এইমাত্র
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি মামুন গ্রেফতার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    বিনোদন

    কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
    একসময় আলোচিত অভিনেত্রী ও শেখ হাসিনা সরকারের ঘনিষ্ঠ জ্যোতিকা জ্যোতি এখন কোণঠাসা। বিতর্কিত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে একের পর এক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ হারিয়েছেন।চাকরিচ্যুতির পর থেকেই ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে নানা সংকটে পড়েছেন জ্যোতি। সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বাদ পড়া, সিনেমায় কাজ হারানো এবং বাড়িওয়ালার হাতে একদিনের নোটিশে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়ার মতো ঘটনা তাকে অসহায় করে তুলেছে।বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে জ্যোতি তার বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানান। তিনি লেখেন, “এক সিনেমায় কাস্টিং হয়েছিল, পরিচালক গল্প শুনিয়েছিলেন, জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে শুটিং। কিন্তু কয়েকদিন পর খবর পেলাম আমার জায়গায় এক বিদেশি অভিনেত্রীকে কাস্ট করা হয়েছে।”তিনি আরও যোগ করেন, “ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের দায়িত্বে থাকার কথা ছিল, কিন্তু পরে শুনলাম, সেখানে আমার উপস্থিতিও অনাকাঙ্ক্ষিত। এমনকি পরিচিতজনদের সামাজিক অনুষ্ঠানেও আমার অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি তোলা হচ্ছে।”নিজের বাসা থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে জ্যোতি লেখেন, “এপ্রিল মাসে নতুন বাসায় উঠেছিলাম। বাড়িওয়ালা প্রথমে আশ্বস্ত করেছিলেন আমার কুকুর রাখা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু আগস্টে হঠাৎ বাড়িওয়ালা বললেন, আমি যেন বাসা ছেড়ে দিই। একদিনের নোটিশে আমাকে বের করে দেওয়া হয়। আমার দুই মাসের অগ্রিম ভাড়াও ফেরত দেওয়া হয়নি।”এই প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মুক্তির আশা প্রকাশ করে জ্যোতি প্রশ্ন তোলেন, “এগুলো আসলে কী? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না! এসব পোহাতে হবে কতদিন?”এসএফ 
    মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ, যা বললেন অভিনেত্রী তিশা ও টয়া
    দেশের জনপ্রিয় তিন অভিনেত্রী সাফা কবির, তানজিন তিশা ও মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া। এই তিন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদক করে দেশের একটি গণমাধ্যম। গণমাধ্যমটির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লেষের অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে।এছাড়া, নাট্য জগতের আরেক পরিচিত মুখ সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েকের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লেষের বিষয়ে বিশেষ অনুসন্ধান চালাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (নারকোটিক্স)। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।গনমাধ্যমটি সূত্রের বরাতে তাদের প্রতিবেদনে বলছে, মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে তথ্য-প্রমাণসহ সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধির নাম বেরিয়ে আসে। একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে তারা নিয়মিত মাদক সংগ্রহ করে আসছিলেন। ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী অরিন্দম রায় দীপকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারকোটিক্সের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন বলেন, দীপকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে আমরা কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে নারকোটিক্স বলছে, মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সাবেক ছাত্র দীপের ওপর বিশেষ নজরদারি করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার গতিবিধি অনুসরণের ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন দীপ। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিসা, এমডিএমএ, এলএসডি ও কুসসহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করা হয়। পরে নারকোটিক্সের একটি বিশেষায়িত টিম দীপকে ২ দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে।তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, মাদক ব্যবসার বিষয়ে মৌখিক স্বীকারোক্তির একপর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। এতে জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, দীপের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা কয়েকটি নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে নম্বরগুলো যাচাইয়ের জন্য ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলো সাফা কবির এবং টয়ার নামেই রেজিস্ট্রেশনকৃত। তবে তানজিন তিশার নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তার মা উম্মে সালমার নামে।গণমাধ্যমের হাতে আসা কয়েকটি চ্যাটিং রেকর্ডে দেখা যায়, ২৩ এপ্রিল সাফা কবির তার মোবাইল নম্বর থেকে ৩টি এমডিএমএ অর্ডার দেন। এজন্য দীপের হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সংক্ষেপে লেখেন 'ই' দিতে পারবা আমাকে ৩টা।’ জবাবে দীপ লেখে দাঁড়াও বলি। সাফা লেখেন 'ওকে’'। এরপর দীপ লেখেন কিভাবে নিবা? যাওয়ার পথে? সাফা লেখেন 'আমি চেষ্টা করব।'এছাড়া ৫ সেপ্টেম্বর আরেক চ্যাটিংয়ে মাদকের অর্ডার দেন অভিনেত্রী টয়া। তিনিও সাংকেতিক ভাষায় লেখেন 'ই' লাগবে ৫টা। ফিরতি বার্তায় দীপ লেখেন 'ফর বাংলা ফ্রুট?' (সম্প্রতি কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত প্রাইভেট পার্টি)। এরপর টয়া লেখেন 'ইয়াপ (ইয়েস)।'মাদক বিক্রির এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আরও কয়েকজন অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পীর চ্যাটিং পাওয়া যায়। এদের অন্যতম হলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা এবং সংগীত শিল্পী সুনিধি নায়েক। চ্যাটিংয়ে সুনিধি নায়েক কয়েকটি ব্র্যান্ডের এমডিএমের প্যাকেট শেয়ার করে অর্ডার দেন।নারকোটিক্স বলছে, ভারতীয় নাগরিক সুনিধি নায়েক দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। বাংলাদেশের নামকরা সংগীত শিল্পী এবং কোক স্টুডিওর অন্যতম উদ্যোক্তা শায়ান চৌধুরী ওরফে অর্ণবকে বিয়ে করে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তবে সম্প্রতি অর্ণবের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কথা বিভিন্ন মিডিয়ায় শোনা যায়।তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, দীপ গ্রেফতারের পরপরই সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ তাদের মোবাইল ফোন থেকে গোপন চ্যাটিং রেকর্ড মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তারা পুরোপুরি সফল হননি। গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিকভাবে দীপের মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এতে মাদক কেনাবেচা সংক্রান্ত চ্যাটিং রেকর্ড মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, বর্তমানে রাজধানীর গুলশান এবং বনানীকেন্দ্রিক ধণাঢ্য পরিবারের সন্তানদের অনেকেই এমডিএম, এলএসডি এবং কুশ নামের উচ্চ আসক্তি সম্পন্ন মাদকের দিকে ঝুঁকছে। চোরাইপথে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং থাইল্যান্ডসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে এসব মাদকের চালান আসছে। স্নাপচ্যাট, মেসেঞ্জার বা হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে এগুলো বিক্রি করা হয়।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোপনীয়তার জন্য বিভিন্ন সাংকেতিক নামে এসব মাদক বিক্রি করা হয়ে থাকে। যেমন এমডিএম 'ই' নামে, এলএসডি 'এসিড' এবং এক ধরনের তরল গাঁজা টিএসসি নামে কেনাবেচা হয়। ইলেকট্রিক সিগারেটের মতো ভেপ আকারে তরল গাঁজা সেবন করা হয়।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দুলাল কৃষ্ণ সাহা জানান, এমডিএমএ পরীক্ষাগারে তৈরি এক ধরনের কৃত্রিম ওষুধ। এটি অনেক দেশে এস্টাসি বা সুখানুভূতির মাদক হিসাবে পরিচিত। এটি ইয়াবার উপকরণ মেথাএমফিটামিনের মতোই অতি উত্তেজক মাদক। এটি মানবদেহে এমন একটি শক্তিশালী প্রভাব তৈরি করে যাতে সময় এবং উপলব্ধি জ্ঞানের বিচ্যুতি ঘটে। তবে অনেক সময় এটি শান্তি, আনন্দ, সহানুভূতি এবং এক ধরনের আত্মবিশ্বাসের বর্ধিত অনুভূতি তৈরি করে।তবে যে অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তারা কি বলছেন? সময়ের কণ্ঠস্বরকে অভিনেত্রী তানজিন তিশা বলেন, 'এসব পুরাই মিথ্যা। তাই বলে যা তা লিখে দিবে! আমি কনফিডেন্ট এগুলো মিথ্যা কথা।'অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'আমি সিগারেটও খাইনা। মাদক তো অনেক দূরের কথা। অভিযোগতো করতেই পারে মানুষ। সেটা প্রমাণ হতে তো হবে!'
