এইমাত্র
  • আসাদুজ্জামান নূর ও মাহবুব আলী কারাগারে
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    ফিচার

    আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস
    আজ ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। জাতিসংঘ ২০০৭ সাল থেকে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উত্সাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন পালনের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছরের মত এই দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আজ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।  এ বছর,  ২০২৪ সালের গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘গভর্নেন্স ও সিটিজেন এনগেজমেন্ট ফর এআই নেভিগেট’, তথা সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার। এই থিম অত্যন্ত সময়োপযোগী। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।জাতিসংঘের মতে, গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা, যেখানে নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার আছে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরির ক্ষেত্রে সব নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। গণতন্ত্রের অর্থ জনগণের শাসন। এবি 
    কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্র রয়েছে শাহাজান কবিরের ভাণ্ডারে
    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও তথ্য-প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার জীবনযাপনে নিয়ে এসেছে পরিবর্তন। আধুনিক যুগের ছোঁয়াতে জীবন বদলে দেওয়ার এই জাদুর কাঠির সঙ্গে হারিয়ে গেছে জীবন ও ঐতিহ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা অনেক জিনিসপত্র ও মুদ্রা। আশি বা নব্বই দশকে যে যন্ত্রগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল, একবিংশ শতাব্দীতে সবই কালের গর্ভে বিলীন।একদিকে দেশের আধুনিকতায় পরিবর্তন অন্যদিকে হারিয়ে ফেলা দেশের ও সভ্যতার ইতিহাস। এখন আর রেডিও নিয়ে কেউ খবর শোনার অপেক্ষায় থাকে না, সন্ধ্যা হতেই গ্রামে গ্রামে হারিকেন জ্বলে না, ঢেঁকির শব্দে মুখরিত হয় না হেমন্তের ধান ভানার উৎসব, লাঙ্গল নিয়ে পরিবারের কেউ মাঠে যায় না, পানীয় পান করার জন্য রূপা বা তামার পাত্র ব্যবহার করে না ও কাসার থালাই ভাত খেতেও দেখা যায় না।প্রাচীনকালের ঐতিহ্যের নিদর্শন আধুনিক যুগের সাক্ষী হিসাবে নিজের শখের জন্য এগুলো সংগ্রহ করে রেখেছেন যশোরের শার্শা উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের পার্টস মেকানী শাহাজান কবির।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহাজান কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছোট ঘরে প্রায় দেড় থেকে দু‘শ রকমের প্রাচীনকালের ঐতিহ্যেবাহী মানুষের ব্যবহারিক বিভিন্ন জিনিসপত্র রেখে দিয়েছেন। যা প্রথমে দেখলে ছোট একটি জাদুঘর মনে হতে পারে। সেখানেই রাখা আছে শত বছরের পুরাতন রূপার ঘঁটি (পানি পানে ব্যবহৃত), কাঁসার থালা, কাঁসার বদনা, অর্ধশত বছর আগের রেডিও, স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম চারটি ধাতব মুদ্রা প্রচলন করা হয়। এগুলো হচ্ছে পাঁচ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা এবং ৫০ পয়সা। এর পরের বছর ১৯৭৪ সালে আরেকটি নতুন মুদ্রা সংযোজিত হয় যার মূল্যমান ছিল এক পয়সা, পাকিস্তান শাসন আমলের একশ‘ টাকার নোটসহ বিভিন্ন কাগজের মুদ্রা। এছাড়াও প্রায় দেড় থেকে দুইশ‘ রকমের পুরাতন জিনিসপত্র নিয়ে সাজানো নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।শাহাজান কবির বলেন, আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ব্যবহারে দেশের ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছে মানুষ। সেই ভুলে যাওয়াটা সংগ্রহ বা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই প্রাচীন কালের এই ইতিহাত বা সাক্ষী। শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি প্রাচীন ও বর্তমান সমাজের মানুষের জীবনযাপনের পার্থক্যগুলো তুলে ধরছে তিনি।তিনি আরও জানান, সমাজের সকলেই আসুক এই ধরণের কালের গর্ভে বিলীনগুলো তার মাধ্যমে ছড়িয়ে যাক দেশের মানুষের মাঝে। তিনি এগুলো সংগ্রহ করতে যেমন অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন তেমনি এর পেছনে আছে অনেক পরিশ্রম। তিলে তিলে গড়ে তোলা শাহাজানের এই সংগ্রহ করা জিনিসগুলো এক নজর দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে। তবে এলাকাবাসী শাহাজানকে নিয়ে গর্ববোধ করছে।এলাকাবাসীরা জানান, সভ্যতার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে মানুষ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। এই যান্ত্রিকতার কারণে হারাতে বসেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা জিনিস। এটা বাংলার সভ্যতা পরিবর্তন হচ্ছে। এখন যা দেখা যাচ্ছে হইতো আগামী প্রজন্মে আরও উন্নত কিছু দেখবে। আগামী প্রজন্ম যা দেখবে তার পরের প্রজন্ম হইতো তাদের থেকেও উন্নত কিছু দেখবে। কিন্তু এগুলো সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করে আগামীর প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শাহাজান কবিরের এই মহৎ উদ্যোগ অব্যশই প্রশংসনীয়। দেখতে আসা কয়েকজন কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, বইয়ের পাতায় আশি বা নব্বই দশকের বিভিন্ন চিত্র বা প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে আলোচনা বা পড়েছি তবে আধুনিক যুগে এসেও বাস্তব দেখার সৌভাগ্য হবে এটা কখনোই কল্পনাও ছিলো না। দারুণ একটি অনুভূতি জাগ্রত হচ্ছে। মনে হচ্ছে বর্তমান যুগের চেয়ে ওই সময়ের মানুষ খুবই সাধারণ জীবন-যাপন করতেন। তাছাড়া প্রচুর পরিশ্রমী ছিলেন বলেন ধারণা হচ্ছে। 
