে দেন। তবে মনে রাখবেন পুরোনো ফোন বিক্রি করার আগে বা বদলানোর আগে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।নিজের ব্যক্তিগত তথ্য থেকে অনান্য় প্রয়োজনীয় জিনিস সব ডিলিট না করেন তাহলে পরে বড় বিপদ হতে পারে। আপানর ব্যক্তিগত তথ্য ভুল হাতে চলে গেলে তা দিয়ে আজকাল কী কী করা সম্ভব সেই বিষয়ে কম-বেশি জানেন অনেকেই।তাই পুরোনো মোবাইল বদলানোর আগে এই কাজগুলো অবশ্যই করে রাখুন। দেখে নিন কী করবেন->> ফোন থেকে ব্যাংকিং তথ্য মুছে ফেলুন। স্মার্টফোনে অনেক ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য জমা থাকে। তাই ফোন কাউকে দেওয়ার আগে সেই সব তথ্য মুছে ফেলা প্রয়োজন। ফোন বিক্রির আগে সেটিংস অপশনে গিয়ে সব ডাটা মুছে ফেলুন।>> ফোন থেকে ই-ব্যাংকিং করে থাকলে, ফোন থেকে সব ‘হিস্ট্রি’ মুছে দিন। এসব তথ্য অন্য কারো হাতে গেলে লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। আপনার ব্যবহারকারীর আইডি, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের গোপন তথ্যও অন্যের হাতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।>> সব ধরনের অ্যাপলিকেশন থেকে সব অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিন। আর ডিলিট করার আগে অবশ্যই সব অ্যাকাউন্ট লগ আউট করে দিন। গুগল অ্যাকাউন্ট লগ আউট করতে ভুলবেন না।>> ফোন বিক্রির আগে মনে করে সিমের পাশাপাশি মাইক্রো এসডি কার্ডটিও বার করে নেবেন। সেটি থেকে গেলে মেমরিতে যা যা আছে তা অন্যের হাতে চলে যাবে। ফোনে যদি অডিও, ভিডিও, ছবির ব্যাকআপ থাকে, সেগুলোও মুছে দিতে হবে।>> এখনকার বেশিরভাগ স্মার্টফোনে কল লিস্ট, মেসেজের ব্যাক আপ থাকে। কোনো কোনো ফোনে আবার কল রেকর্ডিং-এর ব্যাকআপ থাকে। তাই মনে করে সেই সব মুছে দিন। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সেই সব রেকর্ড, কল বা মেসেজের ব্যকআপ আপনার গুগল ড্রাইভে রেখে দিতে পারেন।>> ফোনটি বদলাতে দেওয়ার আগে একবার ফ্যাক্টরি রিসেট করে দিতে পারেন। ফ্যাক্টরি রিসেট করার সময় ব্যাকআপ অপশনটি ডিসেবেল করে দেবেন।এসএফ 
    বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তায় ‘রোল মডেলের’ তালিকায় বাংলাদেশ
    বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তাসূচকে বাংলাদেশ রোল মডেলের তালিকায় স্থান পেয়েছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) এক সূচকে বাংলাদেশ সাইবার নিরাপত্তার সর্বোচ্চ স্কোর করা দেশগুলোর একটি।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) আইটিইউ ‘গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স ২০২৪’ প্রকাশ করে। ২০২০ সালের পর চলতি বছর তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশ করল। এর আগে ২০২০ সালে ৮১ দশমিক ২৭ স্কোর পেয়েছিল বাংলাদেশ।আইটিইউর প্রতিবেদন ১৯৪টি দেশের ২০২৩-২০২৪ সালের তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে যারা ৯৫ থেকে ১০০ নম্বর পেয়েছে, তাদের রোল মডেল বলা হয়েছে। এমন দেশের সংখ্যা ৪৬টি। এ তালিকায় বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান রয়েছে।মূলত পাঁচটি বিষয়ের ওপর সাইবার নিরাপত্তাসূচক তৈরি করেছে আইটিইউ। এর মধ্যে আইনি পদক্ষেপ, কারিগরি দিক, প্রাতিষ্ঠানিক দিক, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সমন্বয় রয়েছে।বাংলাদেশ এরমধ্যে কারিগরি পদক্ষেপ, প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ ও সমন্বয়ে সর্বোচ্চ স্কোর ২০ করে পেয়েছে। এ ছাড়া বাকি দুটির মধ্যে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ১৯ দশমিক ৫২ এবং আইনি পদক্ষেপে ১৭ দশমিক ৪৪ পেয়েছে।এসএফ 
