এইমাত্র
  • ‘মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা’
  • বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন হামজা চৌধুরী
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    অর্থ-বাণিজ্য

    ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
    ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তে এসে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, যা কিছুদিন আগেও সংকুচিত অবস্থায় ছিল, তা এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সবশেষ আপডেট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক হিসাবায়ন পদ্ধতি (বিপিএম৬) অনুসারে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এই মুহূর্তে এক হাজার ৯৯৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।মূলত, রিজার্ভের তিনটি হিসাব সংরক্ষণ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমটি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভ। মোট রিজার্ভের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য একটি সহজ শর্তের ঋণ, বিমান ক্রয়ে সোনালী ব্যাংককে দেওয়া ঋণসহ বেশ কয়েকটি তহবিল।দ্বিতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত তহবিল বা ঋণের অর্থ বাদ দিয়ে একটি তহবিল।এর বাইরে রয়েছে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ। বর্তমান যা ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা নিচে।দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ রিজার্ভ এখন প্রায় চার মাসের আমদানি মূল্য মেটানোর অবস্থায় রয়েছে।গত ১১ নভেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে আমদানি পণ্যের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)। কিন্তু গত দেড় মাসে বৈদেশিক মুদ্রার এই সঞ্চয় বাড়তে বাড়তে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই হয়েছে।এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেষ নাগাদ নিট রিজার্ভ নামে ২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে। এ সময় বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে আমদানি ব্যয় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার আহরণের ক্ষেত্রটা সংকুচিত হতে থাকে। এ অবস্থায় জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের চাহিদা বাড়তে থাকে। উল্টোদিকে ডলার বিক্রি করার কারণে কমে যায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। এরপর বৈদেশিক ঋণ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার ক্রয়ের মাধ্যমে আবার রিজার্ভ বাড়ায়।বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডলার যোগ হচ্ছে প্রতিদিনই। এর ধারাবাহিকতায় ক্রমেই বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।এসএফ 
    ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ন্যাশনাল ব্যাংক
    আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ন্যাশনাল ব্যাংক। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে।বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে জানানো হয়, ওই পাঁচ দিন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।পিএম
    ভারত থেকে আরো ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত
    দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এটিসহ ভোজ্যতেল, ডাল, সার ও এলএনজি ক্রয়সংক্রান্ত আরও কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৪ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে এ চাল কেনা হবে। প্রতি টন ৪৫৬ দশমিক ৬৭ ইউএস ডলার হিসাবে এ চাল আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৮ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।এর আগে গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল এগ্রি কমোডিটিজ থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।তাছাড়া গত ৬ নভেম্বর দেশে খাদ্যশস্যের মজুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে  অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, সরকারি খাতে এই অর্থবছরে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চাল, ডাল, সয়াবিন তেল ও সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সয়াবিন হয়তো কিছুটা সহনীয় হতে পারে। রোজা পর্যন্ত  নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য যেমন– চাল, ডাল, খেজুর, ছোলা, সয়াবিন তেল, চিনির সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বাজার আরও একটু সহনীয় হয়। তবে এ জন্য সময় লাগবে। কারণ এগুলোর বেশির ভাগ আমদানি করতে হয়।এবি 
    বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র আশাব্যঞ্জক নয়: আইএমএফ
    বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শঙ্কা প্রকাশ করেছে। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা তাদের ধারণার চেয়েও বেশি। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক নীতিতে দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে আজ (১৯ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকস বিভাগের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটমুক্ত করতে সংস্কার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে। আইএমএফ কর্মসূচিতে থাকা অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পিছিয়ে রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি যে ২২ হাজার কোটি টাকা মুদ্রণ করেছে তা আর্থিক সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। এ ধরনের উদ্যোগ মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিতে পারে।জিডিপি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে পূর্বাভাসআইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী:২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩.৮ শতাংশ।২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি পৌঁছাবে ১১ শতাংশে।আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশের জন্য ঋণের চতুর্থ কিস্তি (১৩০ কোটি ডলার) ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক নীট রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আইএমএফের শর্ত পূরণ করেছে, যা বর্তমানে ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার।অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ আশাবাদী যে অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এসএফ 
    ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার
    বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পূর্বঘোষিত ডিম ও মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যে সরকার বিপিএ এর ১০ দফা দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বস্ত করায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিপিএ।এর আগে, প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষা, করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট বন্ধ করাসহ দশ দফা দাবি জনিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএ। গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়।বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার জানান, প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংকট সমাধানের জন্য সরকারকে বারবার বলার পরও তারা নজর দিচ্ছে না। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে। সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। যাতে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকতে পারে। বর্তমানে কর্পোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, কৃষি বিপণন অধিদফতর ও সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিদের নিয়ে ১০দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার প্রান্তিক খামারি এবং দেশ ও জনগণের স্বার্থে ১০ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিপিএকে এ খাতের সংশ্লিষ্ট সকল দফতরে যুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।  দেশের পোল্ট্রি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, খামারিদের সুরক্ষা এবং ভোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পোল্ট্রি পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে উপস্থাপিত ১০ দফা দাবির পূরণের জন্য আনুষ্ঠানিক আশ্বাস পাওয়ায় ডিম মুরগির উৎপাদন বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে বলে জানান সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্প দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান স্তম্ভ। সরকারের এই উদ্যোগ খামারিদের টিকে থাকা নিশ্চিত করবে এবং পোল্ট্রি পণ্যের উৎপাদন খরচ কমাতে সহায়তা করবে। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হবে।তবে সরকারকে দুই মাসের সময় দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এই সময়সীমার মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়িত না হলে প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। সরকারের প্রতিশ্রুতি আমাদের আস্থা দিয়েছে। তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি, যদি প্রয়োজন হয় কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ এই খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকার এখনই পদক্ষেপ না নেয় তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করছে। তাই আমরা স্বল্প সময়ের আল্টিমেটাম দিচ্ছি। সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে দেশের সব জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করছি সরকারের পোল্ট্রি খাতে নীতি নির্ধারক সকল সংশ্লিষ্ট দফতরে বিপিএকে যুক্ত করা সহ ১০দফা দাবিগুলো হল- করপোরেট কোম্পানিগুলো শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, বাণিজ্যিকভাবে করপোরেট কোম্পানির ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে, ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে, প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে, ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে, আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে, সরকারি নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে ও প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে।এবি 
    ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
    দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৮৮ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৩০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৪ হাজার ৪৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।এর আগে, সবশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৭৭৩ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে।উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৬০ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২৫ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।এসএফ 
    নগদে ডিজিটাল জালিয়াতি, ২৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব মিলছে না
    মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নগদ লিমিটেড’-এ বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে হিসাব মিলছে না ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ পরিচালনায় যে প্রশাসক ও ব্যবস্থাপনা কমিটি বসিয়েছে, তাদের পরিদর্শনে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।অনুমোদনহীন পরিবেশক তৈরির দায়ে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ডাক বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নগদ পরিচালনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছেন নগদে নিযুক্ত প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার। নগদের শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচ কর্মকর্তাকে এর আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল।নগদে যখন এসব অনিয়ম সংঘটিত হয়, তখন এর পরিচালনায় আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি যুক্ত ছিলেন। সবার চোখের সামনে এসব অনিয়ম হলেও চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ডাক অধিদপ্তর। কর্মকর্তারা বলছেন, নগদে ঘটা অনিয়ম টাকার হিসাবে দেশের সবচেয়ে বড় ‘ডিজিটাল জালিয়াতি’। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, নগদে ফরেনসিক নিরীক্ষা হবে। ফরেনসিক নিরীক্ষা হলো, কোনো প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের বিস্তারিত খতিয়ে দেখা, যার মাধ্যমে জালিয়াতি, অনিয়ম ও এর সুবিধাভোগীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।তবে জালিয়াতির কারণে যে আর্থিক দায় তৈরি হয়েছে, তা ডাক অধিদপ্তরের ঘাড়ে পড়ছে। কারণ, মোবাইলে আর্থিক সেবা দিতে যে সাময়িক অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে, সেটি তাদের। ডাক অধিদপ্তরের পক্ষে সেবাটি পরিচালনা করে নগদ লিমিটেড, যা একসময় ছিল থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি লিমিটেড।এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীন গত রোববার রাতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে প্রথম আলোকে জানান, ‘এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’ডিজিটাল যত জালিয়াতিআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিয়োগ পাওয়া প্রশাসক নগদ পরিচালনার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়ম খুঁজে বের করা শুরু করেন। এতেই উঠে আসে বড় অঙ্কের ডিজিটাল জালিয়াতির বিষয়টি। নথিপত্রে বলা হয়েছে, ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে ২০১৭ সালে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, ব্যাংকে যত টাকা জমা থাকবে, ঠিক তার সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করা যাবে। তবে প্রশাসক দল দেখতে পায় যে নগদে অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে।প্রশাসক দলের পক্ষ থেকে ডাক অধিদপ্তরকে আরও জানানো হয়েছে, অনুমোদন ছাড়াই নগদে ৪১টি পরিবেশক হিসাব খোলার মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এসব পরিবেশক হিসাবের দায়িত্ব ছিল সরকারি ভাতা বিতরণ করা।জানা গেছে, নগদের মালিকানায় আওয়ামী লীগের নেতারা যুক্ত থাকায় তৎকালীন সরকার ভাতা বিতরণের জন্য নগদকে বেছে নিয়েছিল। আর এ সুযোগে সরকারি ভাতার একটা অংশ নিয়ে জালিয়াতি করা হয়। বিশেষ করে হিসাবে টাকা দেওয়ার পর যেসব ভাতাভোগী তিন দিনের মধ্যে তা উত্তোলন করেননি, তাঁদের টাকা তুলে নেয় নগদ। নথিপত্রে দেখা গেছে, কুমিল্লার পরিবেশক রংপুরের ভাতাভোগীদের অর্থ বিতরণ করেছে। ফলে এ ক্ষেত্রেও জালিয়াতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগদের একজন কর্মকর্তা।নগদের প্রশাসক দল মনে করে যে অনুমোদন ছাড়াই যেসব পরিবেশক নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের ব্যবহার করে এই জালিয়াতি করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ছয় কর্মকর্তার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা ডাক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এ তালিকায় রয়েছেন নগদের নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মর্তুজা চৌধুরী, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা আবু রায়হান, আর্থিক প্রশাসন ও পরিচালনা বিভাগের প্রধান রাকিবুল ইসলাম এবং সলিউশন ডিজাইন বিভাগের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুস সাকিব আকিব।এ বিষয়ে নগদের প্রশাসক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার ৫ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও চুক্তিবদ্ধ পক্ষ হিসেবে ডাক বিভাগ এসব অনিয়ম/চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন/ক্ষতিপূরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে বলে প্রশাসক দল মনে করে। প্রশাসকের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।গত ৫ আগস্টের পর আর অফিসে যাননি তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ; নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে এলিট ও মারুফুল ইসলাম ওরফে ঝলক; উপপ্রধান মার্কেটিং কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ সোলায়মান (সোলায়মান সুখন) এবং মানবসম্পদ কর্মকর্তা অনিক বড়ুয়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২১ আগস্ট নগদে প্রশাসক বসায়। তাঁরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত ব্যক্তিদের অনেকে নগদ লিমিটেডের মালিকানায়ও রয়েছেন।যোগাযোগ করা হলে নগদের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব অভিযোগ সঠিক নয়। আমার সময়ে ৩৪৫ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল। এটা পরে কমে ৬০ কোটি টাকায় এসেছিল৷ অন্য কোনো অনিয়ম আমার সময়ে হয়নি।’নগদের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ৬৪৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত ই-মানি হয়েছে একটি ব্যাংকঋণ সমন্বয় করার কারণে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে কিস্তিতে সমন্বয় করা হচ্ছিল। প্রশাসক দায়িত্ব নিয়ে তা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিছু ই-মানি ইস্যু হয়েছে পরিচালন খরচ মেটাতে গিয়ে। তিনি বলেন, ‘নগদের কার্যক্রম একরকম থমকে গেছে। নতুন করে কোনো অফার দেওয়া হচ্ছে না, প্রচারণাও প্রায় বন্ধ। ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রশাসক শুধু আগের ভুল ধরে চলছে।’