এইমাত্র
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    ধর্ম ও জীবন

    শত্রুর সঙ্গে মহানবী (সা.) উত্তম ও দয়ার্দ্র আচরণ
    বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্ম ও নবুয়তলাভ ছিল মানবজাতির প্রতি, বিশ্বজগতের প্রতি আল্লাহর বড় নেয়ামত ও করুণা। শুধু তার নবুয়্যতের ওপর বিশ্বাস স্থাপনকারী মুমিনদের জন্য নয়, বরং সব মানুষের জন্যই তিনি রহমত ছিলেন। কোরআনে আল্লাহ বলেন, আমি তোমাকে পাঠিয়েছি বিশ্বজগতের প্রতি করুণা হিসেবে। (সুরা আম্বিয়া: ১০৭)আল্লাহ তাআলা এ আয়াতে শুধু মুমিন বা মুসলমানদের কথা বলেননি, পুরো মানবজাতি এবং পুরো বিশ্বজগতের সবার কথা বলেছেন। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় কোরআনের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার ইবনে কাসির বলেছেন, আল্লাহ তাকে পুরো বিশ্বজগতের জন্যই রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষের মধ্যে যারা এই রহমত গ্রহণ করবে এবং শোকর আদায় করবে, তারা দুনিয়া ও আখেরাতের সৌভাগ্য লাভ করবে। যারা এই রহমত প্রত্যাখ্যান করবে, তারা দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার পরিবার-পরিজন ও সাহাবিদের প্রতি অত্যন্ত রহমদিল ও দয়ার্দ্র ছিলেন। একইভাবে তিনি তার শত্রুদের প্রতিও দয়ার্দ্র ছিলেন। তার অন্তরে কারো প্রতি বিদ্বেষ ছিল না। তিনি আল্লাহর নবি হিসেবে চাইতেন সবাই হেদায়াতের পথে আসুক, ইসলাম গ্রহণ করে দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি লাভ করুক।তার শত্রুরা তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু তিনি তাদের অমঙ্গল চাননি, তাদেরকে অভিশাপ দেননি, তাদের জন্য বদদোয়া করেননি। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, একবার নবিজিকে (সা.) তার কোনো সাহাবি বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সা.) মুশরিকদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করুন! তিনি বললেন, আমাকে অভিশাপদাতা হিসেবে পাঠানো হয়নি, রহমত হিসেবে পাঠানো হয়েছে। (সহিহ মুসলিম)দ্বীনের দাওয়াত ও আত্মরক্ষার প্রয়োজনে নবিজি (সা.) শত্রুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন, যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রেও তিনি সব সময় ন্যায়পরায়ণ থেকেছেন, অপ্রয়োজনীয় নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেননি। নিকৃষ্ট শত্রুর বিরুদ্ধেও প্রতিশোধপরায়ণ হননি, বাড়াবাড়ি করেননি। কোথাও কোনো সেনাবাহিনী প্রেরণ করার সময় তিনি বলতেন, আল্লাহর নামে আল্লাহর পথে যুদ্ধযাত্রা করো। যারা আল্লাহর সাথে কুফরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, তবে বাড়াবাড়ি করবে না, গাদ্দারি করবে না, কারো লাশ বিকৃত করবে না এবং কোনো শিশুকে হত্যা করবে না। (সহিহ মুসলিম)তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসে যারা বন্দী হয়েছে, তাদের সাথেও তিনি উত্তম আচরণ করেছেন এবং তার সাহাবিদেরও নির্দেশ দিয়েছেন উত্তম আচরণ করতে। বদরের যুদ্ধে বন্দী মুশরিকদের সাহাবিরা খাবার খাইয়েছেন নিজেরা অভুক্ত থেকে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা সাহাবিদের এই আচরণের প্রশংসা করে বলেছেন, তারা নিজেদের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও মিসকিন, এতিম ও বন্দিদের খাবার দান করে। (সুরা দাহর: ৮)ব্যক্তিগত পর্যায়েও চরম দুরাচার কাফের ও ‍দুষ্টলোকদের সাথে তিনি উত্তম, নম্র ও বিনয়ী আচরণ করতেন। ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও শাস্তি না দিয়ে তাদের খারাপ আচরণ ও বেয়াদবি ক্ষমা করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, একদিন এক ব্যক্তি রাসুলের (সা.) সাথে দেখা করার অনুমতি চাইল। আমি সে সময় তার কাছে বসে ছিলাম। তিনি বললেন, এ অত্যন্ত নিকৃষ্ট প্রকৃতির লোক! তারপর তাকে যখন আসার অনুমতি দেয়া হলো, তিনি তার সাথে খুব নম্রভাবে কথা বললেন। লোকটি বের হয়ে গেলে আমি বললাম, লোকটি সম্পর্কে এরকম বললেন, আবার তার সাথে নম্র ব্যবহার করলেন। রাসুল (সা.) বললেন, আয়েশা! যে লোকের খারাপ ব্যবহারের জন্য লোকজন তাকে পরিহার করে এবং তার থেকে দূরে থাকে, সে সবচেয়ে খারাপ লোক। (শামায়েলে তিরমিজি)এইচএ 
    ১৬ সেপ্টেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    আজ সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইংরেজি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বাংলা, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-নামাজের সময়সূচি ফজর- ৪:৩০ মিনিট। জোহর- ১১:৫৭ মিনিট। আসর- ৪:১৯ মিনিট। মাগরিব- ৬:০৬ মিনিট। ইশা- ৭:২০ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৬:০১ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৫:৪৫ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট। সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ
    আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যুর পূণ্যময় দিন। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল অর্থাৎ আজকের এই দিনে তিনি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩ বছর বয়সে একইদিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে (১২ রবিউল আউয়াল) আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’র যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুর আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন।পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর) গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। দিনটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।যথাযথ মর্যাদায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.) এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেইটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন।অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।এমআর
    রবিউল আউয়াল মাসের ঐতিহাসিক ঘটনা
    ইসলামি বর্ষপঞ্জির বা আরবি হিজরি সনের ৩য় মাস হলো রবিউল আউয়াল। এটি অন্যান্য মাস থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই মাসেই ইন্তেকাল করেন।পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে এই রবিউল আউয়াল মাসের জন্য আলাদা কোনো করণীয় বা আমলের বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাই নিজেদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আমলের বর্ণনা দেওয়া শরিয়তে বাড়াবাড়ি এবং হারাম কাজ। তবে নবিজির সিরাত আলোচনা করা একটি বড় ইবাদত। এমনকি এটি ঈমানের অংশও বটে।ঐতিহাসিকগণ বলেন, তিনি এ মাসের ১২ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। কেউ কেউ বলেন ৮ তারিখ। আবার কেউ কেউ বলেছেন ৯ তারিখ। তবে এই মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালামের পবিত্র জন্মগ্রহণ ছাড়া আরো অনেক ঘটনা রয়েছে।(১) মসজিদে কুবা নির্মাণ: মদিনার আনসারি সাহাবিরা যখন জানতে পারলেন যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় হিজরত করছেন। তখন তারা রাসূলকে অভিবাদন জানানোর জন্য প্রতিদিন ‘কুবা’ নামক স্থানে একত্রিত হতেন। সেখানে রাসূলের আগমনের অপেক্ষা করতেন। অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতেন।অবশেষে রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন রবিউল আউয়াল মাসে ‘কুবা’ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন আমর ইবনে আউফের (রা.) বাড়িতে অবস্থান করেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম করার পর সর্বপ্রথম তিনি মসজিদে কুবা নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেন। অতঃপর কুলসুম ইবনে হাদিমের (রা.) জমিতে মসজিদ নির্মাণ করেন।মসজিদের প্রথম পাথর রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজ হাতে রাখেন। অতঃপর আবু বকর ও ওমর (রা.) একটি একটি করে পাথর রাখেন। ইসলামে সর্বপ্রথম মসজিদ এটিই যা রবিউল আওয়াল মাসের ৮ তারিখে নির্মিত হয়।(২) রাসূলের কন্যা উম্মে কুলসুমের (রা.) বিবাহ: তৃতীয় হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে হজরত উসমান (রা.) এর সঙ্গে উম্মে কুলসুমের (রা.) বিয়ে হয়। প্রথমে আবু লাহাবের দ্বিতীয় ছেলে উতাইবা ইবনে আবু লাহাবের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সূরা লাহাব নাযিল হলে এবং তাতে আবু লাহাবকে চরমভাবে লাঞ্ছিত করা হলে উতাইবা রাসূলের সঙ্গে বেয়াদবিমূলক আচরণ করে; এবং সঙ্গে সঙ্গে উম্মে কুলসুমকে (রা.) তালাক দিয়ে দেয়।তার এমন উদ্যতপূর্ণ আচরণের কারণে রাসূলের মুখ থেকে অনিচ্ছায় এ কথা বেড়িয়ে যায় ‘হে আল্লাহ! আমার কুকুরগুলোর মধ্য থেকে কোন কুকুরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দাও’।এর কিছুদিন পর আবু লাহাব ও তার ছেলে উতাইবা সিরিয়ার উদ্দেশ্যে সফর শুরু করে। পথিমধ্যে বিশ্রামের জন্য একটি জায়গায় সফর বিরতি দেয়। আবু লাহাব কিছুটা দূরে গিয়ে পাহারায় ছিল এমন অবস্থায় হঠাৎ একটি নেকড়ে এসে তার ছেলের মাথাকে দ্বিখণ্ডিত করে নিয়ে যায় এবং সেখানেই সে মারা যায়। (সিরাতে ইবনে হিশাম)(৩) নবীজির শেষ সন্তান ইব্রাহিমের (রা.) মৃত্যু: ইব্রাহিম (রা.) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সর্বশেষ সন্তান ছিলেন। তিনি ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে ৯ রজব মদিনার নিকটবর্তী আলিয়া নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। নবীপত্নী মারিয়া কিবতিয়ার (রা.) গর্ভ থেকে তিনি জন্মলাভ করেন। আবু রাফে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আজাদকৃত গোলাম ছিলেন।তিনি ইব্রাহিমের (রা.) জন্মের সুসংবাদ রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে দেন; তখন রাসূলুল্লাহ অত্যন্ত খুশি হয়ে তাকে পুরস্কার স্বরূপ একটি গোলাম হাদিয়া দেন। সুসংবাদ পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই জিব্রাইল (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে ‘ইয়া আবা ইব্রাহিম’ অর্থাৎ ইব্রাহিমের পিতা বলে ডাক দেন।