এইমাত্র
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি মামুন গ্রেফতার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    আবহাওয়া

    তাপমাত্রা বৃদ্ধি, দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
    দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর ফলে দেশের কোথাও কোথা্য মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।শনিবার সকাল থেকে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।বর্ধিত পাঁচ দিন সময়ের প্রথম দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং শেষের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এইচএ
    আজ বায়ু মানে উন্নতি ঢাকার, শীর্ষে দিল্লি
    বেশ কয়েক দিন ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুর মান কিছুটা ভালো থাকলেও আবারও বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে শহরটি। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আইকিউএয়ারের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৯৭৯ স্কোর নিয়ে ১২৬টি দূষিত শহরের তালিকায় প্রথমে রয়েছে দিল্লি।এদিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকলেও মঙ্গলবার বায়ু মানের উন্নতি দেখা গেছে। ২৩৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, যদিও তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত।বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে থাকে।একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।আজ বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ হলো- ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ- ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।এইচএ
    পঞ্চগড়ে ৮ ডিগ্রিতে নেমেছে তাপমাত্রা
    উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে গত ৬ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। শীতবস্ত্রের অভাবে শীত অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষগুলো দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ভোর-সন্ধ্যায় গ্রামগুলোতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন দরিদ্র শ্রেণির মানুষগুলো।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ২ সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় উত্তরের এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।বিভিন্ন এলাকা ভোরেই ঝলমলে রোদ নিয়ে সূর্য উঠতে দেখো যায়। সকাল ৯টা পর্যন্ত রোদ ছড়ালে অনুভূত বরফের মতো কনকনে শীত। তবে বেলা বাড়তে থাকলে বাড়তে থাকে রোদের তেজ। সকাল ৯টার পর হারিয়ে যেতে থাকে কনকনে শীতের প্রভাব। তবে সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতের প্রভাব থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, ভ্যান চালক ও দিনমজুর। তারা জানাচ্ছেন, সকাল ৯টার পর থেকে এ অঞ্চলে আর ঠান্ডা থাকছে না। তবে নদীর পানিতে পাথর তুলতে গেলে বরফগলা পানিতে নেমে পাথর তুলতে গেলে দিনশেষে জ্বর, সর্দি আর কাশিতে ভুগতে হচ্ছে। পাথর তুলেই পরিবার চলে। পরিবারের কথা চিন্তা করেই কাজে বের হতে হয় আমাদের। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আগের তুলনায় কমেছে। আজ বুধবার সকাল তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ১৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৭৭ শতাংশ ও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭-৮কিলোমিটার। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকেই এ জেলার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। তবে ভোরে কুয়াশা থাকছে না। ভোরেই দেখা মিলছে সূর্য। দিনের তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড হচ্ছে।  এইচএ
    শীতের মাঝেই ৪ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা
    দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে শীতের মাঝেই দেশের চারটি বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) থেকে এই বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় ২০ ডিসেম্বর সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমে জানান, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে না, তবে এর প্রভাবে বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাত হবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।তিনি আরও জানান, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা এবং সিলেট বিভাগের কিছু অংশেও বৃষ্টি হতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, লঘুচাপের প্রভাবে আগামী কিছুদিন রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।শীতের কারণে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী দুই দিন (১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর) আবহাওয়ার পরিস্থিতি শুষ্ক থাকবে, তবে লঘুচাপের কারণে শুক্রবার থেকে আবহাওয়া বদলাতে পারে।বর্তমানে লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে।আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই সময়ের বৃষ্টিপাত শীতকালে বিরল নয়, তবে ভারী বৃষ্টির কারণে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে জনজীবন ব্যাহত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এসএফ
    বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস
    দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও বলেছে সংস্থাটি।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান। করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।এদিকে আজকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আজ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।এতে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলা সমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।এদিকে আগামী শনিবার থেকে দু-তিন দিন বৃষ্টি হতে পারে। মাঝে মাঝে এমন বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পর থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। আর জানুয়ারি মাস থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।এইচএ 
    বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত
    সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ১০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড নাগাদ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মেঘালয় থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে, এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এটি ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০৮ কিলোমিটার দূরে ঘটেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪।প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের ফলে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, এই ভূমিকম্পের কারণে বাংলাদেশ এবং ভারতের কিছু অংশে কেঁপে উঠেছে।এটি ছিল গত ২৬ নভেম্বরের পর দ্বিতীয় ভূমিকম্প, যেটি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হয়েছিল। ওই ভূমিকম্পের রিখটার স্কেল ছিল ৫.৮, এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল চট্টগ্রাম থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে, ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৪২ কিলোমিটার।এসএফ 
    শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে ২ জেলায়
    দেশের দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পঞ্চগড় এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা এই শৈত্যপ্রবাহের আওতায় রয়েছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকতে পারে।রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এক পূর্বাভাসে জানানো হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকার দিকে বিস্তৃত রয়েছে। পাশাপাশি, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।এ অবস্থায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, কিন্তু দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, চলতি সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার প্রভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।এদিকে, শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।এসএফ 
    দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়বে তাপমাত্রা
    দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। এ পরিস্থিতিতেই বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সারাদেশে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।  যার প্রভাবে পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।এতে আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।তবে আগাসী ৩দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকলেও পরবর্তী সময়ে লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আর এই সময়ের মধ্যে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী ৩ দিনের তাপমাত্রার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, আজ সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অপরদিকে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত (২৪ ঘণ্টায়) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের টেকনাফে। যার পরিমাণ ৩০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়া এবং খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায়। উভয় জায়গায় তাপমাত্রার পরিমাণ ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এই সময়ের মধ্যে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। এইচএ
    শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার হয়েছে, কমবে রাতের তাপমাত্রা
    ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার হয়েছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল চলতি শীতের মৌসুমে প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ৩ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও আজ তার আওতা বেড়ে হয়েছে ৪ জেলায়।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পঞ্চগড়, রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।পঞ্চগড়, রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তিন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল শৈত্যপ্রবাহ।রবিবার সকাল থেকে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।শনিবার ভোর রাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এইচএ
    ছুটির দিনেও বায়ুদূষণের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা
    আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন, সাধারণত ছুটির দিনে রাস্তায় জ্যাম এবং যানবাহন কম থাকে তবে আজকের দিনেও বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। আজ ঢাকার সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস এলাকায়। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২৫২ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।  এদিকে বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দুই শহর কলকাতা ও দিল্লি। ২৪৮ ও ২০৮ একিউআই স্কোর নিয়ে শহর দুটির বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর ও নেপালের কাঠমান্ডু। শহর দুটির বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। ৩৩৮ একিউআই স্কোর নিয়ে এই এলাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ পর্যায়ে রয়েছে। তালিকায় এরপরেই রয়েছে পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি (২৯২), গুলশানের গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এলাকা (২৮০), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা (২৭৭), মহাখালীর আইসিডিডিআরবি এলাকা (২৭২), সাভারের হেমায়েতপুর (২৬৭), কল্যাণপুর (২৫৮), গুলশানের মাদানি সরণি এলাকা (২৪১), গুলশান ২ এর রব ভবন এলাকা (২৩৯), গুলশান লেক পার্ক এলাকা (২৩৫)।  এসব এলাকায় বাতাসের মান খুবই ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়।৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।এবি 
    পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রীতে, বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির
    পাহাড়ের হিমেল বাতাসে কনকনে শীতে জর্জরিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়।  তাপমাত্রা নেমেছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। মৌসুমের মৃদু শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপে কাঁপছে শিশু থেকে বৃদ্ধ আবাল-বনিতারা।শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে জানা গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, তাপমাত্রা নেমে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে চলে এসেছে। আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর ৯টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ তাপমাত্রা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসে তাপমাত্রা সাধারণত ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে এবং ৮ ডিগ্রির উপরে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রিতে নেমে এলে মাঝারি ও ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয়ে থাকে।গত দিনের তুলনায় ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরেছে বরফ শিশির। রাতে শীতের কারণে হাটবাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কমে যেতে দেখা যায়। কাগজের কাটন, শুকনো কাঠখড়ি জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে মনে হয়েছে তাপমাত্রা জিরোতে নেমে এসেছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় হাড় পর্যন্ত কেঁপেছে। সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ একটু বেশি থাকছে। একইসঙ্গে পাহাড়ের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সন্ধ্যার পর থেকেই গরম কাপড় পরে চলাফেরা করছে মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে।এদিকে এবার হাটবাজারের ফুটপাতে সেভাবে গড়ে ওঠেনি পুরোনো কাপড়ের দোকান। কাপড়ের যে দোকানগুলো বসেছে তাতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। অনেকে সাধ্যমতো কিনতে পারলেও বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ কিনতে পারছে না শীতের কাপড়। এবার এখনো সেভাবে সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ চোখে পড়েনি।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় মাত্র ২ হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছে। তা বিতরণ করা হয়েছে। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সমাজের বিত্তশালীদের শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
    আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়
    প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির স্কোর ২৫৭। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২৩৭ স্কোর নিয়ে আছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া ২০৬ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।এবি 
    শীত জেঁকে বসেছে রাজধানীতে
    চলতি মৌসুমে শীত জেঁকে বসেছে রাজধানী ঢাকায়। কনকনে শীতের আমেজ অনুভূত করছে রাজধানীবাসী। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কুয়াশার ঘনত্বও বাড়ছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঢাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে আছে।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা জানিয়েছেন বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় এর প্রভাব কমলেও উত্তরাঞ্চলে দিনভর কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।এর আগে, বুধবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৩ দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ের মধ্যে শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-উত্তর পূর্বাংশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।একইসঙ্গে আজ সারা দেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।এইচএ
    ঢাকার বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর, দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বে দ্বিতীয়
    প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। তালিকায় দুই নম্বরে আছে ঢাকা। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর।  এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।   বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা পাকিস্তানের লাহোরের স্কোর ৩১০। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান নাগরিকদের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি তালিকায় দুই নম্বরে ২৪৯ স্কোর নিয়ে আছে ঢাকা। এছাড়া ২০৩ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি শহর তৃতীয় স্থানে রয়েছে।  একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে, স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।এবি 
    শীতের মধ্যেও বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস
    রাজধানীসহ সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে শীত। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে সকাল-সন্ধ্যার দৈনন্দিন কাজ। শীত ও কুয়াশার মধ্যেই কিছু অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপ থেকে মেঘের ঘনঘটা। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।এছাড়া মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।এইচএ

    Loading…