    লাইসেন্স ফেরত চায় সিটিসেল
    দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল তাদের বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়েছে। অপারেটিং ও রেডিও ইক্যুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে তারা। ১ সেপ্টেম্বর টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠানো চিঠিতে সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম এই আবেদন করেছে।এতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এজন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছে তারা। পরবর্তীকালে আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়। যদিও তখন বিটিআরসি জানিয়েছিল, ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ৫জিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর। এ বিষয়ে প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান বলেন, তাদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না। তৎকালীন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে দাবি করে তিনি এর প্রতিকার চান। দেশে সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল সিটিসেল। ২০১৭ সালের ১১ জুন বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়।এফএস
    বিটিআরসির নতুন চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী
    মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী তিন বছরের জন্য তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখা এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এমদাদ উল বারীকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন ক্যাটাগরিতে বিটিআরসির কমিশনার পদে নিয়োগপূর্বক চেয়ারম্যান পদে পদায়ন করা হলো।এমদাদ উল বারী আগে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।১৪ আগস্ট বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখন বিটিআরসির চেয়ারম্যান পদে এমদাদ উল বারীকে নিয়োগ দেওয়া হলো।এসএফ  
    আইফোন ১৬ সিরিজ লঞ্চ হচ্ছে আজ
    আইফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল আজ তাদের আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলো বাজারে নিয়ে আসতে চলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাপল কুপারটিনো পার্কে আয়োজিত ‘ইটস গ্লোটাইম’ ইভেন্টের মাধ্যমে এ আয়োজন করা হয়েছে। অ্যাপলের ইভেন্টটি আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১১ টায় শুরু হবে। আইফোন ১৬ সিরিজের লঞ্চ ইভেন্ট লাইভ দেখা যাবে অ্যাপলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং অ্যাপল টিভি অ্যাপ থেকে। এছাড়া এই ইভেন্ট অ্যাপলের ইউটিউব চ্যানেল থেকেও সম্প্রচার করা হবে। পাশাপাশি অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ১০, অ্যাপল এয়ারপড ৪ সহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট লঞ্চ হবে। এদিকে এদিন অ্যাপল, আইওএস ১৮, আইপ্যাডওএস ১৮, টিভিওস ১৮, ওয়াটওএস ১১, ভিশনওএস ২ এবং ম্যাকওএস সিক্রুইয়া সফটওয়্যারের নতুন ভার্সন উন্মোচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।আইফোনের প্রত্যেক সিরিজের মতো এই সিরিজেও মোট ৪টি মডেল থাকবে। সেগুলো হলো- আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। প্রতিবারের মতো আপগ্রেড হচ্ছে প্রসেসরও। আইফোন ১৬ ও ১৬ প্লাসে থাকবে বায়োনিক এ১৮ চিপ আর ১৬ প্রো, ১৬ প্রো ম্যাক্সে বায়োনিক এ ১৮ প্রো। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। অর্থাৎ চারটি মডেলে থাকবে অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স। ব্যাটারির ক্ষমতা সামান্য বাড়ছে। সঙ্গে প্রো মডেল দু’টিতে ৪০ ওয়াটের চার্জিং সাপোর্ট, ২০ ওয়াটের ম্যাগসেফ চার্জিং তো থাকছেই। নন প্রো মডেলে থাকছে যথাক্রমে ২৭ ওয়াট আর ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট। তবে সবচেয়ে বড় চমক হল, এই নতুন সিরিজের চারটি মডেলেই থাকছে ‘ক্যাপচার’ বোতাম। অর্থাৎ ফোনের লক না খুলেও, শুধু এই বোতাম টিপেই খুব সহজে ক্যামেরা খুলে ছবি তোলা যাবে।অ্যাপল আইফোন ছাড়াও এই ইভেন্টে ওয়াচ আল্ট্রা ৩ এর সাথে ওয়াচ সিরিজ ১০ লঞ্চ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সংস্থাটি একটি সাশ্রয়ী মূল্যের তৃতীয় প্রজন্মের  অ্যাপল ওয়াচ এসই নিয়ে আসতে পারে।এসএফ
    পলকেই হ্যাক হতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
    প্রতিদিন প্রায় ২শ’ কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করছেন হোয়াটসঅ্যাপে প্ল্যাটফর্মটি। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত মেসেজ, ছবি, ভিডিও, ফাইল আদান-প্রদান চলছে অ্যাপটিতে।  জরুরি এই প্ল্যাটফর্মটি মুহূর্তেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে। সর্বাধিক ব্যাবহৃত প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় হ্যাকাররাও এর উপর নজর রাখে। শিকারের খোঁজে ফাঁদ পাতে স্ক্যামাররা। ইউজারকে নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলে।ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। ইউজারের বন্ধু সেজে আড্ডা জমায় হ্যাকাররা। চলে মেসেজ আদানপ্রদান। এই করতে করতেই অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেয়। আবার ম্যালওয়্যার লিঙ্ক পাঠাইয়েও আইডি হ্যাক করে নেয় ব্যবহারকারীরা।হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লুকিয়ে থাকছে হ্যাকাররাঅনেকেই ভাবতে পারেন কীভাবে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে হ্যাকার। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে শুধু একটা ফোন নম্বর লাগে। আর কিছু নয়। প্রথমে যে ইউজারকে তারা টার্গেট করেছে তাদের নম্বর দিয়ে অ্যাকাউন্ট ওপেন করে। সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে ভেরিফিকেশন কোড বা এসএমএস যায়। হ্যাকাররা সেটাই হাতানোর চেষ্টা করে। ভেরিফিকেশন কোড পাওয়ার জন্য সবকিছু করতে পারে হ্যাকাররা। প্রথমে চ্যাটে নানা কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। এতে কাজ না হলে হ্যাকার নিজেকে ব্যাংক বা টেলিকম কোম্পানির প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কোড জানার চেষ্টা করে তারা।হ্যাকাররা কখনই অন্য ব্যবহারকারীদের ভেরিফিকেশন কোড পেতে পারে না। যতক্ষণ না সেই ব্যবহারকারী তাকে ভেরিফিকেশন কোড দিচ্ছেন। মাথায় রাখতে হবে, ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে দিলেই অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে।এই ভুল করলে চলবে না। সাধারণত এসএমএসের মাধ্যমেই ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। এই কোড অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করলেই বিপদ। তখন হ্যাকারদের হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
    বাজারে আসছে তিন ভাঁজ করা ফোন, থাকছে যেসব ফিচার
