এইমাত্র
  • বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন হামজা চৌধুরী
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    ফিচার

    অল্প লিখে গল্প হওয়া কবি
    কবি হেলাল হাফিজ গৃহী ছিলেন না। স্বেচ্ছায় সন্ন্যাস বেছে নিয়েছিলেন। নিঃসঙ্গতা কুরে কুরে খেয়েছে তাকে। একজীবনে কত বর্ণিল ও তীব্র বিষাদই না তাকে বিদ্ধ করল।পোড়াল। না পুড়লে নাকি সোনা খাঁটি হয় না। সন্ন্যাস, আত্মপীড়ন, নির্লিপ্তির পথে দীর্ঘকাল হাঁটলেন। সে এক কষ্টদ্রাবী দুর্গম শিল্পযাত্রা।কত নারী এলো জীবনে, তার পরও তৃষ্ণার শেষ নেই, নেই। তাও বুঝি শিল্পচূড়া থেকে গেল অনেকটাই অধরা! কবিতার জন্যে সব ছেড়েছুড়ে বিবাগী জীবন। জুয়ার টেবিল, স্কুল মাস্টারি, সাংবাদিকতা, সরকারি চাকরি প্রত্যাখ্যান, হোটেল বাস, অকৃতদার থাকা, নির্মোহ বৈরাগ্য—আলো-আঁধারি রহস্যকুয়াশা, কৌতূহল কিছু কম নেই তাকে ঘিরে। তার সম্পর্কে বলা হয়, ‘হেলাল হাফিজ অল্প লিখে গল্প হয়েছেন।’ মোক্ষম ও যথার্থ মূল্যায়নই বটে। পাঠকসাধারণের অপার কৌতূহল এবং আগ্রহ এই ব্যক্তিমানুষটির জীবনযাপনের ধারা-প্রকৃতি, নানা বিষয়ে তার চিন্তা-ভাবনা, পর্যবেক্ষণ, অনুভূতি সম্পর্কে। একখানি মাত্র কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ গভীর মমতা-ভালোবাসায় স্পর্শ করেছে অজস্র মানুষের হৃদয়। দোলায়িত, শিহরিত, মুগ্ধ-আপ্লুত করেছে পাঠক-মনন। সে এক আশ্চর্য নান্দনিক টান, সম্মোহনও।৭ অক্টোবর ১৯৪৮ কবি হেলাল হাফিজের জন্ম। নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায়। মাত্র তিন বছর বয়সে মাকে হারান। বলতেন, মাতৃহীনতার বেদনাই তাকে কবি করেছে। স্কুল শিক্ষক পিতা আবার বিয়ে করেন। দুই সংসারে মোট চার ভাই তিন বোন। গ্লুকোমা, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ নানা ব্যাধির আক্রমণে শরীর ছিল অত্যন্ত দুর্বল। জীবনের অন্তিমলগ্নেও শাহবাগের একটি হোটেলে বরাবরের মতো বসবাস করতেন। তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেস ক্লাব ছিল প্রকৃতই সেকেন্ড হোম। জীবনসায়াহ্নে সেখানে যাতায়াত করতে পারতেন না শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে।কবি হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ ১৯৮৬ সালে প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় তোলে। মোট ৩৩টি মুদ্রণ হয়েছে। এটি রেকর্ড। প্রকাশিত অন্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে ‘কবিতা ৭১’ (ইংরেজি অনুবাদ ‘দ্য টিয়ার্স দ্যাট ব্লেজ’সহ), ‘একজীবনের জন্মজখম’ (ইংরেজি অনুবাদ ‘বার্থ উন্ড অব ওয়ান লাইফ’সহ)। শেষতম গ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’ বের হয় ২০১৯ সালে, ঢাকা ও কলকাতা থেকে একযোগে।অসামান্য জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজকে বলা হয় দ্রোহ ও প্রেমের কবি। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাটির নাম ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’। সে কবিতার দুটি পঙক্তি হলো ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়...’কিভাবে জন্ম ঐতিহাসিক সেই কবিতাটির? কবির জবানিতেই জানা যাক। তিনি আমাকে বলেছেন, “উত্তাল ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে একদিন সন্ধ্যায় আমি পুরনো ঢাকা থেকে ইকবাল হলে (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ফিরছিলাম। সেই সময়টাতে একটু ‘অব্যবস্থিতচিত্ত’ ছিলাম। পানাহার করে ফিরছিলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আস্তানায়। তখন বাংলা অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান যে কতটা সর্বগ্রাসী ও সর্বপ্লাবী ছিল, সেটা যারা না দেখেছেন, তাদের বোঝানো দুষ্কর। গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় আমার রিকশাটি থেমেছিল। সমানে মিছিল চলছিল সেখানে। ইপিআর (বর্তমানের বিজিবি) ও পুলিশ মিছিলকারীদের পেটাচ্ছিল। ধাওয়া দিচ্ছিল। মিছিল থেকেও ইটপাটকেল ছোড়া হচ্ছিল। একটা রিকশা ছিল থামানো। বয়স্ক সেই রিকশাওয়ালা বলে উঠল, ‘মার মার শালাদের। কোনো কোনো সময় মার্ডারও করা যায়।’ রিকশাওয়ালারা মাঝে মাঝে টুকটাক ইংরেজি শব্দও বলে। এই কথাটা আমার মগজে ও মনে গেঁথে গেল। ওই ঘটনা থেকেই এ কবিতার জন্ম।”নন্দিত কবি হেলাল হাফিজ জানান, “আহমদ ছফা আর কবি হুমায়ূন কবির এই দুজন আমাকে তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের সাহিত্য সম্পাদক কবি আহসান হাবীবের কাছে নিয়ে যান। কবিতাটা হাবীব ভাইয়ের হাতে দিয়ে তারা বললেন, ‘হাবীব ভাই, এ আমাদের এক তরুণ কবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়ে।’ আহসান হাবীব অনেক বড় মাপের কবি। উনি কবিতাটা পড়েন আর আমার দিকে তাকান। অবাক চোখে দেখছেন আমাকে। আমার তখন কীই বা বয়স। হাবীব ভাই পড়া শেষ করে আরো এক-দুইবার পড়লেন। পড়েই ছফাকে বললেন, ‘ছফা এই কবিতাটা আমি দৈনিক পাকিস্তানে ছাপতে পারব না। কারণ দৈনিক পাকিস্তান সরকারি কাগজ আর কবিতাটি হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী কবিতা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লেখা। সশস্ত্র সংগ্রামের আহ্বান জানানো হয়েছে এই কবিতার মাধ্যমে। এটা ছাপলে আমার চাকরি তো যাবেই, কাগজটাও বন্ধ হয়ে যাবে, আরো কত কী যে হবে! তাই আমি কবিতাটি ছাপতে পারলাম না। তবে হেলালের আর কবিতা না লিখলেও চলবে। তিনি তো বড় কবি। পাকা জহুরিও। চকিতেই তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এই ভূখণ্ডের তত্কালীন সাড়ে সাত কোটি মানুষের তীব্র যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষা এই কবিতায় সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। হাবীব ভাই আর ছাপলেন না কবিতাটা। আমরা চলে এলাম।” কবি হেলাল হাফিজের ভাষায়, “কবিতাটির প্রথম দুটি লাইন ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। ছফা ভাই ও হুমায়ূন কবির এক রাতে সমস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে দেয়ালে চিকা মেরে দিলেন। তখন তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত ভবন ছিল না। মূলত আর্টস