তখন রাসূল (সা.) অত্যন্ত খুশি হন এবং তৎক্ষনাৎ ২টি বকরী আকিকা করেন। মাথার চুল কেটে তার সমপরিমাণ রুপা দান করেন। এরপর দুধ পান করানোর জন্য উম্মে সাইফের (রা.) কাছে সোপর্দ করেন। দুধ পান করানো অবস্থায় রবিউল আউয়াল মাসে তিনি ইন্তেকাল করেন।(৪) রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রিয় সাহাবি মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) এর মৃত্যু: তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অত্যন্ত প্রিয় একজন সাহাবি ছিলেন। তিনি একজন ফক্বিহ তথা ইসলাম ধর্মের পণ্ডিত ছিলেন। মক্কা বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে একটি কাফেলার প্রধান বানিয়ে ইয়ামিনের দিকে প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি ইসলাম প্রচার করতে থাকেন এবং মানুষদেরকে দ্বীনের পথে ডাকতে থাকেন। লোকজন ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য তার আশপাশে জড়ো হতেন। অবশেষে তিনি ১৮ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে ইন্তেকাল করেন।(৫) হজরত জয়নাব বিনতে জাহাশের (রা.) ইন্তেকাল: তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ছিলেন। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওহিপ্রাপ্ত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে বিয়ে করেন। বিবাহ পরবর্তী ওলিমা অনুষ্ঠানে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পর্দার আদেশ নাজিল হয়।সে অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার পর কিছু সংখ্যক সাহাবি দীর্ঘ সময় বসে ছিলেন এবং বারবার ঘরে আসা যাওয়া করছিলেন, যার কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) কিছুটা বিরক্ত হচ্ছিলেন। ইচ্ছা থাকা সত্বেও কিছু বলতে পারছিলেন না। মনে মনে চাচ্ছিলেন যে তারা চলে যায়।এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা এই আয়াত নাযিল করেন। ‘হে মুমিনগণ! নবীর ঘরে (অনুমতি ছাড়া) প্রবেশ করো না। অবশ্য তোমাদেরকে আহার্যের জন্য আসার অনুমতি দেওয়া হলে ভিন্ন কথা। তখন এভাবে আসবে যে, তোমরা তা প্রস্তুত হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকবে না। কিন্তু যখন তোমাদেরকে দাওয়াত করা হয় তখন যাবে। তারপর যখন তোমাদের খাওয়া হয়ে যাবে তখন আপন-আপন পথ ধরবে; কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না। বস্তুত তোমাদের এ আচরণ নবীকে কষ্ট দেয়, কিন্তু সে তোমাদেরকে (তা বলতে) সঙ্কোচবোধ করে। আল্লাহ সত্য বলতে সঙ্কোচবোধ করেন না। নবীর স্ত্রীগণের কাছে তোমরা কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাবে। এ পন্থা তোমাদের অন্তর ও তাদের অন্তর অধিকতর পবিত্র রাখার পক্ষে সহায়ক হবে। নবীকে কষ্ট দেওয়া তোমাদের জন্য জায়েজ নয়। (সূরা: আহযাব, আয়াত: ৫৩)এইচএ
    ১৫ সেপ্টেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামাজ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইংরেজি, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বাংলা, ১১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো- নামাজের সময়সূচি ফজর- ৪:৩০ মিনিট। জোহর- ১১:৫৭ মিনিট। আসর- ৪:১৯ মিনিট। মাগরিব- ৬:০৬ মিনিট। ইশা- ৭:২০ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৬:০২ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৫:৪৪ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট। সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ যা বললেন
    ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েও যেকোনো দেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।মালয়েশিয়ার উদাহরণ টেনে আহমাদুল্লাহ তার স্ট্যাটাসে বলেন, বিগত ৫০ বছর যাবৎ দেশের সব সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করছে কথিত প্রগতিশীল শক্তি। এরা সব সময়ই ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে।শুধু তা-ই নয়, তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছে—উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ধর্ম। অথচ ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েও যে কোনো দেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারে, তার বড় উদাহরণের নাম মালয়েশিয়া। তাদের সংবিধানের ৩(১) ধারায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উল্লেখ করে অন্যান্য ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।