     হুয়াওয়ের বহুল প্রতীক্ষিত ট্রাই-ফোল্ডিং ‘মেইট এক্সটি’- স্মার্টফোনটির ‘টিজার’ প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর)। চীনের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইবো-তে হুয়াওয়ের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে প্রকাশিত টিজারটিতে ‘একটু দেখাবো, পুরোটা নয়’ পথেই হেঁটেছে চীনের এই টেক জায়ান্ট।মেইট এক্সটি ফোনটির ৩৯ সেকেন্ডের এই টিজারটিতে বড় অংশ জুড়ে আছেন চীনের জনপ্রিয় অভিনেতা ও গায়ক অ্যান্ডি লউ। টিজারটির শুরুতে লউ-কে একটি সিনেমা আর্কাইভ রুমে পুরোনো সিনেমার রিল বের করে আনতে দেখা যায়। আবার টিজারটির শেষ দিকে লউ-কে সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়, যেখানে একটি সিনেমা প্রজেক্টরে কাউন্টডাউনের মাধ্যমে শেষ হয় টিজারটি।টিজার থেকে ফিচার সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছেটিজারটিতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য স্মার্টফোনটিকে ভাঁজ (ফোল্ড) করা অবস্থায়, আবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য খোলা (আনফোল্ড) অবস্থায় দেখা যায়। তবে খোলা অবস্থায় ফোনটির অংশ বিশেষই দেখানো হয়েছে, পুরোটা নয়। আবার ভাঁজ করা অবস্থায় ফোনটির ব্যাক সাইড বা পেছনের অংশই দেখানো হয়েছে, সামনের অংশ নয়। ফলে টিজার দেখে মেইট এক্সটি-র ডিজাইন অত্যন্ত আকর্ষণীয় এমনটা বলার সুযোগ নেই। ভাঁজ করা অবস্থায় হুয়াওয়ের এই ফোনটিকে স্ট্যান্ডার্ড ট্যাবলেটের মতোই মনে হয়েছে। যেহেতু এটি ট্রাই-ফোল্ড হ্যান্ডসেট তাই এর পুরুত্ব (থিকনেস) যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে এখানে। বিশেষ করে ফোল্ড বা ভাঁজ করা অবস্থায় ফোনটি কতটা পুরু হবে তা বড় একটি প্রশ্ন- কেননা ব্যবহারকারীরা চাইবেন ফোনটি যাতে ভাঁজ করে পকেটে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করা যায়। টিজার দেখে অনুমান করা যাচ্ছে যে ফোনটি বেশ পাতলাই হবে তবে ট্রাই-ফোল্ডিং সেট হিসেবে সাধারণ স্মার্টফোনের তুলনায় একটু বেশি পুরুতো হবেই। এছাড়া খোলা অবস্থায় ফোনটির ডিসপ্লে সাইজ আড়াআড়িভাবে ১০ ইঞ্চি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে, যদিও স্পেসিফিকেশন ও ফিচার সম্পর্কে এখনও কোনো অফিশিয়াল ঘোষণা আসেনি।   এইচএ
    হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: সহজেই রাখা যাবে চ্যাট ব্যাকআপ
    ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। প্রতিনিয়ত কয়েকশ কোটি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ আদান-প্রদান করছেন। আপনিও হয়তো প্রতিনিয়ত চ্যাট করছেন কারও না কারও সঙ্গে। ছবি, ভিডিও, ফাইল শেয়ার করছেন বন্ধুদের সঙ্গে।তবে এতো এতো চ্যাট করলেও কখনো হয়তো চ্যাট ব্যাকআপ নেননি। এতে পরবর্তিতে কোনো চ্যাট দেখতে চাইলে দেখতে পারেন না। এখন চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ নিতে পারবেন। এছাড়াও আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ।উচ্চস্তরের এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। সবাই ঠিক মতো পারে না। এবার এই প্রক্রিয়াটিকেই সহজ করার কাজে হাত দিল হোয়াটসঅ্যাপ।নতুন ফিচারের মাধ্যমে যে কেউ চ্যাটের ব্যাক আপ রাখতে পারবেন। এর জন্য প্রযুক্তি জ্ঞান না থাকলেও চলবে। ভুল হওয়ার ভয়ও থাকবে না।অনেকেই আবার পাসওয়ার্ড ভুলে যান। বারবার বদল করেন। তাদের জন্য ব্যাক আপ চ্যাটের পাসকি অপশন নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ।পাসকি বায়োমেট্রিক সিকিউরিটি ফিচার ব্যবহার করে। ফলে পাসওয়ার্ড মনে রাখার দরকার পড়ে না। আইফোনে যেমন ফেস আইডি কিংবা অ্যানড্রয়েডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাক আপ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সাপোর্ট করে, তবে সেটা ইউজারকে ম্যানুয়ালি করতে হবে।সর্বশেষ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যানড্রয়েড বিটা ভার্সন ২.২৪.১৮.