এইমাত্র
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধানের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরে শাহবাজ শরিফের আমন্ত্রণ
  • অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন: ডা. রফিক
  • বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় বিশিষ্ট নাগরিকের খোলা চিঠি
  • কোণঠাসা জ্যোতিকা জ্যোতি, বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলেন বাড়িওয়ালা
  • অবশেষে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছে তিন ডাকাত
  • মুন্সীগঞ্জে হত্যা মামলার আসামি মামুন গ্রেফতার
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

    প্রবাস

    সৌদি প্রবাসীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের সতর্কবার্তা
    সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনলাইন প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সৌদিআরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এই সতর্কবার্তা জারি করেন ।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,সম্প্রতি বেশ  কিছু ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন, বিভিন্ন সার্টিফিকেট ও দূতাবাসের সেবার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণের বিষয়ে ভুয়া বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এসব প্ল্যাটফর্মে প্রতারণামূলক চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের ফাঁদ পাতা পেতে সাধারণ প্রবাসীদের নিকট হতে অর্থ আত্মসাৎ করছে একদল অসাধু মহল ।বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, এসব ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনো ধরনের যোগসাজশ বা  সংশ্লিষ্টতা নেই, এদের থেকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। প্রবাসীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে  আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এমন প্রলোভনমূলক প্রচারণায় বিশ্বাস করে কোনো আর্থিক লেনদেনে জড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও দূতাবাসের সেবার জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং নির্ধারিত মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে ।বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো প্রবাসী সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হলে সরাসরি বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিশিয়াল চ্যানেল বা হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ।এফএস
    মালয়েশিয়ায় বাধ্য শ্রমের অভিযোগ: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মামলা করার অনুমতি
    মালয়েশিয়ায় জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগে ব্রিটিশ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডাইসনের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি পেয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত এই মামলার অনুমতি দেন।  রয়টার্স ও মালয়েশিয়ার স্ট্রেইট টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি ও নেপালের ২৪ শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, মালয়েশিয়ার এটিএ ইন্ডাস্ট্রিয়াল নামক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় তাদের বেতন থেকে অবৈধ অর্থ কেটে নেওয়া হয় এবং শারীরিক নির্যাতন করা হয়।  শ্রমিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে লন্ডনের আদালতে দায়ের করা মামলায় ডাইসন টেকনোলজি লিমিটেড, ডাইসন লিমিটেড এবং তাদের মালয়েশিয়ান সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়েছে।  ডাইসন ২০২১ সালে মালয়েশিয়ান সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এটিএ-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। তবে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই মামলা মালয়েশিয়াতেই হওয়া উচিত। যদিও আপিল আদালত লিখিত রায়ে উল্লেখ করেছেন, "লন্ডন এই মামলার জন্য যথাযথ স্থান।"  ডাইসনের এক মুখপাত্র বলেন, "এই সিদ্ধান্ত একটি প্রক্রিয়াগত বিষয়, যেখানে নির্ধারণ করা হয়েছে মামলাটি কোথায় শুনানি হবে। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই এবং আইনি বিকল্প নিয়ে পর্যালোচনা করছি।"  এসএফ 
    মালয়েশিয়ায় পোশাক কারখানায় আটক ৩৫ বাংলাদেশি ও ১৫ রোহিঙ্গা
    মালয়েশিয়ার একটি পোশাক কারখানা থেকে অবৈধভাবে কাজ করা ৫০ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।   মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।   বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুয়ালালামপুরের চেরাসে অবস্থিত এক পোশাক কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দেশটির গোয়েন্দা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা ও সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।এতে আরও বলা হয়, গত দুই সপ্তাহ ধরে জনগণের অভিযোগ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানিক দলটি ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ৪৬ বছর বয়সী বাংলাদেশি ব্যক্তিকে আটক করে। তাকে কোম্পানির ম্যানেজার হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং অবৈধভাবে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুকিত জালিল ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৪ জন বাংলাদেশি পুরুষ ও ১৫ জন বার্মিজ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। অভিযানে ৪০টি কার্ড এবং সেলাইয়ের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পোশাক কারখানাটি গত দুই বছর ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে জানা যায়।এইচএ
    আমিরাতে সোয়া ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন সৌদিপ্রবাসী রুবেল
