এইমাত্র
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    লাইফস্টাইল

    প্রেমিকার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে যে ভুলগুলো করবেন না
    প্রিয় মানুষটির সঙ্গে প্রথম দেখা বা ঘুরতে যাওয়ার দিনটি প্রত্যেকের কাছে স্মরণীয় একটি বিশেষ দিন। এই বিশেষ দিনটির জন্য অনেক রকম পরিকল্পনা থাকে সবার। যুগের নানা পরিবর্তনের সঙ্গে ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যমেও এসেছে নানা পরিবর্তন। তবে প্রথম দিনের অনুভূতিগুলো সেই একই রকম রয়েছে। প্রথম দিনে আনন্দ, রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার সঙ্গে যোগ হয় নার্ভাসনেস বা ভয়।আজকাল আবার সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এসে অধিকাংশ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে। চ্যাটের পর ফোনে কথা চলতে থাকে। সামনাসামনি দেখা হয় বেশ পরে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত হয়ে যখন প্রথমবার দেখা করতে যাবেন, তখন একটু সতর্ক থাকুন। প্রথম সাক্ষাতে এমন কোনো ভুল করা উচিত নয়, যার কারণে সঙ্গী রেগে যেতে পারে কিংবা অস্বস্তিবোধ করতে পারে।     দেরি করে পৌঁছাবেন নাঅনেকেই লেট লতিফ। তাঁরা সময়ের কাজ সময়ে করেন না। কোথাও যাওয়ার সময়ও বেশ দেরি করেন। আর দেরি হওয়ার কারণে তাদেরকে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাঁরা লেট লতিফ আছেন, তাঁরা প্রথম ডেটে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। প্রথম দিন ঠিক সময়ে দেখা করতে না গেলে সামনের মানুষটির মনে খারাপ ধারণা জন্মাবে। সম্পর্ক তৈরি হওয়ার আগেই, কিংবা সম্পর্কের শুরুতেই তা শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই ঠিক সময়ে বা সময়ের আগে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যান।রুচিশীল ও মানানসই পোশাককথায় আছে, আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী। প্রথম ডেটে যাওয়ার আগে  নিজের পোশাক নিয়ে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। সেক্ষেত্রে এমন কোনও জামাকাপড় নিজের জন্য বেছে নেবেন না যা পরে আপনাকে অদ্ভুত দেখায়। তার বদলে যেমন পোশাক পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাই পরুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আপনি ঠিকমতো নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন।কেবল নিজের কথা বলবেন নাঅনেকেই বেশি কথা বলেন এবং নিজের বিষয়ে বলতে ভালোবাসেন। তাঁরা অন্য কারও কথা শোনেন না। আর এ ভুলের জন্যই সম্পর্কের বারোটা বেজে যায়। যাঁরা বেশি কথা বলেন তাঁদের উপর থেকে সামনের মানুষটি আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন। তাই প্রথম সাক্ষাতে শুধু নিজে কথা না বলে, তাঁকেও বলতে দিন। তাহলেই তিনি আপনাকে নিজের মনে জায়গা দেবেন।বাজে কথা নয়অনেকেই ‘কুল’ সাজতে গিয়ে খারাপ খারাপ কিছু কথা বলেন। প্রথম সাক্ষাতে এমন কিছু করা যাবে না। এতে সামনে থাকা মানুষটির মনে খারাপ ইম্প্রেশন তৈরি হয়। তিনি তখন আর সম্পর্ক গড়ে তুলতে কিংবা সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নিতে আগ্রহী হন না। তাই ঠিক কোন কোন কথা আপনি বলবেন, আর কোন কথা বলবেন না, তা ঠিক করে রাখুন। সময় দিন প্রথম ডেটে গিয়ে সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন না। সামনের মানুষটিকে গুরুত্ব দিন। তাঁকে বোঝার চেষ্টা করুন। তাঁর কথা শুনুন। হাসতে হাসতে নিজেদের সময়টা কাটান।এবি 
    সত্যিকারের বন্ধু চেনার উপায়
    সোশ্যাল মিডিয়া আজকাল বন্ধুত্বের একটি বিভ্রম চিত্র তৈরি করে, যা নিখুঁত বলে মনে হয়। কিন্তু এই ধরনের ‘রিল’ বন্ধুত্ব সত্যিকারের বন্ধুত্বের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা। টিনএজ এবং তরুণ-তরুনীদের জন্য দৃঢ় সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বন্ধুত্বের প্রকৃত অর্থ বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কে আপনার প্রকৃত বন্ধু তা বুঝতে পারা জরুরি। কীভাবে বুঝবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-মানসিক সমর্থনএকজন সত্যিকারের বন্ধু সব সময় আপনাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সমর্থন করতে থাকবে, পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু আপনার পোস্টে রিঅ্যাক্ট বা কমেন্ট করেই দায়িত্ব শেষ বলে মনে করতে পারে। তবে মানসিক সমর্থন তার কাছ থেকে আশা না করােই ভালো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো ভালো কথা বলা মানেই যে সে বাস্তবেও কারও চমৎকার বন্ধু, এমনটা নাও হতে পারে।বাস্তব প্রচেষ্টাযে আপনার বন্ধু সে আপনাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা করবে এবং আপনার জন্য সময় বের করবে, তা যতই কঠিন হোক না কেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য উন্মুখ এবং বিরক্ত হলেই আপনার সঙ্গে আড্ডা দিতে পছন্দ করবে।জাজ করবে নাআপনি বিচারের ভয় ছাড়াই আপনার দুর্বল দিকটি প্রকাশ করে সত্যিকারের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আপনি তাকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেন এবং জানেন যে সে আপনার কঠিন সময়েও আপনাকে সমর্থন করবে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বন্ধুরা আপনাকে সেই স্বাচ্ছন্দ্যের অনুভূতি দেবে না। যে কারণে আপনি তাদের সঙ্গে অনেক কথা বলতেই দ্বিধান্বিত থাকবেন।হিংসা থাকবে নাসোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঈর্ষান্বিত হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক হতে চেষ্টা করবে। আপনার সাফল্য তাদের হিংসার কারণ হতে পারে যখন আপনার সত্যিকারের বন্ধু আপনার বিজয় উদযাপনের জন্য আপনার পাশে থাকবে।বিশ্বস্তসত্যিকারের বন্ধুত্ব মানে সব অবস্থায় পাশে থাকা। সুখ ও দুঃখের সমান ভাগীদার। মন খুলে নিজের মনের কথা বলতে পারাটাই বন্ধুত্বের সবচেয়ে সুন্দর দিক। এই বিশ্বাসই সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। কিন্তু সিজনাল বন্ধুত্ব সুবিধা এবং ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।বিশুদ্ধ ভালোবাসাযাই হোক না কেন, সত্যিকারের বন্ধুরা আপনাকে নিঃশর্ত ভালোবাসবে এবং তারা কখনই আপনাকে বিচার করে না। যে বন্ধুরা এক মৌসুমের জন্য থাকে তারা কেবল শর্তসাপেক্ষে সংযুক্ত থাকে। তারা বেশিরভাগ সম্পর্কের মধ্যে কিছু লাভের আকাঙ্ক্ষা করে।এসএফ