১৩-এ পাসকি-এর মাধ্যমে ব্যাক আপ চ্যাট সুরক্ষিত রাখার কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে টেক বিশেষজ্ঞরাও একমত। তবে এই ফিচারের উপর এখনও কাজ চলছে।জানা যায়, আগামী সপ্তাহে বিটা টেস্টারদের কাছে তা পাঠানো হবে। আশা করা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ব্যাক আপ সেটিংসে এই ফিচার থাকবে। ইউজাররা ম্যানুয়ালি চালু করতে পারবেন।পরিসংখ্যান বলছে, সব হোয়াটসঅ্যাপ ইউজাররা চ্যাট ব্যাক আপ ব্যবহার করেন না। যারা গোপনীয়তা বজায় রাখতে এবং ব্যক্তিগত চ্যাট সংরক্ষণ করতে চান, তারাই তারা যে এনক্রিপশন আপগ্রেডকে দুই হাত তুলে স্বাগত জানাবেন তাতে সন্দেহ নেই।এখানেই শেষ নয়। আইফোন ইউজাররা হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে এবার থেকে অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এবং ফিল্টার যোগ করতে পারবেন। ইউজারের অভিজ্ঞতা বাড়াতেই এই ফিচার নিয়ে আসতে চলেছে মেসেজিং অ্যাপ।এআর-এর মাধ্যমে কলিং অজ্ঞিতাও অন্য মাত্রায় পৌঁছাবে। একটি প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ওয়াবেটাইনফো। তারা জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে শিগগিরই এই ফিচার চালু হবে। নতুন ফিচার আইওএস বিটা সংস্করণ ২৪.১৫.১০.৭০–এ পরীক্ষা করা হচ্ছে।ওয়াবেটাইনফো আরও জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে ‘টাচ আপ’ এবং ‘লো লাইট’ নামে দুইটি মোড থাকবে। ইনস্টাগ্রামে যেমন ফেসিয়াল ফিল্টার থাকে, টাচ আপ কাজ করবে সেরকমভাবে। আর কম আলোতেও যাতে পরিস্কারভাবে মুখ দেখা যায়, তার জন্য থাকবে ‘লো লাইট’ মোড ফিচার।এসএফ 
    মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে প্লাস্টিকের কণা: গবেষণা
    মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণা। চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন মানুষের শরীর ময়নাতদন্তের সময় সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, আট বছর আগে মস্তিষ্কে যে পরিমাণ অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা ছিল, বর্তমানে তা অনেকটা বেশি। খবর সিএনএন’র।গত মে মাসে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনো পিআর-রিভিউ এবং তা কোনো সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়নি। এর মূল লেখক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক। এই গবেষণার জন্য ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ময়নাতদন্ত করা ৯২ জনের মস্তিষ্ক, কিডনি ও যকৃতের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা।  অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন বলেন, টিস্যুগুলো পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আমরা মনে করছি, আমাদের মস্তিষ্কে খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিক প্রবেশ করছে। এগুলোর আকৃতি ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের মতো। আর ১ থেকে ৫ মাইক্রোমিটারের মতো বড় আকৃতির প্লাস্টিকগুলো লিভার ও কিডনিতে প্রবেশ করছে। তিনি আরও বলেন, ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের প্রতি গ্রাম টিস্যুতে আমরা ৪ হাজার ৮০০ মাইক্রোগ্রাম (১ গ্রাম সমান ১০ লাখ মাইক্রোগ্রাম) প্লাস্টিক কণা পেয়েছি। এটি মস্তিষ্কের মোট ওজনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে মস্তিষ্কে যে পরিমাণ প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল, ২০২৪ সালে তা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এর অর্থ আজকের দিনে আমাদের মস্তিষ্ক ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ, বাকিটা প্লাস্টিক।