এইমাত্র
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    রাজধানী

    মাজারে হামলা করে সুফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না
    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মাজার-দরগাহে লুটপাট ও ভাঙচুরের মতো গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মাজার ও বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয় রক্ষায় নিরাপত্তা জোরদারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।  এই সময় মাজারে হামলা করে শান্তিপ্রিয় সুন্নি সুফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম আন্জুমানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির-বিএসপি চেয়ারম্যান শাহ্জাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম কায়েম হয়েছে উদারতায়। সুফি সংস্কৃতি ও মাজারগুলো হলো ইসলামের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক।   সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ১২ রবিউল আউয়াল পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষ্যে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারী আয়োজিত শোভাযাত্রার আগে এসব কথা বলেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী।এর আগে বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে তার নেতৃত্বে হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা শুরু। শোভাযাত্রাটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় নবী প্রেমিক জনতার বিভিন্ন ইসলামিক হামদ, নাত ও স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়াবা, জাতীয় পতাকা, আন্জুমানের পতাকা এবং নানা ধরনের বাণী ও স্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।শোভাযাত্রা শুরুর আগে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন বিশ্ব মানবতার ত্রাণকর্তা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনিই পৃথিবীতে সাম্য মৈত্রী সুবিচার এবং সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। তাই মহানবীর (সা.) এ দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ।তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মেই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার সুখ সমৃদ্ধি শান্তি কামনা করা হয়েছে। এমন কোনো কাজ করতে বলা হয়নি যাতে করে ইসলামের অবমাননা করা হয়। কোরআনে বলা হয়েছে কারো ওপরে জোর-জবরদস্তি করে যেন ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া না হয়। কারো ধর্মীয় স্বাধীনতা যেন বিনষ্ট না হয়। আমরা সুন্নি সুফিবাদী জনতা নবী প্রেমিক উদার মুসলিম। আমরা উগ্রতা ও হটকারীতায় বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম কায়েম হয়েছে উদারতায়। সুফি সংস্কৃতি ও মাজার হলো ইসলামের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। তাই যারা অলি আউলিয়ার মাজার, খানকাহ, দরগাহ শরীফে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছেন, আপনারা এই গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকুন। সুন্নি সুফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।তিনি আরও বলেন, ৩৬০ আউলিয়ার এই দেশে ইসলাম এসেছে খানকাহ, দরগাহে অবস্থান করা অলি আউলিয়ার কাছ থেকেই। অলি আউলিয়ারাই খানকাহর পাশাপাশি মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচারে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের দেশ পীর আউলিয়ার দেশ। এখানে রয়েছে হজরত শাহজালাল, হজরত শাহপরান, হজরত গাউছুল আযম মাইজভাণ্ডারী, গাউছুল আযম বাবাভাণ্ডারী, শাহ্ মুখদুম, খানজাহান আলী, শাহ্ আলী বাগদাদী, খাজা এনায়েত পুরী, আমানত শাহ্, সুরেশ্বরী, বদরশাহ্, মোহছেন আউলিয়াসহ অসংখ্য জগদ্বিখ্যাত আউলিয়া কেরামের মাজার। মাজার ভেঙে সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ঘরদুয়ার ও মন্দিরে হামলা করে ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে। এতে বিশ্ববাসীর কাছে আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করছি। আমি সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, যার যার মতকে প্রাধান্য দিন। ভিন্ন মতের ওপর জুলুম কিংবা জোর জবরদস্তি থেকে বিরত থাকুন। ইসলাম মানুষকে সত্য, সুন্দর, শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখায়।সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, আর যেন উগ্রবাদীরা দেশের একটি মাজারেও হামলা করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব মাজার, খানকাহ ভাঙা হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা এই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাওলানা মাকসুদুর রহমান, শাহ্জাদা সৈয়দ মাহবুব-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান খান মিয়াজি, অধ্যাপক ড. শহীদ মনজু, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মুফতি খাজা বাকীবিল্লাহ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।এবি 
    যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র হাতে হামলাকারী লিটন গ্রেপ্তার