তার ওপর ভিত্তি করে তারা যদি ইসলামকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রে রাখতে পারে, সব কাজে ইসলামকে ধারণ করে তারা যদি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, তবে বাংলাদেশে সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায়? প্রশ্ন রাখেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মালয়েশিয়াই নয়, এমন আরও বহু দেশ রাষ্ট্রধর্মকে স্বীকার করে তার আলোকে দেশ পরিচালনা করে এগিয়ে গেছে। চোখের সামনে উন্নতির এমন জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ থাকার পরও ধর্মই এ দেশের প্রগতিশীলদের প্রধান শত্রু। অথচ যুগের পর যুগ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের বিযুক্তি আমাদের দেশকে কী দিয়েছে, কতটুকু উন্নত করেছে, এটা সময়ের বড় প্রশ্ন।’আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, ‘এর চেয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হতো, যদি তাদের ভেতর এই অনুভব ছড়িয়ে দেওয়া যেত যে তারা বাইরের কেউ নয়, তারা এই দেশের মালিক, তবে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য তারা সব কিছু উজাড় করে দিতো। এতে দিনশেষে লাভবান হতো আমাদের এই দেশটাই।এফএস
    রাগ মানুষের নেক আমল নষ্ট করে দেয়
    আল্লাহর প্রিয় বান্দারা আল্লাহর ভয়ে সর্বদা আল্লাহর অনুগত হয়ে চলার চেষ্টা করে। কখনো ভুল-ত্রুটি হয়ে গেলে তাওবা করে নিজেকে শুধরে নেয়। কিন্তু অনেকে নিজেদের অগোচরে এমন কিছু ভুল করে ফেলে, যার কারণে পুণ্যগুলো নিমিষেই আমলনামা থেকে হারিয়ে যায়। এমন একটি ক্ষতিকর দিক হল রাগ।  রাগ মানুষের নেক আমল নষ্ট করে দেয়। রাগের সময় মানুষ এমন কিছু কাজ করেন, যার জন্য পরে তাকে অনুশোচনায় ভুগতে হয়। রাগের বশে কারো ক্ষতি করা বীরের কাজ নয়। বরং বীর হলো সেই ব্যক্তি যে কঠিন রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘সেই ব্যক্তি শক্তিশালী নয় যে কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে। বরং সেই ব্যক্তি প্রকৃত শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৮০৯)কখনো কখনো মানসিক কারণে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নের আমল গুলো করা যেতে পারে- আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা : দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পর গালাগাল করছিল। তাদের একজনের চোখ লাল হয়ে উঠল ও গলার শিরা ফুলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আমি একটি দোয়া জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। তা হলো-أعُوذُ باللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِউচ্চারণ : আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তান রজিম। অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে অভিশপ্ত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৮১২)চুপ থাকা: অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা না করে চুপ হয়ে যাওয়া। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো।কঠিন কোরো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন: রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন তোমাদের কারো রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৮৪)অজু করা: রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয় সে যেন অজু করে।  (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৬)এবি 
    ৬ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিশু মুনতাছির
    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ বছর বয়সী শিশু মো.মুনতাছির আলম মাত্র ছয় মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের অবাক করে দিয়েছে মুনতাছির।সে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ্ বিভাগের ছাত্র এবং মুনতাছির উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো.শাহ আলম- রোকসানা আক্তার দম্পতির ছেলে।জানা যায়, ছেলে জন্মের আগেই মায়ের নিয়ত ছিল ছেলে হলে তাকে কোরআনে হাফেজ বানাবেন। এতে মত ছিল বাবারও। যেমন নিয়ত,তেমন কাজ। এরপর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাবা ও মায়ের ইচ্ছায় ছেলে মুনতাছিরকে বাড়ির পাশে দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। পরিবারের সবার মধ্যে কথাবর্তা,আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছেলে নামকরা হাফেজে আলেম হয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করবে।মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা বলছে, মা-বাবা তার ছেলেকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ছেলেকে মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন মুখস্ত করে মুনতাছির। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া পরিবার ও সমাজের জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া।শিশু হাফেজ মো.মুনতাছির আলম বলেন, মা-বাবা ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায়া আমি ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করি। সবার কাছে দোয়া চায় আমি যেন দেশ বরেণ্য হাফেজে আলেম হতে পারি।