এইমাত্র
  • নানকের পালিয়ে যাওয়ার খবরে সীমান্তে পাহারা-তল্লাশি
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারী ভিক্ষুককে কুপিয়ে হত্যা
  • সাতক্ষীরায় বজ্রপাতে মাছ চাষির মৃত্যু
  • সীতাকুণ্ডে পুকুরঘাট থেকে বাবুর্চির মরদেহ উদ্ধার
  • ঘুরতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল
  • প্রতিবেশী দেশে ইলিশ ও সার চোরাচালানের ঝুঁকি রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবুসহ ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার পথে পুলিশ
  • কিশোরগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খায়রুল স্মৃতি সংসদে দুর্ধর্ষ চুরি
  • ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসীর মৃত্যু
  • পদত্যাগ চাইলে সোহেল তাজকে গান শুনিয়েছিলেন শেখ হাসিনা
  • আজ সোমবার, ১ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব পর্যায়ে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করলো সরকার
    উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ডিম, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা ও ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের এই দাম বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছে।কৃষি বিপণন অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং পোলট্রি-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়েছে। গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে কৃষি বিপণন অধিদফতর, এই মূল্য নির্ধারণ করে।এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়। ডিমের মূল্য উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।এসএফ
    চার শর্তে ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
    বিশ্বব্যাংক থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এই ঋণ পেতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মানতে হবে চার শর্ত। বিশ্বব্যাংকের ঋণের মধ্যে ৭৫ কোটি ডলার নীতি সংস্কারে ব্যয় হবে আর বাকি ২৫ কোটি ডলার দেওয়া হবে বিনিয়োগ ঋণ ও গ্যারান্টি সুবিধা হিসেবে ব্যবহারের জন্য। আগামী ডিসেম্বরে এই সহায়তা পাওয়া যেতে পারে।   গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এ সময় সংস্থাটির কর্মকর্তারা এই শর্ত বেঁধে দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এ ছাড়া গতকাল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) একটি প্রতিনিধিদল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশকে ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছে। তারা তিন ধাপে বাংলাদেশকে এই ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে এ জন্য খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। এসএমই খাতে ঋণ দিতে নতুন প্রকল্প করতে হবে। বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ পেতে যেসব শর্ত মানতে হবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আদায়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাঠামো তৈরি এবং কোনো ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী কে হবেন, তা নির্ধারণে নীতি প্রণয়ন করা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক নিরীক্ষা করলে সেটির কার্যপরিধি কী হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবিধান বাস্তবায়নে (এনফোর্সমেন্ট) পৃথক বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া বাকি ২৫ কোটি ডলার ঋণ মিলবে বিনিয়োগ ঋণ ও গ্যারান্টি সুবিধা হিসেবে ব্যবহারের জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এসব ঋণ পেতে কিছু শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ব্যবস্থাপনা কম্পানি গঠন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অধীনে ফরেনসিক নিরীক্ষার কার্যপরিধি নির্ধারণ করতে হবে। তবে শর্তগুলোর ৫০ শতাংশের বিষয়ে ইতিমধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এবি 
    নিলামে উঠছে ১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জ
    দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আহরণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অনলাইনে বড় আকারের নিলাম চলছে। আগ্রহীরা বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত নিলামে অংশ নিতে পারবেন।এ নিলামে তোলা হবে AMG G63 মডেলের ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং ৫ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ৩৪০ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার।  নিলামে থাকছে নানা ধরনের নিটেড, ওভেন, নন ওভেন, পলিয়েস্টার, ডায়েড, কটন, রেয়ন, ডেনিম ফেব্রিকস, লেডিস সু সোল, সিরামিরাকের ফুলদানি, ক্র্যাফট কার্টন, পিভিসি শিট, পার্টস অব অ্যান্টি শপলিফটিং সিস্টেম, ডাইসোডিয়াম সালফেট, পুরোনো কম্বল, কাপড়, ইঞ্জিন অয়েল, টাইলস, সিকিউরিটি ট্যাগ ইত্যাদি।এ নিলামে ৭২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৬ টাকা সংরক্ষিত মূল্যের আনারস, আপেল, আম, পেয়ারার জুস, স্ট্রবেরি ড্রিংকস তোলা হবে।    চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, যেসব চালানের পণ্য আমদানিকারকেরা খালাস নেন না, ব্যবহার উপযোগিতা থাকে সেগুলো নিলাম করা কাস্টম হাউসের রুটিন কাজ। যেসব পণ্য নষ্ট হওয়ায় ব্যবহার উপযোগিতা হারিয়েছে কিংবা বিপজ্জনক সেগুলো ধ্বংস করা হয়। বুধবার ৪৬ লটের নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার ৭৬৮টি ২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারে ৪৪ হাজার ২৮৮ টন, ৩ হাজার ১৭০টি ৪০ ফুট দীর্ঘ পণ্য ভর্তি কন্টেইনারে ৬৩ হাজার ৪০০ টন পণ্য রয়েছে। যেগুলো আমদানিকারকরা ছাড় না করায় দীর্ঘদিন ধরে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে পড়ে রয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৩৯০ টন ওজনের ৭০ হাজার ৩৯০ প্যাকেজ এলসিএল কার্গো এবং ৫ হাজার ৪৫০ টন ওজনের ৬ হাজার ৮৪৬ প্যাকেজ খোলা (বাল্ক) পণ্য রয়েছে নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।নিলাম ও পণ্য ধ্বংস কার্যক্রমে ধীরগতির কারণে একদিকে ডলারে আমদানি করা পণ্যের ব্যবহার উপযোগিতা হারাচ্ছে। অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকা পড়ছে বছরের পর বছর। পাশাপাশি এসব কনটেইনার ও কার্গোর কারণে মূল্যবান ইয়ার্ডের জায়গা ও রেফার কনটেইনারে বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দরও।  এইচএ 
    ছুটির দিনেও আশুলিয়ায় চলছে ১৪০০ কারখানা
    সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় আজ ছুটির দিনেও ১৪০০ পোশাক কারখানায় কাজ চলছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  পুলিশ সুপার বলেন, টানা কয়েকদিন পোশাক খাতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই এক হাজার ৮৩৬টি পোশাক কারখানার মধ্যে এক হাজার ৪০০টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করছেন। ওইসব পোশাক কারখানায় উৎপাদন কাজ চলছে। তবে রেডিয়েন্ট নামে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে গেলেও ম্যানেজমেন্টের লোক না আসায় এখন কর্মবিরতি পালন করছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।প্রসঙ্গত, টানা ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বিভিন্ন দাবি নিয়ে পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও প্রস্তুতকারক সমিতি (বিজিএমইএ) কয়েক দফায় কারখানার মালিক, শ্রমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক ও শ্রমিক সমাবেশ করেছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ শিল্পখাতে চলতি সপ্তাহে অবস্থার উন্নতি হয়েছে।এবি 
    এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক হলেন ফারিয়া মোস্তাফিজ অর্নিশা
    এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর পরিচালক হলেন মিস. ফারিয়া মোস্তাফিজ অর্নিশা। তিনি উজিরপুর ফিশ পার্ক এর প্রতিনিধি এ. কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।সম্প্রতি ১৯ তম বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মিস. ফারিয়া মোস্তাফিজ অর্নিশা বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পপতি এবং এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালক ও রিক্স ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এ. কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান ও ড. তামান্না মোস্তাফিজ দম্পতির কনিষ্ঠ কন্যা। তিনি দেশ-বিদেশে আইন, আর্থিক বিধি ও প্রবিধান, বিনিয়োগ এবং ব্যবস্থাপনার উপর বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি একজন তরুণ সম্ভাবনাময় এবং উদ্যমী উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী। তিনি উজিরপুর ফিস পার্ক লিমিটেড ও প্যান্ডামিক এগ্রো ফিশারিজ এর পরিচালক।এছাড়াও তিনি ড. তামান্না মোস্তাফিজ ফাউন্ডেশন, এ. কে. এম. মোস্তাফিজুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ ও জাতীয় পর্যায়ে এনজিও VOSD এ জড়িত থেকে জনহিতকর কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
    আজ থেকে সারা দেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
    সারা দেশে আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) থেকে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে জানানো হয়, এক কোটি পরিবার সিটি করপোরেশেন, জেলা ও উপজেলার টিসিবির নিজস্ব ডিলারের দোকান বা তাদের নির্দিষ্ট স্থায়ী স্থাপনা থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার ভোজ্যতেল ও ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাদের নির্ধারিত তারিখ ও সময় পরিকল্পনা অনুযায়ী বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।কার্ডধারী ভোক্তা সাধারণ নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে ভর্তূকি মূল্যে পণ্যগুলো (চাল, ভোজ্যতেল ও ডাল) ক্রয় করতে পারবেন বলেও জানানো হয়।এবি 
    দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
     দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে স্বর্ণ।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তখন টানা ৬ দফা বাড়ার পর এক দফা কমেছিল স্বর্ণের দাম। তবে আবারও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।
    শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান, বন্ধ কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
    শ্রমিকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, যে সব কারখানার মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারখানা বন্ধ রাখবেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন, তাদেরকেও মনে রাখা হবে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা।সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়া পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারাসহ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।উপদেষ্টা বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা মালিক শ্রমিক কারোই কাম্য নয়। পোশাক শিল্পে সংঘাতময় পরিস্থিতির সুযোগ নেবে তৃতীয় পক্ষ। এতে মালিক শ্রমিক কারোরই লাভ হবে না।আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিক শ্রমিকের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল যেসব কারখানায় কাজ হবে না, সেসব কারখানার সমস্যা সমাধানে আলাদাভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ছাড়া যে সমস্ত কারখানার মালিকপক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে কারখানা বন্ধ রাখবেন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন তাদেরকেও মনে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আগামীকাল সকল কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা মনে রাখা হবে।এদিকে শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতেই একটি চক্র শিল্প কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করছে। এখন বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টাদের বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরি।এসএফ
    আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বন্ধ হওয়া অধিকাংশ গার্মেন্টস খুলেছে আজ
    শ্রমিক অসন্তোষের মুুখে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ২১৯ টি কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে আজ বন্ধ কারখানা গুলোর অধিকাংশ খুলেছে, শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতিও অনেকটাই স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।  শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, শিল্পাঞ্চলে আজ কোথাও কোন সড়ক অবরোধসহ কারখানায় হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি অনেক স্বাভাবিক রয়েছে। শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ থাকা ৮৬টি কারখানার বন্ধ ৫০টি খুলেছে। আর সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়া বাকী ১৩৩টি কারখানার মধ্যে প্রায় বেশিরভাগ কারখানায় আজ খোলা রয়েছে। শুধু ১৩ টি কারখানায় এখনও সাধারণ ছুটি রয়েছে। তিনি আরও জানান, শিল্পাঞ্চলে যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা গুলোর সামনে  মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।এবি 
    পোশাক শিল্পে অস্থিরতা, যে ৩ কারণকে দায়ী করল সেনাবাহিনী
     দেশে চলমান শ্রমিক অসন্তোষে চরম বিপাকে দেশের অন্যতম রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। চলমান অস্থিরতায় একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে, পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ক্রেতা হারাচ্ছেন শিল্পমালিকরা। তবে পোশাক শিল্পে চলমান এ অস্থিরতার জন্য তিনটি কারণ দায়ী বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নুরুল কাদির অডিটোরিয়ামে আশুলিয়াস্থ তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান। তিনি বলেন, শ্রমিকদের দাবিগুলো যৌক্তিক, তবে সমাধান না হলে শিল্পের অস্থিরতা নিরসন সম্ভব নয়। পোশাক শিল্পকে রক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে সেনাবাহিনী। আরও পড়ুন: শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে ১৬৩৫৭ নম্বরেপোশাক শিল্পে চলমান এ অস্থিরতার জন্য মূলত তিনটি কারণ দায়ী। এগুলো হলো-১) বহিরাগতদের আক্রমণ। তবে এখন আর এটা হচ্ছে না।২) শ্রমিকদের যৌক্তিক ও অযৌক্তিক দাবির সমন্বয়ে অস্থিরতা করে রাখা হচ্ছে।৩) ঝুট ব্যবসার আধিপত্য আর শিল্প পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতেই একটি চক্র শিল্প কারখানায় অস্থিরতা তৈরি করছে। বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে উপদেষ্টাদের বিশেষভাবে নজর দেয়া জরুরি।এসএফ
    বন্যার অজুহাত মাছ-মাংস বাজারে
    লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে যেন স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই। একদিকে দাম কমলে অন্যদিকে শুরু হয় বাড়ানোর পাঁয়তারা। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বরাবরই ভোক্তাদের অভিযোগ থাকলেও নানা অজুহাত নিয়ে বিক্রেতারাও থাকেন সদা প্রস্তুত।গত সপ্তাহেও বাজারে মাছ-মাংসের দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের ব্যবধানে আজ বাজারে দেখা দিয়েছে কিছুটা অস্বস্তি।শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা করে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। বিক্রেতাদের দাবি, সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।বাজার দেখা যায়, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। খাসির মাংস ১০৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।অন্যদিকে মাছের বাজারে পাঙাশ, তেলাপিয়া ছাড়া আর কোনো মাছেই তেমন স্বস্তির খবর পাওয়া যায়নি। বাজারে প্রতি কেজি পাঙাশ ১৭০-১৮০ টাকা তেলাপিয়া ২০০-২৫০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৭০ টাকা, কার্প জাতীয় মাছ ৩০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০-৪০০ টাকা, সাগরের পোয়া ৪০০-৬৫০ টাকা ও বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০-৭০০ টাকায়।মধ্যবাড্ডা এলাকার গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত মিয়া বলেন, আজকের বাজারে গুরুর মাংস বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা। কলিজা বিক্রি করছি ৭৮০ টাকা করে। এছাড়াও গরুর পায়া ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জোড়া। তবে কেউ কেউ ৭৫০ টাকায়ও বিক্রি করছে। বিষয়টা আসলে নির্ভর করে মাংসের মানের ওপর।এদিকে মুরগির মাংস বিক্রেতা মনসুর আলী বলেন, গত কয়েকদিনে তুলনায় আজ ব্রয়লার মুরগির দামটা একটু বেশি। গত সপ্তাহেও ১৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। আজকে ১৮০ টাকা। বাজারে মুরগির চাহিদা বেশি, কিন্তু সে অনুযায়ী সাপ্লাই নেই। শুনেছি বন্যার কারণে অনেক খামারির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে সেই চাপটা এসে পড়েছে বাজারে।তিনি আরও বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মাংসের চাহিদাটা একটু বেড়ে যায়। বাজারে যদি সেই পরিমাণে সরবরাহ না থাকে তাহলেই দাম বেড়ে যায়। এখানে আমাদের কিছুই করার থাকে না।বাজার করতে আসা মাহমুদুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। ২টা টিউশনি করিয়ে আগে যা পেতাম, এখনো তাই পাই। কিন্তু যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাওয়ার উপায় নেই।এসএফ 
    বিএসইসির কমিশনার পদ থেকে তারিকুজ্জামানকে অব্যাহতি
    পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার এ টি এম তারিকুজ্জামানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিন মাস সময় দিয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।চলতি বছরের ৮মে আওয়ামী লীগ সরকার এ টি এম তারিকুজ্জামানকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয়। কমিশনে নিয়োগের আগে তিনি দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। ডিএসইর এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে তিনি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক।বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে বলা হয়, বিএসইসির কমিশনার এ টি এম তারিকুজ্জামানকে তার সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অব্যাহতি প্রদানের জন্য তিন মাসের নোটিশ দেওয়া হলো। সেই হিসাবে তিনি চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে আর কমিশনার পদে বহাল থাকবেন না।এমআর
    ব্যাংকিং খাত সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন
    ব্যাংকিং খাত সংস্কারের লক্ষ্যে ৬ সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়-সংক্রান্ত বিশেষ দূত ড. লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মুহাম্মদ এ. (রুমি) আলী, ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান মেহরিয়ার এম হাসান, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সাইন্স ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান ও হুদা ভাসি চৌধুরী এন্ড কোংয়ের পার্টনার সাব্বির আহমেদ।কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই টাস্কফোর্স আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি, মন্দ সম্পদ এবং ঝুঁকিসমূহ নিরূপণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক পর্যালোচনা, ঋণের প্রকৃত অবস্থা নিরূপণ, প্রভিশন ঘাটতি নিরূপণ, তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা, নিট মূলধন নির্ণয়, সম্পদের প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মন্দ সম্পদকে পৃথকীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।এছাড়াও, টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সংকটকালীন প্রতিঘাতসক্ষমতা অর্জনে ব্যাংকের সুশাসন এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়ন, ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক এবং করপোরেট প্রভাব সীমিতকরণ, ব্যাংকের মালিকানা সংস্কার ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রদান, প্রবলেম ব্যাংকের জন্য রিকভারি এবং রেজুলেশন ফ্রেমওয়ার্ক ও সংশ্লিষ্ট গাইডলাইন প্রস্তুতকরণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।টাস্কফোর্স আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যেমন ব্যাংক কোম্পানি আইন, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ইত্যাদি সংস্কার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ব্যাংক অধিগ্রহণ, একীভূতকরণ আইন প্রণয়ন, সংস্কার ও যুগোপযোগীকরণের প্রস্তাব প্রদান করবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতের শ্বেতপত্র প্রকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