    ভাগ্য পরিবর্তন ও জীবিকার তাগিদে ১৭ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান বাংলাদেশি যুবক রুবেল (৩৬)।রুবেলের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছে বিগ টিকিট। ১১ ডিসেম্বর আবুধাবিতে বিগ টিকিটের র‍্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম বিজয়ী হিসেবে রুবেল এক মিলিয়ন দিরহাম বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা জিতেছেন।তথ্যে জানা যায়, ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাসরত রুবেল বিগ টিকিট কেনা শুরু করেন ২০২০ সালে। আবুধাবিতে একটি ভ্রমণে গিয়ে তিনি বিগ টিকিটের স্টল থেকে প্রথম টিকিট কেনেন। এর পর থেকে নিয়মিত টিকিট কিনতেন, কখনো এককভাবে আবার কখনো বন্ধুদের সঙ্গে।২৯ নভেম্বর রুবেল শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের উদ্দেশে যান। ফেরার পথে বিমানের ট্রানজিট ছিল আবুধাবির বিমানবন্দরে। সেখান থেকে তিনি এক হাজার দিরহাম দিয়ে দুটি বিগ টিকিট কেনেন। কিন্তু এবারই প্রথম তিনি এই বিগ টিকিটের লটারি জিতলেন। রুবেল অভিভূত হয়ে বলেন, ‘এটি আমার জীবনের প্রথম বড় পুরস্কার এবং এমন বিশাল অঙ্কের টাকা জেতা সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমি এখনো ঠিক করিনি এই অর্থ কীভাবে ব্যবহার করব, তবে আমি বিগ টিকিট কেনা চালিয়ে যাব। ইতিমধ্যে আমার পরবর্তী টিকিট কিনেছি। আমি অন্য অংশগ্রহণকারীদের বলব, অন্তত একবার চেষ্টা করুন। রুবেল বাবা, মা, তিন ভাই, তিন বোন, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে একসঙ্গে সৌদিআরবে বসবাস করছেন।উল্লেখ্য যে, অনলাইনে কিংবা আবুধাবির জায়েদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও আল আইন বিমানবন্দরের কাউন্টারে গিয়ে এই বিগ টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে।এআই 
    সৌদি আরবে ভবন থেকে পড়ে আহত বাংলাদেশির মৃত্যু
    সৌদি আরবে নির্মাণ কাজ করার সময় ভবন থেকে নিচে পড়ে আহত হওয়ার সাত মাস পর মো. সবুজ মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মো. সবুজ মিয়া কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে পরিবারের সুখ ও জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মো. সবুজ মিয়া। সেখানে ভালোভাবেই চলছিল তার প্রবাস জীবন। দেশের বাড়িতে তার স্ত্রী ও মেয়েসহ পরিবারে অন্য সদস্যরা রয়েছেন। গত সাত মাস আগে একটি ভবন নির্মাণ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন সবুজ। পরে সহকর্মীরা তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চলছিল তার চিকিৎসা। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর সেখান থেকে সবুজের মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে গ্রামের বাড়িতে জানানো হয়। এ খবর জানার পর থেকে পারিবারে চলছে শোকের মাতম।নিহতের বাবা আব্দুল কাদির বলেন, ‘সবুজ আমার বড় ছেলে ছিল। সে কাজের জন্য খুব পরিশ্রমী। বাড়িতে মাছ ধরার কাজের পাশাপাশি নিজ বাড়িতে একটি দোকান চালাতেন। সংসারের সুখের জন্য গত দেড় বছর আগে সবুজ সৌদি আরবে যায়। সৌদিতে প্রথম দিকে সে কষ্ট করলেও পরে তার ভালো অবস্থান তৈরি হয়। সাত মাস আগে খবর পেলাম সেখানে নির্মাণ কাজ করার সময় হঠাৎ করে এক তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে যায়। সৌদিতে সাত মাস চিকিৎসাধীন থেকে সোমবার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। আমার ছেলে ছাড়া দুনিয়ায় আর কেউ নেই, পুরা সংসারই এখন এলোমেলো হয়ে গেল। তার স্ত্রী এক সন্তান নিয়ে বিধবা হলো। আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না। আমার ভাতিজা সৌদি প্রবাসী কাশেম বলল, তার লাশ দেশে পাঠাবে না, সৌদিতেই দাফন করবে। কারণ লাশ দেশে পাঠাতে অনেক ঝামেলা ও ব্যয়বহুল। আমার পরিবারের সদস্যরা শেষ পর্যন্ত ছেলের লাশ দেখতে পারবে না এই দুঃখ সইবার নয়।’এলাকার ইউপি মেম্বার মো. রাশিদ মিয়া বলেন, ‘পরিবারটি দরিদ্র। সুখের আশায় সবুজ সৌদিতে গিয়েছিল। সেখানে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে নিচে পড়ে প্রথমে গুরুতর আহত হয়। সাত মাস চিকিৎসা শেষে সোমবার রাতে সে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে শুনলাম। পরিবারটি অসহায় হয়ে গেল। এমন মৃত্যু দুঃখের। এখন সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আমাদের কারো কিছু করার নেই।’বাবা আব্দুল কাদির তার ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।   এবি 
    মঙ্গলবার লেবানন থেকে ফিরবেন আরও ৪০ বাংলা‌দে‌শি
    লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা একে একে দেশে ফিরছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মঙ্গলবার (৩ ডি‌সেম্বর) আরও ৪০ বাংলা‌দে‌শি নাগ‌রিক দে‌শে ফির‌বেন।স্থানীয় সময় রোববার (১ ডিসেম্বর) রা‌তে এই তথ‌্য জা‌নায় বৈরু‌তের বাংলা‌দেশ দূতাবাস।দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩ ডি‌সেম্বর) ৪০ জনের দ্বাদশ গ্রুপ বৈরুত থেকে দুবাই হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানযোগে রওনা করবে। তারা ওইদিন সকা‌লে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সকা‌লে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হ‌বেন। পরে বাংলা‌দেশ সময় রাত ১১টায় তাদের বহনকারী উ‌ড়োজাহাজ হজরত শাহাজালাল অন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছা‌বে।প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে বাংলা‌দে‌শি‌দের দে‌শে ফেরা অব‌্যাহত র‌য়ে‌ছে। সব‌শেষ গত ২১ ন‌ভেম্বর দেশ‌টি থে‌কে ৮২ বাংলা‌দে‌শি দে‌শে ফে‌রে। এ নি‌য়ে ক‌য়েক দফায় লেবানন থে‌কে দে‌শে ফি‌রে‌ছে মোট ৬৯৭ জন।এবি 
    সাগরপথে মালয়েশিয়ায় অণুপ্রবেশ, ২৪ বাংলাদেশি আটক
    সাগরপথে ইন্দোনেশিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির রিও প্রদেশের দুমাই নৌ সদর দফতর বিভাগ। একইসঙ্গে আটক হয়েছে আরও ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে দেশটির পেলিন্টুং সমুদ্র সৈকত থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন দুমাই নৌ সদর দপ্তরের কমান্ডার কর্নেল লৌত (পি) বয় ইয়োপি হামেল।তিনি বলেন, ‘পেলিন্টুং সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে মানুষকে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা চলছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচারের অভিযোগে আমরা প্রথমে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করি।’গ্রেফতারকৃত দুইজনের দেয়া তথ্যমতে, পরে স্পিডবোট নিয়ে দুটি দলকে সমুদ্রে পাঠানো হয়। এরপর মেদাং কাম্পাই দুমাই জেলার পেলিনতুং সৈকতের উপকূল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের মামলা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে তদন্তও চলমান রয়েছে।এদিকে, মানবপাচারের অভিযোগে দুই সন্দেহভাজনকে নৌ সদর দফতর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।অন্যদিকে, ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক এবং ২৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দুমাইয়ের শ্রমিক সুরক্ষা কর্মকর্তা এবং ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ইয়োপি হামেল।এমআর
    মালয়েশিয়ায় ১৪ বাংলাদেশি আটক