স্থানীয় বাসিন্দা আবু নাছের বলেন, শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নয় এলাকাবাসীও শুভ কামনা জানিয়েছেন শিশু হাফেজ মুনতাছিরের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ ক্ষুদে হাফেজ। সমাজের মানুষ এ থেকে আরো বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।মুনতাছিরের বাবা শাহ আলম বলেন, আমার ছেলে জন্ম হওয়ার আগেই তার মায়ের নিয়ত ছিল ছেলেকে হাফেজ বানানোর। আল্লাহর রহমতে আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চায় আমার ছেলে যেন দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে পারে।দারুল ফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুবক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০২৪ সালের শুরুর হিফজ্ বিভাগে ভর্তি হয়ে সে ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করে। এতে তার পিতা-মাতার আন্তরিকতা সহযোগিতা এবং ওস্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সহযোগিতা ছিল। ২০১৮ সালে মাদরাসায় হেফজ বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকে ৪৪জন ছাত্র হিফজু সম্পন্ন করে। বর্তমানে হিফজু বিভাগে ৬৪ জন ছাত্র অধ্যয়নরত রয়েছে। ভবিষ্যতে সে দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে চায়। ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন বাবা-মা।এইচএ
    মহানবী (সা.) উম্মতকে যেসব বিষয়ে সতর্ক করেছেন
    প্রিয় নবী (সা.) তিনি ছিলেন দয়ার নবী। বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ। উম্মতের জন্য কোনটা কল্যাণকর আর কোনটা অকল্যাণকর-এ নিয়ে আমাদের বারবার সতর্ক করেছেন। নিজের উম্মতকে নিয়ে যেসব ব্যাপারে আশঙ্কা করেছেন, সেসব বিষয়ে আগে থেকেই আমাদের সাবধান করে গেছেন।মানুষের কিছু চরিত্র আর অভ্যাসের ব্যাপারে তিনি আশঙ্কা করেছেন, তাই তিনি এগুলো স্পষ্টভাবে বলে গেছেন। এ ছাড়া কিছু মন্দ লোকের ব্যাপারে তিনি আমাদের সতর্ক করে গেছেন, তাই সেসব মানুষের নাম-বৈশিষ্ট্য উম্মতের সামনে স্পষ্ট করেছেন, যেন এসব থেকে উম্মত বেঁচে থাকতে পারে। নিম্নে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো:দুনিয়ার মোহ:দুনিয়ার প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা এই উম্মতকে গোমরাহ করে দেবে। এ ব্যাপারে তিনি আমাদের সতর্ক করেছেন।রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের নিয়ে দারিদ্র্যের ভয় করি না। কিন্তু এ আশঙ্কা করি যে তোমাদের ওপর দুনিয়া এমন প্রসারিত হয়ে পড়বে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদের বিনাশ করবে, যেমন তাদের বিনাশ করেছে।(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩১৫৮)গোপন শিরকের ভয়:গোপন শিরক বা শিরকে খপি। অর্থাৎ ইবাদত করবে লোক দেখানোর জন্য। মানুষ দান করবে, যাতে তার দানশীলতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আমাদের নিকট রাসুল (সা.) বের হলেন, আমরা তখন দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি (সা.) বলেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় অবহিত করব না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই।তিনি বলেন, গোপন শিরক। মানুষ নামাজ পড়তে দাঁড়ায় আর অন্যদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে নামাজ পড়ে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২০৪)সমকামিতার আশঙ্কা:সমকামিতা এমন পাপ যা আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত এবং এর কারণে আল্লাহ তাআলা পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর আজাব নাজিল করেছেন। আমাদের প্রিয় নবী উম্মতের ব্যাপারেও এই ভয়াবহ অপরাধের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি যে কুকর্মটি আমার উম্মতের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক ভয় করি তা হলো লুত সম্প্রদায়ের কুকর্ম। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৪৫৭)নারীদের নিয়ে শঙ্কা:রাসুল (সা.) উম্মতকে নারীদের সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। কারণ বনি ইসরাঈলের মধ্যে সর্বপ্রথম যে ফিতনা হয়েছিল তা নারীদের নিয়েই। নবী (সা.) থেকে বর্ণিত, অবশ্যই দুনিয়াটা মিষ্টি ফলের মতো আকর্ষণীয়। আল্লাহ তাআলা সেখানে তোমাদের প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন। তিনি লক্ষ করেন, তোমরা কিভাবে কাজ করো? তোমরা দুনিয়া ও নারী জাতি থেকে সতর্ক থেকো। কেননা বনি ইসরাঈলের মধ্যে প্রথম ফিতনা নারীকেন্দ্রিক ছিল। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৮৪১)অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি আমার (ইন্তেকালের) পর পুরুষদের জন্য নারীদের ফিতনার চেয়ে বেশি কোনো ফিতনা রেখে যাইনি। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৮৩৮)বাকপটু মুনাফিক:নবী (সা.) উম্মতকে বাকপটু মুনাফিক হতে সতর্ক করে গেছেন। অনেক মানুষ এমন আছে যে এই বাকপটুতা দেখে তাদের অনুসরণ করেছে আর বিভ্রান্ত হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন, এই উম্মাতের জন্য যাকে আমি সবচেয়ে ভয়ংকর ও বিপজ্জনক মনে করি এবং সবচেয়ে ভয় করি, সে হচ্ছে অতিশয় বাকপটু মুনাফিক। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৩১০)অনিয়ন্ত্রিত জিহ্বা:লাগামহীন ও অনিয়ন্ত্রিত জিহ্বার ব্যবহার আমাদের জীবনে ব্যাপক বিপর্যয় ডেকে আনে। প্রিয় নবী (সা.) আমাদের এই মুখের ব্যবহারে সতর্ক থাকতে বলেছেন। সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ আস-সাকাফি (রা.) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমাকে এমন একটি কথা বলুন, যা আমি ধারণ করতে পারি। তিনি বলেন, তুমি বলো, আল্লাহই আমার রব। তারপর এতে অটল থাকো। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, আমি আবার বললাম, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আপনার দৃষ্টিতে আমার জন্য সর্বাধিক আশঙ্কাজনক বস্তু কোনটি? তিনি স্বীয় জিহ্বা ধরে বলেন, এই যে এটি। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১০)পথভ্রষ্ট নেতা:একজন নেতা সমাজের অভিভাবক। তার ভালো ইচ্ছাগুলো সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, আর যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে তা ওই সমাজের জন্য অমঙ্গলজনক। এদের ভ্রষ্টতা ইসলাম ধ্বংসের কারণ হবে। এ জন্য প্রিয় নবী (সা.) পথভ্রষ্ট ও আদর্শচ্যুত নেতা থেকে সতর্ক করে গেছেন। সাওবান (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি আমার উম্মতের ব্যাপারে পথভ্রষ্টকারী নেতাদের ভয় করি। তিনি আরো বলেছেন, আমার উম্মতের একদল আল্লাহর হুকুম (কিয়ামত) আসার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সর্বদা বিজয়ী বেশে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। যারা তাদের অপমানিত করতে চাইবে তারা তাদের ক্ষতি করতে পারবে না। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ২২২৯)দাজ্জালের ফিতনা:কিয়ামতের আগে সবচেয়ে ভয়াবহ হবে দাজ্জালের ফিতনা। যে ফিতনা সম্পর্কে সব নবী তাঁদের উম্মতকে সতর্ক করে গেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের দাজ্জালের ফিতনার ব্যাপারে সাবধান করছি, যেমন প্রত্যেক নবী তাঁর সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে সাবধান করেছেন। এমনকি নুহ (আ.)-ও তাঁর সম্প্রদায়কে এ থেকে সাবধান করেছেন। তবে এ সম্পর্কে আমি তোমাদের এমন একটি বিষয় পরিষ্কারভাবে বলে দিচ্ছি, যা কোনো নবী তাঁর সম্প্রদায়কে বলেননি। তা হলো এই যে, তোমরা জেনে রাখো, দাজ্জাল কানা হবে। আল্লাহ তাআলা অন্ধ নন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৪৬)।এফএস
    ১১ সেপ্টেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    নামাজ শব্দের অর্থ দোয়া, প্রার্থনা ও রহমত ইত্যাদি। নামাজের আরবি হলো সালাত। পারিভাষিক ভাবে ইসলামী শরীয়ত নির্দেশিত নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে একান্ত বিশ্বাসের সহিত বিশেষ প্রার্থনা বা ইবাদত। ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ হইতে বিরত রাখে”।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।আজ বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইংরেজি, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বাংলা, ৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো- নামাজের সময়সূচি ফজর- ৪:২৮ মিনিট। জোহর- ১১:৫৯ মিনিট। আসর- ৪:২৩ মিনিট। মাগরিব- ৬:১২ মিনিট। ইশা- ৭:২৬ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৬:০৭ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৫:৪৩ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তাহলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট। সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    দুবাইয়ে ৬০ দেশের নারী হাফেজদের কোরআন প্রতিযোগিতা
    পবিত্র কোরআন মুখস্থের প্রতি মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছে হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা। শাইখা ফাতেমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার ৮ম আসরে বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিযোগী অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ সেরা ১০ নারী হাফেজকে পুরস্কার দেয়া হবে। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাফেজ মাইমুনা বিনতে মনিরুজ্জামান (১৩)। তিনি মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর প্রথম রাউন্ডে কোরআন তেলাওয়াত করবেন। তার গ্রুপের অন্য দুই প্রতিযোগী হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের উজরা আবদুর রহিম ও মোজাম্বিকের উম্মে সুলাইম আবদুস সাত্তার। হাফেজ মাইমুনা ময়মনসিংহ জেলার কাতার প্রবাসী ইমাম কারি মনিরুজ্জামান শরীফের মেয়ে। তিনি রাজধানীর সাউদা বিনতে জামআহ (রা.) হেফজ মাদরাসার ছাত্রী। এর আগে মাইমুনা ইরানে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।  