এইমাত্র
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    করপোরেট সংবাদ

    তিতাস গ্যাসের পরিচালক হলেন মতিউর রহমান চৌধুরী
    তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী। একই পদে নিয়োগ পেয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা।আজ রবিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের প্রশাসন-২ অধিশাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেস এডুকেশনের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসাকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির (টিজিটিডিপিএলসি) পরিচালক করা হলো।যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে বলা হয়।এফএস
    আইডিআরএ’র নতুন চেয়ারম্যানকে এনআরবি ইসলামিক লাইফের ফুলেল শুভেচ্ছা
    ড. এম আসলাম আলম, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নবনিযুক্ত হওয়ায় এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান এম মাহফুজুর রহমান এবং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো: শাহ্ জামাল হাওলাদার।এই সময় উপস্থিত ছিলেন এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের এসইভিপি শরীফ মো. শহীদুল ইসলাম, এইচ. এম. মিলন রহমান, উন্নয়ন প্রশাসন প্রধান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল যুবায়ের এবং প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রধান মো. মাহমুদুল ইসলাম।এসএফ 
    বন্যার্তদের মাঝে এনআরবি ইসলামিক লাইফের ত্রাণ বিতরণ
    নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লায় স্মরণকালের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় পানিবন্দিদের মাঝে ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স। জেলাগুলোর প্রত্যন্ত এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও বিশেষ ব্যবস্থায় পানিবন্দিদের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির কর্মীরা। বন্যার্ত এলাকায় বিশেষ করে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগুলো এখনও পানির নিচে। বড় নদী না থাকায় এসব গ্রাম থেকে পানি দ্রুত নামতে পারছে না। ফলে এখনো যান চলাচলের উপযোগি নয়, এ ধরনের এলাকায় কোম্পানির একদল সাহসী ও উদ্যোমী বীমা কর্মকর্তা নিজ নিজ টিমের সদস্যদের নিয়ে ত্রাণ সামগ্রী মাথায় করে হাটু থেকে কোমর পানি ভেঙে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ্ জামাল হাওলাদার ত্রাণ কার্যক্রম মনিটর করেন। তিনি জানান, এই মানবিক কর্মকাণ্ডে তার কোম্পানির নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি আরও জানান, এনআরবি ইসলামিক লাইফ দেশের যেকোনো প্রয়োজনে জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
    সেনাবাহিনীর কাছে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিলো ‘স্বপ্ন’
    বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশের অন্যতম রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’।শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের ৩৫ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের হাতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় স্বপ্নর বেশ কয়েকজন কর্মী ত্রাণসামগ্রী সেনবাহিনীর কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বপ্ন একটি মানবিক ব্র্যান্ড। যখনই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা খারাপ সময় আসে তখনই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এবার বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।প্রসঙ্গত, খাবার পানি, মুড়ি, বিস্কুট, মশার কয়েলসহ প্রয়োজনীয় বেশকিছু খাবারপণ্য স্বপ্ন’র পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
    দেড় বছর পর প্রকাশের অনুমতি পেল দৈনিক দিনকাল
    প্রকাশের অনুমতি পেয়েছে দৈনিক দিনকাল পত্রিকাটি। রবিবার (১১ আগস্ট) ঢাকা জেলা আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ অনুমতি দেয়া হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, তথ্যের অবাধ প্রবাহ, বাক স্বাধীনতা ও পত্রিকা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক কর্মচারীদের স্বার্থ বিবেচনায় অনুমতি দেয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পত্রিকাটির প্রকাশক হিসেবে রয়েছেন। জানা যায়, এর আগে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর পত্রিকাটির প্রকাশনা অনুমতি বাতিল করেছিল সরকার। বাতিল আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে দৈনিক দিনকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী প্রেস আপিল বোর্ডে আপিল করেন। পরবর্তী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি বোর্ড বাতিলের রায় বহাল রাখে। দৈনিকটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এ বাতিল আদেশ স্থগিত চেয়েছিলেন।