    ক্ষমা চাইলেন মেহজাবীন
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপরে পোস্টার লাগিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। আজ বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ক্ষমা চান তিনি।ফেসবুক পোস্টে মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, ‘‘‘প্রিয় মালতী’’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য একটি টিম আজ (১৮ ডিসেম্বর) টিএসসিতে গিয়েছিলাম। অনেক দর্শক আমাদের সঙ্গে যোগ দেন চলচ্চিত্রের প্রচারণায়, প্রচণ্ড ভিড় ও অনিবার্যকারণবশত পোস্টারিংয়ের ক্যাম্পেইনটি দ্রুত শেষ করতে হয়। ভুলবশত ও অনাকাঙ্ক্ষিত অব্যস্থাপনায় একটি পোস্টার মরহুমা সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপরে লাগানো হয়ে যায়।আমরা সবাই জানি তনুর মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই এখনো চলমান।তিনি লেখেন, ‘পোস্টারিং সংক্রান্ত যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ সেই পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলেছি এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেছি।’এ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র, আমরা এবং আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্যই ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই। এটি আমাদের হৃদয় থেকে আসে। আমরা আশা করি, আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যবস্থপনাটুকু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাদের সকল সহযোগিতার জন্য।এদিকে, সমালোচনার মুখে পড়ে মেহজাবীন নিজেই টিএসসিতে গিয়ে তনুর গ্রাফিতির ওপরে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন। আজ সন্ধ্যায় টিএসসিতে গিয়ে তনুর গ্রাফিতির ওপর সাঁটানো ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার পোস্টার তুলে ফেলেন তিনি।এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশীদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবীনকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।রিফাত রশীদ লেখেন, ‘আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন? কার গ্রাফিতির ওপর নিজের খোমাওয়ালা পোস্টার লাগাইছেন? চিনবেন কেমনে? আপনাগো সো কল্ড কাল-চারাল পাড়ায় আমার বোনেরে নিয়ে কথা হয় কি?’তিনি আরও লেখেন, ‘টিএসসিতে আমরা এই পোস্টার ছিঁড়ব না মেহজাবীন চৌধুরী। আপনি নিজে এসে এই পোস্টার ছিঁড়বেন।’  এফএস
    প্রকাশ্যে ঝগড়া: রণবীর কাপুর ও সাইফ আলি খান
    বলিউড কিংবদন্তি বর্ষীয়ান অভিনেতা রাজ কাপুরের ১০০ বছরের উদযাপন বিশেষভাবে আয়োজন করেছিল কাপুর পরিবার। সেখানেই দ্বন্দ্ব শুরু শ্যালক অভিনেতা রণবীর কাপুর ও জামাইবাবু সাইফ আলি খানের। জানা যাক প্রকৃত ঘটনা।অভিনেতা রাজ কাপুরের শতবর্ষ নিয়েই ঝগড়া সাইফ আলি খান ও রণবীর কাপুরের সঙ্গে। সাংবাদিকরা সেই মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করার সুযোগ ছাড়েননি? দেখতে দেখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। আর নেটিজেনরা শ্যালক-জামাইবাবুর ঝগড়া দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সেই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা মন্তব্য করতেও ভুলে যাননি। সদ্য প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতার ১০০তম বর্ষপূর্তি পেরিয়েছে। সেখানে পরিবারের সব সদস্য একজোট। রণধীর কাপুর-ববিতা থেকে আলিয়া ভাট, রাহা— প্রত্যেকে ছিলেন। একইভাবে নিমন্ত্রিত ছিলেন কারিনা কাপুর-সাইফ আলি খান। সবারই হাসিমুখ, দেদার হইচই। সংবাদিকরাও উপস্থিত রাজ কাপুরকে ঘিরে তাদের বক্তব্য জানতে। সেখানেই কথা বলতে দেখা যায় রণবীর-সাইফকে।আড্ডার পাশাপাশি প্রয়াত অভিনেতার নানা স্বাদের ছবিও দেখানোর আয়োজন করেছিল কাপুর পরিবার। ফাঁস হওয়া ভিডিও অনুযায়ী, রণবীর সেদিকে বারবার নিয়ে যেতে চাইছিলেন সাইফকে। এদিকে অভিনেতা অন্যদের সঙ্গে আড্ডায় মশগুল। সঙ্গে সঙ্গে সেই স্থান ছেড়ে যেতে নারাজ। আর রণবীরও জামাইবাবুকে নিয়েই যাবেন।একটা সময়ের পর স্পষ্ট বিরক্তি দেখান সাইফ। সেই বিরক্তি চোখেমুখে ছাপিয়ে কণ্ঠস্বরেও স্পষ্ট। তিনি রণবীরকে সাফ বলেন, ঠিক আছে। তার পরেই ফের মেতে ওঠেন গল্পগুজবে। এ ঘটনা নিয়েই আপাতত জোর চর্চা চলছে বলিউডের অন্দরে। যদিও অনুষ্ঠান মিটে যাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কাপুর পরিবার বা পতৌদি পরিবার।এসএফ 
    অনিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ জানালেন শাবনূর
    বাংলা সিনেমার একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর তার বিচ্ছেদ ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা কঠিন অধ্যায়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। নব্বই দশকে ঢালিউড কাঁপানো এই নায়িকা পেশাগত জীবনে যেমন সাফল্যের শিখরে ছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে।  ২০২০ সালে শাবনূর তার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দেন। তিনি জানান, অনিক সন্তান এবং তার যথাযথ যত্ন নিতেন না। তার বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগও তুলেছেন শাবনূর। তালাক নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন,  "আমার স্বামী অনিক মাহমুদ সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন করেন না। মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফিরে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। সন্তান হওয়ার পর থেকে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন। এসব কারণে তার সঙ্গে আর সংসার করা সম্ভব নয়।"  শাবনূর বলেন, তার সাংসারিক জীবনের অভিজ্ঞতা এতটাই তিক্ত যে, ভবিষ্যতে আর বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই। তার একমাত্র পুত্র আইজান নিহানকে সঠিকভাবে মানুষ করাই এখন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।  অভিনয়ে দীর্ঘ বিরতির পর কাজে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শাবনূর। তিনি জানান,  "গত বছর *রঙ্গনা* নামে একটি ছবিতে কাজ শুরু করেছিলাম, যা এখনো শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছি।"  অনিকের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু ও শেষআংটিবদল:২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর।  বিয়ে:২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর।  সন্তান:২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুত্র আইজান নিহানের জন্ম।  তালাক: ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি।  ৪৬তম জন্মদিনে শাবনূরকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের ভালোবাসা আর শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। জীবনের নানা আক্ষেপ থাকলেও শাবনূর দৃঢ় মনোবল নিয়ে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোযোগী থাকার কথা জানান।  "অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে এসেছি, কিন্তু আমি কখনো হাল ছাড়িনি। আমার লক্ষ্য জীবনের প্রতিটি দিন ইতিবাচকভাবে কাটানো।"  এসএফ
    আ.লীগের মনোনয়ন ফরম কিনতে চাওয়া ডিপজল এবার বিএনপির ব্যানারে
    ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মুভিলর্ড’ ও ‘দানবীর’ খ্যাত অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। পালন করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। পাশাপাশি নতুন বেশ কিছু সিনেমার কাজ নিয়েও ব্যস্ত আছেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশও নিয়েছিলেন তিনি। তবে ডিপজল আগে থেকেই বিএনপি সমর্থক এমনকি বিএনপির সমর্থন নিয়ে কমিশনার হয়েছিলেন শোনা যায়।এদিকে, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) তার ফেসবুক পেইজে দেওয়া একটি পোস্ট তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সে পোস্টে তিনি বিএনপির ব্যানারে নিজের ছবি দিয়ে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি লিখেছেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। যাদের মহান আত্মত্যাগে আমাদের এই স্বাধীনতা সেই সব বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি আরও লিখেছেন, লাখো শহীদের রক্তে লেখা, বিজয়ের এই ইতিহাস! মুক্তির বার্তা নিয়ে বার বার ফিরে আসুক ডিসেম্বর মাস।ব্যানারে শহীদ রাাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ব্যবহার করেছেন।জানা গেছে, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-১৪ (মিরপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনেন চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কেনেন তিনি। পরে ২০২১ সালে ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে বিফল তিনি। বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে মনোনয়ন ফরম না কিনেই ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে। আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের প্রাথমিক সদস্য ছিলেন না ডিপজল।আওয়ামী লীগে বা এর কোনো সহযোগী সংগঠনে যোগদান করেছেন, এমন প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। তাই শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেনি আওয়ামী লীগ।প্রসঙ্গত, মনোয়ার হোসেন ডিপজল ১৯৯৪ সালে বিএনপি সমর্থন নিয়ে ঢাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন।এসএফ