    পদত্যাগ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম
    এবার পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনের ডিটিও বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সং‌শ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্ট‌কে এ তথ‌্য নি‌শ্চিত করেছেন।জানা গেছে, মাহবুবুল আলম সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।এদিকে বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ১৭ ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমানকে বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে।বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক বাণিজ্য সংগঠন) ড.নাজনীন কাউসার চৌধুরি স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।২০২৩ সালের ২ আগস্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের ২০২৩-২৫ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম।এ ছাড়া সেদিন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন মো. আমিন হেলালী। তিনি বাংলাদেশ পাঠ্যপ্রস্তুক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির প্রতিনিধি। রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনে নির্বাচিত ও মনোনীত পরিচালকদের ভোটে তারা নির্বাচিত হন।এসএফ 
    বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার পর ২২০ কোটি টাকা তুলে নিল এস আলম
    বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবগুলোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর শরিয়াহভিত্তিক ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। তবে ওই অর্থ কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে না—এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তোলা শুরু করেছে এস আলম। এরই মধ্যে ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে সংকটে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের বংশাল, চট্টগ্রামের একটি শাখা ও গুলশান শাখা থেকে তোলা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। বাকি অর্থ তোলা হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা আছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এস আলমের ব্যাংক হিসাব থেকে কিছু টাকা তোলা হয়েছে। ওই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। কারণ কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও ব্যবসা বন্ধ করতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়নি। এটা স্থগিত করা ঠিকও হবে না। তবে এসব হিসাব থেকে কোনো অর্থ বের করে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোকে কোনো কোম্পানির হিসাব স্থগিত না রাখতে বলা হয়েছে। এজন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে এস আলম। তবে এস আলমের ব্যক্তিগত নামে হিসাব না থাকায় টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা জন্য তোলা হচ্ছে তা ধরা যাচ্ছে না। এজন্য বংশাল ও গুলশান শাখা থেকে সন্দেহভাজন কোনো অর্থ বিতরণে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এদিকে, ইসলামী ব্যাংক ও স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩ প্রতিষ্ঠানের নামে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বের করে নিতে চায় এস আলম। সন্দেহজন ওই ঋণ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ঋণের সুবিধাভোগী এস আলম গ্রুপ। এমন সন্দেহের কারণেই ঋণগুলো বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে গত জুনে জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি গত জুলাই মাসে আজহার স্পিনিং লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছিল ইসলামী ব্যাংক। সেটিও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে বড় ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন করে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকেও ৪০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ইখলাস স্পিনিং লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি এস আলম গ্রুপের বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ইখলাস স্পিনিংয়ের এই ঋণও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

    Loading…