    আজ আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস
    ‘যদি তুমি এক শ মানুষকে সাহায্য করতে না পার, তাহলে অন্তত একজনকে সাহায্য করো। আজ সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস।   ‘সেবার মাধ্যমে শান্তি’। নিজ কর্মের মাধ্যমে যথার্থভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন ‘মাদার তেরেসা’। সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষেরা নিজেদের অধিকার ফিরে পায় দান-সেবার মাধ্যমে, তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি। তবে ১৯৭৯ সাল নোবেল শান্তি পুরস্কার যেন মাদার তেরেসার জন্যই বরাদ্দ। তার মহৎ কর্মের সম্মাননা এবং স্বীকৃতি ছিল এটা। আর তাই মানুষটা চলে যাওয়ার পরেও যেন দিয়ে গেল নতুন এক দিবসের জন্ম, International Day of Charity।  আলবেনীয় বংশোদ্ভূত ভারতীয় ক্যাথলিক এই সন্ন্যাসিনীর জন্ম ২৬ আগস্ট ১৯১০ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের আলবেনিয়া রাজ্যের স্কপিয়ে। ৮ বছর বয়সে পিতৃহারা মেরি টেরিজা-মাদার তেরেসা ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ওখানেই কাটান। ১৯২৮ সালে তিনি আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতবর্ষে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। ১৯৩১ সালের ২৪ মে তিনি সন্ন্যাসিনী হিসেবে প্রথম শপথ গ্রহণ করেন। ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে দেখেন দারিদ্র্যের কশাঘাতে ঋণগ্রস্ত মানুষের চিন্তা নিম্নমুখী হয়। দারিদ্র্যের সুযোগে মানুষের কল্যাণকামিতার চিন্তা বিদূরীত হয়। দারিদ্র্যতার কারণে মানুষের রক্তে-রন্ধে-প্রতিক্রিয়াশীলতা-উগ্রতা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এক ধরনের ধর্মান্ধতাকেন্দ্রিক উন্মাদনা সৃষ্টি করানো হচ্ছে। তিনি উত্তরোত্তর উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তার মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে পঞ্চাশের মন্বন্তর, ১৯৪৬ সালের কলকাতা দাঙ্গা, সংঘাতকে প্রশ্রয় দেয়া, মানুষের মনোভাবে আগ্রাসী-ভাব সৃষ্টি করা। ইত্যকার ঘটনা তিনি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। ১৯৩৭ সালের ১৪ মে পূর্ব কলকাতার একটি লোরেটা কনভেন্ট স্কুলে শিক্ষকতার সময় তিনি চূড়ান্তভাবে সন্ন্যাসিনী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭। বিশ্বের কাছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ধরিয়ে দিয়ে নীরবে বিদায় নিলেন মাদার তেরেসা। সম্মাননা জানাতে তাঁর মৃত্যুদিবসই হয়ে উঠল আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস। দিবসটির লক্ষ্য খুব সুন্দর। অভাবী মানুষকে সাহায্য করা, দান ও সেবার মাধ্যমে সমাজ, রাষ্ট্র বা বিশ্বে জনসচেতনতা তৈরি। উদ্দেশ্য মহৎ-যত ধরনের স্বেচ্ছাসেবী ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোর সবটার কার্যক্রম সবস্তরে উন্নীত করা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ঘোষণা আসে ২০১২ সালে আর এরপর থেকে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি স্বীকৃত।দিবসটি পালিত হচ্ছে ২০১৩ সাল থেকে। সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে দারিদ্র্য। এর মাঝে অনেকে হয়তো ভালো থাকছেন; কিন্তু তলিয়ে যাওয়া মানুষের খবর আমরা জানি না। এই সংখ্যাও নেহায়েত কম না। এর মাধ্যমে সমাজের একটা অংশ ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে বসেছে। আমরা অনেকে টের পাচ্ছি না বা দেখেও দেখি না। এই অংশটাকে উপরে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই। এজন্য দাতব্য, বিনামূল্যে চিকিৎসা, দানকর্ম এগুলো ছাড়া তাদেরকে ঠেলে তোলার আর কোনো উপায় আছে?এই দিবস আমাদের অনেক কিছু মনে করিয়ে দেয়। একের দুর্দিনে অন্যের সামান্য এগিয়ে আসাটাও হয়তো অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম! রাষ্ট্রের একটা লক্ষ্য আছে। ২০৩০ এর মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলা। এবি 
    আজ বিশ্ব সমুচা দিবস
    গরম ও মুচমুচে সমুচা খেতে ভালোবাসেন সকলেই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা বিকেলের নাস্তায় অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবারটি হলো সমুচা। সমুচা পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই খুঁজে পাওযা যাবে। অফিসের ক্যান্টিনে, ফুটপাতের দোকানে কিংবা কোনো বড় রেস্টুরেন্ট-সবখানেই পাওয়া যায় লোভনীয় খাবারটি। বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানে খাবারটি এতো জনপ্রিয় যে, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের দোকানেও পাওয়া যায়।