শিমুল বিশ্বাসের আবেদনের ভিত্তিতে এখন অনুমতি দেয়া হলো।রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিবেদক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনকে অফিস আদেশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসনকে দৈনিক দিনকালের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ দেন তিনি। এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, ‘দৈনিক দিনকাল আবারো প্রকাশিত হচ্ছে, এর চেয়ে বড় আনন্দের খবর আজকে আর নেই।আমরা আশা করছি, দেশে বন্ধ থাকা অন্যান্য গণমাধ্যমগুলোও অচিরেই প্রকাশনায় ও সম্প্রচারে ফিরে আসবে  ইনশাআল্লাহ।এফএস
    বেসিস-এর ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হলেন নগদের এলিট
    বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এমএফএস ও ফাস্টেট ইউনিকর্ন নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের এই নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্টে নগদের ভূমিকার একটি বহিঃপ্রকাশ ঘটল। বিস্তৃত উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গী সম্পন্ন নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের এই নিয়োগের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করে এই কমিটি।বেসিস-এর ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট উদ্ভাবনী চিন্তা ও ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করবেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কমিটির সদস্যদের অনুপ্রাণিত করতেও তিনি ভূমিকা রাখবেন।এ স্ট্যান্ডিং কমিটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলতে গুরুত্ব দেবে এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশনকে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে ও ফিনটেক স্টার্টআপের সমৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নতুন এই দায়িত্বের বিষয়ে বলেন, ‘বেসিসের ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হওয়ায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও আরো বেশি অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থিক অবকাঠামো তৈরিতে এই ইন্ডাস্ট্রির নেতা ও অংশীজনদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে চাই।’একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বিভিন্ন ধরনের সফল ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। তিনি পেশাজীবী, ক্রীড়া এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি বড়তাকিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাশাপাশি জেসিআই চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেসিআই বাংলাদেশের দুইবারের সফল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জেসিআই বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারপারসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন এলিট।
    প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে হুয়াওয়ের সঙ্গে নগদের চুক্তি
    দেশের সাধারণ মানুষের ডিজিটাল লেনদেন অভিজ্ঞতা বদলে দিতে একসঙ্গে কাজ করবে নগদ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস। এ লক্ষ্যে দুই পক্ষ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যা দেশের মানুষকে নগদের মাধ্যমে উপহার দেবে বিশ্বমানের স্মার্ট লেনদেনের অভিজ্ঞতা। মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেইজিংয়ের শাংরিলা হোটেলে বাংলাদেশের সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেড এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস-এর মধ্যে এ বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।এই চুক্তির ফলে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক ও নগদ মোবাইল আর্থিক সেবার বিদ্যমান সুবিধার সঙ্গে যুক্ত হবে বিশ্বসেরা সব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ফলে দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহক হিসেবে নগদের গ্রাহকেরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে আন্তর্জাতিক মানের লেনদেন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।