একই মাদরাসার অপর শিক্ষার্থী নুসাইবা হক ফাইজা ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থানে অর্জন করে বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন। দুবাই আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার মিডিয়া প্রধান আহমেদ আল জাহিদ জানিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের মামরেজ এলাকায় অবস্থিত অফ কালচার অ্যান্ড সায়েন্স মিলনায়তনে চলবে। একাধিক প্ল্যাটফর্ম এবং স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রতিযোগিতা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শাইখা ফাতিমা বিনতে মোবারক আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা সারাবিশ্বে পবিত্র কোরআনের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।এমএইচ
    ত্রাণের কার্টন বিক্রি করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পেল ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা
    বন্যাকবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকেজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ত্রাণ তহবিলে জমা করেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সেবামূলক প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানান। তার ফেসবুক পোস্টে কার্টন বিক্রির ছবি আপলোড করে বলা হয়, এগুলো ক্রয় করা ত্রাণসামগ্রীর বিভিন্ন কার্টন। ত্রাণ প্যাকেজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া এই কার্টনগুলো আমরা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করে ত্রাণ তহবিলে জমা করেছি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এবারের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থাও অর্জন করেছে সংগঠনটি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই অনুদান পাঠিয়েছেন এখানে।  মানুষের অনুদানের টাকা আমানতের সঙ্গে বন্যা কবলিতদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। নিজের একাধিক ফেসবুক পোস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বন্যায় মাত্র ১২ দিনে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একক অনুদানের পরিমাণ ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করেছে আস-সুন্নাহ। দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে সংগঠনটি। এরইমধ্যে প্রায় ১ লাখ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে ফাউন্ডেশন। এমএইচ
    ১০ সেপ্টেম্বর: নামাজের সময়সূচি
    নামাজ, যার শাব্দিক অর্থ দোয়া, প্রার্থনা ও রহমত ইত্যাদি। নামাজের আরবি হলো সালাত। পারিভাষিক ভাবে ইসলামী শরীয়ত নির্দেশিত নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে একান্ত বিশ্বাসের সহিত বিশেষ প্রার্থনা বা ইবাদত। ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজ পড়া হলেও মিরাজের পর থেকে নামাজের বর্তমান রীতি চালু হয়। আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসাবে নামাযই একমত্র মাধ্যম। আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই নামায পাপ ও অশ্লীল কাজ হইতে বিরত রাখে”।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন।হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা মনোনীত সর্বোত্তম আমল হলো নামাজ। অতএব যে বেশি বেশি নামাজ পড়তে সক্ষম, সে যেন বেশি বেশি নামাজ পড়ে। (তাবারানি)আজ মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইংরেজি, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বাংলা, ৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো- নামাজের সময়সূচি ফজর- ৪:২৮ মিনিট। জোহর- ১১:৫৯ মিনিট। আসর- ৪:২৩ মিনিট। মাগরিব- ৬:১২ মিনিট। ইশা- ৭:২৬ মিনিট। আজ সূর্যাস্ত- ৬:০৯ মিনিট। আজ সূর্যোদয়- ৫:৪২ মিনিট।বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তাহলো-বিয়োগ করতে হবে- চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট। সিলেট: -০৬ মিনিট।যোগ করতে হবে- খুলনা: +০৩ মিনিট। রাজশাহী: +০৭ মিনিট। রংপুর: +০৮ মিনিট। বরিশাল: +০১ মিনিট।এইচএ
    রবিউল আউয়াল মাসে করণীয় ও বর্জনীয়