আজ ৫ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব সমুচা দিবস। দিবসটির যাত্রা শুরুর দিনক্ষণ যদিও যথাযথভাবে জানা যায় না। তবে বাঙালির এমন একটা প্রিয় খাবারের জন্য বিশেষ দিবসই রয়েছে একটি, এটিও তো বেশ চমকজাগানিয়া তথ্য। সমুচা নিয়ে একটি মজার তথ্য জেনে নিন-প্রতি বছরের এই দিনটি সমুচা লাভারদের জন্য বিশেষ দিন। কেননা দিনটি শুধুই সমুচা খাওয়ার। তাই এখনই একটি সুস্বাদু সমুচা খেয়ে দিনটি উদযাপন করতে পারেন। সমুচা হলো পেঁয়াজ, আলু, ময়দা, মটর বা অন্যান্য সবজি দিয়ে ভাজা ত্রিকোণাকৃতি খাবার। এটি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে খুবই জনপ্রিয়।ত্রিকোণাকৃতি বলতেই মনে পড়ল পিরামিডের কথা। সমুচার এই যে পিরামিডসদৃশ আকৃতি, এর সঙ্গে কিন্তু সমুচার আদি-উৎসের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। দশম শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্যে জন্ম হয় খাবারটির। ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে মধ্যপ্রাচ্যের বণিকদের মাধ্যমে এটি আসে ভারতীয় অঞ্চলে।ন্যাশনাল টুডের তথ্য বলছে, দশম শতাব্দীর গ্যাস্ট্রোনমিক সাহিত্যে সমুচার উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেক মধ্যযুগীয় ফার্সি বইয়ে 'সানবোসাগ' উল্লেখ আছে। যা সমুচার প্রাথমিক আকৃতি ও পারস্য পেস্ট্রির কাছাকাছি একটি খাবার।আবার ঐতিহাসিক বিবরণে 'সাম্বুসাক', 'সাবুসাক', এমনকি 'সানবুসাজ'কে ছোট ছোট কিমা ভরা ত্রিভুজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলো তখনকার ভ্রমণরত বণিকরা ক্যাম্পফায়ারের চারপাশে বসে খেতেন।এই তথ্য সূত্র অনুসারে, ওই সময় বণিকরা মধ্য এশিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকা, পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণ করেছিলেন। তারা যেখানে গিয়েছিলেন সেখানে সমুচাও পৌঁছেছিল।চতুর্দশ শতাব্দীতে ইবনে বতুতা যখন ভারত সফর করেন, তখন তিনি মুহাম্মদ বিন তুঘলকের দরবারে ভোজসভার একটি খাবারের কথা নথিভুক্ত করেন। সেটি ছিল ত্রিভুজ পেস্ট্রিতে বাদাম, পেস্তাবাদাম, পেঁয়াজ ও মশলার মিশেলে সিদ্ধ মাংসের কিমা গমের আটার পাতলা মোড়কে মুড়িয়ে ঘন ঘিয়ে ভাজা একটি খাবার। তবে কালের পরিক্রমায় বাদাম-পেঁয়াজ-মশলা-মাংসের কিমার পাশাপাশি এতে যুক্ত হয়েছে আরো নানা রকম উপাদান।খুব অল্প সময়েই খাবারটি এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করে যে তৎকালীন দিল্লির দরবারে এটি পরিবেশন করা হতো বলে উল্লেখ পাওয়া যায়। সানবুসাহ, সাম্বোসা, সম্বুসক, সানবাসাস এ রকম নানা রকম উচ্চারণের দিনকাল পেরিয়ে বাংলাদেশে এখন এটি সমুচা নামে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত জনপ্রিয় খাবার।এবি 
    পরিচয় মিলল ৫০ বছর আগে গুহায় পাওয়া মরদেহের
    যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় প্রায় ৫০ বছর আগে পাওয়া একটি মরদেহের অবশেষে পরিচয় মিলেছে। ১৯৭৭ সালে একটি গুহার ভেতর মরদেহটি পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি কে? কোথা থেকে এসেছেন তার কিছুই জানা যায়নি। অবশেষে দীর্ঘ ৫০ বছর পর সেই ধাঁধার জট খুলেছে। পেনসিলভেনিয়ার করোনার অফিস জানিয়েছে, ওই মরদেহটি নিকোলাস পল গ্রাব নামের এক ব্যক্তি। মৃত্যুর সময় তার বয়স ২৭ বছর ছিল।এরপর ১৯৭৭ সালে একদল পর্বতারোহী আপালাচিন পাহাড়ের চূড়া পিনাকেলের একটি গুহায় মরদেহটি পান। তখন তার পরিচয় জানতে শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় কাপড়, শরীরের অবয়ব, অন্যান্য তথ্যসহ কিছু দিয়েই তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে ময়নাতদন্তে দেখা যায় এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত মাদক সেবনে। পরিচয় জানতে তার দাঁতের এবং হাতের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত আঙুলের ছাপ নেওয়া কার্ডটি হারিয়ে যায়। এরপর তার পরিচয় জানার বিষয়টি একেবারে অসম্ভব হয়ে পড়ে।কিন্তু ২০১৯ সালে এই মরদেহের পরিচয় শনাক্তে আবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছর তার মরদেহটি উত্তোলন করে এটি থেকে ডিএনএ সেম্পল সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো ‘জাতীয় অশনাক্ত ব্যক্তি’ সিস্টেমে দেওয়া হয়। কিন্তু তার ডিএনএর সঙ্গে অন্য কারও ডিএনএর মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।তবে ২০২৪ সালের আগস্টে পেনসিলভেনিয়া স্টেট পুলিশের গোয়েন্দা ইয়ান কার্ক হারিয়ে যাওয়া আঙুলের ছাপের সেই কার্ডটি খুঁজে পান। এরপর তিনি এটি দ্রুত ‘জাতীয় অশনাক্ত ব্যক্তি’ সিস্টেমে পাঠান। এরপর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে জানা যায় আঙুলের এই ছাপটি হলো নিকোলাস পল গ্রাবের।এবি 
    বিশ্ব নারিকেল দিবস আজ
    আজ ২ সেম্পেম্বর, বিশ্ব নারিকেল দিবস। এ দিনে বছর  এশিয়ান-প্যাসিফিক অঞ্চলে দিবসটি পালিত হয়। এশিয়ান প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (এপিসিসি) প্রথম জাকার্তায় বিশ্ব নারিকেল দিবস চালু করে। এই সংস্থাটি মূলত সেই সব দেশকে সাহায্য করে এবং নজর রাখে যেখানে নারিকেল উৎপাদন করা হয়।দিনটি প্রথমবার ২০০৯ সালে পালন করা হয়। ২ সেপ্টেম্বরেই এপিসিসি সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। নারিকেলের স্বাস্থ্যোপযোগিতা ও বাণিজ্যিক লাভ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্যই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।এপিসিসি ই বহুমুখী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফলটিকে হাইলাইট এবং প্রচার করতে প্রতি বছর বিশ্ব নারিকেল দিবসের আয়োজন করে।