নগদের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরিদ খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্যান জুনফেং। এ সময় চীন সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নগদের অভাবনীয় অবদানের কথা উল্লেখ করে ভূয়সী প্রশংসা করেন পিপলস রিপাবলিক অব চায়না-এর ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই।  চুক্তির বিষয়ে নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ফরিদ খান বলেন, ‘মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে নগদ গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের আর্থিকখাতে বড় রকমের বিপ্লব ঘটিয়েছে। এখন এটিকে বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। নগদ এবং হুয়াওয়ে যৌথভাবে বাংলাদেশে কাজটি করবে। নগদ ডিজিটাল ব্যাংক এক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে; যার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে বড় অগ্রগতি ঘটবে।’তিনি বলেন, ‘শতভাগ ক্যাশলেস সমাজ গড়তে যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দরকার, তা নিশ্চিত করতেই বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিসের সঙ্গে আমাদের এই চুক্তি হল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের এমএফএস ও ডিজিটাল ব্যাংকের গ্রাহকেরা বিশ্বমানের সেবার অভিজ্ঞতা পাবেন। ফলে ডিজিটাল লেনদেন হবে আরো নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সাশ্রয়ী।’আগামী বছর বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে গত ৮ জুলাই থেকে চীন সফর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হচ্ছে। আট বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং যখন বাংলাদেশ সফরে আসেন, তখন বলা হয়েছিল, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক চিরাচরিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক থেকে কৌশলগত সহযোগিতায় উন্নীত হয়েছে। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সময় চীনকে বাংলাদেশের উন্নয়নের নিবিড় কৌশলগত অংশীদার বলে উল্লেখ করা হয়।দুই দেশের সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় নগদের সঙ্গে হুয়াওয়েই-এর এই চুক্তি, যা ডিজিটাল লেনদেনের বৈশ্বিসক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তির ফলে গ্রাহকদের জন্য বাংলাদেশে একেবারেই নতুন কিছু আর্থিক সেবা ও পণ্যের প্রচলন শুরু হবে, যা ভবিষ্যতে দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ধরন বদলে দেওয়ার মতো ভূমিকা রাখবে।  পাঁচ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যাত্রা করা নগদ কিছুদিন আগে পেয়েছে দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংক হিসেবে পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স। মোবাইল আর্থিক সেবার যাত্রায় স্বল্পতম সময়ে নয় কোটি গ্রাহকের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে প্রতিদিন নগদের লেনদেন ১৮০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে দেশের দ্রুততম ইউনিকর্ন হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
    ডাক বিভাগকে এবার সাড়ে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব দিল নগদ
    মোবাইলে আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান 'নগদ'- প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করেছে। ২০২৩ সালের আয় থেকে ৫ কোটি ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৮ টাকার রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ।বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নগদ কর্তৃপক্ষ ডাক বিভাগের প্রাপ্য রাজস্বের চেক হস্তান্তর করে। অনুষ্ঠানে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুকের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) তরুণ কান্তি সিকদার। এ সময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নগদ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নগদ লিমিটেড ও ডাক বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, নগদের সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ রাজস্ব পায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, বাকি ৪৯ শতাংশ রাজস্ব পায় নগদ লিমিটেড। এর আগে ২০২০ সালে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা, ২০২১ সালে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকা এবং ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা রাজস্ব ডাক বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে নগদ লিমিটেড। অনাড়ম্বর এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে নগদের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি মনে করেন, এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কারণে দেশ ডিজিটালাইজেশন থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে অনেকটাই অগ্রগামী হচ্ছে। এছাড়া খুব দ্রুতই যাত্রা শুরু করতে যাওয়া নগদ ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, নগদ ডিজিটাল ব্যাংক দেশকে ক্যাশলেস সোসাইটিতে পরিণত করার দিকে এগিয়ে নেবে। চেক হস্তান্তর শেষে নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘আমরা সবসময়ই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে থাকি। আমরা ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। সেজন্য চুক্তি অনুযায়ী ডাক বিভাগের সঙ্গে রাজস্ব ভাগাভাগি করি আমরা। আশা করি, আমাদের পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং আরও অনেক দুয়ার উন্মোচন হবে।’২০১৯ সালের মার্চে যাত্রার পর থেকেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে নগদ। পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনৈতিক অন্তৰ্ভুক্তিতে এনে দেশের ডিজিটাল আর্থিক খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন দেশের অন্যতম শীর্ষ এই মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সাড়ে ৯ কোটির ওপরে। প্রতিষ্ঠানটি এখন গড়ে দৈনিক এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা লেনদেন করে থাকে। 
    আবারও বেসিসের সভাপতি হলেন রাসেল টি আহমেদ
    দেশের সফটওয়্যার খাতের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন টিম ক্রিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল টি আহমেদ। শনিবার (১১ মে) বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৪-২০২৬-এর কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১১ সদস্যের নির্বাহী পরিষদে ‘ওয়ান টিমে’র ৮ সদস্যের নিরঙ্কুশ বিজয়ে এতে দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন রাসেল টি আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সিসটেক ডিজিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম রাশিদুল হাসান।কমিটিতে সহ-সভাপতি (প্রশাসন) নির্বাচিত হয়েছেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) নির্বাচিত হয়েছেন ডিভাইন আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান।     এছাড়া বেসিসের পরিচালক হয়েছেন- অ্যাডভান্সড ইআরপি বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, শ্যুটিং স্টার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম, এ আর কমিউনিকেশন্সের প্রতিষ্ঠাতা এম আসিফ রহমান, অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক, বন্ডস্টাইন টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম, কার্নিভাল অ্যাসিউর লিমিটেডের পরিচালক বিপ্লব ঘোষ রাহুল ও ফাইনালিটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ।  শনিবার বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে নতুন পরিষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সাবেক সভাপতি সরওয়ার আলম ও হাবিবুল্লাহ এন করিম। আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিস নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবীর এবং বেসিস নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মামনুন কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী, বেসিস প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু তৌহিদ বেসিসের নির্বাচন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ ও আপিল বোর্ডের সদস্য নাজনীন কামাল। 
    স্বপ্নের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির
    সম্প্রতি এসিআই লিমিটেড সাব্বির হাসান নাসিরকে পদোন্নতিসহ স্বপ্নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগদান করেছেন । ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাব্বির নাসির বহুজাতিক ও দেশীয় কর্পোরেটে এক উল্লেখযোগ্য নাম। সিইও সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে কাজ করেছেন।১৯৯৬ সালে বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম শ্রেণীতে ডিগ্রি অর্জনের পর সাব্বির নাসির বাটা সু লিমিটেডে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি বাটাতে কাজ করার সময় আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে অ্যাঙ্গোলায় গলফ্রেট এইচএন্ডপিসি লিমিটেডে কাজ করতে যান, যেখানে তিনি ইউনিলিভারের উৎপাদন কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন। সাব্বির নাসির টেট্রাপ্যাক সাউথ ইস্ট এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডেও কাজ করেছেন এবং ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল অবধি অটবির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।