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    আজ  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার। প্রতিটি রাশির নিজস্ব স্বভাব এবং গুণ-ধর্ম থাকে, তাই প্রতিদিন গ্রহের স্থিতি অনুসারে তাদের সঙ্গে যুক্ত জাতকের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণেই প্রত্যেক রাশির রাশিফল আলাদা-আলাদা হয়। জেনে নিন আজকের রাশিফল।মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল) কোনও ভয় আপনাকে হতবুদ্ধি করে ফেলতে পারে। আবেগের বশে কাজ করলে বিপদ হতে পারে। বাড়তি কথা অশান্তি বাড়াতে পারে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে যাবেন না। সঙ্গীতশিল্পীদের জন্য ভাল সুযোগ আসতে পারে। নতুন বন্ধুর জন্য আনন্দ লাভ। স্বামীর কোনও কাজের জন্য শান্তি পেতে পারেন। পড়াশোনায় শুভ পরিবর্তন। ব্যবসার ব্যাপারে চাপ বাড়তে পারে। বাড়িতে অতিথি আসতে পারেন। আপনার থেকে বয়সে ছোট কারও কাছ থেকে উপকার নিতে হতে পারে। সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ সৃষ্টি হতে পারে। আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ। নিজের প্রতিভা প্রকাশের বিশেষ দিন।বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কাটতে পারে। প্রিয় কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে তবে বন্ধুর কারণে কোথাও সম্মানিত হতে পারেন। ব্যবসায় মনোবল থাকলে বাধা কাটবে। তবে আজ কাউকে কোনও পরামর্শ না দেওয়াই ভাল হবে। কোনও কাজে বার বার চেষ্টা করা বৃথা হবে। শরীরের কষ্ট অবহেলা করবেন না। আইনি কাজের ব্যাপারে ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাবার শরীরের ব্যাপারে চিন্তা বাড়তে পারে। সপরিবার ভ্রমণ হতে পারে। দুপুরের পরে কোনও কাজ ব্যর্থ হতে পারে। কর্মে আলস্য দেখালে ক্ষতি হতে পারে। ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।  মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। প্রেমের ক্ষেত্রে দিনটি শুভ। পরিবারের কোনও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান হতে পারে। একটু সাবধানে থাকুন, কোনও বিপদ ঘটতে পারে। কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। দাম্পত্য জীবনে সুখের খবর আসতে পারে। আর্থিক ব্যাপারে সুবিধা পেতে পারেন। উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে। ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। সংসারে সুখ ফিরবে, কিন্তু কিছু অভাব-অনটন থেকে যাবে। যানবাহন খুব সাবধানে চালাতে হবে।কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতার যোগ। মাত্রাছাড়া রাগ আপনার ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। পাওনা আদায়ে বেগ পেতে হবে। ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে। সারা দিন প্রিয়জনের সঙ্গে থাকার জন্য আনন্দ লাভ। খেলাধুলার ক্ষেত্রে শুভ পরিবর্তন আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল। নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে। অপরের জন্য কাজ করে আনন্দ লাভ। আগুপিছু না ভেবে উপার্জনের রাস্তায় পা দেবেন না।সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)ভ্রমণের পক্ষে দিনটি শুভ নয়। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব বৃদ্ধির জন্য সংসারে অবহেলা বা অশান্তি। ছোটদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে দিনটি খুব শুভ। আজ বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির যোগ তবে কর্মচারীর জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে। চাকরির স্থানে জটিলতা বাড়তে পারে। আগুন থেকে সাবধান থাকুন। মা-বাবার সঙ্গে অকারণে বিবাদ বাধতে পারে। শ্বশুরকুলকে সাহায্য করতে হতে পারে। সন্তানের চাকরিপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।  কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে। আপনার রসিকতা অপরের বিপদ ডেকে আনতে পারে। নিজের পর্যাপ্ত আয়ের সঙ্গে বাড়তি উপায়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। রাগ বা জেদ বৃদ্ধি পেতে পারে। পিতার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে চিন্তা বৃদ্ধি। ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের আশঙ্কা রয়েছে। সম্মান নিয়ে টানাটানির যোগ। সকলের সঙ্গে খুব বুঝে কথা বলুন। কারও কাছ থেকে ব্যবসায় উপকার পেতে পারেন। উচ্চপদস্থ ব্যক্তির কাছে অকারণে অপমানিত হতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)বন্ধুদের জন্য খরচ বাড়তে পারে। পড়াশোনার চাপ বাড়তে পারে। স্ত্রীর সঙ্গে একটু বুঝে চলুন। উদ্বেগ বাড়তে পারে। ব্যবসায় খরচ বাড়তে পারে। চাকরির স্থানে উন্নতির সুযোগ আসতে পারে। বাইরের লোকের জন্য খরচ বৃদ্ধি। সংসারের দায়িত্ব দ্রুত সেরে ফেলুন। দৈনন্দিন কাজে বাধা আসতে পারে। সন্তানের ব্যাপারে উদ্বেগ থাকবে। কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ। স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভাল হবে। ভাল কথার দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য সংসারে বিবাদ হতে পারে। দাঁতের রোগ বাড়তে পারে। নিজের সুবিধার জন্য কোনও কাজ করতে হবে। বাড়িতে অহেতুক অশান্তির যোগ। সকলে মিলে দূরে কোথাও ভ্রমণ হতে পারে। আপনার সম্পর্কে কোথাও নিন্দা হতে পারে। কিছু পাওনা হতে পারে। কর্মস্থানে উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে তর্ক বাধতে পারে। সংসারের ব্যয় বাড়তে পারে। গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় সুখবর আসতে পারে। রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি।  প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)চাকরিতে সুখবর আসতে পারে। রক্তচাপ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে। দুপুরের পরে দিনটি ভাল কাটলেও মানসিক চাপ থাকবে। ব্যবসায় ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর্থিক ব্যাপারে ভাল যোগাযোগ আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির চেষ্টা করতে পারেন। ভ্রাতৃবিবাদ বাড়তে পারে। সন্তানের খারাপ ব্যবহারের জন্য চিন্তা বৃদ্ধি। পিতার শরীর নিয়ে চিন্তা বাড়বে। সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে। গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।  মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)শরীর খারাপ থাকায় কর্মে ক্ষতির আশঙ্কা। আপনার সহিষ্ণু স্বভাবের জন্য সংসারে শান্তি রক্ষা পাবে। চিকিৎসার জন্য প্রচুর ব্যয় হতে পারে। সামাজিক সম্মান বৃদ্ধি পাবে। পেটের সমস্যার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে। আইনি কাজে সমস্যা বাড়তে পারে। কাজের ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাড়তি খরচের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ। মায়ের শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তা। প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালবাসা পাবেন। গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কাজের চাপে সংসারে সময় না দেওয়ায় বিবাদ হতে পারে। ব্যবসায় কিছু পাওনা আদায় হতে পারে। চাকরির স্থানে কাজের চাপ বৃদ্ধি। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা আসতে পারে।  বিলাসিতার জন্য খরচ বৃদ্ধি এছাড়াও অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের যোগ। লোকের কাছে দয়ার পাত্র হতে পারেন। স্বামীকে নিয়ে কোনও ব্যাপারে চাপ বৃদ্ধি পাবে। পিতার সঙ্গে তর্ক হতে পারে। প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে। কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা। কর্মক্ষেত্রে কিছু বাড়তি আয় হতে পারে। অতিরিক্ত ক্রোধ আপনার কর্মে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। পুলিশি ঝামেলা মিটে যাবে। মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)সন্তান-স্থান শুভ। আজ কোনও সুসংবাদ পাওয়ার জন্য মন ব্যাকুল থাকবে। কর্মে একটু জটিলতা থাকলেও সফল হবেন। প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে গিয়ে অপবাদ জুটতে পারে। সপরিবার ভ্রমণের আশা রাখতে পারেন। পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। আপনার ব্যবহার লোকের খারাপ লাগতে পারে। বুকের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় নতুন কাজের শুভ সূচনা। কোনও সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদের সম্ভাবনা। খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে। দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে। এবি 