ফ্যাকাল্টি ও কার্জন হল। মাত্র দুই রাতে গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দেয়ালে দেয়ালে স্লোগান হিসেবে এই পঙক্তি লেখা হলো। চিকা মারা যাকে বলে। এখনকার প্রজন্ম অবশ্য চিকা মারা কী, সেটার মর্ম বুঝতে পারবে না। গভীর রাতে ভীতিকর পরিবেশে দেয়াল লিখনরত তরুণদের জিগ্যেস করা হয়েছিল, তোমরা কী করছো? উত্তরে ওরা বলেছিল, চিকা (ছুঁচো) মারছি। সেই থেকে দেয়াল লিখনের কাজকে বলা হতো চিকা মারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই কবিতা রণাঙ্গনের মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সেই বীর যোদ্ধাদের জাগরণী ও উজ্জীবন মন্ত্র ছিল এই কবিতাটি। স্বাধীনতার পরে, বিশেষ করে বাম রাজনীতি যারা করতেন, হক, তোহা, সিরাজ সিকদার গ্রুপ—এরা এই কবিতাটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা শুরু করল। কবিতাটি আমাকে রাতারাতি তারকা খ্যাতি এনে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। যে সমাজে একটু পীড়ন থাকবে, নির্যাতন থাকবে, শোষণ থাকবে, সেই সমাজে এই কবিতা থাকবেই—এটা বাদ দেওয়া যাবে না। এর পর থেকে এই একটি কবিতাই আমার জীবনধারা আমূল বদলে দিল।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তা করিডর দিয়ে চলাই তার দায়। ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলে, ‘ওই যে কবি হেলাল হাফিজ যায়, দ্যাখ! দ্যাখ!’ আমার নাম না নিয়ে এটাও বলে যে এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। যেখানেই যাই, সেখানেই একটু অতিরিক্ত পাত্তা পাই। তখন টিএসসি নতুন হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার মডেলে। টিপটপ। হাই ফাই। রোজ দুপুরে আমাকে কে খাওয়াবে, তা নিয়ে কম্পিটিশন হয়। আমাকে কোনো বিল দিতে হয় না।”কবিকে প্রশ্ন করি, একদা যৌবনে আপনি লিখেছিলেন সেই বিখ্যাত কবিতার পঙক্তি—এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়/ এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। এখন জীবনসায়াহ্নে এসে বার্ধক্যে উপনীত হয়ে আপনি কী ধরনের পঙক্তি লিখবেন?এ প্রশ্নের উত্তরে কবি হেলাল হাফিজ বললেন, ‘এখন যৌবন যার... এই দ্যুতিময় পঙক্তির যিনি স্রষ্টা, তিনি চিরনবীন। বাস্তবে তার বয়স যতই হোক না কেন। এটা ঠিক, শরীর একটা বড় ফ্যাক্টর। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যত দিন সমাজে অন্যায় উৎপীড়ন অনিয়ম অনাচার থাকবে, এই পঙক্তিমালাকে আশ্রয় করে প্রতিবাদী কিছু মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে। রুখে দাঁড়াবে অন্যায়-বৈষম্য। এই কবিতার পঙক্তি তাদের প্রাণিত করবে। এমনটা হতেই পারে যে, বেশির ভাগ মানুষই ক্ষমতার বলয়ের মধ্যে থাকতে চাইবে। কলাটা-মুলোটার জন্যে। কিন্তু কিছু মানুষ তো ব্যতিক্রমী থাকবেই। তারা রুখে দাঁড়াবে। অন্যায়-অবিচারের অবসান চাইবে।’সুত্র: দৈনিক কালের কণ্ঠলেখক: কবি হাসান হাফিজ, সম্পাদক: দৈনিক কালের কণ্ঠ।
    বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ
    বিশ্ব মানবাধিকার দিবস আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর)। ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ এখনই’—এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ দেশের মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানববন্ধন ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বাণী দিয়েছেন।বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় যে জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করে। প্রত্যেক ব্যক্তির অধিকার ও রাষ্ট্রের দায়-দায়িত্বের বিষয়টি সুনির্দিষ্টভাবে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গ্রহণের দিনটি প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে সাংবিধানিক অধিকার তথা মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাষ্ট্রপতির বাণীআন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানবাধিকার দিবস উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।তিনি বলেন, মানুষের সর্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য ও অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার ও চাহিদা নিশ্চিতের পাশাপাশি, সবার নিরাপত্তা বিধান এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদা সমুন্নত রাখে। ১৯৪৮ সালের এই দিনে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেও মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীনতা, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় প্রতিনিয়ত আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি জনসাধারণের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তৃণমূল পর্যায়ে কমিশনের কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। সমাজে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করতে হবে। বিশ্বের সব নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের অধিকার রক্ষায় সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।বাণীতে আরও তিনি বলেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে একটি গণমুখী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে নিয়মিত গণশুনানি আয়োজন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও প্রতিবেদন দাখিল, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানবাধিকার বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ প্রেরণ, মানবাধিকার বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন জেলা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন, শিশু ও নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে হবে। মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিরপেক্ষভাবে কার্যকর অবদান রাখবে—এটিই সবার প্রত্যাশা।এবি 
    এরশাদ শাসনের পতন: পর্দার আড়ালে যা ঘটেছিল
