এইমাত্র
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি মামুন গ্রেফতার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    জাতীয়

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
    বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান করছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্কের উন্নয়ন ছাড়াও দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে কাজ করে যাচ্ছে জাপান।রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন জাপানের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জাপানকে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, "বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের অবদান অত্যন্ত প্রশংসনীয়।"রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, আইসিটি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতি জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জাপানের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।এসএফ 
    নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
    নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের সাম্প্রতিক বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেন যে “আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো বাধা নেই”, তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।বৃহস্পতিবার সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে গণহত্যা, গুম, খুন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার জন্য দায়ী একটি গোষ্ঠী। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক জুলাই গণহত্যায় এই দল প্রায় দুই হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষের অঙ্গহানী ঘটিয়েছে।”তারা অভিযোগ করে, “আওয়ামী লীগ বিগত তিনটি নির্বাচন অবৈধভাবে নিজেদের কুক্ষিগত করে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করেছে। এমন একটি দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।”বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন স্পষ্ট জানায়, তারা আওয়ামী লীগের যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিপক্ষে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ শহীদদের রক্তের অবমূল্যায়ন এবং জনগণের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করবে।”বদিউল আলম মজুমদারকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ছাত্র আন্দোলন বলে, “নির্বাচন কমিশন যেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের মতো বিতর্কিত এবং দোষী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে।”এসএফ 
    ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বৃহস্পতিবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে এই আমন্ত্রণ জানান শাহবাজ।দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের আলোচনাবৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে দুই নেতা একমত হন। এছাড়া, চিনি শিল্প ও ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে উন্নতভাবে পরিচালনার জন্য পাকিস্তান প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আগ্রহ প্রকাশ করে শাহবাজ শরিফ।অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো নিষ্পত্তির আহ্বান জানান ড. ইউনূস। জবাবে শাহবাজ শরিফ বলেন, “১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে অনেক ইস্যু মীমাংসা হয়েছে। তবে নতুন কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।” ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।আঞ্চলিক সহযোগিতা ও কৌশলগত সম্পর্কের আহ্বানবৈঠকে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান দুই নেতা। শাহবাজ বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়তে আমরা আগ্রহী। আমাদের এই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় আছি।”দুই দেশের সম্পর্কের উষ্ণতাদেড় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের শীতল সম্পর্কের অবসানের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশ সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ দেখাচ্ছে।বৈঠকের এক পর্যায়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া সফরের পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ড. ইউনূসের বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। শাহবাজ শরিফও ড. ইউনূসকে সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠক দুই দেশের সম্পর্ক উষ্ণায়নের পথ খুলে দিতে পারে।এসএফ 
    ‘বিডিআর বিদ্রোহ নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’
    ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে "বিদ্রোহ" নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি। তিনি উল্লেখ করেন, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করার ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয় এবং এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার ষড়যন্ত্রের অংশ।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর শহীদ পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।মেহরিম ফেরদৌসি বলেন:"এটি বিদ্রোহ ছিল না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সেদিন সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে। লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা, পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া—সবকিছুই নৃশংসভাবে ঘটেছে।""সৎ ও তুখোড় সেনা কর্মকর্তাদের এমনভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ।" "আমাদের কাছে আজও পরিষ্কার নয় কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।"তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ এবং অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও প্রকাশ্য বিচারের দাবি জানান।২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত এই ঘটনা সারা দেশকে স্তম্ভিত করে। বিদ্রোহের আড়ালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, তাদের পরিবার এবং অন্যান্যদের হত্যা করা হয়।শহীদ পরিবারের দাবিঘটনাটি "বিদ্রোহ" নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।প্রকাশ্য তদন্ত ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা।হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ ও ষড়যন্ত্র উদঘাটন।এসএফ 