সাব্বির নাসির ২০১২ সালে এসিআই-তে স্বপ্ন-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে স্বপ্ন বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে। এসিআই গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আরিফ দৌলা দৃষ্টান্তমূলক এমন নেতৃত্বের জন্য জনাব সাব্বির নাসিরের প্রশংসা করেছেন।বহু একাডেমিক কৃতিত্বের পাশাপাশি সাব্বির নাসির বুয়েট, আইবিএ, এমআইটি স্লোন স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট এবং ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে-র একজন সম্মানিত অ্যালামনাই মেম্বার।
    বেসিস নির্বাচনে বিজয়ী হলেন যারা
    দেশের সফটওয়্যার খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বাধীন ‘ওয়ান টিম’ প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। বেসিসের ১১টি পদের মধ্যে ৮টিতে জিতেছে এই প্যানেল। ‘টিম স্মার্ট’ প্যানেল পেয়েছে তিনটি পদ।আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসিসের ১ হাজার ৪৬৪ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ১৫৭ জন। ফলে ৭৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। সাধারণ সদস্য শ্রেণিতে মোট ভোট পড়ে ৭৮১টি। অ্যাসোসিয়েট, অ্যাফিলিয়েট ও ইন্টারন্যাশনাল সদস্য শ্রেণিতে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ২৫০, ১১৮ ও ৮টি। ১৬টি ভোট বাতিল হয়েছে।ভোট গণনার পর সন্ধ্যায় নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবীর প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে বিজয়ী ব্যক্তিরা হলেন সাধারণ সদস্য শ্রেণি থেকে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (অ্যাডভান্সড ইআরপি, প্রাপ্ত ভোট ৪০৫), রাশিদুল হাসান (সিসটেক ডিজিটাল, ৩৮৮), মীর শাহরুখ ইসলাম (বন্ডস্টেইন টেকনোলজিস, ৩৬৭), মোহাম্মদ রিসালাত সিদ্দিকী (অ্যানালাইজেন বাংলাদেশ, ৩৫৭), রাসেল টি আহমেদ (টিম ক্রিয়েটিভ, ৩৫৫), এম আসিফ রহমান (এআর কমিউনিকেশনস, ৩৪৯), ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (ডিভাইন আইটি, ৩৪১) ও দিদারুল আলম (শুটিং স্টার, ৩২৫), অ্যাসোসিয়েট শ্রেণিতে সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ (এমএস ফাইনালাইটিকস, ১২৩), অ্যাফিলিয়েট শ্রেণিতে বিপ্লব ঘোষ (কার্নিভ্যাল অ্যাসিউর, ৪৮) ও ইন্টারন্যাশনাল শ্রেণিতে সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল (মাস্টারকার্ড সিঙ্গাপুর ৩)। ইন্টারন্যাশনাল শ্রেণিতে দুই প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও আবু মো. রাশেদ মুজিব তিনটি করে ভোট পাওয়ায় পরে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচিত ১১ জন পরিচালকের মধ্যে পদ বণ্টনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১ মে বিকেল পাঁচটায় বেসিসের নতুন কমিটির ঘোষণা দেবে নির্বাচন বোর্ড।এফএস
    প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে `স্বপ্নে'র শরবত বিতরণ
    চলমান তীব্র দাবদাহে তৃষ্ণার্থ মানুষের মাঝে সুপেয় শরবত বিতরণ করছে বাংলাদেশের শীর্ষ রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’।শনিবার ( ২৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীসহ সারাদেশের স্বপ্ন আউটলেটের সামনে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়।এবিষয়ে স্বপ্ন-এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির নাসির জানান, ঢাকাবাসীসহ সমগ্র দেশবাসী এখন প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে অবস্থান করছেন। এমন সময় সাধারণ মানুষে পিপাসা মেটাতে স্বপ্ন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তীব্র গরম পরিস্থিতিতে আমাদের আশেপাশে অবস্থান করা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। তাই তাঁদের  উদ্দেশ্যে মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গরমের তীব্রতা বেশি থাকলে সামনে আরও বেশ কিছু দিন এমন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।পিএম
    একটা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বেসিসে নির্বাচন করতে চাই না: এলিট
    নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেছেন, মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য শর্ট টাইম একটা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমরা বেসিসে নির্বাচন করতে চাই না। আগামী ৮ মে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস( বেসিস) এর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ কথা বলেন তিনি।সময়ের কণ্ঠস্বরের সাথে একান্ত আলাপকালে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমাদের ‘টিম স্মার্ট’ যদি নির্বাচিত হয় তাহলে উদ্যোক্তাদের যে সমস্যা গুলো আছে, যে বার্নিং ইস্যু গুলো আছে, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। পাশাপাশি আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চাই। শুধু ইলেকশনে জেতার জন্য, মানুষকে আকৃষ্ট করা জন্য দুই বছরের শর্ট টাইম পরিকল্পনা নিয়ে বেসিসে নির্বাচন করছি না। আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমরা আগাতে চাই।  নিয়াজ মোর্শেদ আরও বলেন, আমি টেক ইন্ড্রাস্ট্রির একজন কর্মী হিসেবে সহকর্মীদের সমস্যা এবং সমাধানে কাজ করার ইচ্ছা আছে। যেমন ধরেন বেসিসে তো অনেক ধরনের মেম্বার আছে, কিছু মেম্বার আছে যারা এক্সপোর্ট করছে তাদের সমস্যা এক ধরনের। তাদের ভর্তুকির টাকা, ব্যাংক সেটেলমেন্টের টাকাটা পেতে দেরি হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের এক ধরনের সমস্যা। আসলে সেক্টর ওয়াইজ আমরা প্রবলেম গুলোকে আলাদা করেছি। এবং সেক্টর ওয়াইজই প্রবলেম গুলো সমাধানে কাজ করব। তবে এ মুহুর্তে সব চাইতে বার্নিং ইস্যু হলো টেক্স হলিডে। এ বিষয়টিকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই আমরা। সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মার্কেট গুলো এবং অনন্যা দেশের যে রেগুলেটররা আছে তাদের সাথে ক্লোজলি কাজ করার ক্ষেত্র গুলো তৈরি করে দিতে চাই আমরা। নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, সব মেম্বারদের নিয়েই কিন্তু বেসিস। বেসিস আসলে হওয়া উচিত সব মেম্বারদের আস্থার জায়গা। সদস্যদের সমস্যা গুলো মোকাবেলা করার জন্যে বেসিসের শক্ত অবস্থানে কাজ করা দরকার। আমরা সেই চেষ্টাই করব। পোশাক শিল্পের সমস্যায় বিজিএমইএ এবং বিকেএমই এ যেভাবে কাজ করে বা ভূমিকা রাখেন আমাদের বেসিসেরও এমনই হওয়া উচিত। বেসিসে আমরা নির্বাচিত হলে একজন সদস্যের সমস্যাতেও ঝাপিয়ে পড়তে চাই। যেহেতু আমাদের প্যানেল টিম স্মার্টের ১১ জন সদস্যই স্ব স্ব অবস্থানে সফল এবং প্রত্যেকেরই দেওয়ার মন মানসিকতা আছে।  আমার নিজেরও দেওয়ার মন মানসিকতা আছে তাই বেসিসের সুন্দর আগামী গড়ে তোলার জন্যে ‘টি স্মার্ট’ কাজ করবে। উল্লেখ্য, নিয়াজ মোর্শেদ এলিট তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বড়তাকিয়া গ্রুপে যোগদানের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। বর্তমানে তিনি এই গ্রুপ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। একই সাথে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নগদের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন।তিনি ২০০০ সালে চট্রগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০২ সালে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজ চট্রগ্রাম থেকে এইচএসসি এবং ২০০৭ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেন।  এছাড়া ২০১৭ সালে জাপানের ফুকুওমা থেকে জেসিআই একাডেমি থেকে উচ্চ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।নিয়াজ মোর্শেদ এলিট  আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। ছাত্র জীবনে তিনি চট্রগ্রাম কমার্স কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতে সম্পৃক্ত হন। রাজনীতির বাইরে তিনি বিভিন্ন সামাজিক এবং বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের সফল নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি তার নিজের নামের প্রতিষ্ঠা করেছেন নিয়াজ মোর্শেদ এলিট ব্লাড ডোনার্স ক্লাব। যেখান থেকে প্রতিদিনই সুবিধা গ্রহণ করছেন রক্ত গ্রহিতারা।
    পদ্মা ব্যাংক ছেড়ে এনআরবিতে যাচ্ছেন তারেক রিয়াজ
    শরীয়াহ ভিত্তিক পরিচালিত এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হতে যাওয়া পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন। শিগগিরই তিনি এনআরবি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মামুন মাহমুদ শাহ পদত্যাগের পর থেকে এনআরবি ব্যাংক ভারপ্রাপ্ত এমডি নিয়ে চলছে।তারেক রিয়াজ খান ২০২২ সালের মার্চে পদ্মা ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একটি পক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বরে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে পরে আবার ব্যাংকে ফেরেন। এখন একীভূত হতে যাওয়া কোনো দূর্বল ব্যাংকের এমডি, ডিএমডি বিদ্যমান চাকরিতে থাকতে পারবেন না। এরকম অবস্থায় তিনি আবার পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।