    আজ থেকে ৩ দশক আগে, ১৯৯০ সালের এই দিনে, ৬ই ডিসেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সামরিক জান্তা এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনের পর তার পতন হয়েছিল। তীব্র গণআন্দোলনের মুখে তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। সে আন্দোলনে প্রায় ৩৭০ জন জীবন দিয়েছিলেন, পঙ্গু-গুম হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। হরতাল হয়েছিল প্রায় ১ বছর ৩২৮ দিন! অবরোধ হয়েছিল ৭০ দিন। জাতীয় সম্পদ ও আর্থিক ক্ষতিও হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার। এরশাদের এই ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে যে রক্তাক্ত সংগ্রামের যাত্রা শুরু হয়েছিল তার পরিসমাপ্তি ঘটে। শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা। দিনটিকে আওয়ামী লীগ 'গণতন্ত্র মুক্তি দিবস', বিএনপি 'গণতন্ত্র দিবস' এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি 'সংবিধান সংরক্ষণ দিবস' হিসেবে পালন করে থাকে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই দিনকে 'স্বৈরাচার পতন দিবস' হিসেবেও পালন করে থাকে। সামরিক শাসকের ক্ষমতা দখল থেকে এরশাদ পতন ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক বাহিনীর প্রধান হোসাইন মোহাম্মাদ এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ক্ষমতা দখল করেই সামরিক ফরমান 'এমএলআর ৮২' জারি করেন। এতে বলা হয়, যেকোনো ভাবে সামরিক শাসনের বিরোধিতা করলে ৭ বছরের জেল। তথাকথিত এই কালো আইনে হাজারো রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার হয়। ক্ষমতা দখল করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তিনি কথা রাখেননি। বরং বেসামরিকীকরণ প্রক্রিয়ায় নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেন। সুবিধাবাদীদের নিয়ে দল গঠন ও প্রহসনের নির্বাচন করেন। ফলে তখন এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সকল ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানায়। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষও এতে যোগ দেয়। স্বৈরাচারকে মোকাবিলায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে বোঝাপড়ার পরিবেশ তৈরি হয়। নানা প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে জোট-ঐক্য গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক দলগুলো শেষে ৩টি জোটে ঐক্যবদ্ধ হয়। ৮, ৭ ও ৫ দলীয় জোট। আন্দোলন জোরদার করতে ৩ জোটের লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়। ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যেও ২টি জোট গড়ে ওঠে, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও সংগ্রামী ছাত্র জোট। আন্দোলন আরও জোরদার করতে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর জেহাদের মরদেহ সামনে রেখে ২৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য গঠন করা হয়।আন্দোলনের সময়ে জনগণ ও রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে থেকে চাপ আসতে থাকে এরশাদ পতন পরবর্তী কর্মসূচী নিয়ে। সে পরিস্থিতিতে ৩ জোটের রূপরেখা ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ১০ দফা প্রণীত হয়। মূলত ৩ জোটের রূপরেখা হচ্ছে স্বৈরাচার হটানোর পর ক্ষমতা হস্তান্তরের রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক পদ্ধতি-প্রক্রিয়ার একটি দলিল। এই দলিলকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম পর্ব হচ্ছে এর মূল ঘোষণা এবং দ্বিতীয় পর্বে আচরণ বিধি। এটি ৪টি ধারা ও ৮টি উপধারার একটি ছোট দলিল। সে সময় সংগ্রামের দিনগুলো ছিল অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক। সামরিক শাসক সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। একদিকে সভা-সমাবেশ-মিছিল, মত প্রকাশসহ সব ধরনের নাগরিক অধিকার রদ করা হয়েছিল। অন্যদিকে ছাত্ররাও হয়ে উঠেছিল তার বিপরীতে প্রচণ্ড বেপরোয়া। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, হত্যা-গুম, নির্যাতন চলছিল সমান তালে। ছাত্ররাও পদে পদে স্বৈরাচারের বাঁধার সৃষ্টি করেছিল।এদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই হরতাল-বিক্ষোভ চলতো। কারফিউ, সান্ধ্য আইন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ, দুইয়ের অধিক চলাফেরা নিষেধ ছিল। সে পরিস্থিতিতে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে শহরের অলিগলিতে ঝটিকা মিছিল হতো। যখন তখনই বুটের খট্‌খট্ শব্দ, সাইরেন, হুইসেল এক মহাতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতো। প্রতিপক্ষ ও পুলিশের মুখোমুখি হওয়া ছিল যেন তখন প্রতিদিনের বিষয়। এভাবেই পার হয়েছিল মাস, বছর।     এরপর ১৯৯০ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা সেনানিবাসে এক জরুরি বৈঠকে বসেন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদ যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, সে প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করা। জেনারেল এরশাদ বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। এর কয়েকদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম মিলনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।সেনানিবাসের ভেতরে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন যে দেশের চলমান সংকট একটি রাজনৈতিক বিষয় এবং এ সঙ্কট সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা আরো সিদ্ধান্ত নিলেন যে চলমান রাজনৈতিক সংকটে সেনাবাহিনীর করনীয় কিছু নেই। এমন অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এরশাদ সেনা সদরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে দেশে সামরিক আইন জারী করা হবে।এরপর ডিসেম্বরের তিন তারিখে তখনকার সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন প্রেসিডেন্ট এরশাদের সাথে দেখা করতে যান। এদিকে সেনা কর্মকর্তারা চেয়েছিলেন যে সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নূর উদ্দিন যেন প্রেসিডেন্ট এরশাদকে পদত্যাগের জন্য সরাসরি বলেন।