    আইএমএফ চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা
    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাইলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এর পরিবর্তে দুর্নীতি বন্ধের মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে ভর্তুকি কমানো হবে জানিয়েছেন তিনি।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের এ কৌশলে আইএমএফও সম্মত বলে জানান উপদেষ্টা।এদিকে চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড়ের বিষয়টি ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডে অনুমোদন হলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানা গেছে।চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আছেন। মিশন শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও এসব তথ্য জানান।ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও ব্যাংক খাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা ও সুশাসনের প্রতিও জোর দেন আইএমএফের মিশন প্রধান।ক্রিস পাপাজর্জিও আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের আর্থিক খাতের সংস্কারেই গুরুত্ব দিচ্ছে আইএমএফ। সঠিকভাবে খেলাপিঋণ চিহ্নিত করতে হবে। আর্থিক খাত পুনর্গঠনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।এবি 
    ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শুধু নির্বাচন নয় যে কোন কিছুর জন্য পুলিশ প্রস্তুত। আমাদের পজিশন হলো- যারা অপরাধ করেছে, তারা অপরাধী,তাদের শাস্তির আওতায় আসতেই হবে। তাদের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। আমরা তাদের কঠোর হস্তে দমন করবো এবং তারা আইনের আওতায় অবশ্যই আসতে হবে।’বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলার আইন শৃঙ্খলা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জেলার কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, ইজতেমা ময়দানের নিষেধাজ্ঞা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। এখন পরিস্থিতি মোটামুটি নরমাল হয়ে গেছে। যেহেতু ৩১, ১ ও ২ বিশ্ব ইজতেমার যে ডেট আছে জুবায়েরপন্থীদের ওই ডেটেই হবে।’স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘২ লাখ ২ হাজার আছে, যারা অপারেশনাল পুলিশ। প্রায় ১২ হাজারের মত সিভিল ও অন্যান্য। পুলিশ এখন পুরোপুরি ফাংশনাল। র‍্যাব, বিজবি, আনসার ও অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী দিয়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোন অসুবিধা হবে না।মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর রাফিসহ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, কৃষি অধিদপ্তর ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
    হাসিনা-টিউলিপের রাশিয়া সফর: রূপপুর প্রকল্পে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
    রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিতে বিশাল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চুক্তিতে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  ২০১৩ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগ দেন। ওই সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আমন্ত্রণে হাসিনা এবং টিউলিপ উপস্থিত ছিলেন। এই সফরে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের পাশাপাশি একটি ১ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।  রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের চুক্তিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। টিউলিপের সঙ্গে তার পরিবারের কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় এই বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে।  লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, টিউলিপের এই সফর এবং চুক্তি নিয়ে কোনো ভূমিকা ছিল না। তারা দাবি করেছে, তিনি এমপি হওয়ার এক দশক আগের ঘটনা এটি, এবং তিনি শুধুমাত্র তার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন।  অন্যদিকে, টিউলিপের রাজনৈতিক বিরোধীরা এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে, এই সফর এবং সংশ্লিষ্ট ছবি-ভিডিওতে দেখা যায় যে, টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের উপস্থিতি এই চুক্তির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।  এসএফ 
    আগামী বাজেটে করের চাপ থেকে সুরক্ষা পাবে গরিব মানুষ: অর্থ উপদেষ্টা
    অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নানা শঙ্কাজনক কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে গরিব মানুষকে করের চাপ থেকে সুরক্ষা দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তির অর্থছাড়ের আগে তৃতীয় পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি দল ঢাকা সফর করছে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে আছে। গণঅভ্যুত্থান, বন্যা ও সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের কারণে বছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।  সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করায় ক্রমান্বয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক হচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থাটি আরও জানায়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এখনো ধীরগতি ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। ব্যাংক থেকে মূলধন বের হয়ে যাওয়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে চাপে ফেলেছে।