জানা গেছে, এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সংকটে থাকা পদ্মা ব্যাংক। এ বিষয়ে ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্তও নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই দুটি ব্যাংকের নিরীক্ষার জন্য নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যেই পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ খান পদত্যাগ করেছেন।সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের পর তিনি এনআরবি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগ দেবেন।পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘যেহেতু পদ্মা ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে, তাই পদত্যাগ করেছি। নতুন কোনো ব্যাংকে যাওয়া যায় কি না, সেটা দেখছি।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে স্নাতকোত্তর করার পর তারেক ১৯৯৪ সালে বেক্সিমকো গ্রুপে একজন ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর শিক্ষানবিশ কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯৭ সালে তিনি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ২০১৩ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন।দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্যাংকে একাধিক কৌশলগত সাংগঠনিক রূপান্তর উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারেক। মৌলিক উন্নতি এবং প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে হয়েছেন অনুকরণীয়। দেশে এবং বিদেশে অনেক পেশাগত ও ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
    অর্থ আত্মসাতের মামলায় জিফোরএসের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
    যশোরে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের মামলায়  জিফোরএস সিকিউরিটি সল্যুশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ দুই জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনসারুল হক।অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, জিফোরএস সিকিউরিটি সল্যুশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা খুলনা হরিণটানার পিপড়ামারী জয়বাংলা মোড় এলকারা কাজী শামসুল আলমের ছেলে খুলনা সদরের ব্যাংক স্টাফ কোয়ার্টারের তামজিদ হাসান, টুটপাড়া জাফর সড়কের প্রদীপ কুমারের ছেলে চন্দন সরকার, ডুমুরিয়ার কুলটি গ্রামের মৃত সুশীল বিশ্বাসের ছেলে সুধাময় বিশ্বাস, খালিশপুর পোর্ট রোডের লিয়াকত আলী মন্ডলের ছেলে রাশেদুল ইসলাম, ফুলতলার জামিরাহাট গ্রামের হারুন বিশ্বাসের ছেলে শফিকুল বিশ্বাস, যশোর শহরের বেজপাড়া মসজিদবাড়ি রোডের ওবাইদুর রহমানের ছেলে শাহেদুর রহমান, বেজপাড়া মেইন রোডের মোকসুদার রহমানের ছেলে সোয়েবুর রহমান, সদরের মাহিদিয়া গ্রামের আকবার আলীর ছেলে কবিরুজ্জামান, বাগেরহাট ফকিরহাটের শুভদিয়া গ্রামের জোহর আলী শেখের ছেলে জাকারিয়া শেখ ও পিরোজপুরের ইন্দুরকানির বালিপাড়া গ্রামের আবুল বাশার বাদশার ছেলে জহিরুল ইসলাম।মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ডাচ বাংলা ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে থাকে। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ও ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল জিফোরএস সিকিউরিটি সল্যুশন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে তাদের চুক্তি হয় এটিএম বুথে টাকা রাখা এবং নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখাশুনা করার। চুক্তি অনুযায়ি ডাচ ব্যাংক এর টাকা বিভিন্ন বুথে লোড আনলোড করার দায়িত্ব জিফোরএস সিকিউরিটি লিমিটেডের ওপর দেওয়া হয়। ২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত যশোর জোনের রিকনসিলিয়েশন করার পরে ৪৬ লাখ ৫০ হাজার ৮শ’ টাকা কম পাওয়া যায়। এব্যাপারে বাংক ও জিফোরএস’র উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে অধিকতর অডিটের মাধ্যমে ওই টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় ব্যাংক কতৃপক্ষ। ব্যাংক কতৃপক্ষ আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত চেয়ে জিফোরএস কতৃপক্ষকে তাগাদা দেয়া হয়। আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত না দেয়ায় ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর ডাচ বাংলা ব্যাংক যশোর শাখার ব্যবস্থাপক দিবাকর বিট ১২ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকালে সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন ও জিয়াউর রহমনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে।পিএম

    Loading…