    মালয়েশিয়ায় ১৪ বাংলাদেশিসহ ১১৯ অভিবাসীকে আটক করেছে অভিবাসন বিভাগ। সেলাঙ্গর রাজ্যের আমপাংজায়ায় দুই বছর থেকে ৫৫ বছর বয়সী মোট ৪০০ অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষা করে এর মধ্য থেকে যাদের কাগজপত্র নেই এমন ১১৯ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়।আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিনুস কামারউদ্দিন বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এক মাসেরও কম সময় ধরে ওই এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির পর, ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া কয়েকটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়।এ সময় মিয়ানমারের ৭১ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী, বাংলাদেশ ১৪, নেপাল ৮, ভারত ৪, ইন্দোনেশিয়ার ৩ পুরুষ এবং একজন নারীসহ মোট ১১৯ জনকে আটক করা হয়। আটকদের আরও পরীক্ষার জন্য সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবি 
    কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের
    কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বক্কর আনসারি নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) দেশটির জাহারা অঞ্চলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত প্রবাসীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানায় চাতলপুর ইউনিয়নের ফকিরদিয়া গ্রামে। তিনি ওই এলাকার হাজী কবির আনসারির ছেলে। আবু বাক্কার তিন সন্তানের বাবা।আবু বাক্কারের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত কুয়েতে প্রবাসে জীবনযাপন করছেন শেখ আবু বাক্কার আনসারী। কুয়েতে তিনি প্রাইভেটকার রাইড শেয়ারিং করতেন। ঘটনার দিন রাইড শেয়ারিং করতে গিয়ে তার প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।নিহতের প্রতিবেশী নিয়ামুল ভূইয়া জানান, শেখ আবু বাক্কার আনসারী দীর্ঘদিন যাবত কুয়েত প্রবাসে থাকেন। আজ রাতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। ব্যক্তি হিসেবে তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার পরিবার লাশ আনার জন্য যোগাযোগ করছেন।
    স্বজনের খোঁজে মানসিক ভারসাম্যহীন সৌদি প্রবাসী
     সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে স্বজনদের সন্ধানে দিন কাটাচ্ছেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন প্রবাসী। শনিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।এয়ারপোর্টে উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা করতে দেখে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্যরা তাকে নজরে আনেন। পরে তারা তাকে অফিসে নিয়ে গিয়ে তার অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।এপিবিএন সদস্যদের বরাতে জানা যায়, ওই প্রবাসীর কাছে কোনো ধরনের ডকুমেন্ট নেই এবং তিনি নিজের পরিচয় কিংবা পরিবারের কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন বলেন, "এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিবারের সন্ধানে আমরা কাজ করছি। যেকোনো ব্যক্তি যদি তার পরিচয় বা পরিবারের সন্ধান সম্পর্কে কিছু জানেন, তবে আমাদের সাহায্য করুন।"পরিবার বা পরিচিতদের খুঁজে বের করার জন্য তিনি নয়ন (01712197854) নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।ব্র্যাকের আশকোনা লার্নিং সেন্টারে আপাতত ওই ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিবার খুঁজে বের করতে সকলে আন্তরিক সহযোগিতা করবেন, এমন প্রত্যাশা সবার।প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। তাই এই ধরনের পরিস্থিতিতে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। তার পরিবারকে খুঁজে দ্রুত তাকে নিরাপদে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া গেলে এটি মানবিকতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।এসএফ
    বাংলাদেশিসহ ৫ হাজার অবৈধ প্রবাসী ফেরত পাঠিয়েছে মালদ্বীপ
    মালদ্বীপ থেকে ১ বছরে প্রায় ৫ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কোন দেশের কতজন তা উল্লেখ করা হয়নি।বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলী ইহুসান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু মন্ত্রণালয়কে চারটি প্রধান কাজ দিয়েছেন– যার মধ্যে একটি হলো অবৈধ প্রবাসীদের স্থায়ী সমাধান করা।ইহুসান বলেন, ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ – মালদ্বীপের সব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করার একটি প্রোগ্রাম। যা এখন পর্যন্ত ১৩৮টি দ্বীপে করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি প্রবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে সব প্রবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করার আশা করছেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, প্রশাসন অবৈধ প্রবাসীদের নিরসনের লক্ষ্যে বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যার মধ্যে এমন একটি ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠান, প্রবাসীরা ব্যবসায় জড়িত থাকলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে নির্বাসিত করা হবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ হাজার প্রবাসীকে মালদ্বীপ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।মালদ্বীপ অভিবাসন বিভাগের তথ্যমতে, অবৈধভাবে কর্মরত ও ব্যবসা পরিচালনার দায়ে গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার অভিবাসীকে আটক করে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মালদ্বীপে গত বছরের নভেম্বর মাসে অভিযান শুরু হয়।নাগরিকদের দাবির মুখে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু অবৈধ অভিবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য এই উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ অভিবাসীদের আবাসস্থল ও খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।এছাড়াও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভিবাসন বিভাগের যৌথ অভিযানের ফলে অবৈধ ব্যবসা এবং খাদ্য উৎপাদন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু অভিবাসী ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদেরও দ্রুত সংশ্লিষ্ট দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে জানানো হয়েছে।মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের (শ্রম) কাউন্সেলর মো. সোহেল পারভেজ জানান, প্রতিটি ওয়ার্ক ভিসার নির্দিষ্ট কিছু শর্ত থাকে, যেমন আপনি যে কোম্পানির অধীনে কাজের উদ্দেশে মালদ্বীপে এসেছেন আপনাকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতেই কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, আপনি যদি সেই নিয়ম ভঙ্গ করেন তাহলে আপনাকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। কারণ আপনি এক জায়গার ভিসা নিয়ে এসে অন্য জায়গায় কাজ করা বেআইনি। তিনি আরও বলেন, মালদ্বীপ থেকে আপনাকে যে সুনির্দিষ্ট জায়গার ভিসা দেওয়া হয়েছে সেখানেই আপনাকে কাজ করতে হবে। অন্যথায় আপনাকে মালদ্বীপের আইনে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে অভিহিত করা হবে।মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে প্রতিদিনই চলছে সাঁড়াশি অভিযান। মূলত বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়া কাজ করা এবং ফ্রি ভিসায় এসে এক কোম্পানির হয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করা এমন অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলছে। এতে প্রতিদিনই বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আটক হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশটিতে থাকা এক লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির মধ্যে যারা অবৈধভাবে বসবাস এবং ব্যবসা করছেন তাদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।মালদ্বীপে ক্ষমতায় আসার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর সরকার। আটকের পর অবৈধদের দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এভাবে গত ১০ মাসে ৪ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।এইচএ
    ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে বিপাকে পড়বেন হাজারও মুসলিম বাংলাদেশি
     ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি মুসলিমদের জন্য কোনো সুখবর নয়। আগামী চার বছর তাদের সুখবরের বদলে আতঙ্কেই দিন কাটাতে হবে বলে মতামত দিয়েছেন বাংলাদেশি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।তিনি প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হবার পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বৃহত্তম অভিবাসী প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার ঘোষণা দেন। বাংলাদেশি পর্যবেক্ষকদের মতে- ট্রাম্পের অভিবাসী প্রত্যাবাসনের ঘোষণায় বাংলাদেশি মুসলিমদের জন্য কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে।যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার বাংলাদেশি অভিবাসী আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বাংলাদেশি মুসলিমদের জন্য ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া কোনো সুখবর নয়। তিনি মুসলিমবিরোধী এবং অভিবাসীবিরোধী। যারা মামলায় হেরেও বছরের পর বছর এখানে বসবাস করছেন তাদের জন্য হবে দুঃস্বপ্ন। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিগুলো সমস্ত অভিবাসীদের জন্য খুব কঠোর এবং কঠিন হবে। তবে ছোট ব্যবসার পাশাপাশি উচ্চআয়ের পরিবারের জন্য ভালো হবে।কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত বিশ্বখ্যাত ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী ড. গোলাম চৌধুরী ইকবাল বলেন, ট্রাম্পের পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। তার অভিবাসন নীতির কড়াকড়ির কারণে গ্রিন কার্ড, ভিসা প্রক্রিয়া এবং অভিবাসীদের আইনি মর্যাদায় জটিলতা বাড়তে পারে। সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় ট্রাম্প প্রশাসনের আগের ব্যর্থতার নজির রয়েছে; যা বাংলাদেশি অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। এছাড়াও মার্কিন প্রশাসনে ভারতীয় লবির শক্তিশালী অবস্থানের কারণে বাংলাদেশি স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।তিনি আরও বলেন, কিছু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণে ‘প্যাথলজিক্যাল নার্সিসিজম’ বা বিপজ্জনক ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্যের লক্ষণ রয়েছে। ট্রাম্পের এই বৈশিষ্ট্য বিশ্ব রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে, যা অভিবাসীদের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে উল্লেখ করেন ড. গোলাম।বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তারিক হাসান বলেন, অভিবাসীদের অনুপস্থিতির বড় প্রভাব পড়বে মার্কিন অর্থনীতিতে। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, যদি অভিবাসীদের পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ধরে নিন মাথাপিছু জিডিপি পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ কমে যাবে। অর্থাৎ কিছু মানুষ কমে যাওয়ার (অভিবাসীদের অনুপস্থিতি) যে প্রভাব, তার প্রতিফলন ঘটবে জিডিপিতে।তার গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তারিক হাসান বলেছেন, অভিবাসন উদ্ভাবনী শক্তিতে ইন্ধন জোগায়, উৎপাদনশীলতা বাড়ায় এবং এটা কিন্তু শুধুমাত্র কোনো একটা বিশেষ সেক্টরেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রসঙ্গত অভিবাসীরা তুলনামূলকভাবে কম বয়সি এবং তাদের কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিভিল সেক্টরে কর্মরত তিন কোটি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় ১৯ শতাংশই অভিবাসী।মার্কিন সরকারি সংস্থা ‘ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিক্স’-এর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমশক্তিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিবাসীদের হার আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি।কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের অনুমান অনুযায়ী, ২০২২ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসা ১৬ বছর বা তার বেশি বয়সি অভিবাসীদের প্রায় ৯১ শতাংশের বয়স ৫৫ বছরের কম হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রে বয়স্কদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ। অর্থ ব্যবস্থা ভূমিকা পালন করে এমন সেক্টর যেমন কৃষি- সম্পূর্ণরূপে অভিবাসী শ্রমিকদের উপর নির্ভরশীল।মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয়ের জাতীয় কৃষি শ্রমিক জরিপ অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ শ্রমিক অভিবাসী। যদিও এদের মধ্যে অনেক শ্রমিকের কাছে এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র নেই।