শুরুতেই বড় গলদডাক অধিদপ্তরের নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর পোস্টাল ক্যাশ কার্ড সেবা প্রচলনের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। পাশাপাশি এতে ডিজিটাল আর্থিক সেবার কথাও যুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ চুক্তিতে বলা হয়, পরিবেশন ও অন্যান্য খরচ বাদে গ্রাহক কমিশন থেকে যে আয় থাকবে, তার ৫১ শতাংশ পাবে ডাক বিভাগ ও ৪৯ শতাংশ পাবে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি।এরপর ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ডাক অধিদপ্তর ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালুর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। শর্ত মেনে আবেদন না করার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেয়নি। তবে ডাক অধিদপ্তর নিজেদের আইনে পরিবর্তন এনে ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ ‘নগদ’ নামে মোবাইলে আর্থিক সেবা চালু করে দেয়। তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবাটি উদ্বোধন করেন। শর্ত পূরণ না করলেও ২০২০ সালের ১৫ মার্চ নগদকে অন্তর্বর্তীকালীন অনুমোদন দিয়ে ডাক অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।এ সময় ব্যাংক হিসাব (ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট হিসাব) ডাক বিভাগের নামে খোলার শর্ত দেওয়া হয়। তবে থার্ড ওয়েভ সে পথে যায়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও কোনো তদারক করেনি। এরপরও দফায় দফায় অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে থার্ড ওয়েভ টেকনোলজি নিজেই নাম পরিবর্তন করে নগদ লিমিটেড হয়ে যায়। এককভাবে সরকারি ভাতা বিতরণ, শর্ত ছাড়া হিসাব খোলার সুযোগ ও সহজেই হিসাব খোলার সুবিধার ফলে নগদ হয়ে ওঠে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সেবাটির গ্রাহক প্রায় ৯ কোটি। দিনে এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে নগদে। মোবাইলে আর্থিক সেবার চূড়ান্ত অনুমতি না পেলেও নগদকে প্রথমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পরে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর প্রাথমিক অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।পেছনে কারাথার্ড ওয়েভ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠা ২০১৬ সালে। তানভীর আহমেদের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন কাজী মনিরুল কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সৈয়দ আরশাদ রেজা ও মিজানুর রহমান। নগদের কার্যক্রম শুরুর আগেই অংশীদারদের কেউ কেউ থার্ড ওয়েভের শেয়ার ছেড়ে দেন। এর মধ্যে কাজী মনিরুল কবির শেয়ার ছেড়ে দিলে মালিকানায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন দুই সংসদ নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। যোগ দেন রেজওয়ানা নূর, যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ত্রী। পরে তিনিও মালিকানা ছেড়ে দেন।২০১৮ সাল থেকে নগদকে ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে প্রচার করা হলেও সরকারের এ সংস্থা এর মালিকানায় ছিল না, এখনো নেই। নগদ ও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, নগদ লিমিটেডে এখন পরিচালক নয়জন, যাঁরা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নিবন্ধিত কোম্পানির প্রতিনিধি। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সিঙ্গাপুরের একজন করে নাগরিক রয়েছেন। অন্য ছয়জন বাংলাদেশি।যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) তথ্য অনুযায়ী, নগদের শেয়ারধারী একটি কোম্পানির মালিকানায় ছিলেন নাহিম রাজ্জাক ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। আর নগদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) তানভীর আহমেদ, জুনিয়র চেম্বার সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ ও জুনিয়র চেম্বার ঢাকার সাবেক সভাপতি মারুফুল ইসলাম রয়েছেন নগদের শেয়ারধারী একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায়। এর মধ্যে নিয়াজ মোর্শেদ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ফলে নগদ পরিচিত হয়ে উঠেছিল তৎকালীন সরকারদলীয় নেতাদের একটি ক্লাব হিসেবে।এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান প্রথম আলোকে বলেন, নগদের পেছনে সব সময় বড় হাত ছিল। এ জন্য অনুমতি ছাড়া এটি এত বড় হওয়ায় সুযোগ পেয়েছে। মোবাইলে আর্থিক সেবার লাইসেন্স না পেলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমতি পেয়েছিল। সবাই জানে, এর সুবিধাভোগী কে ছিল। এখন গরিব মানুষের বেহাত হওয়া টাকা যে পথে আদায় করা যায়, সরকারকে সে পথে এগোতে হবে।এসএফ 
    ইউনূস সরকারের আমলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৬ শতাংশ
    প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।ড. আসিফ নজরুল বলেন, “হুন্ডির পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক দিক।”তিনি আরও বলেন, “প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছেন, তার ন্যূনতম স্বীকৃতিও দেওয়া হয়নি। প্রবাসী কর্মীদের সম্মান দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।”ড. নজরুল অভিযোগ করেন, “বিদেশে থাকা প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ পূর্ববর্তী সরকার ব্যাংকের মাধ্যমে লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোকে লুটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ব্যাংকে চেক দিলেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ একসময় ইসলামী ধারা ব্যাংকগুলো বাংলাদেশে শক্তিশালী ছিল।”অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, “প্রবাসীদের জন্যই আন্তর্জাতিক মহলে জুলাই আন্দোলনের গণহত্যার ঘটনা তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে। তাদের অবদান অতুলনীয়।”অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতি হিসেবে ১০০-এর বেশি ব্যক্তি, ব্যাংক এবং প্রতিষ্ঠানকে সিআইপি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বক্তারা ডলারের বাজারে হুন্ডি চক্র দমনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।প্রবাসীদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রবাসীদের এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) প্রদান শুরু হয়েছে। সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় এ সেবা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে।এসএফ 