    অনেক বছর পর মনে হচ্ছে সত্যিই আমরা স্বাধীন: মনির খান
    নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের মধ্য দিয়ে জাতি আজ নতুন করে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করছে। স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর অধিকাংশ দেশবাসী এ সময়টাকে 'দ্বিতীয় স্বাধীনতা' বলেও অভিহিত করছে।ঐতিহাসিক এই দিনটি প্রতিবছরই নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়। এবারও তাই হচ্ছে। এরইমধ্যে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার কনসার্টটি।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে কনসার্টটির। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীন বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এ কনসার্টে লাল-সবুজের বাংলাদেশের গান ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।এদিন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কনসার্টে অন্যান্যদের মতো পরিবেশনা করবেন কোটি বাঙালির হৃদয়ে ঠাঁই করে নেয়া, তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী সংগীতশিল্পী মনির খান। সংসদ ভবন এলাকায় এই পরিবেশনার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৫ বছর পর খোলা আকাশের নিচে সব শ্রেণিপেশার দর্শকে-শ্রোতাদের গান শোনানোর সুযোগ পেয়েছেন এ শিল্পী।মনির খান বলেন, আজ থেকে প্রায় ১৫/১৬ বছর আগের কথা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমি অঘোষিত কালো তালিকায় ছিলাম। বলতে পারেন, বিএনপির মতাদর্শ সাংস্কৃতিক তারকারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল। রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে তাদের কাজের সুযোগ ছিল না। আমারও কোনো সুযোগ ছিল না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে নানাভাবে আমার কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল।তিনি বলেন, বলেন, আজ সংসদ ভবন এলাকায় খোলা আকাশের নিচে দর্শক-শ্রোতাদের জন্য মন খুলে গাইতে পারব। এটা একজন শিল্পীর জন্য যে কত বড় পাওয়া, তা হয়তো আমি ভাষায় বলে বোঝাতে পারব না। তবে আমি আজ সত্যিই অনেক আনন্দিত। দীর্ঘদিন পর দেশর কোনো বিজয় দিবসের কনসার্টে গাইতে পারছি। অনেক বছর পর মনে হচ্ছে সত্যিই আজ আমরা স্বাধীন। আজ শিল্পীরা তাদের মন খুল গান গাইতে পারছে।
    কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন মারা গেছেন
    কিংবদন্তি তবলাবাদক ওস্তাদ জাকির হোসেন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাকির হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফুসফুসজনিত অসুস্থতা থেকে উদ্ভূত জটিলতার কারণে জাকির হোসেন মারা গেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি গত দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ছিলেন এবং অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল।এর আগে, ওস্তাদ জাকির হোসেন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন বলে তাঁর ম্যানেজার নির্মলা বাচানী জানিয়েছিলেন। নির্মলা বাচানী পিটিআইকে জানান, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যার জন্য দুই সপ্তাহ ধরে তিনি সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের কিংবদন্তিতুল্য এক শিল্পী জাকির হুসেন। কিংবদন্তি তবলাশিল্পী আল্লারাখার প্রথম সন্তান জাকির হুসেনের জন্ম ১৯৫১ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে। ৩ বছর বয়সে বাবার হাতে জাকিরের তবলায় হাতেখড়ি। ১২ বছর বয়সে বাবার সঙ্গে প্রথম কনসার্ট। সেই থেকে ভারতজুড়ে তার প্রশংসা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববাসী দেখেছেন, কীভাবে বাদ্যশৈলীর মধ্যদিয়ে পূর্ব ও পশ্চিমের সংগীতকে একসুতায় গেঁথেছেন।