আমেরিকান ইমিগ্র্যান্ট কাউন্সিলের (এআইসি) গবেষণা নির্দেশকের দায়িত্বে রয়েছেন নান ব্যু। তিনি অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে এমন একটা সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন। তার মতে, অভিবাসীদের সরিয়ে দেওয়ার অর্থ হলো কৃষিকাজ করা, ফল এবং শাকসবজি তোলা আর উৎসবের মৌসুমে ক্রমবর্ধমান বাজারের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাবেন না ক্ষেতের মালিকরা।অন্যদিকে যারা অভিবাসনের সমালোচনা করেন, তাদের একটা যুক্তি হলো, বিদেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কম মজুরিতে কাজ করতে প্রস্তুত এবং এর ফলে মার্কিন নাগরিকরাও কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন আর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া ২০১৪ সালে অর্থনীতিতে অভিবাসনের প্রভাব নিয়ে ২৭টি গবেষণার পর্যালোচনা করেছে। এ পর্যবেক্ষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের বেতনের ওপর অভিবাসনের গড় প্রভাব প্রায় শূন্যের সমান।সাম্প্রতিক সময়ে ইস্টার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে একটা গবেষণা করা হয়েছে। সেই গবেষণা বলছে, অভিবাসীর সংখ্যা বাড়লে তা মজুরি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যদিও পরিসংখ্যানের দিক থেকে তা একেবারে ক্ষুদ্র।নিউইয়র্কের মূলধারার রাজনীতিবিদ ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি তথা মুসলিম কমিউনিটি এবারের নির্বাচনে একটি বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। বেশির ভাগ বাংলাদেশি এবং অন্যান্য মুসলিম কমিউনিটি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছে। মুসলিম কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট প্রদান করে এবারে সর্বপ্রথম তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে; যা ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনি বিজয়ী ভাষণে উল্লেখ করেছেন। এই প্রথম আমেরিকার ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্ট মুসলিম ভোটের কথা স্বীকার করে বক্তব্য দেন। এবার যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের স্লোগান ছিল ‘মুসলিম ভোট ম্যাটারস’। ইসরাইল কর্তৃক গাজায় গণহত্যার জন্য তিনি জো বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেন। তাই এবার মুসলিম ভোট কমলা হ্যারিসের দিকে যায়নি।গিয়াস আহমেদ বলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন ইসরাইল কর্তৃক গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তখন জো বাইডেনের প্রশাসন তাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে।তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পূর্বের ট্রাম্প আর নির্বাচনের পরের ট্রাম্প এক নয়। তিনি এখন সবার প্রেসিডেন্ট। তার বিজয় ভাষণেও তা পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশিদের কোনো ভয়ের কারণ নেই। তবে সীমান্ত সিলগালার প্রয়োজন আছে। হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত দিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করছে প্রতিদিন। ডেমোক্রেটিক দলের শাসনামলে প্রতিদিন মানুষ ডিপোর্ট হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশন আদেশ রয়েছে তাদের সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করেন গিয়াস।বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিলু বলেন, যাদের ইমিগ্রেশন সমস্যা রয়েছে তারা বেকায়দায় পড়বে। যারা বৈধ হয়নি তাদের হয়তো ডিপোর্ট করতে পারেন ট্রাম্প প্রশাসন। আর হোমকেয়ার ব্যবসায়ীরা অনেকই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। সাধারণভাবে সব ব্যবসায়ী উপকৃত হবে।এবারের ট্রাম্প আগের চেয়ে ভিন্নভাবে চলবেন। যেহেতু বয়সের কারণে এটাই তার শেষ প্রেসিডেন্সি এবং তিনি একটা বিশাল ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাই তিনি সবাইকে খুশি করেই তার নাম জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে লিখে রেখে যাবেন। এই আলোকে সাধারণভাবে সব বাংলাদেশি আমেরিকানরাও উপকৃত হবেন। বাংলাদেশের বিষয়ে তিনি একটি নির্বাচিত সরকারের বিষয়ে চাপ দেবেন যেটা বিএনপির জন্য পজিটিভ হবে বলে মন্তব্য করেন জিলু।নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট নাসির খান পল বলেন, বাংলাদেশি হিসেবে বিশেষ কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে অবশ্যই অনেক কিছুতেই প্রভাব পড়বে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে আমেরিকার যা যা সুবিধা হবে তার সুফল আমরা সবাই ভোগ করব। যুদ্ধের অবসান হবে, ইকোনমি অনেক ভালো হবে, বর্ডার বন্ধ হলে আইনের শাসনের উন্নতি হবে, ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ থেকে আমরা বেঁচে যাব। আমরা বাংলাদেশিরা আমেরিকান হিসাবে অনেক কিছু সুফল ভোগ করব কিন্তু বাংলাদেশি হিসেবে মনে হয় না আলাদাভাবে আমাদের ওপর কিছু প্রভাব পড়বে।নিউইয়র্ক প্রবাসী বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন বলেন, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত। এ রাষ্ট্র তার প্রতিষ্ঠানগুলো এত শক্তিশালী যেকোনো প্রেসিডেন্ট চাইলে এখানে কোনো ধরনের পরিবর্তন করতে পারেন না। আমেরিকা একটি ইমিগ্রেন্ট রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এখানে চাইলে যেকোনো নাগরিক তার অধিকার নিয়ে জীবনযাপন করতে পারেন। বৈধভাবে বসবাসকারী সব নাগরিকরা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তবে বৈধ কাগজপত্রহীনদের জন্য সমস্যা হতে পারে।কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও নিউইয়র্ক প্রবাসী ব্যবসায়ী সৈয়দ আল আমিন রাসেল বলেন, আগের চাইতে আমেরিকার অর্থনীতি ভালোর দিকেই যাবে। বিশেষ করে রিটেল স্মল ব্যবসা যুদ্ধ বন্ধ করতে পারলে দ্রব্যমূল্য কমবে। তবে বৈধ কাগজপত্রহীনরা একটা ভীতির সময় পার করবেন। চাকরির বাজার আরও চাঙ্গা হবে যাতে যুবকরা উপকৃত হবে। বিশেষ করে অনেক বাংলাদেশি যুবক আইটি সেক্টরে আসছেন তাদের জন্য ভালো কিছু হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বোঝার চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সত্যি। কারণ নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক জন্ম নেয়। ঢাকার সাবেক শাসনের সমর্থকরা আশা প্রকাশ করছেন যে, ট্রাম্পের বিজয় মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আনবে যা তাদের ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করবে।বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের তারিক হাসান বলেন, গত দুই দশকে অভিবাসন অনেক বেশি হয়েছে। যদিও অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অভিবাসন ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে এর এমন কিছু দিক থাকতে পারে যা অন্যদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে বাধা দেয়। এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটা বড় ইস্যু ছিল অভিবাসন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস দুজনেই মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলেন। ট্রাম্পকে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে দেখা গেছে, নথিবিহীন অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে।ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘উস্কানি’ দিয়েছিলেন এমন কথা বললেও কমলা হ্যারিস অবশ্য এ কথাও জানিয়েছিলেন যে, তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা বিলের পক্ষে। এ বিলের আওতায় সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের জন্য শত শত কোটি ডলার বরাদ্দের বিষয়ে বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের ভূমিকা কী? যদি অভিবাসী না থাকে তাহলে তার কী প্রভাব পড়তে পারে দেশটিতে?অভিবাসী না থাকলে আমেরিকার জনসংখ্যা অনেক কম হবে।দেখা গেছে, ২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেশি। সেই তথ্য বলছে, বিদেশে জন্মগ্রহণকারী চার কোটি ৭৮ লাখ মানুষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন; যা মোট মার্কিন জনসংখ্যার ১৪.৩ শতাংশ।এ তালিকায় সবার প্রথমে রয়েছে মেক্সিকো থেকে আসা মানুষ। সেখানকার এক কোটি ছয় লাখ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। অন্যদিকে, সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা ২৮ লাখ এবং চীন থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ২৫ লাখ।প্রসঙ্গত, অভিবাসী কর্মচারীর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে জন্মহার কমে যাওয়ার ফলে সেই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩০-এর দশকের পর সর্বনিম্ন হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে। জন্মের হার ১৯৩০-এর দশকে ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’-এর ফলে হ্রাস পেয়েছিল।এর অর্থ হলো অন্যান্য অনেক দেশের মতোই যুক্তরাষ্ট্রও প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যার সঙ্গে লড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ। অন্যদিকে কাজকর্ম করতে সক্ষম অল্প বয়সি মানুষ কমে যাচ্ছে।মার্কিন কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস বলছে, ২০৪০ সালে মৃত্যুর সংখ্যা জন্মকে ছাপিয়ে যাবে। তখন অভিবাসনের ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে অনেক অর্থনীতিবিদ ও অভিবাসনপন্থি গোষ্ঠী দাবি জানিয়েছে, অর্থ ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে অভিবাসন দরকার, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অভিবাসনের অনুমতি দেওয়া হোক।দীর্ঘদিনের বাংলাদেশ পর্যবেক্ষক এবং মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির অনুশীলনকারী হিসেবে জন ড্যানিলোভিজ জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিজয় অনেকের ভবিষ্যদ্বাণীর চেয়ে কম প্রভাব ফেলবে। প্রেসিডেন্ট অফিসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে অনেক বিশ্লেষক নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের মূল্যবোধের এজেন্ডা পরিত্যাগ করবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের ঘটনাবলীকে প্রভাবিত করার জন্য ভারতকে অবাধ সুযোগ করে দেবে। আশ্চর্যের কিছু নেই, কারণ এই লোকেরাই বিশ্বাস করে এসেছে যে, বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বিদেশি শক্তির হাত ছিল। এই বিশ্লেষকদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে তারা শেখ হাসিনার বিদায়ের নেপথ্যে দেশীয় কারণগুলোকে ক্রমাগত অস্বীকার করে গেছেন।কোনো সন্দেহ নেই, মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ধরন এবং উপাদান (এবং এর অনুশীলনকারীরা) পাল্টে যাবে যখন ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করবে। অভিবাসন, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের জন্য সমর্থন এবং বাণিজ্য নীতি প্রেসিডেন্টের প্রচারণার সময় সবচেয়ে বেশি মনোযোগ পেয়েছে। সাধারণভাবে ট্রাম্প বৈদেশিক নীতিতে কম হস্তক্ষেপ  এবং ‘আমেরিকা প্রথম’  নীতিতে বেশি আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে। যে কেউ এ কথা বলতে পারে, বাংলাদেশ ট্রাম্পের প্রচারণার জন্য অগ্রাধিকার পেয়েছে বা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কিছুটা সময় নেওয়া উচিত।ঢাকার জন্য সুসংবাদ হলো- তাদের কাছে এটি করার জন্য সময় আছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে এবং বাংলাদেশে প্রভাব ফেলতে পারে- এমন নীতি পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন শুরু করতে সম্ভবত কয়েক মাস সময় লাগবে। এমনকি একটি রিপাবলিকান সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ পররাষ্ট্র নীতি তৈরি করতে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। অনেক চাপের ইস্যুর মাঝে বাংলাদেশ নীতি সম্ভবত ট্রাম্পের নতুন টিমের কাছে অগ্রাধিকার নাও পেতে পারে।মার্কিন সম্পর্ককে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বিবেচনায় ঢাকার অভ্যন্তরীণ অগ্রাধিকার এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশ কিভাবে এগুলোকে প্রভাবিত করে তা খতিয়ে দেখা উচিত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি দ্বারা পরিচালিত হবেন, তেমনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। হাসিনা পরবর্তী সময়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট পরিবর্তন হয়নি। নিউইয়র্কের মিটিংয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, তারা এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র যে এই জোটের অংশ হতে চাইবে না তা সহজেই অনুধাবন করা যায়।একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শুধু সরকার থেকে সরকার বা প্রধান নির্বাহী থেকে প্রধান নির্বাহীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রসারিত। কংগ্রেসের সদস্য, বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের অনেক বন্ধু রয়েছে। এগুলো সম্পর্কের স্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে কাজ করবে। যদিও হাসিনা সরকার ভেবেছিল যে, ১৯৭১ সালের স্মৃতি উস্কে বা সাম্প্রতিক কথিত ষড়যন্ত্রের কথা বলে তারা লাভবান হবে, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ এরকম কিছু করবে এমন সম্ভাবনা খুব কম।দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থা। যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের মাতৃভূমিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার অগ্রভাগে ছিলেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক টিম, ওয়াশিংটনে একজন নতুন রাষ্ট্রদূতকে নিয়োগ করার মাধ্যমে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করতে পারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উষ্ণ অভিনন্দন বার্তা ছিল এর প্রথম পদক্ষেপ। ঢাকায় যারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চিন্তায় নিমজ্জিত, তাদের সবার প্রতি ‘শান্ত থাকুন এবং যেমন চলছে চলতে দিন’ বলে উপদেশ দেন জন ড্যানিলোভিজ।তথ্যসূত্রঃ যুগান্তর, লেখকঃ নোমান সাবিত, নিউইয়র্কএসএফ 