কিন্তু সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সরাসরি পদত্যাগের কথা না বললেও তিনি জানিয়ে দেন যে দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর অফিসাররা কোন দায়িত্ব নিতে রাজী হচ্ছে না। তখন ঢাকা সেনানিবাসে ব্রিগেডিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন আমিন আহমেদ চৌধুরী, যিনি পরবর্তীতে মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। অবশেষে জেনারেল চৌধুরী (সেনাপ্রধান) প্রেসিডেন্টকে বলেছিলেন আপনার উচিত হবে বিষয়টির দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান করা। অথবা বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেয়া।" সে সময় জেনারেল এরশাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সামরিক শাসন জারীর বিষয়ে সেনাবাহিনী একমত নয় বলেও প্রেসিডেন্টকে পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তখনকার সেনাপ্রধান  জেনারেল চৌধুরী।প্রেসিডেন্টের সাথে সেনাপ্রধানের বৈঠক নিয়ে তখন দেশজুড়ে নানা গুঞ্জন। একদিকে ক্যান্টনম্যান্টের ভেতরে নানা তৎপরতা অন্যদিকে রাস্তায় এরশাদ বিরোধী বিক্ষোভ। সব মিলিয়ে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল।ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে সেনাবাহিনীর চীফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম প্রেসিডেন্ট এরশাদকে সরাসরি বলেন যে তার পদত্যাগ করা উচিত।"পদত্যাগের কথাটা জেনারেল সালামই প্রথম সরাসরি বলেন। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আর্মি অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে," বলছিলেন আমিন আহমেদ চৌধুরী।জরুরী অবস্থা এবং কারফিউর মতো কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমেওে যখন গণআন্দোলন দমানো যাচ্ছিল না তখন সেনাবাহিনীর দিক থেকে নেতিবাচক মনোভাব দেখলেন মি: প্রেসিডেন্ট এরশাদ।এমন অবস্থায় ডিসেম্বরের চার তারিখ রাতেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন জেনারেল এরশাদ। তখন এরশাদ সরকারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন মওদুদ আহমেদ. যিনি বর্তমানে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা। মি: আহমেদ জানালেন সেনাবাহিনীর মনোভাব বোঝার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেননি মি: এরশাদ।এরপর ডিসেম্বর মাসের চার তারিখে তখনকার ভাইস-প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমেদকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবার জন্য বাংলাদেশে টেলিভিশনে পাঠিয়েছিলেন মি: এরশাদ। তবে উদ্দেশ্য ছিল, প্রেসিডেন্টের পরিকল্পিত নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরা।কিন্তু বিরোধী দলগুলো এ নির্বাচনের প্রস্তাব আগেই বর্জন করেছিলো, তবুও  মি: এরশাদ চেয়েছিলেন ভাইস-প্রেসিডেন্টের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরার মাধ্যমে জনগণকে আশ্বস্ত করা। পরিকল্পনা অনুযায়ী মি: এরশাদের নির্দেশ মতো ভাইস-প্রেসিডেন্ট মওদুদ আহমদ সন্ধ্যার সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে গিয়েছিলেন ভাষণ রেকর্ড করার জন্য। সে ভাষণ তিনি রেকর্ডও করেছিলেন। তবে সে ভাষণ রেকর্ড করার পর মওদুদ আহমদ যখন বাসায় ফিরে আসেন তখন তিনি জানতে পারেন প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এরপর কয়েক ঘন্টা পর মধ্যরাতে মওদুদ আহমেদকে আবারো বাংলাদেশ টেলিভিশনে যেতে হয়েছিল প্রেসিডেন্ট এরশাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেবার জন্য।ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘৫ তারিখে বিরোধী দল থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসলো যে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব উপ-রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করে তারপর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির কাজ করবেন তিনি এবং তার অধীনেই একটি নির্দলীয় সরকার হবে।তিনি বলেন, ‘৬ তারিখ বিকেল তিনটায় আমি রিজাইন করলাম। আমি রিজাইন করার পরে সাহাবুদ্দিন সাহেবকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যাপয়েন্ট করলেন প্রেসিডেন্ট সাহেব। তারপর প্রেসিডেন্ট এরশাদ নিজে রিজাইন করলেন এবং তারপর সাহাবুদ্দিন সাহেব ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু করলেন।’ উল্লেখ্য, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন বিভিন্ন সময় ছন্দপতন হয়েছিল। তবে ১৯৮৭ সালে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন নিহত হবার ঘটনা আন্দোলনে গতি এনেছিল। তবে ১৯৯০ সালের  ২৭শে নভেম্বর চিকিৎসক নেতা ডা. শামসুল আলম মিলনকে হত্যার পর আন্দোলনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। এই বিষয়ে তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের নেতা খায়রুল কবির খোকন বলেন,  "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দখল করার জন্য বহিরাগত মাস্তানরা পরিকল্পিতভাবে ডা: মিলনকে হত্যা করেছিলো তখন। এটা ছিল আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট, "। ডা: মিলন যখন রিক্সায় করে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ডা: মিলনের সাথে একই রিক্সায় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের তখনকার মহাসচিব ডা: মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।অভিযোগ রয়েছে জেনারেল এরশাদ সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দখল চেষ্টার অংশ হিসেবে ডা: মিলনকে হত্যা করেছিলো তখন।এবি 
    সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
    গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি তার ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ। তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।তিনি আরও বলেন, ‘উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’প্রধান উপদেষ্টা বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন।এবি 
    আজ বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস
     মাটি বা মৃত্তিকা হলো পৃথিবীর উপরিভাগের নরম আবরণ। ভূ-ত্বক, জলস্তর, বায়ুস্তর এবং জৈবস্তরের মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে পাথর থেকে মাটি তৈরি হয়। আজ বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৪। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মাটির পরিচর্যা : পরিমাপ, পরীক্ষণ, পরিচালন’। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।   দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশে মৃত্তিকাবিজ্ঞান–বিষয়ক গবেষণা ও শিক্ষার পথিকৃৎ ঢাবিতে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে। দিবসটিতে নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।  প্রসঙ্গত, উদ্ভিদের জন্ম-বৃদ্ধিতে ও মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতেই বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে। মৃত্তিকার সঠিক পরিচর্যার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস) ২০০২ সালের ৫ ডিসেম্বর বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়।২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীতে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস’ পালিত হয়।বিশ্বের প্রায় ৬০ হাজারের বেশি মৃত্তিকাবিজ্ঞানী এ দিবসটি সাড়ম্বরে পালন করে থাকেন। মৃত্তিকা সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং তার প্রচার ও প্রসারের দায়িত্ব এই বিজ্ঞানীদের। বিশ্বের সব দেশে সুস্থ মৃত্তিকার সুফল লাভে উৎসাহিত করতেই এ দিবস পালন করা হচ্ছে।দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে খামারবাড়ি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। ওই সেমিনারে কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।এবি 
    আজ মোজা দিবস
    দৈনন্দিন জীবনে আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী মোজা। মূলত জুতাকে আরামদায়ক ও ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে এত ব্যবহার। তবে বর্তমানে জুতা অথবা স্যান্ডেলের সঙ্গে মোজা পরা ফ্যাশনেও পরিণত হয়েছে। তবে মজার ব্যাপার হলো এই কাপড়টির জন্য একটি দিবস বরাদ্দ আছে। আর আজ সেই দিন। প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় মোজা দিবস উদযাপন করা হয়। তাই আজ আপনি আপনার প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন দরকারি এই কাপড়টি।    যেহেতু মোজার কথা বলছি, তাই এর ইতিহাস জেনে রাখা যেতে পারে। এই পোশাকটির ইতিহাস দুই হাজার বছরের বেশি পুরোনো। তখন গুহাবাসীরা পা উষ্ণ রাখতে ছাগলের লোম থেকে এটি তৈরি করত। ধারণা করা হয়, সেই সময় হয়তো স্যান্ডেলের সঙ্গে মানুষ হয়ত পায়ে মোজাও পরতেন।মোজার মাহাত্ম্যকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর ‘ন্যাশনাল সকস ডে’ বা জাতীয় মোজা দিবস পালন করা হয়। শীতপ্রধান দেশে যেখানে বুট কিংবা অন্য যেকোনো জুতা পরতেই হয় সেখানে মোজা ‘মহান’ বটে। মোজার এই ‘মহান’ অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে একটি দিবস পালন করেন মার্কিনীরা। 'পেয়ার অব থিভস' নামেন এক পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এই দিবসটি চালু করেছিল বলে ডে'জ অব দ্য ইয়ারের আর্টিকেলে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য কেবল দিবসটি উদযাপন প্রচার করা নয়, সদিচ্ছার কথা প্রচার করা ও কিছু অভাবী মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিসটি উপহার দেওয়া।দিবসটি উদযাপনের ভালো উপায় হলো এক জোড়া নতুন মোজা কেনা। তাহলে জুতা বিরক্তিকর না হয়ে হবে আরামদায়ক। এজন্য বেছে নিতে পারেন জ্যামিতিক আকারে সজ্জিত উজ্জ্বল রঙের বা কোনো একটি রঙের মোজা। তাহলে আজ আপনার ড্রয়ারটি আরও রঙিন হয়ে উঠবে।নিজের জন্য না লাগলে অন্য কারো জন্য কিনুন, তারপর তাকে উপহার দিন। জীবনে তো অনেক কিছু উপহার দিয়েছেন, এবার এক জোড়া মোজা উপহার দিতে পারেন। এতে উপহারেও যেমন নতুনত্ব আসবে, আবার উপহার পাওয়া ব্যক্তির প্রয়োজনও মিটবে।এবি 
    আজ আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস
    আজ ৩ ডিসেম্বর ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস। বিশ্বজুড়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ, বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ।’ বর্তমানে বাংলাদেশে  প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ ২১ হাজার ৬০৬ জন। এরমধ্যে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৮৭ জন পুরুষ, ১৩ লাখ  ৮৫ হাজার ৯১১ জন নারী ও ২ হাজার ৯০৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন।বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আজ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপের সর্বশেষ তথ্য মতে, প্রতিবন্ধীতার ধরন বিবেচনায় অটিজম ৯০ হাজার ৪০৮ জন। শারীরিক প্রতিবন্ধিতা ১৮ লাখ ২৯ হাজার ১১৭ জন, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ও অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ জন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫০৫ জন , বাকপতিবন্ধীতা ২ লাখ ৮৮২ জন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা ২ লাখ ২৯ হাজার ৮ জন, শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৭ জন, শ্রবণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা ১৫ হাজার ৬৩ জন, সেরিব্রাল পালসি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৩৯ জন, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৭ জন,  ডাউন সিনড্রোম ৭ হাজার ১০৩ জন ও অন্যান্য প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০ হাজার ১৮৭ জন।  উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ দিবসটি পালনের এবং সকলকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক  উপদেষ্টা এক বার্তায় বলেন,  “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। এই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার আত্মহুতির বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে আজ নতুন রূপে পেয়েছি। এ দেশকে প্রতিবন্ধী-অপ্রতিবন্ধী নির্বিশেষে সবার জন্য বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।”তিনি আরো বলেন, “গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতার স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দেশের সুস্থ, অবহেলিত,পশ্চাৎপদ, দরিদ্র ,এতিম প্রতিবন্ধী গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাসহ অনগ্রসর মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহ বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।”এবি 