বিশ্বের সবচেয়ে বড় নারিকেল উৎপাদনকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া। ফিলিপাইন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এবং ভারত তৃতীয় বৃহত্তম নারিকেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশও নারিকেল উৎপাদনকারী অন্যতম দেশ।নারিকেল নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। নারিকেল তেল চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, মাথা ঠাণ্ডা রাখে, কোড়ানো নারিকেলের চিংড়ির মালাইকারি, মিষ্টি নাড়ু, পিঠা-পায়েস সুস্বাদু হয় নারিকেলে। ডাবের পানির উপকার তো গুনেই শেষ করা যায় না।বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত দু’গ্লাস ডাবের পানি পান করা জরুরি। পটাশিয়াম ছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও জিংক।নারিকেলের উপকারিতা-* নারিকেলের মধ্যে থাকে ফাইবার, দস্তা, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ইত্যাদি। ফলে এই ফল খেলে একাধিক পুষ্টি পাওয়া যাবে।* ত্বক ভালো রাখে নারিকেল তেল। নরম এবং আর্দ্র রাখে।* হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে নারিকেল।* কোনো রোগের কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে বা পেটের সমস্যা হলে ডাবের জল ভীষণই উপকারী।* নারিকেল তেল চুল ভালো রাখে। চুলে পুষ্টি জোগায় এবং তাকে মজবুত করে এই তেল।* রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।* হাড় শক্ত করে।* হজম শক্তি বাড়ায় নারিকেল।* এছাড়া রান্নায় এই তেল ব্যবহার করা হয়।এইচএ
    আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস
    আজ আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। বিশ্বব্যাপী গুমের অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গুমের ঘটনার বিচারের দাবিতে যখন বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো দাবির মধ্যেই এবার দিবসটি পালিত হবে।২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন ফর প্রোটেকশন অব অল পারসনস এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়, তাতে ৩০ আগস্টকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।দিবসটি উপলক্ষে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। মায়ের ডাক আজ শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে।বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সব নাগরিককে গুম থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা, গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, গুমের শিকার সব নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এবং গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।আরইউ
    জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী আজ
    জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এদিনে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) ৭৭ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে।১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম। শৈশব থেকেই কঠিন দারিদ্র্য মোকাবিলা করে বড় হয়েছেন তিনি। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম সৃষ্টিশীল ছিলেন মাত্র ২৩ বছর। নজরুলের এই ২৩ বছরের সাহিত্যজীবনের সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। কবি নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্যকর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ–বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। অপর দিকে তিনি ছিলেন চিরপ্রেমের কবি। তিনি নিজেই বলেছেন ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ–তূর্য’।তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। কাজী নজরুল ইসলাম নিজ গ্রামে মসজিদ ও স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ছোটবেলায়ই কবিতা ও গান লেখা শুরু করেন। নিজে বিভিন্ন আসরে গান পরিবেশন করেন। দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়েও কবি কখনো আপস করেননি। আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির জন্য। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। মুক্তবুদ্ধি ও চিন্তার পক্ষে কলম ধরেছেন নির্ভীক চিত্তে। ছোটগল্প, উপন্যাস, গান, নাটক লিখলেও মূলত কবি হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। আজীবন বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গি আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার উচ্চকণ্ঠের কারণে তিনি ভূষিত হন ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে অগ্নিবীণা, সঞ্চিতা, চক্রবাক, প্রলয় শিখা, মরু ভাস্কর, দোলনচাঁপা, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান, সাম্যবাদী, পুবের হাওয়া, ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, বাঁধনহারা, মৃত্যুক্ষুধা, কুহেলিকা ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রায় ৩ হাজার গান রচনা করেন কাজী নজরুল। তার গানের বাণী হয়ে ওঠে মানবতাবাদ ও সাম্যবাদের পক্ষে শক্তিশালী হাতিয়ার।বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম সপরিবারে বাংলাদেশে আসেন। জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। এবি 
    বন্যা ইস্যুতে শিশুর ভাইরাল এই ছবিটি আসল না কৃত্তিম?