    পিছন দিকে হাঁটার চমকে যাবার মতো উপকারিতা
    নিজেকে সুস্থ রাখতে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃভ্রমণের অভ্যাস অনেকের। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটিতে শরীর-মন দুই ভালো থাকে। তবে আপনি কি জানেন, সোজা হাঁটার থেকেও উল্টো‌ হাঁটলে মেলে বেশি ভালো ফল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পোশাকি ভাষায় একে বলে ‘রেট্রো ওয়াকিং’।১। আমরা সামনে হাঁটতে অভ্যস্ত, পিছনে নয়। পিছনে হাঁটলে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু ঠিক করে হাঁটতে পারলে শরীরের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।২। পিছনে হাঁটলে পায়ের সঞ্চালন অন্যভাবে হয়। ফলে পায়ের পেশির জোর বাড়ে। তাতে পেশি মজবুত হয়।৩। পিছনে হাঁটতে গেলে মস্তিষ্কের সঙ্গে সমন্বয় দরকার। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা আরও বাড়ে।৪। বয়স বাড়লে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান। তবে ধীরে ধীরে উল্টো হাঁটার অভ্যাস করলে এই সমস্যা আস্তে আস্তে কমতে পারে।৫। পিছনের দিকে হাঁটলে শক্তি ক্ষয় বেশি হয়। উল্টো‌ হাঁটলে ভারসাম্য রক্ষা শক্ত। ফলে একাধিক পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ওজন ঝরাতে চাইলেও এই অভ্যাস করতে পারে।৬। অস্থিসন্ধিতে অনেকের ব্যথা ও সমস্যা থাকে। উল্টোদিকে হাঁটলে হাঁটু বা অস্থিসন্ধিতে তুলনায় কম চাপ পড়ে।তবে মনে রাখবেন শুনতে যতটা সোজা, আসলে কাজটা কিন্তু বাস্তবে এতটা সোজা নয়। আস্তে আস্তে পিছনের দিকে হাঁটা অভ্যাস করুন। বড় কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে বড় খোলা জায়গায় প্রথমে এইভাবে হাঁটুন।এমআর
    ঝটপট তৈরি করুন চিজি অমলেট
    চিজ খেতে পছন্দ করেন না এরকম মানুষের সংখ্যা নেহাতই হাতে গোনা। ডিম, পাস্তা, টোস্টের সঙ্গে চিজের কিন্তু একটা দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। ডিমের সঙ্গে চিজ মিশিয়ে যেমন সুন্দর ওমলেট বানানো যায় তেমনই কিন্তু টোস্টের সঙ্গে যদি মেশে একটুকরো চিজ স্লাইস তাহলেও কিন্তু তা দেখতে বেশ লাগে। ডিম দিয়ে সাত তাড়াতাড়ি নানা রকম খাবার বানিয়ে নেওয়া যায়। এছাড়াও যখন খুশি তা খাওয়া যায়। বাড়িতে অতিথি এলে যেমন চটজলদি ডিমের ওমলেট বানিয়ে দেওয়া যায় তেমনই কিন্তু খিদে পেলেও ৫ মিনিটে বানিয়ে নেওয়া যায়। আবার ব্রেকফাস্টে অনেকেরই পছন্দ এই চিজি অমলেট। রাতে হোক কিংবা সকালে যখন গরম অমলেটের মধ্যে থেকে চিজ গলে জিভে পড়ে তখনকার মনের যে অনুভূতি তা কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যাবে না। শিশুর টিফিনেও বৈচিত্র আনতে নিত্যনতুন খাবার তৈরি করতে হয়। আর তাই কম সময়ে সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করতে চাইলে চিজ প্রেমীদের জন্য রইল দারুণ স্বাদের ৪টি চিজ অমলেট রেসিপি।জেনে নিন রেসিপি—প্লেন চিজ অমলেট- ডিম, এক চামচ দুধ, স্বাদমত লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো আর সামান্য মাখন একসঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এবার তা ১০ মিনিট রাখুন। প্যানে অয়েল ব্রাশ করে ডিম ঢেলে দিন। চিজের স্লাইস দিয়ে সাবধানে উল্টে নিলেই তৈরি চিজ অমলেট।মাশরুম-সসসেজ ওমলেট- স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট কিংবা ব্রাঞ্চ হিসেবে কিন্তু এই রেসিপি খুবই হিট। ডিম ফেটিয়ে নিন। সঙ্গে দিন দুধ, চিলি ফ্লেক্স, মাখন , লবণ আর গোলমরিচ। মাশরুম আগে থেকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ভাপ তুলে রাখুন। এবার প্যানে তেল বা বাটার দিয়ে ডিম দিন। ওপর থেকে ছোট ছোট টুকরো করে মাশরুম, সসেজ ছড়িয়ে দিন। লো আঁচে রেখে খানিকক্ষণ ঢেকে রাখুন। এবার উলটে নিলেই তৈরি ওমলেট।চিজ সবজির ওমলেট- ডিম ভেঙে ওর মধ্যে লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো, গাজর কুচি, পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, মরিচ আর ক্যাপসিকাম কুচি মিশিয়ে নিন। এবার তা ভালো করে ফেটিয়ে নিন। প্যানে তেল ব্রাশ করে নিতে হবে। এবার ডিমের গোলা ছড়িয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন। চিজ স্লাইস আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে ঢেকে দিন। ফুলে উঠলে নামিয়ে নিলেই তৈরি ওমলেট।এগ পটাটো ওমলেট- আলু সেদ্ধ করে মাখন, গোলমরিচ, লবণ দিয়ে মেখে নিন। এবার প্যানে মাখন ব্রাশ করে ডিমের গোলা দিন। চিজ স্লাইস দিন। এরপর আলুর পুর দিয়ে দিন ওর মধ্যে। চুলা আল্প আঁচে রাখুন। ফুলে উঠলেই নামিয়ে নিন। ডিনারে খুবই ভালো লাগে এই ওমলেট।এবি 
    বৃষ্টির দিনে সতর্ক থাকতে যা করবেন
    মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবে বইছে প্রচণ্ড বাতাস। চলছে একটানা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি কিংবা ঝুম বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে বাতাসের তীব্রতা। বৈরী আবহাওয়ায় স্থবিরতা বিরাজ করছে জনজীবনে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজার কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে ঠান্ডার প্রবণতা বাড়তে পারে। এতে জ্বর, কাশি বা সর্দিতে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেতে পারে।এ সময় বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরের মতন প্রাণঘাতী রোগের প্রকোপ। গত কয়েক দিনে দু-হাজারেরও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এডিস মশা এ রোগের বাহক। ডেঙ্গু জ্বর থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। বাড়ির আশপাশের জলাধার, ফুলের টবে যেন বৃষ্টির পানি জমে না থাকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।বিশেষজ্ঞরা বলেন, বৃষ্টির দিনে শরীরে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণে হতে পারে জ্বর। তাই বৃষ্টির দিনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে বাইরে যাওয়ার সময়। বৃষ্টির দিনে বাইরে গেলে সঙ্গে নিতে হবে ছাতা, রেইনকোট। আবার কোনো কারণে বৃষ্টিতে ভিজলে, ঘরে ফিরে বৃষ্টির পানি মুছতে হবে। তা না হলে ঠান্ডা জমে গিয়ে জ্বর, কাশি, সর্দি হতে পারে।এ ছাড়া বৃষ্টির দিনে রাস্তায় পানি জমে। রাস্তার এই পানিতে থাকে নানা রকমের জীবাণু। ফলে হতে পারে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ। রাস্তার এই পানি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।বৃষ্টির দিনে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিন, সুস্থ থাকার কিছু উপায়:১. জ্বর, কাশি, সর্দি হলে বিশ্রাম নিন।২. প্রয়োজনে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করতে পারেন।৩. এই সময় ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা খাবার সরাসরি খাবেন না।৪. মৌসুমি ফল ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান।৫. হালকা গরম পানিতে লেবু, মধু দিয়ে পান করতে পারেন।ডেঙ্গু জ্বরে যা জানা খুবই প্রয়োজন৬. নিতে পারেন গরম পানির ভাপ।৭. এ ছাড়া আদা চা, মসলাযুক্ত চা পান করতে পারেন।৮. বয়স্ক ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বয়স্ক এবং শিশুদের বিষয়ে সতর্ক হন।৯. বাড়ির আশপাশের জলাবদ্ধতা যতটুকু সম্ভব পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন।১০. বেশি সমস্যা অনুভূত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এমআর