    সুইজারল্যান্ড থেকে ১৩২৬ কোটি টাকার এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত
    দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সুইজারল্যান্ড থেকে এক হাজার ৩২৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।জানা গেছে, সুইজারল্যান্ডের মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড থেকে দুটি আলাদা কার্গোতে এলএনজি আমদানি করা হবে।প্রথম কার্গোটি আগামী ৫-৬ জানুয়ারি সময়ে আসবে। এ কার্গোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ২৮০ টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮৭ মার্কিন ডলার।দ্বিতীয় কার্গোটি ৯-১০ জানুয়ারি সময়ে আসবে। এই কার্গোর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭২ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই এলএনজি আমদানির মাধ্যমে দেশের জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থা আরও স্থিতিশীল করা হবে। পাশাপাশি শিল্প খাতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।এসএফ 
    ৬০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ, এডিবির সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন
    এশীয় উন্নয়ন ব্যাকের (এডিবি) সঙ্গে বড় অঙ্কের নতুন একটি ঋণচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। এর আওতায় অন্যতম বৃহৎ এ দাতাসংস্থাটি থেকে ৬০ কোটি ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, সরকারি বিনিয়োগের কার্যকারিতা, বেসরকারি খাত উন্নয়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে এই অর্থ খরচ করা হবে।বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) স্ট্রেনদেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রামের আওতায় এ ঋণচুক্তি সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও এডিবির পক্ষে অফিসার্স ইনচার্জ জিংবো নিং এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।জানা গেছে, এডিবির দেওয়া এ ঋণের অর্থ দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে ব্যয় করা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নীতকরণ এবং বাণিজ্য নীতি ও লজিস্টিক শক্তিশালী করা হবে।ঋণ চুক্তি অনুযায়ী এ কর্মসূচির পূর্বশর্তগুলো ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তর, পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন কার্যক্রম বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। এ কর্মসূচির নীতি সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদারকরণ।উল্লেখ্য, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এডিবি। ১৯৭৩ সালে সদস্যপদ লাভ করার পর থেকে নিজেদের আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে প্রদান করে আসছে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ৩২ হাজার ৪৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা দিয়েছে তারা। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষ্টি ও সুশাসন সেক্টরকে প্রাধান্য দেয় এডিবি।এইচএ 
    দাম বাড়ানোর পরও মিলছে না বোতলের সয়াবিন তেল, খোলা তেলে নৈরাজ্য
    লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপর সপ্তাহ চলে গেলেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ দোকানে বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর খোলা সয়াবিন তেল নিয়ে এক প্রকারের নৈরাজ্য চলছে। ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের দাম ইচ্ছামতো রাখছে।  সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বোতলের সয়াবিন তেল বাজারে ছাড়ে তারা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। দাম বাড়ানোর পরও তারা তেল সরবরাহ করছে না। কবে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে সেই তথ্যও কোম্পানির লোক দিতে পারছে না।সারাদেশের বাজারে হঠাৎ করে বোতলের সয়াবিন তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই দাম বাড়ানোর ফলে এখন বোতলের ১ লিটার সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৫৭ টাকা। তবে এ দামে কোথাও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ দোকানেই বোতলের সয়াবিন তেল নেই। দু-একটি দোকানে সীমিত পরিসরে বোতলের সয়াবিন তেল থাকলেও দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা পর্যন্ত। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ২০০ টাকা কেজি।তেল বিক্রি বলেন, ২ সপ্তাহ ধরে কোম্পানির লোক বোতলের সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। আমাদের কাছেও এখন বোতলের সয়াবিন তেল নেই। আর খোলা সয়াবিন তেল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি। বোতলের তেল বাজারে এলে হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে কবে নাগাদ বোতলের সয়াবিন তেল আসবে সেই তথ্য কোম্পানির লোক দিতে পারছে না।ব্যবসায়ীরা বলেন, দাম বাড়ানোর আগে থেকেই বাজারে বোতলের সয়াবিন তেল নেই হয়ে গেছে। লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর পরও কোম্পানি বোতলের তেল দিচ্ছে না। কোম্পানির লোকও এখন কম আসছে। তাদের কাছে প্রশ্ন করলে বলে, কোম্পানি থেকে সরবরাহ শুরু করলে তেল দিয়ে যাবে। কিছুদিন আগে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া খোলা সায়বিন এখন ১৮৫ থেকে ১৯৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দ্রুত বোতলের তেল না এলে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।দোকানদার বলেন, বোতলের যে সয়াবিন তেল রয়েছে, তা আগের কেনা। নতুন দামের সয়াবিন তেল কোম্পানি থেকে এখনো দেয়নি। বোতলের ১ লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা বিক্রি করছি। নতুন দামের তেল এলে, বোতলের গায়ে যে দাম লেখা থাকবে, সেই দামে বিক্রি করবো। খোলা সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। সরকার সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করেছে লিটারে, আমরা বিক্রি করি কেজিতে। ১৯৫ টাকার কমে সয়াবিন তেল বিক্রি করা সম্ভব না। ।এইচএ