    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর ধারালো অস্ত্র হাতে হামলার ঘটনায় দুই সহযোগীসহ লিটন আকন্দকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও গান পাউডার জব্দ করা হয়।এ বিষয়ে র‍্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সাধারণ জনতা ও ছাত্রদের বিরুদ্ধে চাপাতি নিয়ে আক্রমণের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া যায় যায় যে, হামলাকারী ব্যক্তি ছিলেন লিটন।এ পরিপ্রেক্ষিতে লিটন ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। মধ্যরাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে লিটন আকন্দকে তার দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩।যাত্রাবাড়ীতে তার গোপন আস্তানা থেকে ছাত্রদের ওপর আক্রমণে ব্যবহৃত চারটি চাপাতি, মাদকদ্রব্য এবং কিছু পরিমাণ গান পাউডার জব্দ করা হয়।তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যা মামলাসহ অস্ত্র আইনে তিনটি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি, একটি ডাকাতির প্রস্তুতি ও একটি অন্যান্য ধারায় সর্বমোট নয়টি মামলা রয়েছে।এসএফ 
    ইআবির প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন
    ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার এস এম এহসান কবীরের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যের শিকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বছিলাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার নিরসনের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সারাদেশে ১৫০০ ফাজিল ও কামিল মাদরাসার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় স্থবির হয়ে পড়েছে। 
    আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
    রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। জানা গেছে, পাভেল নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করেছেন এমন অভিযোগে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হন। এক পর্যায়ে তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এছাড়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজে গিয়ে ভাঙচুর চালান। এতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তারা তাদের শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শামীম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজের বাস ভাঙচুর করেছে শুনে আমরা আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছি। প্রতিশোধ নিতেই আমরা এটা করেছি।'আইডিয়াল কলেজের এক শিক্ষার্থী অবশ্য দাবি করেছেন, 'ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে আইডিয়াল কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে।' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, 'একদল শিক্ষার্থীকে আইডিয়াল কলেজের সাইনবোর্ড নিয়ে যেতে দেখেছি। আইডিয়াল কলেজের গেট ভেঙে ওই শিক্ষার্থীরা উদযাপন করছিল। তারা সাইনবোর্ড টেনে ঢাকা কলেজের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল।'এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।বিকেল ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। 
    সায়েন্সল্যাবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
    রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে আইডিয়াল কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত হয়।জানা গেছে, পাভেল নামে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এমন অভিযোগে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হন। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এছাড়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজে গিয়ে ভাঙচুর চালান। এতে সায়েন্সল্যাব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তারা তাদের শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মহসীন উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।ঘটনাস্থলে থাকা ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) তারিক লতিফ সামী বলেন, দুপুর থেকে দুই কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ চলছে। তবে কী কারণে এ সংঘর্ষ তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।এসএফ
    সাবেক মেয়র আতিকের অভিপ্রায়ে পাওয়া সবার নিয়োগ বাতিল
     ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের অভিপ্রায় অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সবার নিয়োগ বাতিল করেছে সংস্থাটি। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এই বিষয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করে তাদের নিয়োগ বাতিল করেন।ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক অফিস আদেশে উল্লেখ করেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়রের অভিপ্রায় অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ মোতাবেক নিয়োগকৃত সব উপদেষ্টা, পরামর্শক এবং কুক ও পিয়নের নিয়োগ ১৯ আগস্ট থেকে বাতিল করা হলো।যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।এমএইচ
    সাতরাস্তায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অবরোধ, তীব্র যানজট