    সৌদিতে ৮৮ বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন আলী চাচা
    ‘বার্ধক্যকে সব সময় বয়সের ফ্রেমে বাঁধা যায় না’। তার বাস্তব নিদর্শন ৮৮ বছরের আলী চাচা। যিনি প্রায় ৯০ বছরের কাছাকাছি এসে বসেছেন মাধ্যমিক পরীক্ষায়। তার এমন প্রচেষ্টা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে । শিক্ষার কোনো বয়স নেই, এমন প্রবাদের নিদর্শন হয়ে রইলেন সৌদি আরবের নাগরিক আলী চাচা।সৌদিআরবের জিজান শহরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন আলী জাধমি নালের নামের সৌদি প্রবীণ। তিনি ‘আলী চাচা’ নামে সকলের নিকট বেশ পরিচিত। এই বয়সে পড়ালেখা করার আগ্রহ নিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায় থেকে স্কুলে ফিরে আসতে তিনি কোন অসুবিধার সম্মুখীন হননি। স্কুলে তার সহপাঠী তরুণ ছাত্রদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি সৌদি টেলিভিশন আল এখবারিয়ার সাথে একটি সাক্ষাত্কারে বলেন যে তিনি মিডল স্কুলের একজন শীর্ষ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তিনি বেশ আগ্রহী ।তিনি আরও বলেন, শিক্ষার কোন বয়স নেই। বিশেষকরে, বার্ধক্য অধ্যয়ন ও জ্ঞান অর্জনের জন্য কোন বাধা নয়। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। তার এই পদক্ষেপে উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্প্রতি ক্লাসে ফিরে গিয়েছেন ১০২ বছর বয়সী ফাতেমা জায়েদ। তিনি স্থানীয় একটি সাক্ষরতা কোর্সে ভর্তি হন।এইচএ
    উপদেষ্টা পরিষদে ১০% প্রবাসী বাংলাদেশীকে রাখার দাবি
    বৃটিশ-বাংলাদেশী পেশাজীবীদের উদ্যোগে “ জাতি গঠনে প্রবাসীরা কিভাবে ভূমিকা পালন করতে পারেন” শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লন্ডন স্কুল অব কমার্স এন্ড আইটি’র মিলনায়তনে এই গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।এতে বক্তারা বলেন, বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দুতাবাস ও হাইকমিশন ঘেরাও করেছেন, সভা-সমাবেশ করেছেন নিয়মিতভাবে দিনের পর দিন। মধ্যপ্রাচ্যে বিক্ষোভ করতে গিয়ে অর্ধশত প্রবাসী জেল খেটেছেন। সর্বশেষে প্রবাসীরা ৫ আগষ্টের আগে মাসব্যাপী রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করে সরকারের টনক নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যংকের গভর্নর সম্প্রতি জানিয়েছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রবাসীদের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ার ফলে বৈদেশিক রিজার্ভে হাত না দিয়েই বৈদেশিক ঋনের কিস্তি পরিশোধ করা হয়েছে। সুতরাং দেড় কোটির উপর প্রবাসীকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। তাই দেশ পরিচালনায় উপদেষ্টা পরিষদে অন্তত ১০ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশীকে রাখা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের অকুন্ঠ সমর্থন আছে। যে কোন উপায়ে এই সরকারকে সফল হতেই হবে। বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। সফল গণ-অভূত্থানের মাধ্যমে ৫৩ বছর পর দেশ গড়ার এক সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ থেকে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ বাংলাদেশী, যারা প্রবাসে থাকেন তাদের বঞ্চিত করলে বরং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পৃথিবীর প্রায় ১৫টি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ আছে যাদের একেকটির মোট জনসংখ্যা দেড় কোটি হবে না। সুতরাং এত বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের অবহেলা করে রাষ্ট্রের টেকসই সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব নয়। দেড় কোটি প্রবাসীদের সন্তুষ্ট করুন ও তাদের ন্যায্য এবং যৌক্তিক দাবীসমূহ মানুন, তার বিনিময়ে দেখবেন প্রবাসীরা কোটি কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করে দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেটর নাসরুল্লাহ খান জুনায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এবং প্রতিথযশা আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার নাজির আহমদের প্রানবন্ত সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ওলিউল্লাহ নোমান। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. হাসানাত হোসেন  এবং বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আব্দুল কাদের সালেহ।আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, ব্যারিস্টার ইকবাল হোসেন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন চৌধূরী, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, ব্যারিস্টার এম ফয়ছল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম এমাদ, ব্যারিস্টার আলী ইমাম, যুবনেতা নাসির উদ্দিন, গবেষক শরীফুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী তানভীর হাসান, বৈষম্যবিরুধী আন্দোলনে বিলেতের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ আহমদ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট সাজেদুর রহমান, সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। দুই ঘন্টাব্যাপী প্রাণবন্ত আলোচনা ও মতবিনিময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা উঠে আসে। রাউন্ড টেবিল বৈঠকে নিম্নোক্ত প্রস্তাবনা ও দাবি সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়:১। প্রবাসীদের ন্যায়সঙ্গত বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও অভিযোগ আছে। এসব ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া ও অভিযোগ অতীতে সরকারের কাছে পাঠালেও যথাযথ বা সন্তুষজনক জবাব পাওয়া যায়নি। অথচ প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স হচ্ছে দেশের অর্থনীতির বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। এই খাতকে মোটেই অবহেলা করা ঠিক নয়। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্নক্ষেত্রে ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছেন। অনুরূপভাবে প্রবাসীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার, বিভিন্ন দাবী-দাওয়া, সেবার মান ও অভিযোগ - এসব বিষয়ে সংস্কারের জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সংস্কার কমিশন গঠণের দাবী জানাচ্ছি। ২। দেড় কোটির উপরে প্রবাসী অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০% বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করছেন। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। চার লক্ষ চাকমাদের জন্য প্রতিটি সরকারে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারেও আছে। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে দেড় কোটি প্রবাসীদের জন্য কোনো সরকারেই প্রবাসী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেড় কোটি উপরে প্রবাসীদের মধ্য থেকে অন্তত: দুইজন উপদেষ্টা রাখার দাবী জানাচ্ছি।৩। বৃটেন, ইউরোপ, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন অনেক বাংলাদেশী দ্বৈত-নাগরিক। অনেকে বাস্তব ও প্রায়োগিক সুবিধার্থে দ্বৈত-নাগরিকত্ব নিলেও তারা জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব কেউ কেড়ে নিতে পারে না। বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬(২)(গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকরা সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। দ্বৈত নাগরিকরা বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, এমনকি প্রধান বিচারপতি হতে পারলেও এমপি হওয়ার পথে সাংবিধানিক বাঁধা ও বৈষম্য রাখার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। উল্লেখ্য, গণতন্ত্রের সুতিকাগার বৃটেনে দ্বৈত নাগরিকরা বৃটিশ পার্লামেন্টের মেম্বার হতে পারেন। শুধু তাই নয় বৃটেনে এমপি হবার জন্য বৃটিশ নাগরিক হওয়ারও বাধ্যবাদকতা নেই। বাংলাদেশী নাগরিকত্ব ও বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েও বৃটেনে সেটেল্ড যে কেউ বৃটিশ এমপি হতে পারবেন। সুতরাং জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক যারা দ্বৈত-নাগরিকত্ব নিয়েছেন তাদের জন্য সংবিধানের বৈষম্যমূলক ৬৬(২)(গ) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করার দাবী জানাচ্ছি।৪। প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করছেন। সবাইকে একভাবে দেখা উচিৎ নয়। বৃটেনে বৃটিশ-বাংলাদেশিরা সুপ্রতিষ্ঠিত। এখানে শত শত দক্ষ প্রফেশনাল আছেন যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। হাজার হাজার অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ ও লন্ডন গ্রেজ্যুয়েট আছেন যারা বাংলাদেশ পূনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। আধুনিক মালয়েশিয়া নির্মাণে মালয়েশিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মুহাম্মদ বৃটেনে এসে বৃটিশ- মালয়েশিয়ানদের মধ্যে টেলেন্ট হান্ট করতেন। এমনটি করা জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। সুপ্রতিষ্ঠিত বৃটিশ বাংলাদেশিরা বাংলাদেশকে দেয়ার মতো তাদের অনেক কিছু আছে। ৫। বৃটেন থেকে পাওয়ার অব এটর্নি দিতে ভেলিড বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে গত ২/৩ বছর আগে। পাওয়ার অব এটর্নির সাথে ভেলিড বাংলাদেশী পাসপোর্টের সম্পর্ক কি তা বোধগম্য নয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমন আজগুবি নিয়ম নেই। এই নিয়ম চালু করার কারণে লক্ষ লক্ষ বৃটেনে বসবাসরত প্রবাসীরা মারাত্বক ঝামেলায় পড়েছেন। অন্য দেশের প্রবাসীরাও বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এমতাবস্থায়, পাওয়ার অব এটর্নি সম্পাদনে আইডি হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট অথবা বৃটিশ পাসপোর্ট অথবা এনআইডি কার্ড গ্রহনযোগ্য বলে অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারীর জোর দাবী জানাচ্ছি। ৬। বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হোন। অথচ, যাদের ভোটে এমপি নির্বাচিত হোন তাদের সাথে সুযোগ-সুবিধায় বিরাট বৈষম্য রয়েছে। যেমন-এমপি হলেই টেক্স ফ্রি গাড়ি, ঢাকায় রাষ্ট্রীয় জমি বরাদ্দসহ নানা উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। রাস্ট্রের মালিক তথা ভোটারদের বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত না হলেও এমপি সাহেবদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এটা রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাথে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে। অথচ সংবিধানে বলা আছে আইনের চোখে সকলেই সমান। অবিলম্বে এসব বৈষম্যমূলক সুযোগ-সুবিধা ও বরাদ্দ বাতিল করতে হবে।পিএম
    মালয়েশিয়ায় ৪৮ বাংলাদেশি আটক
    মালয়েশিয়ার কেলান্তান রাজ্যের কোটাভারুতে ইমিগ্রেশনের অভিযানে আটক হয়েছেন ৪৮ বাংলাদেশি। বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের অভিযানে রাজ্যের কোটা ভারু এবং মাচাং শহরের চারপাশে এনফোর্সমেন্টের অভিযানে ৪৮ বাংলাদেশিসহ ৫৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করে ইমিগ্রেশন বিভাগ।বৃহস্পতিবার স্টেট ইমিগ্রেশনের উপ-পরিচালক (ব্যবস্থাপনা), নিক আখতারুল হক নিক আবদুল রহমান এক বিবৃতিতে জানান, আটকদের মধ্যে ৪৮ বাংলাদেশি ছাড়াও, ৪ ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ ও ৩ জন নারী এবং একজন নেপালি পুরুষ নাগরিক রয়েছেন।নিক বলেন, কেলান্তান জিআইএম ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ১৮ জন অফিসারের সমন্বয়ে গোয়েন্দা তথ্যেও ভিওিতে অপ্স মাহির/সাপু নামে  কোটা ভারু শহরের কাম্পুং কোক পাসির, কাম্পুং টেম্পোয়াক, কাম্পুং বেটিং লেবার কেমুমিন কোটা ভারু, কাম্পুং মেরবাউ চোন্ডং, পুলাই চোনডং এবং মাচাংসহ বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।আটক ২৩ থেকে ৫০ বছর বয়সি অভিবাসীদের তানাহ মেরাহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের ইমিগ্রেশন বিভাগ।এদিকে বিদেশিদের কোনো অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে তথ্য দিতে রাজ্যের জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসী রক্ষায় মাস্টারমাইন্ড, সহায়তাকারীর বিরুদ্ধে আপস ছাড়াই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।এসএফ  

    Loading…