    ১৪ দিনে প্রবাসী আয় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা: ডিসেম্বরে রেকর্ডের প্রত্যাশা
    চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স আয়ের নতুন রেকর্ড ছুঁতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা।ডিসেম্বরের প্রথম ১৪ দিনের রেমিট্যান্সের মধ্যে:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে: ৪৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলারবিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে: ৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলারবেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে: ৮৬ কোটি ডলারবিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে: ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার৮ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৭৬ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে।জুন ২০২৪: ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।জুলাই: ১৯১ কোটি ডলার (১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন)।আগস্ট: ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার।সেপ্টেম্বর: ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ।অক্টোবর: ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার।নভেম্বর: ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। প্রবাসীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রণোদনা নীতিমালায় স্থিতিশীলতা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।এসএফ 
    ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেক্সিমকোর দায়-দেনা ৫০,৫০০ কোটি টাকা
    বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ৫০,৫০০ কোটি টাকা দায়-দেনার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তথ্য উপস্থাপন করেছে।বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বেক্সিমকো গ্রুপের ১৮৮টি কোম্পানির মধ্যে ৭৮টি প্রতিষ্ঠান ঋণ সুবিধা নিয়ে তা পরিশোধ করেনি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে ১৬টি ব্যাংক এবং ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশাল পরিমাণ দায় জমা পড়েছে।আগে ১২ নভেম্বর, হাইকোর্ট বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনায় একটি 'রিসিভার' (তত্ত্বাবধায়ক) নিয়োগ দেয়ার আদেশ দিয়েছিল। তবে, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে এই আদেশ আপিল বিভাগ স্থগিত করেছিল।গত ৫ সেপ্টেম্বর, বেক্সিমকো গ্রুপের সমস্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বর্তমানে কারাবন্দি। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
    ডিম-মুরগির অস্থিরতা কাটাতে ১০ দফা দাবি বিপিএর
    প্রান্তিক পোল্ট্রি খাতের সমস্যার সংকট সমাধানের জন্য বারবার উদ্যোগ নেয়ার আহ্বনা জানানো হলেও সরকার প্রান্তিক খামারিদের দিকে নজর দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে ১০ দফা দাবিতে প্রান্তিক খামারে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।বরিবার (১৫ ডিসেম্বর) এ বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার জানিয়েছেন, বর্তমানে করপোরেট কোম্পানির আধিপত্য ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশের মুরগি ও ডিমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, যার ফলে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়ছে। এই সংকট দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতির জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করছে।বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানও এই সংকটের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যদি সরকারের পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তবে পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে এবং প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।ডিম মুরগির বাজারের স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় বারবার সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তবে উল্টো করপোরেট সিন্ডিকেটকে সরকার সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে আগামী জানুয়ারি থেকে দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হব। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের ১০ দফা দাবিগুলো হলো-করপোরেট কোম্পানিগুলো শুধু ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকবে: বর্তমানে করপোরেট কোম্পানিগুলো ডিম ও মুরগি উৎপাদনেও অংশগ্রহণ করছে, যার ফলে ছোট খামারিরা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য, পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করছে যে, করপোরেট কোম্পানিগুলোর কাজকর্ম ফিড ও বাচ্চার উৎপাদন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা উচিত, যাতে প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারে।বাণিজ্যিকভাবে করপোরেট কোম্পানির ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে: করপোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন প্রান্তিক খামারির জন্য ক্ষতিকর। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম কমে যায়, যা খামারিদের জন্য লাভজনক নয়। এই কার্যক্রম বন্ধ হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং খামারিরা লাভবান হতে পারবে।ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে: ফিড এবং মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি হয়, যা প্রান্তিক খামারিদের জন্য বড় সমস্যা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়ানোর ফলে খামারিরা তাদের উৎপাদন খরচ সামাল দিতে পারছে না। এই সিন্ডিকেট বন্ধ করে, খামারিদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ফিড ও বাচ্চা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে: দেশের পোল্ট্রি খাতে প্রান্তিক খামারিরা ন্যায্য মূল্য পেতে পারেন না, যা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সমস্যা তৈরি করছে। বাজারে পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং খামারিদের জন্য একটি সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থা গড়তে হবে, যাতে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য সঠিক দাম পায়।ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দিতে হবে: খামারিদের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে ঋণ ও ভর্তুকি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। ক্ষুদ্র খামারিদের উৎপাদন বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ, এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি প্রদান করা হলে তারা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে।ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে: করপোরেট সিন্ডিকেট ও অসাধু কার্যক্রমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রয়োজন। এই প্রণোদনা তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে সহায়ক হবে এবং তাদের আর্থিক সংকট মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে: করপোরেট কোম্পানির আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রান্তিক খামারিদের জন্য আলাদা বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারে সরবরাহ করতে পারে এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সঠিক মূল্য পায়।সরকারি নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: পোল্ট্রি খাতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করে করপোরেট কোম্পানির একচেটিয়া ব্যবসা রোধ করতে হবে, যাতে তারা শুধু তাদের স্বার্থে ব্যবসা না করে, বরং পুরো খাতের উন্নতি হয় এবং প্রান্তিক খামারি দীর্ঘমেয়াদি উন্নতির সুফল পায়।কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ফাঁদ বন্ধ করতে হবে: বর্তমানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে করপোরেট কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারিদের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে। এই সিস্টেমটি বন্ধ করা জরুরি, যাতে খামারিরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা চালাতে পারে এবং নিজেদের লাভের ভাগ পেতে পারে।প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে হবে: খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ সেবা চালু করতে হবে। এটি তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং একই সাথে তাদের ব্যবসার উন্নতি ঘটাবে।বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন প্রান্তিক খামারিদের স্বার্থে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায়, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে দেশের পোল্ট্রি শিল্পে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, প্রান্তিক খামারিরা বাঁচবে, এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।এইচএ
    সিডিএফ'র ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
    ক্রেডিট এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (সিডিএফ)-এর ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘মিডিয়া বাজার’ কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সিডিএফের চেয়ারম্যান মুর্শেদ আলম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় জেনারেল বডির ৩৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিগত বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা, নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং ২০২৩-২৪ ও ২৪-২৫ সালের বাজেট ও কর্ম পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়।পরে মুর্শেদ আলম তার মেয়াদকালে সিডিএফ’র কর্মকাণ্ড ও অর্জিত মূল সাফল্যগুলো উপস্থাপন করেন। এ সময় ক্ষুদ্র অর্থায়ন সেক্টরের উন্নয়ন ও কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য তিনি সিডিএফ ব্যবস্থাপনাকে ধন্যবাদ জানান।এ সময় ক্ষুদ্রঋণে তহবিল যোগানে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সিডিএফ কর্তৃক ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাসমূহের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সৃষ্টির ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। মুর্শেদ আলম সরকার বলেন, সিডিএফ জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরের একমাত্র প্রতিনিধিত্বশীল ফোরামের দায়িত্ব পালন করছে। উক্ত সভায় ভাইস- চেয়ারম্যান ইকবাল আহাম্মদ আর্থিক বিবরণী ও বাজেট পেশ করেন। নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল আউয়াল স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং সিডিএফ-এর বার্ষিক বিবরণী পেশ করেন।সভা শেষে আগামী তিন বছরের জন্য সিডিএফ’র গভনিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    Loading…