    ছয় দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে মগবাজার-মহাখালী, খামারবাড়ি-ফার্মগেট-শাহবাগ-কারওয়ানবাজার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার পর থেকে তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান করছেন।জানা যায়, টেকনিক্যাল পদে নন টেকনিক্যাল নিয়োগ বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় থাকবেন। এ দিকে শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির কারণে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান বলেন, ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।
    ‘সরকারের সুস্পষ্ট আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব’
     সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। অবরোধ থেকে তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রতিনিধি এসে দাবি পূরণে সুস্পষ্ট আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। দুপুর আড়াইটা থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও বৃষ্টিতে ভিজে আন্দোলন চালিয়ে যান। আন্দোলনের সমন্বয়ক রাসেল আল মাহমুদ বলেন, ‘বিকেল ৩টা পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। বলা হয়েছে একটি বৈষম্যহীন কমিটি আমাদের জন্য গঠন করে দেওয়া হবে। আমরা আমাদের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা বলেছি সুস্পষ্টভাবে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসবে বলেছেন। আলোচনার মাধ্যম দাবি পূরণের নিশ্চয়তা দিলে আমরা সমাবেশ শেষ করবো। (সে পর্যন্ত) আন্দোলন চলমান থাকবে।’ এরপর বিকেল ৫টার দিকে রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের বিষয়ে (চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫) আলোচনা চলছে। আমাদের বলা হয়েছে, আলোচনা পরবর্তী এখানে এসে আপডেট জানানো হবো। সে পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো। আমরা শাহবাগের বাইরে কোনো কর্মসূচি দেইনি। যদি কেউ কোনো ধরনের কর্মসূচি দিয়ে থাকেন, তাকে আমরা জবাবদিহির আওতায় আনবো।’এমএইচ
    চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
     দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। চাকরিপ্রত্যাশীদের অবস্থান নেয়ায় শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এতে করে শাহবাগ এলাকার সবগুলো সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ‘বয়স না মেধা-মেধা মেধা’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ-এবার দাও প্রজ্ঞাপন’, ‘৩০ এর শৃঙ্খল-ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, ৩৫ আমার ঠিকানা’, ‘বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশে বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘সাড়া বাংলায় খবর দে, ৩০ এর কবর দে’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।আরো পড়ুন : রাজধানীতে বহুতল ভবনে ডাকাতির অভিযোগআন্দোলনকারী বলছেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। একারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ সালে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।তারা আরো বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। নতুন বাংলাদেশে আমরা এই বৈষম্য মানি না।এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাকিল বলেন, দুপুরের দিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিল। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। অবরোধের কারণে এ এলাকায় আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য কাজ করছি।এমএইচ
    মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
    গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে দেশজুড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে যৌথ বাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশের বেল্ট, শর্টগান এবং গুলি উদ্ধার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। শুক্রবার র‍্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, র‍্যাব-২ মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি শটগান ও ৯৮টি গুলি উদ্ধার হয়। এ ছাড়া পুলিশের ১টি বেল্ট উদ্ধার হয়।পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশের লুট হওয়া সব ধরনের অস্ত্র এবং লাইসেন্স নেওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।  সূত্র বলছে, জোরেশোরে যৌথ অভিযান এখনো শুরু হয়নি। আজ শুক্রবার থেকে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোরাল অভিযান চালাবে।এর আগে মঙ্গলবারের মধ্যে নির্দেশনা মেনে লাইসেন্সধারীরা থানায় অস্ত্র ও গুলি জমা না দিলে পরদিন থেকেই তা অবৈধ হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার এবং লাইসেন্সধারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়।এসএফ
    রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