    চলমান বন্য পরিস্তিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনায় এক শিশুর ছবি। ছবিটি শেয়ার দিয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন অনেকে। ভাইরাল ছবিটিতে দেখা গেছে, এক শিশু গলা পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে আছে। তার কপালে ভাজ এবং অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।বুধবার (২১ আগস্ট) বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রকাশে একটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও ওই ছবি শেয়ার করে বিভিন্ন বার্তা দিচ্ছেন।ছবিটি নিয়ে মতামত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকবিষয়ক সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। তিনি বলেছেন, ছবিটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি করার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখিছেন, আমি ৩টি এআই ডিটেক্টর টুলে ছবিটি ট্রাই করে ৩ ধরনের ফলাফল পেয়েছি। একটিতে দেখিয়েছে ছবিটি ৯১ শতাংশ এআই জেনারেটেড। অন্যটিতে ৪০ শতাংশ এবং একটিতে দেখাচ্ছে ‘লাইকলি হিউম্যান মেইড’। ছবিটির অরিজিনাল ভার্সন পেলে হয়তো এই ভিন্নতর ফলাফল হতো না। কোনো এআই জেনেরেটেড ছবির অরিজিনাল ভার্সন ডিটেক্টর টুলে চেক করলে মোটামুটি সব ক্ষেত্রেই কনক্লুসিভ ফলাফল পাওয়া যায়। (কোন ছবি একাধিক টুলের প্রতিটিতে ৭০ শতাংশের বেশি আইএই জেনারেটেড দেখালে আমরা সেটাকে কনক্লুসিভ ফলাফল হিসেবে গ্রহণ করে থাকি)। কিন্তু এই ছবির ক্ষেত্রে, বুঝাই যাচ্ছে শুধু টুল দিয়ে এআই জেনারেটেড কিনা তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।তিনি বলেন, ছবিটি গতকাল থেকে অনলাইনে ছড়িয়েছে। নানানভাবে সার্চ করেও গতকালের আগে এবং সামাজিক মাধ্যমগুলোর বাইরে কোথাও এটি খুঁজে পাওয়া যায় না। ... কোন পেশাদার ফটোগ্রাফার এটি তার সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে থাকতেন তাহলে এমন একটি আবেদনময়ী ছবিতে অবশ্যই তার নাম বা প্রতিষ্ঠানের নাম ওয়াটারমার্ক করে দেয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। ছবিটির কোন ভার্সনে এমন কিছু দেখা যায় না।ছবিতে যেভাবে একটি উন্মুক্ত পানিভর্তি এলাকায় ২/৩ বছরের বাচ্চাকে অভিভাবক ছাড়া দেখা যাচ্ছে সেটি অসম্ভব না হলেও খুব স্বাভাবিক নয়।শিশুটির শারীরিক গঠন বিশ্লেষণ করে কদরুদ্দিন শিশির লিখেছেন, বাচ্চাটির ঠোঁটের গঠনও কিছুটা অস্বাভাবিক। একই সাথে তার চেহারায় আতঙ্কের কারণে চোখ ও কপালের একপাশে যে ভাঁজ (প্রকৃত ভাঁজ পড়বে কপালের ঠিক মাঝখান বরাবর) পড়েছে সেটিও স্বাভাবিক এক্সপ্রেশন মনে হচ্ছে না। সবমিলিয়ে বলা যায়, ছবিটি সত্য ঘটনার না হয়ে তৈরি করা (এআই জেনারেটেড) হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
    যেসব দেশে নেই পুলিশ-সেনাবাহিনী
    দেশের নিরাপত্তা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর কোনও দেশের নিরাপত্তার কথা উঠলেই সাধারণত দুটি ছবি আসে। প্রথম সেনাবাহিনী এবং দ্বিতীয় পুলিশ। একটি গোটা দেশ তথা দেশবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। পুলিশের দায়িত্ব দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার রক্ষা করা এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব বাইরের শত্রুর হাত থেকে দেশ, দেশবাসীতে নিরাপদ রাখা। তাই প্রতিটি দেশে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী থাকা খুবই জরুরি। কিন্তু যদি বলি যে পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যাদের কোনও পুলিশবাহিনী নেই। নেই কোনও জেল।   তাহলে চলুন সীমান্তে পুলিশবিহীন দেশগুলি সম্পর্কে একটু খোঁজ নেওয়া যাক। কোস্টারিকা: সামরিক বাহিনী নেই এমন প্রথম দেশ হলো কোস্টারিকা। ৫ মিলিয়নেরও বেশি বাসিন্দা থাকা, দেশের একমাত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হল জাতীয় পুলিশ যা সামরিক-গ্রেডের অস্ত্রে সজ্জিত। ১৯৪৯ সালে, কোস্টারিকা তার সামরিক বাহিনী বন্ধ করার সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে, দেশটি পারস্পরিক সহায়তার আন্তঃআমেরিকান চুক্তির সদস্য। সুতরাং বহিরাগত আগ্রাসনের সম্মুখীন হলে কোস্টারিকার প্রতিরক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়ী থাকবে।ভ্যাটিকান সিটি: পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র হলো ভ্যাটিকান সিটি। ইতালির রাজধানী রোমের একটি অংশ। অতীতে নিরাপত্তার জন্য এখানে বাহিনী থাকলেও ১৯৭০ সালে সব বাহিনী বাতিল করে দেন। ভ্যাটিকানের সশস্ত্র বাহিনী, যার নাম প্যালাটাইন গার্ড এবং নোবেল গার্ড ভেঙে দেন পোপ পল ষষ্ঠ। এরপর ভ্যাটিকান সিটির নিরপেক্ষতা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে ইতালি।