তবে দেশের অবস্থা এতো খারাপ না মন্তব্য করে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ নানা শঙ্কাজনক কথা বললেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এত খারাপ না, তবে চ্যালেঞ্জ আছে। উপদেষ্টা  আরও বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপকে টাকা দেয়া হয়েছে মানবিক কারণে। না হলে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারত না। যে চুরি করেছে তাকে শাস্তি দিতে হবে। শ্রমিকদের কষ্ট দেয়া যাবে না। এছাড়া আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে গরিব মানুষকে করের চাপ থেকে সুরক্ষা দেয়া হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা শুধু ফাঁকফোকর খোঁজে। ঠিকমতো কর দেয় না। ৫০ কোটি টাকা ব্যবসা করে ৪ কোটি টাকা ট্যাক্স দিতে চায় না। এদিকে, বাংলাদেশে সফররত আইএমএফের প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও জানিয়েছেন, চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার বাংলাদেশ ফ্রেব্রুয়ারির শেষে পাবে। একই পরিমাণ অর্থ পাবে পঞ্চম কিস্তিতে। সেই কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে মার্চ বা এপ্রিলে চতুর্থ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ। মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে প্রতিনিধি দলের প্রধান বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভালো খবর হলো আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬.৭ শতাংশে দাঁড়াবে। ওইসময় মূল্যস্ফীতিও ৫-৬ শতাংশে নেমে যাবে। তবে করছাড়ের সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া, ব্যাংকখাতের সংস্কারে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার উপর জোর দিতে হবে।এবি 
    কায়রোয় প্রধান উপদেষ্টা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
    ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৃহস্পতিবার মিশরের রাজধানী কায়রোয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।ডি-৮ (ডেভেলপিং এইট) অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ২০২৪ সালের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিশরের কায়রোতে। বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সম্মেলনে অংশ নিতে গত বুধবার মিশরে পৌঁছান।ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ড. ইউনূস এবং শাহবাজ শরিফ উভয়ে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।ডি-৮ সংস্থা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিশর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, এবং নাইজেরিয়া এর সদস্য। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়।এসএফ 
    অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ নির্বাচন করবে না: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
    নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ (উপদেষ্টা) রাজনীতি করে না। তাই আমরা কেউ নির্বাচনও করব না।সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, কোনো উপদেষ্টা নির্বাচন করতে চাইলে পরিষদ থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক দলে যেতে হবে। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা যাবে না।আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক বহাল প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সবাই যদি মনে করে নির্বাচন নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার করবে অথবা নতুন কাউকে যুক্ত করা হবে তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনে যে সময়সীমা রয়েছে সেটি কীভাবে সমাধান হবে।তবে এখনই এ বিষয়ে হাত দেওয়া হবে না বলে জানান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় নৌ পরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান, গোয়াইনঘাটের ইউএনও মো. তৌহিদুল ইসলাম, তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানসহ অনেকে।এবি 
    নির্বাচনে আঃলীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছি না: বদিউল আলম মজুমদার
    আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনো বাধা দেখছেন না নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশন কোনো ধরনের বাধা দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এসময় বদিউল আলম মজুমদার বলেন, অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারেনি। তবে এবারের নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচনী কর্মকর্তারা সব ধরনের প্রভাব মুক্ত থাকবেন। যে কারণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি। সব রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হবে বলেও জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান। এবি 
    বিডিআর হত্যাকাণ্ড: আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ
    ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানায় ঘটে যাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে নতুন কোনো তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে না, কারণ এ বিষয়ে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন না করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গড়িমসি করছে।তদন্ত কমিশনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করে। আন্দোলনের চাপে সেদিনই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার পর পিলখানা সদর দফতরে গুলির শব্দ শোনা যায়। বিডিআর সপ্তাহের কর্মসূচি চলায় প্রথমে এটি রুটিন অনুশীলন মনে হলেও কিছু সময়ের মধ্যেই বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্রোহীরা পিলখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।সরকার বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হুইপ মির্জা আজম, এবং সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন। পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।বিদ্রোহ দমনে প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পিলখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিদ্রোহ শেষ হয়। পিলখানা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গণকবর থেকে উদ্ধার করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ বহু মানুষের লাশ।এই বর্বর হত্যাকাণ্ড পুরো জাতিকে হতবাক করে দেয়। ঘটনাটি সামরিক বাহিনীর ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশ রাইফেলসের নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।এসএফ 