    রাজধানীর উত্তরার আজমপুর ও বাড্ডার আফতাব নগরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মো. মাসুম (৩০) ও মো. নাসির (৪০) নামে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত মাসুম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের বাগমারা এলাকার ইসরাইল হোসেনের ছেলে এবং নাসির চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের চরমোহনপুর গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।নিহত মাসুমের চাচা মাসুদ রানা জানান, উত্তরা আজমপুর বিএনএস সেন্টার ভবনের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের নয় তলায় মাচাং বেঁধে প্লাস্টারের কাজ করার সময় তিনজন নিচে পড়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত মাসুম ও শহিদুলকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) বিকেল চারটার দিকে মাসুমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।অপর ঘটনায় নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ভাতিজা নুর-ইসলাম জানান, বাড্ডা আফতাব নগর এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের আট তলায় বাইরের সাইডে মাচাং বেঁধে প্লাস্টার করছিল নাসির। এ সময় অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাসিরের।ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক মাসুম ও নাসিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।এবি 
    টিএসসিতে ১৪ দিনে জমা পড়ল ১১ কোটি টাকা
    বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২২ আগস্ট থেকে গণত্রাণ কর্মসূচি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ অর্থ জমা পড়েছে। এ ছাড়া এসেছে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী।বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের।তিনি বলেন, ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিএসসিতে সংগ্রহ হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা।এই সমন্বয়ক বলেন, শুরুতে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে পারলেও সব জায়গায় বিতরণ সম্ভব হচ্ছিল না। পরিবহন না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি।আবদুল কাদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন করাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী কার্যক্রম।এসএফ 
    শিশু কল্যাণ প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ
    শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের আওতাধীন পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ, অবসরকালীন ভাতা চালু ও পরিচালকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা।বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় তারা আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাইসহ পরিচালকের অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি সায়মা খন্দকার বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত সমগ্র বাংলাদেশের ২০৪টি শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। অদ্যবধি উক্ত বিদ্যালয় গুলো থেকে ১১৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারী অবসরে গেছেন কিন্তু কোন ধরণের অবসরকালীন ভাতা প্রাপ্য না হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের পরিবার সহ যারা জীবিত আছেন তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক আবুল বাশারের নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয় বদলি হলেও আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়ায় তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রির আস্থাভাজান থাকায় উক্ত আদেশ বাতিল করে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালকের দায়িত্বে বহাল থাকেন। যে সকল শিক্ষক ও কর্মচারীগণ নিজেদের অধিকার রক্ষার্থে পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করেছেন তাদেরকে অন্যায়ভাবে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে শাস্তিমূলক বদলি করেছেন এবং শিক্ষকদের চাকরি থেকে ছাটাই ও বিদ্যালয়ে পূর্ব নোটিশ ব্যতিত অনেকের বেতন স্থগিত রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেন এই সভাপতি।পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে তিনটি দাবি আছে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা যদি কর্তৃপক্ষ মেনে নেন তাহলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে আমরা চলে যাবো। দাবি মানা না হলে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন তিনি।এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শতাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।এইচএ
    র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি
    রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুল হাসান রাসেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র‍্যাব। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব-২।সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুল হাসান রাসেলকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। তবে তাকে কোন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব, সে বিষয়টি বলতে পারেননি তিনি।আরও পড়ুন-র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী জনতা হত্যায় তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানাসহ বেশ কয়েকটি থানায় মামলা রয়েছে। 
    সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, আঙুল কাটলো শিক্ষার্থীর
     রাজধানীর বঙ্গবাজারে কাপড় দেখতে গিয়ে সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও অন্য আরেক সাংবাদিক। তাদেরকে দোকানে ডেকে নিয়ে কাউন্সিলর চামেলীর অনুসারীরা হাতুড়ি, রড, জিআই পাইপ দিয়ে হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়। ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে এবং এক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর বঙ্গমার্কেটের বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের দোতলায় এমন ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। ঘটনাস্থলে তাদেরকে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলীর স্বামী আবুল হোসেন টেবু ও বিএনপির পদপ্রত্যাশী নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহবাগ থানার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফ।জানা যায়, ঢাবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়াকে মেঝেতে ফেলে পুরো শরীরে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়৷ তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ অন্যদিকে জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদকে দোতলায় মারার পর ছাদে তুলে পেটানো হয়। তিনি বাম পায়ে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। অন্যদিকে এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে ফেলা হয়৷ মারধরের একপর্যায়ে আল সাদীর মোবাইল ছিনতাই করে হামলাকারীরা। অন্যদিকে নাহিদের মোবাইল, মানিব্যাগ, বাইকের চাবি, প্রেস আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয় তারা।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, আমি এবং নাহিদ ভাই বঙ্গবাজারে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটে কাপড় দেখতে গিয়েছিলাম। তখন মার্কেটের মালিকপক্ষের কেউ আমাদেরকে চিনতে পেরে বলে, সজল ভাই উপরে আছেন। তখন আমরা উপরে গিয়ে দেখি একটা পক্ষ দরজা ভাঙচুর করছে। তারা মার্কেটের অন্য পক্ষের লোক। তাদের নেতৃত্বে রয়েছে কাউন্সিলর চামেলীর ভাই স্বপন ও স্বামী টেবু। তিনি বলেন, আমরা যখন সজল ভাইয়ের অফিসে যাই তখন টেবুর ও স্বপনের নেতৃত্বে উপস্থিত আমাদের সবার ওপর হামলা করা হয়। আমরা সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ করায় আমাদের ওপর তারা হামলা করে। এমনকি আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরে আমাদের ওপর বেশি হামলা করে। বের হয়ে আমরা পুলিশ নিয়ে আসি। পুলিশের সামনেও তারা আমাদের মারার চেষ্টা করে কিন্তু পুলিশ আমাদেরকে কোনো সাহায্য করেনি।জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ বলেন, আমাদেরকে মার্কেটের গেট ভেঙে হামলা করেছে। এসময় সেনাবাহিনীকে ফোন দিয়েও কোনো রেসপন্স পাইনি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়েছিলাম তবুও ছাত্রলীগ বলে পিটাইছে আমাদের। আমার ফোন মানিব্যাগ এবং আইডি কার্ড সব নিয়ে গেছে তারা।তিনি বলেন, পরবর্তীতে রুম থেকে বের করে এনে ছাদে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও জিআই পাইপ দিয়ে আবার মারছে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। তাদের কাছে পানি চেয়েছি কিন্তু পানি পর্যন্ত দেয়নি তারা। তারা বলছিল, আমাকে পানি খাওয়ালে আমি নাকি আবার সুস্থ হয়ে যাবো এই বলে আমার সমস্ত শরীরে আঘাত করেছে। নাহিদ আরও বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজন বলছিল- এ জ্ঞান হারানোর অভিনয় করছে, একে আবার মারা হোক, এই বলে তৃতীয় ধাপে আবার মারধর করছে। তারা আমার ম্যানিব্যাগ, প্রেসকার্ড, আইডিকার্ড নিয়ে যাওয়ার সময় বলছিল, এগুলো স্বপন ভাইয়ের কাছে জমা দিবো। স্বপন হলো বিএনপির নেতা।মার্কেটের ব্যবসায়ী বাধন বলেন, এই মার্কেটে আমার দোকান আছে। আমি মালিকের (সজলের) সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তখন মালিকের আরেক পক্ষ যারা আওয়ামী লীগ করতো তারা দরজা ভেঙে আমাদের ওপর হামলা করে। প্রাণ বাঁচাতে আমরা কয়েকজন বাথরুমে অবস্থান নিলে তারা দরজা ভেঙে হাতুড়ি, রড, জিআই পাইপ দিয়ে হামলা করে।তিনি বলেন, টেবু আওয়ামী লীগ করে। তার শেল্টারে তার আপন ভাই ইউসুফ এতদিন ব্যবসা করে আসছে। সে বিএনপিতে নাম লিখিয়ে রাখছে যেন বিএনপি ক্ষমতায় একটা পজিশন তৈরি করতে পারে। তারা একজন আওয়ামী লীগ করে আরেকজন বিএনপি করে। তারা একে অপরকে রক্ষা করে। ঘটনার একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। তারা সেখানে সাংবাদিকদের রক্ষা করতে পুলিশকে আহ্বান জানান।সারজিস আলম বলেন, আমরা সাংবাদিকসহ অন্যদের ওপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই সিন্ডিকেট যারা আজকে সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করেছে তাদেরকে আমরা ছাড় দেব না। আজকের পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র-জনতা তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।এমএইচ

    Loading…