    ইসলামি বর্ষপঞ্জির ৩য় মাস হলো রবিউল আউয়াল। এটি অন্যান্য মাস থেকে বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, বিশ্বনবি হজরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মাসেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং এই মাসেই ইন্তেকাল করেন।তবে কোরআন কারিম ও হাদিসে এই মাসের জন্য আলাদা কোনো করণীয় বা আমলের বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাই নিজেদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আমলের বর্ণনা দেওয়া শরিয়তে বাড়াবাড়ি এবং হারাম কাজ। তবে নবিজির সিরাত আলোচনা করা একটি বড় ইবাদত। এমনকি এটি ঈমানের অংশও বটে।নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম, শৈশব, নবি হিসেবে প্রেরণ, দাওয়াত, জিহাদ, ইবাদত, আখলাক-চরিত্র, নীতি-নৈতিকতা, তাকওয়া-তাহারত, দয়া-ভালোবাসা, রাগ-ক্রোধ, হাসি, উঠা-বসা, হাঁটা, ঘুম-জাগরণসহ যাবতীয় চালচলন ইত্যাদি মুসলিম উম্মাহর সামনে উপস্থাপন করা। এগুলো সামনে রেখে আলোচনা সভার অয়োজন করা, অবশ্যই ভালো এবং প্রশংসনীয় কাজ। রবিউল আওয়াল মাসে ইসলাম সমর্থন করে না এমন কাজে মেতে না ওঠে এগুলো করা যেতে পারে।এছাড়াও প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিজের ৩টি রোজা রাখার কথা এসেছে হাদিসে। আর তাই এই রবিউল আউয়াল মাসেও এর প্রতি যত্নশীল হওয়া যেতে পারে।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আ’মর ইবনে আ’স (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে ৩টি করে সিয়াম পালন, সারা বছর ধরে সিয়াম পালনের সমান’। (বুখারি: ১১৫৯, ১৯৭৫)এছাড়া প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখার অভ্যাস করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ২ দিন বিশেষ রোজা রাখতেন। এ বিষয়ে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘বৃহস্পতি ও সোমবার আল্লাহ তাআলার সামনে বান্দার আমল উপস্থাপন করা হয়, তাই আমি চাই- আমার আমল পেশ করার সময় আমি যেন রোজা অবস্থায় থাকি’। (সুনানে নাসায়ী: ২৩৫৮)নবিজির জন্মের ঘটনার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো তার জীবনাদর্শের অনুসরণ। জন্মের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত। কিন্তু তার সিরাত বা জীবনাদর্শ সব যুগের, সব মানুষের জন্য। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য। আর নবিপ্রেমের প্রথম শর্ত হলো নবীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাস্তব জীবনে এর প্রতিফলন না ঘটলে নবীপ্রেমের দাবি অর্থহীন।পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًاঅর্থ: ‘যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে’। (সূরা: আল-আহযাব, আয়াত: ২১)এইচএ
    বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করবে আস-সুন্নাহ, আবেদন করবেন যেভাবে
    বন্যাদুর্গত এলাকায় বসতঘর হারানো ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। পুনর্বাসন পেতে বন্যাদুর্গতদের আবেদন করতে বলেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।আজ সোমবার তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানান। আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য আবেদনের সময় ১১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।এই সময়ের পর আর কোনো আবেদন গৃহীত হবে না।যাদের জন্য আবেদন করবেন১. বাড়িঘর ভেঙে গেছে, এ রকম দরিদ্র ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন।২. যে দরিদ্র কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে।৩. যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।এক ব্যক্তি যেকোনো এক ক্যাটাগরিতে সহযোগিতার জন্য বিবেচিত হবেন।আবেদনের ক্ষেত্রে যা বর্জনীয়১. আত্মীয়-স্বজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।২. ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ করা।আবেদন করতে এই লিংকে ক্লিক করুনসম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলা বন্যার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।এই বন্যায় শুরু থেকেই ত্রাণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছে আস-সুন্নাহ-ফাউন্ডেশন।এর জন্য অনুদান পেয়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে আরো কয়েক মাস আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থাকবে বলে জানিয়েছেন, সংগঠনটির চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।গত ৩ সেপ্টেম্বর ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১১টি জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু এবং ৫০ লাখ ২৪ হাজার ২০২ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫, নারী সাত এবং শিশু ১৯ জন।কুমিল্লায় ১৯, ফেনীতে ২৮, চট্টগ্রামে ছয়, খাগড়াছড়িতে এক, নোয়াখালীতে ১১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক, লক্ষ্মীপুরে এক, কক্সবাজারে তিন এবং মৌলভীবাজারে একজন মারা গেছেন।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের ৬৮টি উপজেলা বন্যাকবলিত, ৫০৪টি ইউনিয়ন-পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১৫৫টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।বন্যায় আক্রান্ত জেলাগুলো হলো- ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।এমএইচ

    Loading…