পানামা: দেশে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে, নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে পানামানিয়ান পাবলিক ফোর্সের প্রায় ২৭ হাজার সদস্য রয়েছে। যদিও এটিতে সশস্ত্র বাহিনী নেই, তবে পানামানিয়ান ন্যাশনাল পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী এবং মাদকবিরোধী ইউনিটের পাশাপাশি দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সামুদ্রিক অভিযানের জন্য বিশেষ বাহিনী দিয়ে সজ্জিত। পানামা সংবিধান সংশোধনের পর ১৯৯৪ সালে তার সামরিক বাহিনীকে ভেঙে দেয়।নউরু: এমন আরও একটি দেশের নাম হলো নউরু। প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রে মাত্র ১০ হাজার লোকের বসবাস। এটি মাইক্রোনেশিয়ার অংশ। এই দেশের কোনো পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী নেই।পালাউ: পালাউ হলো এমন একটি দেশে যার কোনো সেনাবাহিনী নেই। তবে রয়েছে অনুমতিপ্রাপ্ত পুলিশবাহিনী। আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় রয়েছে ৩০ জনের মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট। পালাউকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সাহায্য করে।আইসল্যান্ড: সশস্ত্র বাহিনীবিহীন আরেকটি দেশ আইসল্যান্ড। যদিও দেশে নিয়মিত সামরিক বাহিনী নেই, তবে এর প্রাথমিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইসল্যান্ডিক ন্যাশনাল পুলিশ, আইসল্যান্ডিক কোস্ট গার্ড এবং নয়টি আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনী। তবে আইসল্যান্ডও একটি ন্যাটো সদস্য, যা তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। ন্যাটো সদস্য দেশগুলো আইসল্যান্ডের এয়ার পুলিশিং-এর অধীনে ঘূর্ণায়মান ভিত্তিতে আইসল্যান্ডের আকাশসীমা রক্ষা করে।সলোমন: ৭ লাখের বেশি জনসংখ্যা রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী বা বিমান বাহিনী কোনোটিই নেই এদেশের। রয়্যাল সলোমন আইল্যান্ডস পুলিশ ফোর্স দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। দেশটির পুলিশ বাহিনী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তবে চীন এবং অস্ট্রেলিয়া গত কয়েক বছরে সামুদ্রিক টহল অভিযানে সহায়তা করার জন্য সলোমন দ্বীপপুঞ্জে টহল বোট সরবরাহ করেছে।এইচএ
    আজ বিশ্ব মশা দিবস
    এই পৃথিবীতে অনেক ধরনের দিবস উদযাপন করা হয়ে থাকে। কিন্তু মশা দিবস যে পালিত হয় সেটি বেশির ভাগ মানুষেরই অজানা। প্রতিবছর ২০ আগস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মশা দিবস হিসেবে পালিত হয়। ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশ ডাক্তার প্যাট্রিক ম্যানসন ও ভারতীয় মেডিক্যাল সার্ভিসের মেডিক্যাল অফিসার রোনাল্ড রস ম্যালেরিয়া প্যারাসাইটের সম্ভাব্য ভেক্টর হিসেবে মশার বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। বছরের পর বছর নিরলস গবেষণার পর ১৮৯৭ সালে তাঁরা প্রমাণ করেন যে অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া পরজীবী বহন করতে পারে। তাঁরা তাঁদের আবিষ্কারের দিন, ২০ আগস্ট ১৮৯৭কে ‘মশা দিবস’ বলে অভিহিত করেছিলেন। অ্যানোফিলিস মশাবাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন চিকিৎসক রোনাল্ড রস। পরবর্তী সময়ে এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।         লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন পরে তাঁদের আবিষ্কারের তাৎপর্য ধরে রাখতে ২০ আগস্ট বিশ্ব মশা দিবসের নামকরণ করেন, যা প্রতিবছর পালিত হয়। এটি শুধু একটি বৈজ্ঞানিক মাইলফলক উদযাপন করার দিন নয়, বরং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ করাই এর মূল উদ্দেশ্য।বিশ্ব মশা দিবস ২০২৪-এর প্রতিপাদ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই প্রতিপাদ্যে মশার সংখ্যা কমিয়ে মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং জিকার বিস্তার রোধে সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেবে। থিমটি এই মারাত্মক রোগগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনস্বাস্থ্য উদ্যোগ, গবেষণা এবং বিভিন্ন অংশীদারের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরবে। ১৯৩০ সাল থেকে প্রতিবছরের ২০ আগস্ট দিবসটি বিশ্ব মশা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মশা দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উষ্ণ আর্দ্রীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মশা প্রজননের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। মশার ঘনত্ব এবং প্রজাতির বৈচিত্র্য বেশি থাকার কারণে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকিও বিশ্ব মশা দিবস এবং বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগবাংলাদেশে অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১২৬ প্রজাতির মশা শনাক্ত করা হয়েছে, তার মধ্যে বর্তমান ঢাকায় আমরা পাই ১৪ থেকে ১৬ প্রজাতির মশা। বাংলাদেশে মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও জাপানিজ এনকেফালাইটিস।