    আজ প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন
    ‘হাজারটা অর্থপূর্ণ শব্দের চেয়ে একটি শক্ত আলিঙ্গন অনেক বেশি শক্তিশালী’। বিখ্যাত মার্কিন লেখক অ্যান হুডের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার খুব একটা সুযোগ নেই। আলিঙ্গন অব্যর্থ ওষুধ। আলিঙ্গন ভালোবাসার মানুষকে কাছাকাছি থাকার অনুভূতি যোগায়। মৃতপ্রায় সম্পর্ককে একলহমায় সারিয়ে তুলতে পারে। কেবল মনের অসুখের কথাই বা বলি কেন। শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রেও আলিঙ্গন দারুণ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি, নানা শারীরিক ব্যথা দূর করে। আলিঙ্গনে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। এই হরমোন মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। ফলে, দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে জড়িয়ে ধরলে মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষত, খুব কাছের কোনো বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে।আপনার সব থেকে প্রিয় যে মানুষ, শেষবার তাকে কবে প্রবল আবেগে জড়িয়ে ধরেছেন মনে আছে? বুকের ভিতর অনেক কথা জমে আছে কিন্তু বলতে পারছেন না? কিছু না বলেই হাজারো কথা বলে ফেলার এই অনুভূতির তরজমা করতে পারে, পৃথিবীতে এমন কোনো ভাষা কি আছে! ভাষা না থাকলেও কিন্তু একটা উপায় আছে যেখানে কিছু না বলেই সব অনুভূতি শেয়ার করা যায়। আর তা হলো আলিঙ্গন। আলিঙ্গনের মধ্যে হাজারও না বলা কথা লুকিয়ে থাকে। আজ ৩ ডিসেম্বর ‘লেটস হাগ ডে’ বা ‘চলো আলিঙ্গন করি’ দিবস। তাই আজ মান-অভিমান, ঝগড়া-বিবাদ, সব ভুলে আপনার প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরুন।        এই দিবসটির উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্রমতে, কেভিন জ্যাভরনি নামক একজনের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। সমীক্ষা অনুযায়ী, আলিঙ্গন কেবল আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক আছে প্রিয়জনের আন্তরিক স্পর্শের। এবি 
    ঘণ্টায় ১৫৭৫ পুশ আপ দিয়ে রেকর্ড বৃদ্ধার
    পুশ আপ শরীর চর্চার এক অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। তবে এবার এই পুশ আপ দিয়েই দ্বিতীয়বারের মতো গিনেস রেকর্ড গড়লেন ৫৯ বছর বয়সী বৃদ্ধা। কানাডার ডোনাজিন ওয়াইল্ড একজন সুপারউইম্যান বটে। অন্তত তার নাতি-নাতনিরা তা দাবি করতেই পারেন।ডোনাজিন গত সপ্তাহে ৬০ মিনিটে ১ হাজার ৫৭৫ পুশ আপ দিয়ে রেকর্ড করেছেন। এর আগে এ বছরের মার্চে ৪ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ১১ সেকেন্ড প্ল্যাঙ্ক করে রেকর্ড গড়েছিলেন। তিনি দীর্ঘতম সময়ের জন্য পেটের প্ল্যাঙ্ক পজিশনে (নারী) এই রেকর্ড অর্জন করেন।ডোনাজিন বলেছেন যে, তার প্রথম রেকর্ড শিরোনামের জন্য কঠিন প্রশিক্ষণ তাকে তার দ্বিতীয়বারে সাহায্য করেছিল। সে পুশ আপ করার প্রেমে পড়েছিলেন যখন তিনি প্ল্যাঙ্কিংয়ের প্রস্তুতির জন্য দিনে ৫০০টি পুশ আপ দিতেন। তিনি রকি পর্বতমালার পাদদেশে আলবার্টার বিজারে তার বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রকৃতির শান্ত শক্তি তার কাজকে অনুপ্রাণিত করেছে।তিনি তার অ্যাবস এবং স্টিলের বাহু দিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত তার দ্বিতীয় রেকর্ড প্রয়াসে এসেছিলেন এবং ঘড়িতে ১৭ মিনিট বাকি থাকতেই আগের পুশ আপ রেকর্ড খেতাবকে অতিক্রম করেছিলেন।ডোনাজিন পেশায় ছিলেন একজন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল। তবে অবসরের পর সময় কাটানো খুবই কষ্টের এবং বিরক্তিকর ছিল। তখনই তিনি শরীর চর্চা শুরু করেন। এক সময় শরীর চর্চার প্রেমে পড়ে যান তিনি। বিভিন্ন কঠিন কঠিন ব্যায়ামগুলো করতে থাকেন। ধীরে ধীরে বেশ অভ্যস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।তার বয়স এখন ৫৯ বছর। ১২ জন্য নাতি-নাতনি রয়েছে তার। যারা তাকে নিয়ে খুবই গর্ব করে। তার কাজকে তারা সম্মান করে এবং সব সময় উৎসাহিত করে। প্রথম রেকর্ড থেকে শুরু করে দ্বিতীয় রেকর্ড সব সময় দাদির পাশে থেকেছে তার নাতি-নাতনিরা।এবি 
    অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে প্রশ্ন করা যেন জাতীয় বৈশিষ্ট্য
    নাক গলানো বা ‘নোজপোকিং’ শব্দটি বহুল প্রচলিত। নাক গলানো অর্থ অনধিকারচর্চা  বা অহেতুক অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা। বেশির ভাগ মানুষ অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলাতে, অহেতুক প্রশ্ন করতে পছন্দ করে। অনধিকারচর্চায় এ দেশের মানুষ ওস্তাদ। আপনি যতই অপছন্দ করুন না কেন, ব্যক্তিগত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ে প্রশ্ন আপনাকে শুনতেই হবে।  কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে প্রশ্ন করা যে উচিত নয়। তারপরেও বেশির ভাগ মানুষ জেনেবুঝে হলেও অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে নাক গলান, মাথা ঘামান। এটা এখন যেন আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। আমাদের স্বভাব অবশ্য বড়ই বিচিত্র। আমরা অন্যের ব্যাপারে শুধু নাক গলাতেই পছন্দ করি না, এক ধরনের সমালোচনা, পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করতেও ওস্তাদো বটেও। এমন কিছু বিষয়ে দেখা যায় ব্যক্তি বা পরিবারের মাথাব্যথা নেই কিন্তু চারপাশের মানুষ আপনার মাথার খুলি উড়িয়ে দেওয়ার অবস্থা করে দেয়। মানুষ আসলে খুবই দরদি। তারা জানতে ও বুঝতে চায়, তাই প্রশ্ন করে। আর এই প্রশ্নগুলো চলতেই থাকে আমৃত্যু অবদি।  এসব প্রশ্নবাণ ব্যক্তি থেকে পেতে হেসে হেসে জবাব দেবেন এবং ব্যক্তিগত প্রশ্ন না করতে অনুরোধ করবেন। হয়তো তাতেও রেহাই পাবেন না। তবে যে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে একটা প্রশ্ন করবে, আপনিও তার ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে ১০টা প্রশ্ন করুন। আপনি সফল হবেন।  এইচএ