জাকির হুসেন ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ১৯৭৩ সালে খ্যাতিমান মার্কিন গিটারিস্ট জর্জ হ্যারিসনের ‘লিভিং ইন দ্য ম্যাটেরিয়াল ওয়ার্ল্ড’ অ্যালবামের জন্য কাজ করেন। এতে বিশেষভাবে পরিচিতি পেয়ে যান তিনি। তার পর থেকে খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী জন ম্যাকলাফলিন, মিকি হার্ট, বিল ল্যাসওয়েল, ভ্যান মরিসন, জো হেন্ডারসনসহ আরও অনেকের সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেছেন।জাকির হুসেনের ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা জুড়ে রয়েছে ভারতীয় শাস্ত্রীয়সংগীত। একক ক্যারিয়ারে দ্যূতি ছড়ানোর পাশাপাশি তবলায় তিনি সঙ্গত করেছেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, শিব কুমার শর্মা, কত্থক নৃত্যগুরু বিরজু মহারাজকে। তারা সবাই কিংবদন্তি।১৯৯২ সালে জাকির হুসেন প্রতিষ্ঠা করেন সংগীত প্রযোজনা সংস্থা ‘মোমেন্ট রেকর্ড’। সেখান থেকে প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত ও বিশ্বসংগীতের খ্যাতিমান সব শিল্পীদের সংগীতকর্ম। ২০০৬ সালে ‘মোমেন্ট রেকর্ড’ থেকে মুক্তি পায় ‘গোল্ডেন স্ট্রিং অব দ্য সরোদ’ অ্যালবাম, যেটি গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। ভারত থেকে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন জাকির হুসেন। চলতি বছর বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার গ্র্যামিও পেয়েছেন।সর্বশেষ ‘শক্তি’ ব্যান্ডের অন্যতম শিল্পী হিসেবে কাজ করছিলেন জাকির হুসেন। দলটির প্রধান কণ্ঠশিল্পী শঙ্কর মহাদেবন। দলে বেহালা বাজান গণেশ রাজাগোপালন এবং অন্য তালবাদ্যে ভি সেলভাগণেশ, গিটারে জন ম্যাকলকলিন। ২০২৩ সালের ৩০ জুন ‘দিস মোমেন্ট’ অ্যালবামটি মুক্তি পায়। মূলত ৬৬তম গ্র্যামিতে ‘বেস্ট গ্লোবাল মিউজিক অ্যালবাম’ শাখায় ভারতীয় এই ব্যান্ড ‘শক্তি’র গানের অ্যালবাম ‘দিস মোমেন্ট’ লাভ করে গ্র্যামি।বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর অন্যতম সংগঠক ছিলেন ওস্তাদ জাকির হুসেনের বাবা আল্লারাখা খান। বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন জাকির হুসেন। ২০১৫ সালে বেঙ্গলের আয়োজনে শাস্ত্রীয়সংগীত উৎসবে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে তবলায় যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন তিনি।এইচএ
    একই সিনেমায় বলিউডের তিন খান
    গেল বছর গুঞ্জন উঠেছিল বলিউডের তিন খানকে একসঙ্গে বড়পর্দায় দেখা যাবে।  এবার সেই গুঞ্জনের ইতি টেনে দিলেন আমির খান।তিনি জানালেন, সালমান ও শাহরুখের সঙ্গে বসে নতুন ছবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার। সৌদি আরবে রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এ বিষয়ে আমিরকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।জবাবে তিনি বলেন, 'ছয় মাস আগে সালমান ও শাহরুখের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সত্যিই আমাদের একসঙ্গে ছবি করা দরকার। আমরা আলোচনার মধ্যেই আছি।'আমির খান আরও জানান,  একসঙ্গে তিন খান ছবিতে অভিনয় করবেন। তবে সঠিক স্ক্রিপ্টের জন্য এখন নাকি তারা অপেক্ষা করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছবির ঘোষণা করা হবে।
    সাত দিনের সন্তানকে বুকে নিয়েই মিটিং সারলেন অভিনেত্রী রাধিকা
    সবাইকে চমকে দিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে।২০১১ সালে ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী ও সুরকার বেনেডিক্ট টেলরের সঙ্গে লন্ডনে লিভ ইন শুরু করেন বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। এরপর জানা যায়, আইনিভাবে বিয়ে সেরেছেন এই যুগল। মাসখানেক আগে অভিনেত্রী নিজের বেবি বাম্প প্রকাশ্যে এনে সকলকে চমকে দেন। এরপর আর তেমন কোনো খবর ছিল না অভিনেত্রীকে নিয়ে।কিন্তু সম্প্রতিই সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে চোখ আটকে যায় নেটিজেনদের! কারণ, হঠাৎ রাধিকার কোলে দেখা মেলে এক ফুটফুটে সদ্যোজাতের। যা দেখে রীতিমতো চমকে গেছেন অনুরাগীরা।সাধারণত তারকারা অন্তঃসত্ত্বা হলেই ঘটা করে বিভিন্ন আয়োজন করেন। কখনও সামাজিক মাধ্যমে এসে আশীর্বাদও চেয়ে নেন অনুরাগীদের কাছ থেকে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী কিছু দেখা গেল রাধিকার ক্ষেত্রে। শনিবার(১৪ ডিসেম্বর) ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেন রাধিকা। সেই ছবিতে দেখা যায়, বুকে সন্তান নিয়ে সামনে ল্যাপটপ রেখে কাজ করছেন অভিনেত্রী। আর তা দেখেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন নায়িকার অনুরাগী ও সহকর্মীরা।