    আজ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
    প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন। তিনি বর্তমানে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দুদিনের সফরে দেশটিতে অবস্থান করছেন।প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৯ ডিসেম্বর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন। অধ্যাপক ইউনূস আল-আজহার আল শরীফ মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম আহমেদ এলতায়েবের আমন্ত্রণে মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেবেন।এর আগে, আল-আজহার আল শরীফ মসজিদের গ্র্যান্ড ইমাম আহমেদ এলতায়েব গত ১২ নভেম্বর আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে রিটজ কালর্টন হোটেলে সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার জন্য ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সফরে প্রধান উপদেষ্টা ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনে যোগ দেবেন, যা ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন নামে পরিচিত। এই সম্মেলন মিশরের রাজধানীতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে।ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ কয়েকটি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রের সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীরা কায়রো পৌঁছান। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী ফ্লাইটটি মিশরের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।জানা গেছে, ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। সংস্থাটি বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য প্রতিষ্ঠিত।এবি 
    ঢাকা থেকে খুলনা চার ঘণ্টায়, ট্রেনের নতুন রুট চালু ২৪ ডিসেম্বর
    পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনার পথে রেল চলাচল শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর। রাজধানী ঢাকা থেকে কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা ও বেনাপোল রুটে নতুন দুই জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন দিয়ে যাত্রা শুরু হবে। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-খুলনা-বেনাপোল সেকশনে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দ্বার খুলবে।রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ নির্মাণের ফলে ট্রেনে যাতায়াতে ঢাকা-খুলনার দূরত্ব ২১২ কিলোমিটার কমে গেছে। এই পথে ঢাকা থেকে খুলনায় অথবা বেনাপোলে যাওয়া যাবে পৌনে চার ঘণ্টায়। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হয়ে যাতায়াতে সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা।রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র থেকে জানা গেছে, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ এবং বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’ সাপ্তাহিক একদিনের বিরতি রেখে নিয়মিত যাতায়াত করবে। ট্রেন দুটির সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। দিনে দুইবার ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বেনাপোল পথে চলাচল করবে ট্রেন দুটি। ট্রেন দুটিতে ১২টি কোচে মোট ৭৬৮টি আসন থাকবে।রেলের দেয়া সময়সূচি অনুযায়ী, জাহানাবাদ এক্সপ্রেস খুলনা থেকে ছাড়বে সকাল ছয়টায়। ট্রেনটির ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকা থেকে আবার ট্রেনটি ছেড়ে যাবে রাত আটটায়। খুলনায় পৌঁছানোর কথা ১১টা ৪০ মিনিটে। যাত্রাপথে ট্রেনটি নোয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, লোহাগাড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।অন্যদিকে, রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ট্রেনটির যশোরের বেনাপোল পৌঁছানোর কথা বেলা ২টা ৩০ মিনিটে। ফিরতি যাত্রায় যশোর থেকে ট্রেনটি ছাড়বে বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে। আর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে। যাত্রাপথে ট্রেনটি যশোর জংশন, নড়াইল, কাশিয়ানি জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।উল্লেখ্য, বর্তমানে ট্রেনে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল-ঈশ্বরদী হয়ে খুলনা যেতে সময় লাগে ৯ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং রাজবাড়ী হয়ে বেনাপোল যেতে ৭ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। অর্থাৎ নতুন চালু করা ট্রেনযোগে ঢাকা-খুলনা/বেনাপোল যাতায়াতে সময় কম লাগবে যথাক্রমে ৫ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ও প্রায় ৪ ঘণ্টা।আগামী ২১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে সংশ্লিষ্ট স্টেশনের কাউন্টার এবং অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে।আগামী ২৪ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নতুন দুই জোড়া ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন।এবি 
    শেখ পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
    ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যর একটি দল গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, অনুসন্ধান দলটির নেতৃত্ব দেবেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, এস এম রাশেদুল হাসান এবং এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর।দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, দুদকের এই অনুসন্ধান দলটি আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারের ৮ প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে। পাশাপাশি অনুসন্ধান করবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির।এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের কথা জানিয়েছিলেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স করপোরেশনের তথ্যের বরাত দিয়ে গত ১৯ আগস্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনার পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার লোপাট করেছেন।এফএস

    Loading…