বাংলাদেশসহ পৃথিবীব্যাপী মশাবাহিত রোগের মধ্যে অন্যতম হলো ম্যালেরিয়া। অ্যানোফিলিস মশার সাতটি প্রজাতি বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়। এর মধ্যে চারটি প্রজাতিকে প্রধান বাহক বলা হয়।  বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা এবং সীমান্ত এলাকায় মোট ১৩ জেলার ৭২টি উপজেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ২০০০ সালের পর সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায় ২০০৮ সালে । ২০০৮ সালে ৮৪ হাজার ৬৯০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং ১৫৪ জন মারা যায়।২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রথম চিকুনগুনিয়া ধরা পড়ে, যেটি ডেঙ্গুর মতো একটি রোগ। এই রোগটি  চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছর বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়া রোগ শনাক্ত হয়। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় ২০১৬-১৭ সালে। ঢাকায় প্রথম ডেঙ্গু দেখা দেয় ১৯৬৩ সালে। তখন এটিকে ঢাকা ফিভার হিসেবে চিহ্নিত করা বা নাম দেওয়া হয়েছিল। ডেঙ্গুর প্রথম বড় আউটব্রেক হয় ২০০০ সালে আর তখন বিজ্ঞানীরা একে ডেঙ্গু হিসেবে চিহ্নিত করেন। ওই বছর বাংলাদেশে পাঁচ হাজার ৫৫১ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় এবং ৯৩ জন মারা যায়।করোনাকালীন বছরগুলোতে ডেঙ্গু কিছুটা নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে থাকলেও ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সব ইতিহাস ভেঙে ডেঙ্গুর সর্বোচ্চ রোগী তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যায় এক হাজার ৭০৫ জন।এবি 
    আজ বিশ্ব মানবতা দিবস
    জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব মানবতা দিবস আজ। প্রতি বছর ১৯ আগস্ট সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। মানবসেবায় যারা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন দিবসটিতে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এতে তিনি মানবতার কল্যাণে জীবন উৎসর্গকারীদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানান।জাতিসংঘের মানবিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্রাজিলের কূটনীতিক সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ২০০৩ সালের ১৯ আগস্ট ২১ জন সহকর্মীকে নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের বাগদাদে গিয়েছিলেন। সেখানে বিরূপ পরিস্থিতিতে বোমা হামলায় তারা নিহত হন। তাদের স্মরণে গঠিত হয়েছে সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ফাউন্ডেশন। ২০০৮ সালে ১৯ আগস্টকে ‘বিশ্ব মানবতা দিবস’ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। পরের বছর ২০০৯ সাল থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়।দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বটাকে আরও সুন্দর করতে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দিন-রাত ধরে চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে অন্যের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছি আমরা।বিশ্ব মানবতা দিবস আমাদের মানবিক সহায়তার অপরিহার্যতা স্মরণ করিয়ে দেয়, মানুষের মানবতাবোধ জাগ্রত করে। বিশ্বের নানা প্রান্তের সংঘাত, দুর্যোগ, সংকটময় পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। মানবিকতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। আমাদের উৎসাহিত করে সমতা, ন্যায়বিচার, শৃঙ্খলা এবং মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ও এর প্রসারের ব্যাপারেও।এবি 
    আজ বঙ্গবন্ধুর ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী
    আজ ১৫ আগস্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল।এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগিনীপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগিনা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।  বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করে। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সেই মর্মান্তিত ঘটনার ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়।এদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পালানোর পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল করেছে। এবার সরকারিভাবে কোনো কর্মসূচিও থাকছে না দিনটিতে।তবে ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করার কর্মসূচি রয়েছে আওয়ামী লীগের। এছাড়াও বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও নিহত অন্যদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। ১৫ আগস্টের কর্মসূচি সফল করার জন্য কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে প্রচারও চালাচ্ছেন তারা। এদিকে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় শান্তিশৃঙ্খলভাবে শোক দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।এবি 