এর আগে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে যান রাধিকা। সেখানে রেড কার্পেট ওয়াকের পর দেন সাক্ষাৎকার। আবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সন্তানকে বুকে নিয়েই ল্যাপটপে মিটিং সেরে নিচ্ছিলেন রাধিকা। সে অবস্থাতেই ছবিটি তোলা হয়েছে। ছবিটির ক্যাপশনে রাধিকা লেখেন, 'আমাদের এক সপ্তাহের সন্তানকে বুকে নিয়েই প্রথম কাজের মিটিংটা সেরে নিলাম।' তবে মেয়ে হয়েছে নাকি ছেলে, তা ওই পোস্টে জানাননি রাধিকা।উল্লেখ্য, ২০১২ সালে বেনেডিক্ট টেলরকে বিয়ের পর মুম্বাই থেকে লন্ডন আসা যাওয়ার মাঝেই আছেন রাধিকা। একদিকে ক্যারিয়ার ও অন্যদিকে বিদেশি স্বামীকে নিয়ে সংসারও করছেন। তবে কখনোই রাধিকা তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খোলেননি। বিয়ের প্রসঙ্গ নিয়ে যখনই কথা উঠত, চুপ করে থাকতেন রাধিকা।
    বিজয়ের মাসেই মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর সিনেমা!
    বড়পর্দায় নাম লিখিয়ে-ই সীমানা ছাড়িয়েছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। প্রথম ও দ্বিতীয় ছবি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত হয়েছে ছবি দুটি। তাই দেখে উদ্বাহু নৃত্য করছিলেন মেহু অনুরাগীরা। তবে মনের কোণে আক্ষেপ পুষে রেখেছিলেন তারা। তাদের বড় সাধ প্রিয় তারকার সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে বসে দেখার। এবার সে আক্ষেপ ঘোচানোর দিন এসেছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের দ্বিতীয় সিনেমা 'প্রিয় মালতী'। সংবাদমাধ্যমকে এরকমই জানিয়েছেন প্রযোজনা সংশ্লিষ্টরা। শঙ্খদাশ গুপ্ত পরিচালিত 'প্রিয় মালতী' অভিনেত্রীর দ্বিতীয় ছবি হলেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে 'সাবা'র আগে! এরইমধ্যে 'প্রিয় মালতী' চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে মুক্তির সনদও পেয়েছে! বোর্ড সদস্যরা 'ইউ' গ্রেডে ছাড়পত্র দিয়েছেন 'প্রিয় মালতী'কে। অর্থাৎ এটি সব বয়সের দর্শকের জন্য উন্মুক্ত। 'প্রিয় মালতী'র নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। গল্পও শঙ্খ দাসগুপ্তর। চিত্রনাট্যে তার সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন আবু সাঈদ রানা। এতে মেহজাবীন ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, শাহজাহান সম্রাট, রিজভী রিজু প্রমুখ।
    ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কবি হেলাল হাফিজকে নিয়ে করণীয় সব কাজ করবে’
    সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজের কবি হেলাল হাফিজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলা একাডেমিতে উপস্থিত হন। এসময় ফারুকী বলেন, আমার ঠিক জানা নেই, একটি জাতির শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসে কোনো কবি এত প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন কি না? তার খুব বেশি কবিতার বই প্রকাশ পায়নি। অথচ দেখুন, তারুণ্য আর যৌবনের গান বললেই হেলাল হাফিজের কথা মনে পড়ে। এটা তার অর্জন।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টা ফারুকী সংবাদমাধ্যমে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, উপদেষ্টা ফারুকী আরও বলেন, কবি বেঁচে থাকে তার কবিতায়। শিল্পী যখন শক্তিশালী হয়, তখন কাজেই বেঁচে থাকে। হেলাল হাফিজ তার কবিতাতেই বেঁচে থাকবেন।  তার শূন্যতা অপূরণীয়। তবে হ্যাঁ, কবি হেলাল হাফিজকে নিয়ে সংষ্কৃতি মন্ত্রণালয় তার প্রয়োজনীয় সব দায়িত্ব পালন করবে। যা করণীয় আছে, তার সব নিয়েই আমরা কাজ করব। আমি নিশ্চিত, এ বিষয়ে খুব দ্রুতই কিছু শুনবেন। হেলাল হাফিজকে পুরস্কৃত করা বিষয়ে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, কবি কখনও পুরস্কারের জন্য লেখেন না। গুণীদের পুরস্কার দিতে হয় জাতির কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। দুর্ভাগ্য এই যে, আমরা ওনাকে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক কিছুই দিতে পারিনি। তাই আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে যা যা করণীয় আছে আমরা নিশ্চিতভাবে সেটা করবো।এইচএ
    ড. ইউনূসকে বাবা ডাকতেও আপত্তি নেই জয়ের
    আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় বলেছেন, আমার জমির প্রয়োজন আছে। তাই ড. ইউনূস স্যারকে বাবা ডাকতে হলেও ডাকবো।সম্প্রতি ‘৮৪০’ শিরোনামের ওয়েব সিনেমার প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা ও অন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী রাজনীতিবিদদের নিয়ে তৈরি গল্পে ‘৮৪০’ ওয়েব সিনেমা বানিয়েছেন।শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। এর আগেই বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘৮৪০’-এর বিশেষ প্রিমিয়ার শো।জয় বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে জমি চাওয়াতে আমি মোটেও অনুতপ্ত না। একটা জিনিস পাওয়ার জন্য বাবা, দাদা, মা ডাকা যায়। আর আমি আমার কাজের জন্য ভবিষ্যতেও ডাকবো। তবে হ্যাঁ আমি তখনো বলেছি বিগত সরকার যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে উঠেছিল আর তাদের পতনের জন্য যত লোক প্রাণ দিয়েছে তা অনেক সেন্সেটিভ ইস্যু হয়ে গিয়েছে। আর ওই সকাররের প্রধানকে আমি মা বলেছি সেটার জন্য আমি অনুতপ্ত।প্রসঙ্গত, নিজেকে সুযোগ্য সন্তান দাবি করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তার কাছে রাজধানীর নিকটস্থ পূর্বাচলে একটি প্লটের আবেদন করেছিলেন অভিনেতা জয়। সেই আবেদনপত্রের একটি ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, যা এর আগেও কয়েক দফায় ভাইরাল হয়েছিল ফেসবুকে। ২০১৪ সালে পূর্বাচলে জায়গা পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা, যা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ভাইরাল হয়। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলের পর সেই আবেদনপত্রটি ফের ভাইরাল হয়।এইচএ
    একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন
    একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।  জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া। গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।বড় মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী।পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র–অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। এর আগে তিনি ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্‌জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে গানের দীক্ষা নেন। তাঁর প্রথম অডিও অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। অ্যালবামটির নামও ছিল শিল্পীর নামেই, ‘পাপিয়া সারোয়ার’।দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পাপিয়া সারোয়ার পেয়েছেন। তাঁর ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ও গায়কির প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে। আধুনিক গানেও আছে তাঁর সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাঁকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। সংগীতবোদ্ধাদের মতে, আধুনিক গান বাছাইয়ে বেশ সচেতন ছিলেন বলে তাঁর অ্যালবামের সংখ্যা কম। তাঁর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। পাপিয়া সারোয়ার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়। সর্বশেষ এই পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।এবি 
    জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খ্যাতিমান শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার
    সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে খবরটি নিশ্চিত করেছেন গায়িকার বড় বোনের মেয়ে অভিনয়শিল্পী শম্পা রেজা।জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছেন পাপিয়া সারোয়ার। গত চার দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এর আগে কয়েক দিন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।এ প্রসঙ্গে শম্পা রেজা বলেন, পাপিয়া সারোয়ারের দুই মেয়ে জারা ও জিশান যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় থাকেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা।বরিশালে জন্ম পাপিয়া সারোয়ারের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান এই গায়িকা।তার আগে ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীত দীক্ষা নেন পাপিয়া সারোয়ার। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন তিনি।দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্র গানের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। আধুনিক গানেও রয়েছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানের মাধ্যমে বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন পাপিয়া সারোয়ার। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। এফএস

    Loading…