    জেনে নিন বজ্রপাত থেকে বাঁচার ১৪ উপায়
    তীব্র গরমে স্বস্তি এনে দেয় এক পসলা বৃষ্টি। কিন্তু এই স্বস্তির বৃষ্টির সাথে আসা বজ্রপাত বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে বজ্রপাতজনিত মৃত্যুর কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি অপর্যাপ্ত আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং বড় গাছের অনুপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন।সাধারণত মার্চ থেকে জুন এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বজ্রঝড় হয়ে থাকে। বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে এবং উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন আবহাওয়াবিদরা।জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে ৩০০ মানুষ মারা যায়। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে বজ্রপাতের কারণে বছরে ২০ জনেরও কম মৃত্যু ঘটে।বজ্রপাত থেকে বাঁচার যে ১৪টি উপায় হলো:১. দালান বা পাকা ভবনের নিচে আশ্রয় নিন: ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু স্থানে থাকা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো একটি পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারলে।২. উঁচু গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইন থেকে দূরে থাকুন: কোথাও বজ্রপাত হলে উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেবেন না। খোলা স্থানে বিচ্ছিন্ন একটি যাত্রী ছাউনি, তালগাছ বা বড় গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে।৩. জানালা থেকে দূরে থাকুন: জ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতর থাকুন।৪. ধাতব বস্তু স্পর্শ করবেন না: বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ করবেন না। বজ্রপাতের সময় এগুলো স্পর্শ করেও বহু মানুষ আহত হয়।৫. বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র থেকে সাবধান: বজ্রপাতের সময় বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও ধরবেন না। বজ্রপাতের আভাষ পেলে আগেই এগুলোর প্লাগ খুলে সম্পূর্ণ  বিচ্ছিন্ন করুন।অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখুন।৬. গাড়ির ভেতর থাকলে: বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। গাড়ির কাচেও হাত দেবেন না।৭. খোলা ও উঁচু জায়গা থেকে সাবধান: এমন কোনো স্থানে যাবেন না, যে স্থানে আপনিই উঁচু। বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা বড় মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি নিচু হয়ে যান। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু কোনো স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে যান।৮. পানি থেকে সরুন: বজ্রপাতের সময় আপনি যদি ছোট কোনো পুকুরে সাঁতার কাটেন বা জলাবদ্ধ স্থানে থাকেন তাহলে সেখান থেকে সরে পড়ুন। পানি খুব ভালো বিদ্যুৎ পরিবাহী।৯. পরস্পর দূরে থাকুন: কয়েকজন মিলে খোলা কোনো স্থানে থাকাকালীন যদি বজ্রপাত শুরু হয় Shank প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে সরে যান। কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।১০. নিচু হয়ে বসুন: যদি বজ্রপাত হওয়ার উপক্রম হয় তাহলে কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ রাখুন। কিন্তু মাটিয়ে শুয়ে পড়বেন না। মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।১১. বজ্রপাতের আগ মুহূর্তের লক্ষণ জানুন: আপনার উপরে বা আশপাশে বজ্রপাত হওয়ার আগের মুহূর্তে কয়েকটি লক্ষণে তা বোঝা যেতে পারে। যেমন বিদ্যুতের প্রভাবে আপনার চুল খাড়া হয়ে যাবে, ত্বক শিরশির করবে বা বিদ্যুৎ অনুভূত হবে। এ সময় আশপাশের ধাতব পদার্থ কাঁপতে পারে। অনেকেই এ পরিস্থিতিতে ‘ক্রি ক্রি’ শব্দ পাওয়ার কথা জানান। আপনি যদি এমন পরিস্থিতি অনুভব করতে পারেন তাহলে দ্রুত বজ্রপাত হওয়ার প্রস্তুতি নিন।১২. রবারের বুট পরুন: বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।১৩. বাড়ি সুরক্ষিত করুন: আপনার বাড়িকে বজ্রপাত থেকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। এজন্য আর্থিং সংযুক্ত রড বাড়িতে স্থাপন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিতে হবে। ভুলভাবে স্থাপিত রড বজ্রপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।১৪. বজ্রপাতে আহত হলে: বজ্রপাতের সময় আশপাশের মানুষের খবর রাখুন। কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। একই সঙ্গে এ সময় বজ্রাহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়ে রাখুন।এমআর
    মাঙ্কিপক্স ছড়ায় যেসব প্রাণী থেকে
    মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত প্রাণীজাত (জুনোটিক) রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের একটি বিজ্ঞানাগারে এক বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় বলে একে মাঙ্কিপক্স বলা হয়। এ রোগটির প্রাদুর্ভাব ১৯৭০ সাল থেকে প্রধাণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার ১১টি দেশে দেখা যায়। ইতিপূর্বে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশেও এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তবে এর নাম শুনে মনে হতে পারে বানরই এ রোগের জন্য দায়ী, যা সঠিক নয়।বানরই এ রোগের জন্য দায়ী?ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্য কুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।ছড়ায় কীভাবে?সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি যেকোনো ধরনের সংস্পর্শ বা যৌনমিলনের মাধ্যমে, ব্যবহার করা কাপড়, সুই বা অন্যান্য জিনিসপত্রের মাধ্যমে, আক্রান্ত প্রাণী শিকার করা, কাটা বা রান্না করার সময়, কম তাপমাত্রায় আক্রান্ত প্রাণীর রান্না করা মাংস খেলে এমনকি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের থেকে তাদের অনাগত শিশুর কাছেও ভাইরাসটি যেতে পারে।জটিলতাসঠিক চিকিৎসা না হলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত, বিকৃত দাগ, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ব্রঙ্কোপনিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, কর্নিয়াল ইনফেকশন, অন্ধত্ব, সেপটিসেমিয়া, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি হতে পারে।প্রতিরোধআক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যবহার করা কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্র স্পর্শ করা যাবে না।আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। সংস্পর্শে এলে দ্রুত সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।প্রাণীর মাংস সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করে খেতে হবে। যদি রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।এইচএ
    বক্তব্যে জড়তা কাটানোর প্র্যাক্টিক্যাল টিপস