    বিশ্ব এইডস দিবস আজ
    বিশ্ব এইডস দিবস আজ (১ ডিসেম্বর)। বিশ্ব এইডস দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণের রোগ এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল থেকে সারা বিশ্বে আজকের দিনে দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন। বাংলাদেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি (এইডসের ভাইরাস) পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এবার এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও এ বছর রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে বয়সে তরুণদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে।ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্যানুসারে, সারা বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা চার কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার প্রায়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৫ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৪ জন।বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ ২০২২ সালের তথ্য মতে, দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৫১৩ জন। এর মধ্যে এ বছর মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। আগের বছর ২০২৩ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৬৬ জনের। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ২৩২ জন মারা গিয়েছিল।বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে বর্তমানে রোগাক্রান্তদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।এবি 
    জেনে নিন অনলাইনে আয়কর দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়
    বছরে করযোগ্য আয় থাকলে অবশ্যই কর দিতে হবে। সময়মতো কর না দিলে জরিমানা সহ নানা ঝামেলায় পড়তে পারেন। জমি রেজিস্ট্রি থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৩৮টি পরিষেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক।বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যাদের ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর বা টিআইএন রয়েছে তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। তবে রিটার্ন দাখিল করলেই যে আয়কর দিতে হবে তা নয়। কারো আয় যদি করযোগ্য না হয় তাহলে কর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু রিটার্ন জমা দিলেই হবে।নির্দিষ্ট সময় আয়কর জমা না দিলে জরিমানাসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হতে পারে। জমি নিবন্ধন থেকে শুরু করে ইউটিলিটি সংযোগ, ক্রেডিট কার্ডসহ ৪৪টি সেবা পেতে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। যাদের টিআইএন নম্বর আছে, তাদের অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে বাৎসরিক আয় করযোগ্য না হলে কর দিতে হবে না।আপনার করযোগ্য আয় নেই কিন্তু টিন সার্টিফিকেট আছে তাহলে আপনি জিরো রিটার্ন সাবমিট করুন। প্রতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এজন্য আপনাকে কারো কাছে যেতে হবে না। ঘরে বসে নিজের ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকেই দিতে পারবেন। জেনে নিন উপায়->> অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে প্রথমে etaxnbr.gov.bd লিঙ্ক বা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।>> এবার এখান থেকে ই-রিটার্ন অপশন সিলেক্ট করুন।>> এবার এখানে থাকা ‘গাইডলাইন’ অপশনে গিয়ে গাইডলাইনগুলো ভালোভাবে পড়ে নিন।>> আগে থেকেই অ্যাকাউন্ট করা থাকলে সেটি লগ ইন করুন। না থাকলে রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট করে নিন।>> আপনার টিন নম্বর, মোবাইল নম্বর ও একটি ক্যাপচা থাকবে সঠিকভাবে দিয়ে ভেরিফাই অপশনে ক্লিক করে দিন।>> আপনার দেওয়া ফোন নম্বরে যে ওটিপি কোড যাবে সেটি এবার বসিয়ে একটি নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন। নতুন পাসওয়ার্ডটি আবার দিয়ে সাবমিট করুন।বিজ্ঞাপন>> এরপর লগইন করলেই একটি ইন্টারফেস পাবেন। যেখানে আপনার নাম ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে পূরণ করে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ দিলেই একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে।>> এখন নিজের টিআইএন এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করতে পারবেন।>> নিবন্ধন হয়ে গেলে সাইন-ইন করুন এবং বামে উপরে থাকা রিটার্ন সাবমিশন অপশনে গেলেই একটি ফরম আসবে। আপনার সব তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করুন।>> এভাবে পরের স্টেপগুলোতে আসা ফরমগুলো পূরণ করুন। আপনার ইনকাম সোর্সগুলো সঠিকভাবে বাছাই করুন বা লিখে দিন। তাহলে পরের স্টেপে পাবেন ট্যাক্স অ্যান্ড পেমেন্ট নামের একটি পেজ। সেখানে আপনাকে কত টাকা ট্যাক্স দিতে হবে সেটিও দেখতে পাবেন।>> রেগুলার ই-রিটার্নে ক্লিক করুন। এখানেই আপনার চাকরি, বেতন, সারাবছরের আয়, ব্যয়, সম্পদ একের পর এক ফ্রম আসবে সঠিক ভাবে তথ্য যুক্ত করুন। এখানে সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ দিয়ে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। এতে আপনি তথ্য সংশোধন এবং পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন।>> যাদের ট্যাক্স দিতে হবে তারা পে নাও অপশনে যান। এখানে আপনি কীভাবে ট্যাক্সের টাকা পরিশোধ করতে চান তার বিভিন্ন অপশন পাবেন। এরপর সেখানে গিয়ে পেমেন্ট করে দিন। আর জিরো রিটার্ন হলে সাবমিট করুন।>> সবশেষে আপনার রিটার্ন ও ট্যাক্স জমা দেওয়ার স্লিপ ও সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করুন। আপনার হোম পেজের উপরের বামেই সার্টিফিকেট, রিটার্ন ফরম সবকিছু পেয়ে যাবেন।এবি 
    শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ
    আজ ২৭ নভেম্বর, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে চিকিৎসক নেতা ডা. মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় এবং ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। সেই থেকে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন রাজনীতিক দল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনটি শহীদ ডা. মিলন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।ঢাকা মেডিকেলে শহীদ মিলন দিবসের শ্রদ্ধা শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস‍্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ৯০ ও ২৪ গনঅভ‍্যুথান থেকে সকল রাজনীতিকদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা খেলছে, ষড়যন্ত্র করছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন শহীদ ডা. মিলন শাসকের বিরুদ্ধ কন্ঠ তুলেছেছিলেন। যারা গনতন্ত্রের পক্ষে থাকবে তাদেরকে শ্রদ্ধা করি। এই আন্দোলন শিখিয়েছে স্বৈরাচার নিপাত হবেই। নতুন করে কোন স্বৈরাচার মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।ডা. শামসুল আলম খান মিলন ১৯৭৩ সালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এসএসসি ১৯৭৫ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তারপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে (কে-৩৪)। ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করে ডাক্তারী পেশায় যোগ দেন।এবি 
    প্রেমের বিয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষ
    গানে, কবিতায় বা উপন্যাসের পাতায়ও ভালোবাসার গল্পের জয়জয়কার। তরুণরাও যেনো এসব গল্পে খুঁজে পান নিজেকে। তাইতো সকলেই স্বপ্ন দেখেন, তারও একজন ভালোবাসার মানুষ হবে। যার সঙ্গে জীবন কাটাবেন, একটি গল্প তৈরি করবেন।বর্তমানে অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের সংখ্যা কমে এই লাভ ম্যারেজ বেড়েছে। তাইতো ধারণা করা হয়, এ যুগের তরুণ তরুণীরা প্রেমের বিয়েতেই বেশি আগ্রহী।তবে সম্প্রতি এক জরিপে দেখো গেছে, অধিকাংশ মানুষ প্রেমের বিয়ের বিপক্ষে। জরিপটি চালানো হয় পাকিস্তানে। সেখানে ৫২ শতাংশ মানুষ পছন্দের বিয়েকে একেবারেই সমর্থন করেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ৩৯ শতাংশ পছন্দের বিয়েকে সমর্থন করেন।পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, জরিপটি পরিচালনা করেছে গ্যালাপ পাকিস্তান নামক একটি সংস্থা। জরিপের ফলাফলে বলা হয়, আশ্চর্যজনকভাবে পছন্দের বিয়ের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছেন শহুরে জনগোষ্ঠী।জরিপ অনুযায়ী, শহুরে জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ পছন্দের বিয়েতে আপত্তি জানালেও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষ এটি সমর্থন করেছেন। গ্রামের ৫১ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা লাভ ম্যারেজ পছন্দ করেন।এবি 
    নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস আজ
    প্রতি বছর ২৫ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পালিত হয়। ১৯৮১ সালে প্রথমবার এই দিনটি পালন শুরু হয় যা পরে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।এই দিনটি মূলত ১৯৬০ সালে ডোমিনিকান রিপাবলিকের মিরাবাল বোনদের হত্যার স্মরণে পালিত হয়। তারা সামরিক একনায়ক রাফায়েল ত্রুজিলোর শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছিলেন। তাদের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ নারীর অধিকারের প্রতীক হয়ে উঠেছে।১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর ডোমিনিকান রিপাবলিকের তিন বোন প্যাট্রিয়া, মিনেরভা, এবং মারিয়া তেরেসা মিরাবালকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তারা স্বৈরাচারী শাসক রাফায়েল ত্রুজিলোর বিরোধিতা করছিলেন। মিরাবাল বোনেরা তাদের সাহসী ভূমিকার কারণে দেশজুড়ে প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে ওঠেন।এই ঘটনার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে নারীদের প্রতি সহিংসতা এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তা জোরালো হয়। ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের নারীবাদী কর্মীরা প্রথম ২৫ নভেম্বরকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।নারীর প্রতি সহিংসতা আজও একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি একাধিক রূপে দেখা যায়, যেমন: পারিবারিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ, মানবপাচার, বাল্যবিবাহ, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বৈষম্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজন জীবনে অন্তত একবার শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হন।বাংলাদেশে নারী নির্যাতন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা। যদিও বিভিন্ন সময়ে আইন প্রণয়ন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা হয়েছে, তারপরও ধর্ষণ, যৌতুক, এবং বাল্যবিবাহের মতো ঘটনা ঘটছে।পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর তথ্য মতে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ফোন কলের ভিত্তিতে ৯ হাজার ৭১৪টি স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার সেবা প্রদান করা হয়। এ সময় ৮৩৯ জন নারীকে হত্যাজনিত ফোন কল পাওয়া যায়। গত ১০ মাসে ৯৯৯-এ ১ হাজার ৭৯টি নারী নির্যাতন বিষয়ক সেবা দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে ‘নারী-কন্যার সুরক্ষা করি, সহিংসতামুক্ত বিশ্ব গড়ি’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে পালিত হচ্ছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। আজ থেকেই নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ১৫ দিনব্যাপী পালন করা হবে নারী নির্যাতন পক্ষ।এবি 

    Loading…