    আজ বিশ্ব টিকটিকি দিবস
    মানবজাতির জন্য যেন বছরজুড়ে বিভিন্ন দিবস রয়েছে, তেমনি বিশেষ দিন আছে সরীসৃপদের জন্যও। প্রতি বছর ১৪ আগস্ট  বিশ্ব টিকটিকি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিনটি অন্যান্য দিবসের মতো তেমন সুপরিচিত না। তবে বিভিন্ন দেশে  স্থানীয় পর্যায়ে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সরীসৃপ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো অনলাইনের মাধ্যমে টিকটিকিদের প্রতি তাদের ভালোবাসার তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে থাকে।বিশ্ব টিকটিকি দিবস কীভাবে শুরু সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের (ডব্লিউডব্লিউএফ) মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলো অবশ্য বিশ্ব টিকটিকি দিবস সেভাবে উদযাপন করে না।  তারা প্রধানত পোষা প্রাণী হিসাবে সরীসৃপ সম্পর্কে সচেতনতার ওপর বেশি নজর দেয়।তবে বিশ্ব টিকটিকি দিবসের উৎস নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও দিনটি উদযাপনে কোনো বাধা নেই। অজ্ঞতা এবং সচেতনতার অভাবে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত এই সরীসৃপটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। দিবসটা টিকটিকিদের জন্য হলেও দিনটিতে সরীসৃপ প্রজাতি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াও শুরু করতে পারেন।টিকটিকি কর্ডাটা পর্বের, মেরুদণ্ডী উপপর্বের, সরীসৃপ শ্রেণীর একটি প্রাণী। টিকটিকি সাধারণত দৈর্ঘ্যে ৭৫-১৫০ মিমি (৩–৬ ইঞ্চি) হয় এবং প্রায় ৫ থেকে ১৫ বছর বেঁচে থাকে। এসব ছোট আকৃতির টিকটিকি গুলো সাধারণত বিষাক্ত নয় এবং এরা মানুষের ক্ষতি করে না। অধিকাংশ মাঝারি থেকে বৃহদাকারের টিকটিকি শান্ত প্রকৃতির হয়। কিন্ত বিপদের আভাস পেলে এরা কামড় দিতে পারে। অনেকেই টিকটিকিকে বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে ভেবে ভুল করে থাকেন। তবে টিকটিকি নিতান্তই শান্ত ও নিরীহ প্রাণী।টিকটিকি সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র স্থানে থাকে। এরা পোকামাকড় খাওয়ার জন্য বুকে ভর দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। শহুরে পরিবেশেও এদের দেখা যায়। প্রাণীটি খুব দ্রুত এর আশেপাশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে । এরা পোকামাকড় ও মাকড়সা শিকার করে খায় এবং অন্যান্য টিকটিকির প্রজাতি, যারা কম শক্তিশালী বা আচরণগত ভাবে আক্রমণাত্মক নয়, তাদের বাস্তুচ্যুত করতে পারে।অধিকাংশ টিকটিকিই নিশাচর। এসব প্রাণী দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে এবং রাতে পোকামাকড়ের সন্ধানে বের হয়। টিকটিকি মূলত বারান্দার আলোর প্রতি আকৃষ্ট পোকামাকড়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি এবং বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে চড়ে বেড়ায় এবং বিশেষ টিক টিক শব্দ শুনে এদের উপস্থিতি চিহ্নিত করা যায়। যেসব টিকটিকি সম্ভাব্য বিপদ থেকে দ্রুত পালাতে পারে না, তারা সাধারণত আচরণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে রাতের শেষ দিকে খাদ্যের সন্ধানে বের হয় এবং ভোর হওয়ার আগেই নিরাপদ স্থানে চলে যায়। যেসব টিকটিকি শহুরে পরিবেশে যারা থাকতে পারে না, তারা তুলনামূলক ঘন বন অথবা বনের আশেপাশে থাকতে পছন্দ করে।এবি 
    একসঙ্গে ১২৪৬টি পুশ আপ দিয়ে যুবকের বিশ্ব রেকর্ড
    বডি বিল্ডিংয়ের জন্য পুশ আপ খুবই ভালো একটি ব্যায়াম। তবে একসঙ্গে আপনি কয়টা পুশ আপ দিতে পারবেন, ১০টা, ২০টা কিংবা ৫০টা। এবার একসঙ্গে ১ হাজার ২৪৬টি পুশ আপ দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা অ্যালেক্স ক্যাপোগনা।অ্যালেক্স মাত্র ১ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৪৬টি পুশ আপ দিয়ে সম্প্রতি গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠিয়েছেন। গড়ে প্রতি মিনিটে ২০টি পুশ আপ দিয়েছেন। এর আগে ৮৮৪টি পুশ আপ দিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যালেক্স। এবার নিজের রেকর্ড নিজি ভাঙলেন তিনি।প্রতিটি পুশ আপের জন্য বুককে অবশ্যই মাটির সঙ্গে স্পষ্ট যোগাযোগ করতে হবে এবং শরীর অবশ্যই হাঁটু বা কোমরে বাঁকানো যাবে না। অ্যালেক্সের মতে নিখুঁত ফর্ম বজায় রাখা এই চ্যালেঞ্জের সবচেয়ে কঠিন অংশ। অবিশ্বাস্যভাবে, অ্যালেক্স ২০ মিনিট বিশ্রাম ছাড়া তেমন সময় ব্যয় করেননি। খুব ভালোভাবে তিনি এই চ্যালেঞ্জ শেষ করেছেন।মাত্র আড়াই বছর আগে এটির জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন অ্যালেক্স। ধীরে ধীরে তিনি পুশ আপের সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। প্রতিদিন অনুশীলন চালিয়ে গেছেন। রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা থেকেই এই কঠিন প্রশিক্ষণ শুরু করেন। গত বছরের অক্টোবরে তিনি ৮৮৪ বার পুশ আপ দিয়ে একটি রেকর্ড গড়েছিলেন।এবি 

    Loading…