এইমাত্র
  • জাবি ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে নিয়ে অপপ্রচার
  • রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
  • চট্টগ্রামের এমপি মিতাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
  • মার্টিনের ঢাকা সফর শেষ, ২৩০ কোটি ডলার সহায়তা নিয়ে আলোচনা
  • তমা মির্জাকে ছেড়ে তানজিন তিশায় মজলেন রায়হান রাফী?
  • বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালক ফাহমিদা খাতুন
  • যাদের হাতে রক্ত তারা ক্লাসে বসার সুযোগ পেতে পারে না
  • মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়, কোনো সমাধানও আনবে না: নাহিদ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৩ জনের মৃত্যু
  • ‘কোনোরকম মব জাস্টিস গ্রহণ করা হবে না, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব’
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    খেলা

    কেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো?

    স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম
    স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

    কেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো?

    স্পোর্টস ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ পিএম

    ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো! পর্তুগালের এই গোল মেশিন ভক্তদের কাছে পরিচিতি সিআর সেভেন হিসাবে। তাকে বলা হচ্ছে এই বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলার। সামাজিক মাধ্যমের এই যুগে রোনালদো এখন সবচেয়ে বড় ব্রান্ডের নাম। বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে পেশাদার ফুটবলে ৯০০ গোলের অবিশ্বাস্য মাইলফলক ছোঁয়ার পর রোনালদো এমন এক নজির গড়েছেন, যা আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি।

    এই পর্তুগিজ সুপারস্টার সামাজিক যোগাযোগা মাধ্যমে প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে তার ১০০ কোটি অনুসারী হয়ে গেছে; এই সংখ্যা বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের জনসংখ্যার চাইতে কয়েকগুণ বেশি। সামাজিক মাধ্যমের সাতটি প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে এক বিলিয়ন অনুসারী পূর্ণ হবার পর ১২ সেপ্টেম্বর ভক্তদের খুশির খবরটি জানান সিআর সেভেন। এ জন্য তিনি সব পর্যায়ের সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।

    আল-নাসর তারকার সবচেয়ে বেশি অনুসারী ইনস্টাগ্রামে- ৬৩৮ মিলিয়ন। এ ছাড়া ফেসবুকে ১৭০ এবং এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্টে তাকে ১১৩ মিলিয়ন মানুষ অনুসরণ করছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সামাজিক মাধ্যমে রোনালদোর লাখো কোটি অনুসারী রয়েছে। শোনা যায়, সামাজিক মাধ্যমে রোনালদোর একাউন্ট ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়, পুষতে হয় বাড়তি জনবল।

    শুধু কি সামাজিক মাধ্যম, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও লাইব্রেরি হিসাবে খ্যাত ইউটিউবে চ্যানেল খুলেও চমক দেখিয়েছেন রোনালদো। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে ইউটিউবে চ্যানেল নিয়ে হাজির হন রোনালদো। ‘ইউআর’ নামে চ্যানেলের ঘোষণা দিতেই ৯০ মিনিটে এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার; যা ইউটিউবের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম। ক্রমাগত বেড়ে সেই চ্যানেলে এখন রোনালদোর অনুসারী সাড়ে ৬০ মিলিয়নের বেশি।

    সামাজিক মাধ্যমে অনুসারী সংখ্যায় রোনালদো শীর্ষে আছেন অনেক দিন ধরেই। দুইয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতশিল্পী সেলেনা গোমেজের সঙ্গে তাঁর অনুসারী সংখ্যার ব্যবধান এবার আরও বেড়ে গেল। বর্তমানে সেলেনার অনুসারী রোনালদোর চেয়ে ২৯ কোটি ১৮ লাখ কম। শীর্ষ পাঁচের অন্য তিনজনও সংগীতশিল্পী। যথাক্রমে তিনে, চারে ও পাঁচে আছেন জাস্টিন বিবার, টেলর সুইফট ও আরিয়ানা গ্রান্ডে।

    ৩৯ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকাকে এতো বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠি কেন অনুসরণ করেন, এই প্রশ্নের সহজ উত্তর নেই। প্রথমত ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ফুটবল একমাত্র খেলা যেটির প্রচলন রয়েছে বিশ্বের সব দেশেই। ফলে ফুটবলের বৈশ্বিক দর্শক সংখ্যা শত শত কোটি। সেই ফুটবলের পেশাদার বৃত্তে রোনালদোর খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মতো জায়ান্ট ক্লাবে।

    শুধু বড় ক্লাবেই নয়, পর্তুগীজ ফুটবলের যে নবজাগরণ সেটির নেতৃত্বে ছিলেন রোনালদো। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকার রয়েছে আরও বিশেষ কিছু গুণাবলী। শৃংখল জীবনযাপনের জন্য তার রয়েছে বিশেষ সুখ্যাতি। সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। দেহ ফিটনেসের দিক থেকে যে কোন অ্যাথলেটের কাছে রোনালদো একজন উদাহরণ। ফলে ইনজুরি কখনও তাকে ভোগাতে পারেনি।

    যার কারণে ইউরোপে অস্তমিত সূর্য হয়ে যাওয়ার পরও রোনালদো মধ্যপ্রাচ্যে আসার পর থেকেই, আল নাসরের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন। গতি, শক্তি এবং বায়বীয় ক্ষমতাসহ রোনালদোর শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলি তাকে বিভিন্ন আক্রমণাত্মক ভূমিকায় খেলতে সক্ষম বহুমুখী খেলোয়াড় করে তুলেছে। রোনালদো তার পা এবং মাথা উভয় ক্ষেত্রেই তার অবিশ্বাস্য গোল স্কোরিং ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত।

    ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় স্থান করে নেন তিনি। রোনালদোও দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ পর্যায়ের পারফরম্যান্স বজায় রেখেছেন, বিভিন্ন দল ও লিগে নিজের খেলাকে মানিয়ে নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ এবং উন্নতির প্রতি রোনালদোর উৎসর্গ, পাশাপাশি বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার খেলার শৈলীর সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার দক্ষতা, তাকে দীর্ঘ সময় ধরে আধিপত্য বজায় রাখার সুযোগ করে দিয়েছে।

    ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে শুরু থেকেই নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করেন পর্তুগিজ তারকা। ধীরে ধীরে তিনি পরিণত হন বিশ্বজোড়া সুপারস্টারে। পূর্বসূরীদের অনুসরণে রোনালদোও নাম জড়িয়েছেন বিশ্বের নামিদামি অনেক ব্র্যান্ডের সঙ্গে। এছাড়া বর্তমান সময়ের অনেক বড় স্টাইল আইকন রোনালদো। তার হেয়ারকাট এবং ফ্যাশন বিশ্বজোড়া ভক্তদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    চুলের স্টাইল থেকে শুরু করে জামাকাপড় সবকিছুতেই নিজস্বতা ধরে রেখেছেন সিআর সেভেন। তবে এই প্রজন্মের স্টাইল আইকন হয়েও, রোনালদোর শরীরে কোনো ট্যাটু বা কোন ধরনের উল্কি নেই। সমসাময়িক প্রায় সব বড় তারকা–লিওনেল মেসি, নেইমার কিংবা ইব্রাহিমোভিচ সবাই যেখানে মজেছেন ট্যাটুর প্রেমে, সেখানে রোনালদোর শরীরে একটি ট্যাটুও দেখা যায় না। এর কারণ কি?

    কেন ট্যাটু করান না রোনালদো, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে জানিয়েছে গোল ডটকম। এক প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, রক্ত দেয়ার জন্য ট্যাটু করেন না রোনালদো। রক্তদাতা হতে হলে যে ট্যাটু করানো যাবে না এমন বাধ্যবাধকতা অবশ্য নেই। তবে, ডাক্তাররা সাধারণত রক্তদাতাদের ট্যাটু না করার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রস ট্যাটু করার ১২ মাসের মধ্যে রক্ত দেয়াকে অনুৎসাহিত করে থাকে।

    শুধু রক্তই না, পর্তুগিজ মহাতারকা রক্তের প্লাজমাও দান করেন মাঝে মাঝেই। বিভিন্ন সময় নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে সে বিষয়ে জানান তিনি। এ ছাড়া ২০১৭ সালে 'বি দ্য ওয়ান' নামে একটি রক্ত ও প্লাজমা দাতা প্রতিষ্ঠানের প্রচারও চালিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা। এখানে বলে রাখা দরকার যে, বিশ্বের ফুটবল তারকাদের মধ্যে রোনালদো সামাজিক মাধ্যমে দারুণ সক্রিয়।

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসির চেয়ে রোনালদোর উপস্থিত বেশি সরব। যে প্ল্যাটফর্মে তাঁদের অনুসারী সবচেয়ে বেশি, সেই ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর পোস্ট সংখ্যা তিন হাজার ১১৪টি। আর মেসি পোস্ট করেছেন কেবল ৭৫২ বার। এতেই বোঝা যায়. রোনালদো কতটা বেশি সক্রিয়। এ কারণে রোনালদোর অনুসারী যে কারও চেয়ে বেশি। তিনি নিজেও পছন্দ করেন সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকতে।

    ১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালে জন্ম নেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পুরো নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো দোস সান্তোস অ্যাভেইরো। রোনালদো নামটি পর্তুগালে নেই। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের নামে তাঁর নামকরণ করা হয়। তাঁর পিতার নাম হোসে দিনিস আভেইরো। পৌরসভার একজন মালি হিসাবে কাজ করতেন। মায়ের নাম মারিয়া ডোলোরেস ডস সান্তোস অ্যাভেইরো।

    রোনালদোর এক ভাই এবং দুই বোন রয়েছে এবং তিনি ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা মাত্র ৫২ বছর বয়সে মারা যান। রোনালদোর বড় ছেলের নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো জুনিয়র। রোনালদো তাঁর ছেলের মা কে তা নিয়ে কখনও তথ্য প্রকাশ করেননি। অন্য সন্তানদের নাম মাতেও, ইভা মারিয়া এবং আলানা মার্টিনেজ। মাতেও এবং ইভা মারিয়া হলেন যমজ। রোনাল্ডোর বর্তমান বান্ধবীর নাম জর্জিনা রড্রিগেজ।

    এই নারী বিখ্যাত স্প্যানিস মডেল। এর আগে রোনাল্ডোর বান্ধবী ছিলেন ইরিনা শায়েক। ইরিনা বিখ্যাত রুশ মডেল। ইরিনার সঙ্গে ব্রেক-আপের পরে রোনালদোর জীবনে আসেন জর্জিনা। ২০১৬ সাল থেকেই জর্জিনা এবং রোনালদো একসঙ্গে রয়েছেন। তাদের পরিবারে রয়েছে পাঁচ সন্তান। এদের মধ্যে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয় এভা এবং মাতেওর। অ্যালানা এবং বেলার জন্ম দেন জর্জিনা।

    আট বছর একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকলেও, রোনালদো ও জর্জিনা একে অপরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি। কিছু দিস ধরেই পর্তুগিজ সুপারস্টার ও তার বান্ধবী জর্জিনার বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্পর্ক ভেঙে গেলে বান্ধবীকে খোরপোশ দেবেন রোনালদো, সম্প্রতি এমনই এক বিশেষ চুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। চুক্তি করে ফের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে আসেন এই তারকা যুগল।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…