    মানুষ সৃষ্টিজগতের সেরা জীব। অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তা আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। মানুষের এত বৈশিষ্ট্যের মাঝে যোগাযোগ দক্ষতা একেবারেই স্বতন্ত্র। যোগাযোগেরই এক মাধ্যম কথা বলা কিংবা বক্তব্য/বক্তৃতা দেওয়া। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরাআনুল কারীমে সূরা আর রাহমানে বলেছেন, عَلَّمَہُ الۡبَیَان অর্থঃ তিনিই শিখিয়েছেন বাক কৌশল। (সূরা আর রহমান, আয়াত: আয়াত ০৪) মানুষের বাক কৌশল একটি বিশেষায়িত গুন যা স্বতন্ত্রভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উল্লেখ করেছেন। আমাদের অনেকের চিন্তা করার শক্তি বেশ প্রখর কিন্তু সেই চিন্তার বহিঃপ্রকাশের জন্য গুছিয়ে কথা বলতে গেলে খুব কষ্ট হয়। একধরনের ভীতি কাজ করে। মানুষের সামনে কিছু বলতে গেলেই বুক কাঁপে অথবা কথায় আড়ষ্টভাব পরিলক্ষিত হয়। অথচ সেই মানুষটিই হয়ত তার পরিবারে কিংবা বন্ধুমহলে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারে। কারও যদি এমন সমস্যা থাকে তাহলে চলুন প্র্যািক্টিক্যাল কয়েকটা টিপস শেয়ার করি যা আপনাকে এই সোশ্যাল ফোবিয়া বা এংজাইটি থেকে উত্তরণে সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। প্রথম ধাপ-  দুয়া করা: আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দুয়া করুন যেন তিনি আপনাকে অন্যের সামনে ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করেন। নবী মূসা আলাইহিস সালামের দুয়াটি বেশি বেশি পড়তে পারেন।رَبِّ اشْرَحْ لِيْ صَدْرِيْ وَيَسِّرْ لِيْ أَمْرِيْ وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّنْ لِّسَانِيْ يَفْقَهُوْا قَوْلِي (হে আমার প্রতিপালক, আমার হৃদয় প্রশস্ত করে দিন, আমার কাজ সহজ করে দিন এবং আমার জিহ্ববার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। (সূরা ত্বাহা, আয়াত: ২৫-২৮)নবী মূসা আলাইহিস সালাম যখন তার ভাই হারুন আলাইহিস সালামকে সাথে নিয়ে ফিরাউনকে দাওয়াত দিতে গিয়েছিলেন তার আগে এই দুয়া করেছিলেন। দোর্দন্ড প্রতাপশালী ফিরাউনের সামনে কথা বলতেও সমস্যা হয়নি নবী আলাইহিস সালামের। আর আপনি যাদের সামনে কথা বলবেন তারা কেউই ওরকম ক্ষমতা আর দাপটের অধিকারি নন। দ্বিতীয় ধাপ-  বক্তৃতা/বক্তব্য শোনা: বলা হয় যে, যদি কেউ একপাতা লিখতে চায় তাহলে সে যেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটা বই পড়ে, আর যে কিছু বলতে চায় বা বক্তৃতা দিতে চায়, সে যেন অনেক বেশি বক্তৃতা শোনে। একদম বাস্তবসম্মত পরামর্শ বা উপদেশ। মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য এমন যে, সে যেমন পরিবেশে বেড়ে উঠে তেমনিভাবে চিন্তা করতে শেখে, বলতে শেখে আর তার আচরণ প্রভাবিত হয় সেই পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা। তাই যে মানুষের সামনে কথা বলতে চায়, বক্তৃতা দিতে চায়, তার জন্য বক্তব্য শোনা খুব জরুরী। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ববরেণ্য অনেক বক্তার বক্তব্য ইউটিউবে খুব সহজলভ্য। বাংলা ভাষায় সুন্দর গুছিয়ে কথা বলেন এমন অনেকেই রয়েছেন এপার বাংলা ও ওপার বাংলায়। কষ্ট করে ইউটিউবে থেকে খুঁজে নিতে হবে। অবশ্যই যারা ক্ল্যাসিকাল ধাঁচে বক্তব্য দেন কিংবা কথা বলেন তাদের কথা শুনবেন। যারা সাবলীল গতিতে লেকচার ধাঁচে কথা বলেন তাদের কথা শুনবেন। ইংরেজিতে সাবলীল বক্তব্য দেওয়ার জন্য আপনি Oxford Union এর বিতর্ক কিংবা বক্তব্য শুনতে পারেন। এছাড়াও যখন বাসায় অলস সময় কাটাচ্ছেন তখন BBC কিংবা CNN টিভি চ্যানেল চালু করে রাখবেন। খুব বেশি মনযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বুঝতে চেষ্টা করবেন কি বলা হচ্ছে। কিছুদিন পরেই দেখবেন ইংরেজিতে কথা বলার দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।Public Speaking: Practice and Ethics বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ে এ বিষয়ে চমৎকার আলাপ তুলে ধরেছেন আমেরিকার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক Jason et al.“আপনি অন্যদের মনোযোগ দিয়ে শোনার ফলে আরও বেশি করে বুঝতে শুরু করেন কিভাবে লোকেরা যুক্তি তৈরি করে এবং তথ্য উপস্থাপন করে। এর ফলে, কার্যকর ও অকার্যকর বিষয়বস্তু নিয়ে আপনি বিশ্লেষণ করতে পারেন, ফলশ্রুতিতে আপনার নিজের বক্তব্যগুলো উন্নত করতে পারেন” তৃতীয় ধাপ- অডিও রেকর্ডিং: আমাদের সবার হাতেই এখন স্মার্টফোন আছে। যা একটি চমৎকার টুলস হিসেবে আপনাকে সহায়তা করতে পারে। আপনার চিন্তায়র্যো বিষয়গুলো আসছে সেগুলো একটু গুছিয়ে নিন। হাতের কাছে স্মার্টফোনের অডিও রেকর্ডিং অপশন চালু করে কথা বলতে শুরু করুন।নিজে একা একা অডিও রেকর্ড করুন। লাগাতার এক সপ্তাহ প্রতিদিন যেকোন বিষয়ে একটা বা দুইটা অডিও রেকর্ড করবেন। এক্ষেত্রে চাইলে কোন বিষয় বই থেকে দেখে নিতে পারেন পূর্বে অথবা মুখস্থ বিষয় ও না দেখে বক্তৃতার ধাঁচে রেকর্ড করবেন। সপ্তাহ পরে সেগুলো প্রথমটা থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে পরেরগুলো শুনবেন। এই ধাপে আরও একটা কাজ খুব সচেতনতার সাথে করতে হবে আর তা হল - মূল্যায়ন। অডিও শুনবেন ও  খাতা কলম নিয়ে লিখতে থাকবেন যে, নিজের কাছে কোথাও কোন ঘাটতি মনে হচ্ছে কি না? প্রথম দিনের চেয়ে পরের অডিওগুলোতে নিজে কোন উন্নতি বুঝতে পারছেন কি না? এভাবে কিছুদিন অডিও রেকর্ডিং ও স্বনির্ধারনী মূল্যায়নের মাধ্যমে নিজেকে অনেকটা ভালো অবস্থানে খুঁজে পাবেন। Alsyouf 2021 সালে উনার এক গবেষণায় প্রমান করেন যে, বক্তৃতার ক্ষেত্রে অডিও/ভয়েস রেকর্ডিং নিম্নোক্ত উপায়ে একজন বক্তাকে উপকৃত করে থাকে - (ক) শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করে ও কথা বলায় সাবলীল গতি আনয়ন করে।  (খ) বক্তব্য প্রদানে দক্ষতা বৃদ্ধি করে ও উদ্যম বাড়াতে সহায়তা করে।  (গ) শব্দ উচ্চারণের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। চতুর্থ ধাপ- ভিডিও রেকর্ডিং: তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ অডিও রেকর্ডিং করে ও মূল্যায়নের মাধ্যমে কিছুটা ধাতস্থ হলে পরবর্তীতে স্মার্টফোনের ভিডিও রেকর্ডিং অপশন চালু করে ভিডিও করবেন। এবং আগের ধাপে যেভাবে স্বনির্ধারনী মূল্যায়ন পদ্ধতির কথা বলেছি সেভাবেই অনুসরণ করবেন। আর প্রতিদিনের ভিডিও সেইদিন দেখবেন না। তাহলে আপনি আগ্রহ হারাবেন। একাদিক্রমে এক সপ্তাহ ভিডিও করার পরে একদিন বসে বসে সেগুলো দেখবেন ও মূল্যায়ন করে দূর্বলতা ও উন্নতি চিহ্নিত করবেন। রেকর্ডেড ভিডিওতে আপনার শারীরিক ভঙি, কথা বলার শরীরি ভাষা ও গলার কন্ঠস্বরের উঠানামা খেয়াল করবেন। আরও কি করলে ভাল হত সেগুলো নিজেই বুঝতে পারবেন। বিজ্ঞানী Cheng and Chau 2009 সালের এক গবেষণায় প্রমান করেন যে সাবলীল বক্তব্য দেওয়ার অভ্যাস করতে ভিডিও রেকর্ডিং চমৎকার ও কার্যকরী একটা মাধ্যম যার শিক্ষার্থীগণ তাদের বক্তব্যের গুনগত মান যাচাই করতে সম্ভব হয় ও উন্নতির চেষ্টা করতে পারে। পঞ্চম ও শেষ ধাপ- আয়নার সামনে কথা বলা: যদিও এইটা সবশেষে লিখছি কিন্তু উপস্থাপনা কিংবা বক্তৃতা অভ্যাসের জন্য এইটিই প্রাচীনতম পদ্ধতি। যারা শিখে বক্তব্য বা বক্তৃতা করতে চান তারা প্রায় সকলেই এই পদ্ধতিতে নিজেকে যাচাই করে নিয়েছেন এ কথা বলাই যায়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়েই কথা বলবেন যত লম্বা সময় ধরে চালিয়ে যেতে পারেন। ভাববেন যে, একটা বক্তব্য দিচ্ছেন। নিজের মুখভঙ্গি , শারীরিক অঙ্গভঙ্গিও খেয়াল রাখবেন। পূর্বে রেকর্ডেড ভিডিও করে ও মূল্যায়ন করে যেসকল বিষয় উন্নতির কথা ভেবেছিলেন এখন আয়নার সামনে কথা বলতে সেগুলো শুধরিয়ে নিয়েছেন কিনা খেয়াল করবেন। এছাড়া আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে গেলে আপনি পুরো শরীরের ভাষা তাৎক্ষণিক অনুধাবন করতে পারবেন। অনেকেই বক্তব্যের মাঝে এতবেশি হাত নাড়াতে থাকেন যা দর্শকদের জন্য বিরক্তির উদ্রেক করে। আবার মূর্তিমান হয়ে কেউ কেউ দাঁড়িয়ে থেকে হাত দুটো শরীরের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে কথা বলেন যা মোটেও একজন ভাল বক্তার পরিচয় বহন করে না, দেখেই মনে হয় যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। আবার কেউ একটা হাত একইভাবে একটু উপরে তুলে শুধু একইভাবে সামনে পিছনে করতে থাকেন যেইটা পুতুলের মত বা পাপেট সদৃশ মনে হয়। আয়নায় নিজের চোখের দিকেই নিজে তাকিয়ে কথা বলার অভ্যাস করুন। তাহলে দর্শকের দিকে বিভিন্নজনকে দৃষ্টি সংযোগে আনতে সুবিধা হবে। আপাতত কথা বলার সময় সোশাল এংজাইটি কিংবা ফিয়ারনেস কাটানোর ব্যাপারে প্রাথমিক তবে খুব বাস্তবধর্মী কিছু পরামর্শ রইলো। সফলতার কোন সংক্ষিপ্ত রাস্তা নেই। যেকোন বিষয়ে সফল হতে হলে সাধনার বিকল্প নেই। তাই লেগে থাকুন। উপরোক্ত ধাপগুলো ক্রমান্বয়ে অনুসরণ করুন। আশা করা যায় আপনিই একদিন নিজেকে অনন্য বক্তা হিসেবে মেলে ধরতে পারবেন দেশ ও দেশের বাইরে। ইনশাআল্লাহ। রেফারেন্সঃ (১) আল কুরআনঃ সূরা ৫৭ ও আয়াত ০৪;   (২) আল কুরআনঃ সূরা ২০ ও আয়াত ২৫-২৮;  (৩) Jason et al. Public Speaking: Practice and Ethics, p. 76;  (৪) Alayoif 2021, The effect of voice recording as a tool to improve speaking skills, Runas Journal of Education and Culture,, vol. 5, 2021. লেখক: এস.এম. আবু নাছের (ব্যাংকার, গবেষক ও লেখক)
    রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির এক মহৌষধ ননি ফল
    দেশে নানা প্রজাতির ফল পাওয়া যায়। তেমনি একটি ফল হলো ননি ফল। এ ফল শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির এক মহৌষধ। অনেকের কাছেই ননি ফল অপরিচিত। ননি ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে মরিন্ডাসিট্রিফলিয়া এটি একটি আফ্রিকান ফল। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এটি সর্দি কাশি, লিভারের সমস্যা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এই ফলের মধ্যে রয়েছে শতাধিক পুষ্টিগুণ। ননি গাছের শুধু পাতা থেকে নয়, শিকড় থেকেও ভেষজ ওষুধ তৈরি করা যায়। ননি ফল ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা করে।ননি ফল ইন্ডিয়ান মালবেরি নামেও পরিচিত। ননি ফলের রং পাকা অবস্থায় বাইরের অংশ হলুদাভ সাদা এবং বাইরে বাদামি গোলাকার দাগযুক্ত। ননি গাছ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অর্থাৎ ভারত উপমহাদেশে জন্মায়। আমাদের দেশের যশোর, মেহেরপুর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় এই ফলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বাংলাদেশেও এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ সম্ভব।ননি ফলের উপকারিতাশুধু ননি গাছের পাতা থেকে নয়, শিকড় থেকেও ভেষজ ওষুধ তৈরি করা যায়। ননি ফল ক্যান্সারের মতো বিপজ্জনক রোগ থেকে রক্ষা করে।  চলুন ননি ফলের  উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-১. ননি ফল ডায়াবেটিসের জন্যও বেশ কার্যকর। আসলে, ননি ফলের মধ্যে এমন অনেক বিশেষ উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরে রক্তে শর্করা বৃদ্ধির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে ননি গাছের পাতাও অত্যন্ত উপকারী।২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ননি ফলও খাওয়া যেতে পারে। ননি ফল এবং পাতায় একটি বিশেষ ধরনের সক্রিয় যৌগ থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করতে কাজ করে।৩. ননি ফল ক্যান্সারের মতো বড় রোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।  এই ফল টিউমার কোষ নির্মূল করে লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে।৪. এই ফলের আরও বড় একটি উপকারিতা হল এই ফল দীর্ঘ সময়ের জন্য তারুণ্য রাখতে সাহায্য করে।৫. পেটের সমস্যা দূর করতে ননি খাওয়া যেতে পারে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই ফলটি ওষুধের মতো কাজ করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা রোগও নিরাময় হয় এই বিশেষ ফলটি খেলে।৬. ননিকে প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্যের একটি ভালো উৎস।  ত্বক ফুলে যাওয়া, লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে এই ফল সেবন করা যেতে পারে। এর পাতায় এমন অনেক উপাদান পাওয়া যায়, যা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ালের মতো কাজ করে। এই পাতার সাহায্যে ক্ষতস্থানকে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।এইচএ
    যেভাবে রান্নাঘরেই করতে পারেন ভেষজ বাগান
    রোজকার রান্নায় বেশকিছু ভেষজের ব্যবহার হয়েই থাকে। এগুলো যদি বাজার থেকে না কিনে বাড়িতেই করতে পারেন। রান্নাঘরের জানালার বাইরেই লাগাতে পারেন পুদিনা, ধনিয়া বা কারি পাতার গাছ।ধনে পাতা বা পুদিনা পাতা বেশি দিন ফ্রিজে রাখলে শুকিয়ে যায়। তাই চাইলেও একসঙ্গে অনেকটা কিনে আনা যায় না। নিজের বাগানের তাজা ভেষজ যদি রান্নায় দেওয়া যায়, কেমন হয়? তাহলে দেরি না করে এই বার রান্নাঘরেই করে ফেলুন ভেষজের বাগান।পুদিনা: রান্নাঘরের ছোট্ট জায়গাতে করতে পারেন পুদিনার চাষ। কাজটা খুবই সহজ। তার জন্য বাজার থেকে মূলশুদ্ধ পুদিনা পাতার একটি আঁটিই যথেষ্ট। ছোট্ট টবের মধ্যে পুতে দিন এই গাছ। পুদিনার জন্য সরাসরি সূর্যালোক না রাখলেই ভালো।ধনে পাতা: যেকোনো তরকারিতে স্বাদ ফেরাতে ধনে পাতার জুড়ি নেই। তাছাড়াও ঝালমুড়ি বা মুখোরচক আইটেম করলেই লাগবে এই ধনে পাতা। তাই বাজার থেকে না কিনে গাছ লাগিয়ে নিন কিচেন গার্ডেনেই। সার দেওয়া মাটিতে অল্প ধনের বীজ ছড়িয়ে দিলেই গাছ হয়ে যাবে।কারি পাতা: যেকোনো পদে স্বাদ ও সুগন্ধ যোগ করতে সুনাম রয়েছে এই কারি পাতার। তাই একটি ছোট্ট টবে রান্নাঘরের কোণেই চাষ করতে পারেন কারি পাতা। তবে টবটি এমন জায়গাতে রাখবেন যেখানে সূর্যালোক সরাসরি আসে। আর তাতে নিয়মিত পানি দিতে ভুলবেন না।রোজমেরি​: ত্বক ও চুলের যত্নে রোজমেরির বেশ কার্যকরী। এছাড়াও নানা পদে যোগ করলে শুকনা রোজমেরি স্বাদ বাড়বে বৈকি। তাই রোজমেরিও রাখতে পারেন আপনার কিচেন গার্ডেনে।মেথি: রান্নার স্বাদ বাড়াতে অনেকে ছড়িয়ে দেন শুকনা মেথি। একটি টবে মেথি দানা দিলেই চারা গজাবে গাছের। মাঝেমধ্যে অল্প অল্প পানি দিলেই চলবে।লেমনগ্রাস: খুব সহজেই হয় লেমন গ্রাস। তবে সরাসরি সূর্যালোকেই রাখতে হবে এই গাছ। তারপর নানা পদে ইচ্ছেমতো ব্য়বহার করতে পারেন এর ফ্লেভার।এইচএ 
    ফ্রিজে ভাত রাখা যাবে যতক্ষণ