এই প্লাস্টিক আমাদের মস্তিষ্কের কতটুকু ক্ষতিসাধন করতে পারে, সে সম্পর্কে গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফোয়েবে স্ট্যাপলেটন। যদিও এই গবেষণা প্রতিবেদনের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তার। ফোয়েবে স্ট্যাপলেটন বলেন, এসব প্লাস্টিক কণা তরল কি না এবং সেগুলো মস্তিষ্কে যাচ্ছে আবার সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এগুলো স্নায়বিক টিস্যুতে পাওয়া যাচ্ছে কি না বা তা রোগের কারণ হচ্ছে কি না, তা–ও এই গবেষণায় স্পষ্ট করা হয়নি। কীভাবে মস্তিষ্কের কোষের সঙ্গে এসব কণার মিথস্ক্রিয়া ঘটে এবং এগুলো বিষক্রিয়া ঘটায় কি না, তা বুঝতে আরও গবেষণার প্রয়োজন। অধ্যাপক ম্যাথিউর মতে, ‘এই ন্যানো প্লাস্টিকগুলো কোনো না কোনোভাবে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে এবং মস্তিষ্কে পৌঁছাচ্ছে। প্লাস্টিক ফ্যাট বা লিপিড পছন্দ করে। তাই একটি তত্ত্ব হলো, আমরা খাবারের মাধ্যমে যে ফ্যাট গ্রহণ করি, সেগুলোর সঙ্গে ন্যানো প্লাস্টিক আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তা মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যায়।’ এ বিষয়ে বোস্টন কলেজের অধ্যাপক ফিলিপ ল্যানড্রিগান বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের হৃৎপিণ্ড, ধমনি, ফুসফুস, যকৃৎসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে। প্লাস্টিক এড়িয়ে চলা এখন অসম্ভব। প্লাস্টিক নেই, এমন মুঠোফোন বা কম্পিউটারও পাওয়া যাবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর সংস্পর্শে আসা কমানো যেতে পারে, যেমন প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বোতল। এসএফ
    কেউ মিথ্যা বলছে কি না জানবেন যে টেস্টে
    আপনার প্রিয়জন বা অন্যে যে কেউ আপনার সঙ্গে ফোনে মিথ্যা বলছে কি না তা যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে ব্যাপারটা খুব ভালো হয়। ‘লাই ডিটেকটর টেস্ট’ সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানেন। অপরাধীদের কাছ থেকে সত্য কথা বের করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। একে পলিগ্রাফ টেস্টও বলা হয়।এই কাজটি আপনি আপনার ফোন থেকেই করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘লাই ডিটেকটর’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। অ্যাপটি ইনস্টল হয়ে গেলে মাইক ব্যবহার করার অনুমতি দিতে হবে এবং রেকর্ড করার অনুমতি দিতে হবে।এবার আপনার যাকে ইচ্ছা হয় কোনো একটি প্রশ্ন করুন। সেই উত্তর রেকর্ড করুন। যখন স্ক্রিনে ‘অ্যানালাইজিং’ লেখা দেখাবে তখন ‘ভলিউম আপ’ বা ‘ভলিউম ডাইন’ যেকোনো একটি বোতামক্লিক করুন। যদি ‘আপ’ বোতাম টেপেন তাহলে উত্তর ‘ট্রুথ’ আসবে এবং ‘ডাউন’ বোতাম টিপলে স্ক্রিনে ‘লাইং’ অর্থাৎ ভুল দেখাবে।এই ধরনের অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশন আপনি পেয়ে যাবেন মোবাইল ঘাঁটলেই। তাই বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে চাইলে এই ধরনের অ্যাপ কিন্তু হতেই পারে আপনার সঙ্গী। কিংবা প্রিয়জন মিথ্যা বললে তা সহজেই জেনে নিতে পারবেন এভাবে।অনেক অ্যাপ আবার প্লে স্টোর ডাউনলোড করার পর প্রয়োজনীয় পারমিশন চেয়ে নেয়। এরপর এখানে বন্ধুকে প্রশ্ন করার সময় তাঁর আঙুলটি মোবাইলের স্ক্রিনে ছুঁইয়ে রাখতে হয়। টানা ৫ সেকেন্ড ছুঁইয়ে রাখতে হয় আঙুল। এর ফলে মোবাইলের স্ক্রিন ৫ বার ভাইব্রেট করবে। এবার মজার ছলে প্রশ্ন করুন। মনে রাখবেন প্রত্যেক ৫ সেকেন্ড অন্তর পরীক্ষার যে ফল আসবে তাতে প্রথমে ‘লাই’ এবং পরের বার ‘ট্রুথ’ এই ক্রমে আসবে।তবে এসব অ্যাপ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এই অ্যাপগুলো সাধারণত থার্ড পার্টিগুলোর হয়ে থাকে। আবার হ্যাকারদের ফাঁদও হতে পারে। অনেক সময় এই সব অ্যাপে যে ধরনের অনুমতি চাওয়া হয়, তা ‘অ্যালাউ’ করলে আপনার মোবাইল ফোনটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে বা নিরাপত্তাজনিত অন্য আশঙ্কা তৈরিরও সম্ভবনা থাকে।এইচএ