    সাদা ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস- চাল দিয়ে রান্না করা আমাদের প্রিয় খাবারের তালিকা অনেক লম্বা। এ থেকেই বোঝা যায় যে, আমাদের পরিবারগুলোতে প্রতিদিন প্রচুর ভাত বা এ জাতীয় খাবার রান্না হয়। খাওয়ার পরে বেঁচে যাওয়া ভাত সাধারণত আমরা ফ্রিজে রেখে দিই। কারণ বাইরে রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ করার জন্য এটি সাবধানে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভাত সব সময় দ্রুত ঠান্ডা করতে হবে এবং দূষণ এড়াতে বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রান্না করা ভাত ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার কম তাপমাত্রায় রাখতে হবে। খাওয়ার আগে এটি আবার ভালোভাবে গরম করতে ভুলবেন না।রেফ্রিজারেটরে ভাত কতক্ষণ সংরক্ষণ করা যাবে?রান্না করা ভাত ২৪ ঘণ্টার বেশি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, ইউকে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রিজে রাখা ভাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খাওয়া উচিত এবং একবারের বেশি গরম করা উচিত নয়।ভাত সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?রান্না না করা ভাতে ব্যাসিলাস সেরিয়াসের স্পোর থাকতে পারে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া ভাত রান্না করার পরেও বেঁচে থাকতে পারে এবং ভাতকে ঘরের তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রেখে দিলে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। রান্না করা ভাত ফ্রিজে রাখা হলেও, আর্দ্রতা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে। ব্যাকটেরিয়া বিষ তৈরি করতে পারে যা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।ফ্রাইড রাইস সিন্ড্রোম কী?ফ্রাইড রাইস সিন্ড্রোম ব্যাসিলাস সেরিয়াস দ্বারা সৃষ্ট খাদ্য বিষক্রিয়াকে বোঝায়। এই ধানের ব্যাকটেরিয়া স্পোর গঠন করে যা ক্ষতিকারক টক্সিন নির্গত করে।কোন ধরনের ভাতে ঝুঁকি বেশি?বাদামী এবং সাদা উভয় চালের ভাতেই ব্যাসিলাস সিরিয়াস স্পোর থাকতে পারে। ছত্রাক ভাতের উপরেও জন্মাতে পারে। যা কালো, সবুজ বা সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ হিসেবে দেখা যায়। ভাতের সবচেয়ে সাধারণ ছত্রাক হলো Aspergillus oryzae, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণ হতে পারে।এমআর
    জেনে নিন আজকের রাশিফল ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    মেষ রাশি (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল)আগুন থেকে সাবধান থাকুন। ব্যবসায় বিশেষ পরিবর্তন দেখতে পাবেন। সমাজসেবায় দান করার ইচ্ছা জাগবে। সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। গুরুজনদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। দাম্পত্য কলহ বাধার সম্ভাবনা। নিজের সম্পত্তির কিছু অংশ অপরকে দিতে হতে পারে। বিকেলের দিকে দামি উপহার পেতে পারেন। ব্যবসায় অগ্রগতি হওয়ায় আনন্দ। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সময়টা বিশেষ ভাল নয়। মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে। বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল - ২১ মে)স্বামীর সঙ্গে বিবাদ অনেক দূর যেতে পারে। স্বজনবর্গের সঙ্গে মনোমালিন্য মিটে যেতে পারে। শত্রুর সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন। স্ত্রীর পরামর্শে লাভবান হতে পারেন। প্রেমে অপর কারও জন্য অশান্তি হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যয় আপনাকে চিন্তায় ফেলতে পারে। পুরনো ব্যথা নতুন করে দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পদন্নোতির খবর আসতে পারে। কোনও বিতর্কে যাবেন না, ক্ষতি হতে পারে। পদার্থবিদ্যার শিক্ষার্থীরা সাফল্য পাবেন। পেটের সমস্যায় ভোগান্তি হতে পারে।মিথুন রাশি (২২ মে - ২১ জুন)বন্ধুদের সৌজন্যে প্রচুর আয়  হতে পারে। পথেঘাটে খুব সাবধানতা অবলম্বন করুন, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্তানদের জন্য ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। সমাজের কাজে বেশি না জড়ানোই শ্রেয়, মানহানির আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত আবেগ আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। আটকে থাকা কাজ সম্পূর্ণ হতে পারে। নিজের কৌশলে শত্রুর মন জয় করতে পারবেন। বাড়িতে মনের মতো অতিথি সমাগমে আনন্দ লাভ। হঠাৎ বিষয়-সম্পত্তির প্রাপ্তিযোগ রয়েছে। অপ্রিয় সত্যি কথা বলায় বিপত্তি ঘটতে পারে। কর্কট রাশি (২২ জুন - ২২ জুলাই)কারও প্রতি আপনার ব্যবহার রূঢ় হতে পারে। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে। বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে। রক্ত সংক্রান্ত রোগে ভোগান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। নিজের কৌশলে ব্যবসায় উন্নতির যোগ দেখা যাচ্ছে।  গৃহনির্মাণে বাধা পড়তে পারে। রাস্তাঘাটে চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। সঙ্গীতচর্চার বিশেষ সুযোগ আসতে পারে। অকারণে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে। মামলায় জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিংহ রাশি (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট)দাম্পত্য কলহের কারণে মনঃকষ্ট বাড়তে পারে। কোনও জটিল সমস্যা আপনাকে ভোগাতে পারে। ভাল কথাবার্তায় সকলের মন জয় করতে পারবেন। জমিজমা কেনাবেচার পরিকল্পনা সফল হবে। বায়ুপথে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। নতুন কাজের সুযোগ আসতে পারে। বাড়ির দায়িত্ব পালনে সক্ষম না-ও হতে পারেন। উচ্চশিক্ষার জন্য বিশেষ সুযোগ আসতে পারে। শেয়ারে শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে। বাড়তি কিছু খরচ হতে পারে। শত্রুর আক্রমণ থেকে একটু সাবধান থাকুন।কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর)ব্যবসায় ভাল সুযোগ আসতে পারে। বাইরের অশান্তি আপনাকে নাজেহাল করতে পারে। খুব নিকট কারও কাছ থেকে আঘাত পেতে পারেন। নতুন বন্ধু হতে পারে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিপত্তি ঘটতে পারে। দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ করে অশান্তি দেখা দিতে পারে। গুরুজনদের শারীরিক অবস্থা ভাল যাবে না। কোনও আশা পূরণ হতে পারে। কোনও অজানা স্থান থেকে অর্থ আসতে পারে। শারীরিক কষ্ট বৃদ্ধি পেতে পারে। তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর)আইনি কাজে সাফল্য লাভ। সারা দিন নানা দিক থেকে কাজের সুযোগ আসতে পারে। পিতার শরীর নিয়ে একটু ভাবনা হতে পারে। প্রেমে বাধা থাকলেও সঙ্গে আনন্দ থাকবে। বিদ্যার্থীদের নতুন যোগাযোগ আসতে পারে। সহকর্মীর ভাল ব্যবহারে নিজেকে ভাসিয়ে দেবেন না। গৃহনির্মাণের জন্য শুভ সময়। পেটের সমস্যা একটু থাকবে। পরিবারের পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিন। দুপুরের পরে সম্মান নষ্ট হতে পারে। সন্তানের ব্যবহারে মনঃকষ্ট। বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর)মানসিক যন্ত্রণার কারণে ঘুমের ব্যঘাত হতে পারে। কারও বিবাহ সংক্রান্ত কাজে কিছু দান করতে হতে পারে। শিল্পীদের জন্য সামনে খুব উপযুক্ত সময়। ভ্রমণের জন্য উৎসাহিত হতে পারেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। স্বাস্থ্য ভাল যাবে না। কিছু পাওয়ার জন্য মনে জেদ সৃষ্টি হতে পারে। কর্মস্থানে সুনাম বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘ দিনের ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। সন্তানদের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে। পড়াশোনার ব্যাপারে অসুবিধা থাকলে মিটে যাবে।  ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর)বাড়ির সকলে মিলে তীর্থ ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।  পুরনো কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে। সন্তানের কোনও ভাল কাজ আপনাকে অবাক করবে। বিনিয়োগী ব্যবসায় ফল ভাল পাওয়া যাবে। ব্যয় কম হবে। সঙ্গীতচর্চায় হাল ছাড়লে মুশকিল হতে পারে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে খুব প্রতিকূল সময়। অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে সংসারে অশান্তির যোগ দেখা যাচ্ছে। গুরুজনদের কথায় বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। ঠান্ডা লাগার জন্য মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। কোনও অসৎ কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে। মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি)আপনার নিজের মতে কিছু করার জন্য বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে। বন্ধুদের কথায় চললে আপনার খুব ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। যানবাহন নিয়ে চলাফেরায় বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। নিজের দায়িত্ব পালন করতে না পারায় ব্যবসায় অশান্তি। পুরনো পাওনা আদায় হতে পারে। সারা দিন চিত্তচাঞ্চল্য বজায় থাকবে। কারও কাছ থেকে খুব দামি কোনও উপহার  পেতে পারেন। হতাশার জন্য শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুভ কাজে সাফল্য লাভ। কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি)কারও বিবাহের সংবাদে আনন্দ লাভ। যানবাহনে ওঠানামায় বিপদের আশঙ্কা। ঘাড়ের যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে পারেন। কোনও উচ্চাশা সফল হতে পারে। মামলা-মোকদ্দমা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলাই ভাল হবে। সাংসারিক শান্তি বজায় থাকবে। পুরনো শত্রুর কাছ থেকে বন্ধুর মতো ব্যবহার পাবেন। সারা দিন হিসেবি ভাবে চললেও খরচ কমবে না। শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী কাজের চাপ নিন, অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ)ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে। চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ অনুকূল সময়। কাউকে নিজের দুর্বলতা দেখালে ফাঁসতে হতে পারে। দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সমস্যা থাকবে না। বাড়ির পরিবেশ অনুকূল থাকবে। বাড়ির বড়দের শরীর নিয়ে একটু চিন্তা থাকতে পারে। নিজের ক্ষমতা দেখানোর সুযোগ পাবেন। এবি 
    মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
    মেছতার কারণে মুখের সৌন্দর্য কমে যায় অনেকটাই। এটি এমনই এক নাছোড়বান্দা সমস্যা যে সহজে দূর হতে চায় না। অনেক সময় বয়স বৃদ্ধির কারণে এই সমস্যা হতে পারে।  মেছতা দূর করতে অনেকে লেজার ট্রিটমেন্ট করায়। লেজার শুধু করালেই হয় না, এরপর প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের। এদিকে বেশিরভাগই লেজার ট্রিটমেন্টের পরে সঠিকভাবে যত্ন নেন না। যে কারণে ত্বক আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। তাই মেছতা দূর করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া উপায়।তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মেছতা কেন হয়? এবং এটি দূর করার ঘরোয়া ইপায় সম্পর্কে-*** নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ বা ইনফার্টিলিটির চিকিৎসার জন্য ওষুধ খেলে মেচেতার ঝুঁকি বাড়ে।*** শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রায় হেরফের হলে মুখে মেচেতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। রজোনিবৃত্তির পর কিংবা গর্ভাবস্থাতেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।*** যারা দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে রোদে কাজ করেন সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার না করে, তারাও এই সমস্যায় পড়েন। মুখে মেছতা পড়ার অন্যতম কারণ হলো অতিবেগনি রশ্মি। সূর্যের আলোর মধ্যে থাকা ইউভি-এ এবং ইউভি-বি ত্বকে মেলানিন উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে মুখে মেচেতার দাগ পড়তে পারে।*** মুখের কালো দাগছোপ তুলতে বহু নারীরাই ব্যবহার করেন স্টেরয়েডজাত ক্রিম। কিন্তু দীর্ঘদিন এ সব ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি আটকানো মুশকিল।কীভাবে মেচেতার দাগ তুলবেন?*** চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে ডিমেলামাইজিং ক্রিম। এ ছাড়া লেজার ট্রিটমেন্ট করেও এই দাগ তোলা যেতে পারে। এই ট্রিটমেন্ট বেশ খরচসাপেক্ষ।*** এ ছাড়া রূপটানের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেও দাগ হালকা হতে পারে। তিন-চার চামচ টক দইয়ে একচামচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখুন ১৫-২০ মিনিটের জন্য। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের বদলে অ্যালোভেরার শাঁস ব্যবহার করতে পারেন।*** লেবুর রসে চিনি মিশিয়ে মেছতার দাগের ওপর হালকা হাতে ঘষতে হবে, যতক্ষণ না চিনির দানাগুলি গলে যায়।*** অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে তুলো দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ২০-৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।এইচএ
    স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হলে কীভাবে নিজেকে শান্ত রাখবেন? জানুন সহজ সমাধান
    দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়েই থাকে। মনের মধ্যে রাগ পুষে না রেখে ঝগড়া করে নেওয়াই ভাল। মন খুলে ঝগড়া করা যেতেই পারে, তবে ঝগড়ার পরবর্তী মুহূর্তগুলি কীভাবে সামলাচ্ছেন, সেটা কিন্তু ভীষণ জরুরি। দীর্ঘদিনের সাজানো সংসার ভেঙে যেতে পারে খানিক ক্ষণের উত্তেজনার বশেই। তাই ঝগড়ার পরে কিন্তু দু’জনকেই সাবধান হতে হবে। জানতে হবে নিজেকে শান্ত রাখার কৌশল। সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়ার পর কীভাবে মেজাজ ঠান্ডা করে পরিস্থিতি সামাল দেবেন, রইল সহজ সমাধান। ১। ঝগড়ার শেষে একে অপরকে খানিকটা সময় দিন। সঙ্গে সঙ্গে মিটমাট করতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, কী করলে ঝগড়া এড়ানো যেত। কিছুটা সময় দিলে দু’জনের মন থেকেই ধীরে ধীরে অশান্তির রেশ কমে যাবে। তার পরেই না হয় সঙ্গীর সঙ্গে ঠান্ডা মাথায় কথা বলুন।২। ঝগড়ার পরেই দরজায় খিল আটকে বসে থাকবেন না যেন। রাগ পুষে রাখলে সমস্যা কিন্তু আরও বাড়বে। খানিকটা শান্ত হয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলুন। ঝগড়ার পরেই পরস্পরের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে খানিক সময় লাগে। তাই বলে একেবারে কথা বন্ধ করে বসে থাকার কোনও অর্থ হয় না।৩। ঝগড়ার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই সমান ভূমিকা থাকে। তাই ঝগড়ার শেষে দু’জনেই একে অপরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলে কিন্তু সমস্যা মিটে যায়। এই অভ্যাস কিন্তু যে কোনও ঝগড়ার শেষে মিটমাট করার সেরা উপায়। এ ক্ষেত্রে সমানভাবে উদ্যোগী হতে হবে।৪। ঝগড়া হলে আর পাঁচজনের সঙ্গে নিজেদের সমস্যা ভাগ করে নেবেন না। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ে। নিজেদের মধ্যেই ঝগড়া মিটিয়ে নিন। তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সমস্যা আরও বাড়বে বই কমবে না।৫। অনেক সময় ঝগড়া মিটে গেলেও ঝগড়ার রেশ থেকে যায় কয়েক দিন। সেই সময় আবার কোনও ছোট ঘটনা থেকে নতুন ঝগড়া শুরু হতে সময় লাগে না। তাই ঝগড়া মিটে যাওয়ার পর দু’জনে একান্তে সময় কাটান। সিনেমা দেখুন, বাইরে কোথাও খেতে যান, কাছেপিঠে ঘুরে আসুন। এভাবে মনমেজাজ দু’জনেরই ভাল থাকবে।

    Loading…