    ভিপিএন দিয়ে এক্স চালালেই জরিমানা
    ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হয়েছে এক্স। কয়েকদিন আগেই ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে ডি মোরেস ইলন মাস্কের এই মাইক্রোব্লগিং সাইট নিষিদ্ধ করে।বিচারক মোরেস মাস্ককে এক্স-এর জন্য নতুন আইনি প্রতিনিধি নিয়োগ করতে বলেছিলেন কিন্তু মাস্ক সে সব কথা কানেই নেননি। এরপরই এক্স-কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রাজিল। শুধু নিষিদ্ধই নয় ভিপিএন ব্যবহার করে কেউ এক্স ব্যবহারের চেষ্টা করলে প্রতিদিন প্রায় ৭.৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারক।এদিকে অনলাইন অ্যাপ স্টোর থেকে এক্স-কে ব্লক করার জন্য ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে অ্যাপল ও গুগলকে। একই সঙ্গে এক্স ব্লক করার জন্য ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।মোরেস তার রায়ে জানিয়েছেন, এক্স ব্রাজিলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। প্রতিষ্ঠানটি বারবার এবং ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতের আদেশ অমান্য করেছে।রায়ে মোরেজ আরও জানিয়েছেন, ব্রাজিলে ভিপিএন এর মাধ্যমে এক্স ব্যবহার করলে প্রতিদিন ৮,৮৭৪ ডলার (প্রায় ৭.৫ লাখ টাকা) জরিমানা করা হবে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো জন্য এক্স-কে কিছু অ্যাকাউন্ট অপসারিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক্স সেগুলো বন্ধ না করে ব্রাজিলে এক্স-এর অফিসই বন্ধ করে দেন। বিচারকের এমন সিদ্ধান্তে মাস্ক লিখেছেন, ‘তারা ব্রাজিলে সত্যের এক নম্বর উৎসকে নিষিদ্ধ করল।’এমআর
    কণ্ঠ শুনেই অসুস্থতা বুঝে যাবে এআই!
    মানুষের জীবনযাপনে অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। ক্যাব ডাকা থেকে অনলাইন লেনদেন, কাছের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ- সবই অনায়াসে সম্ভব মুঠোফোনের মাধ্যমে। এবার আপনার কণ্ঠ শুনেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়েই অসুস্থতা টের পেয়ে যাবে স্মার্টফোন!গুগল তাদের ফাউন্ডেশন এআই মডেলগুলোকে প্রস্তুত করেছে নানা ধরনের শব্দ শুনিয়ে। জানা যাচ্ছে, ৩০ কোটি অডিও শোনানো হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে হাঁচি, কাশি, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট জাতীয় সব ধরনের শব্দই রয়েছে।জানা গেছে, শুধু কাশির শব্দই রয়েছে ১০ কোটি। যা কাজে লাগিয়ে এআই ধরে ফেলবে কেউ যক্ষ্মায় কষ্ট পাচ্ছেন নাকি। কিংবা তার হৃদ্‌রোগে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে কি-না।ভারতীয় সংস্থা সালসিট টেকনোলজিসের সঙ্গে সমঝোতা করেছে সার্চ ইঞ্জিন জায়েন্ট গুগল। ওই সংস্থাটি একটি হেলথকেয়ার এআই স্টার্ট-আপ। লক্ষ্য, স্মার্টফোনকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যাতে সহজেই ব্যবহারকারীর বিপণ্ণতাকে অনায়াসে চিহ্নিত করতে পারে সেটি। এই প্রথম নয়। গুগল (Google) এর আগেও মানুষের চেতনাকে ডিজিটাইজ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এবার মানুষের অসুস্থতাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ধরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে এগোতে চেয়েছে তারা।এইচএ

    Loading…