এইমাত্র
  • ১৮ লাখ টাকা ব্যাগে নিয়েছিল তিন ডাকাত: পুলিশ
  • ওবায়দুল কাদেরের দুর্নী‌তি অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক
  • মাগুরায় বিএনপি নেতার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
  • আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ বাংলাদেশের
  • আ.লীগের নির্বাচনে আসা নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন বদিউল আলম
  • ‘মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা’
  • বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ফিফার অনুমতি পেলেন হামজা চৌধুরী
  • ২০ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
  • ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নতুন করে তদন্ত হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
  • রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ: যা বললেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৫ পৌষ, ১৪৩১ | ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস ব্যবহার করা যাবে কী

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম

    কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস ব্যবহার করা যাবে কী

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    কুড়িয়ে পাওয়া সম্পদকে আরবিতে 'লোকতা' বা 'লোকাতা' বলে। পথে চলতে চলতে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন জিনিস পড়ে থাকতে দেখি। পাওয়া জিনিস নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। মূল্যবান জিনিস কুড়িয়ে পাওয়ার পর মনের সংশয় দূর হওয়া পর্যন্ত ঘোষণা করবে। এরপর যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় মালিক তা আর খুঁজতে আসবে না, তাহলে তা গরিবদের মাঝে সদকা করে দিবে।

    রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমাদের কেউ যখন কোনো কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু কুড়িয়ে নেয় সে যেন তার ওপর দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী রাখে, তারপর সে যেন তা গোপন না করে, পরিবর্তন-পরিবর্ধন না করে, তারপর যদি তার মালিক আসে, তবে সে সেটার অধিকারী, আর যদি না আসে, তবে সেটা আল্লাহর সম্পদ, তিনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন।' (ইবনে হিব্বান : ৪৮৯৪)।

    অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, 'যে কেউ কোনো পথহারা প্রাণীকে আশ্রয় দেবে, সে নিজেই ভ্রষ্ট লোক বলে বিবেচিত হবে, যতক্ষণ না সে তা প্রচার করে দেয়।' (মুসলিম : ১৭২৫)। ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায়- 'কুড়ানো বস্তু' বলতে বোঝায়, এমন সম্পত্তি যা তার মালিক থেকে পড়ে গেছে, আর অন্য কেউ তা কুড়িয়ে নিয়েছে। অথবা এমন বস্তু যা কোনো ব্যক্তি পড়ে থাকতে দেখে কুড়িয়ে নিয়েছে এবং আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছে।

    নিজে গরিব হলে প্রয়োজনে নিজেও ব্যবহার করতে পারবে। তবে যদি কোন সময় মালিক এসে খুঁজে তাহলে তাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। মাল বিদ্যমান না থাকলে এর মূল্য ফেরত দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৬/৪৪৪, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া ৯/১৯৩)

    আমরা প্রথমেই বস্তুটির মালিককে খুঁজে বের করার পূর্ণ চেষ্টা করবো। যেখানে খুজলে মালিক পাওয়া যাবে সেখানে ইলান করে প্রচার করবে। যদি মালিক কোনোভাবেই পাওয়া না যায়। তারপর যখন প্রবল ধারণা হবে যে, হয়তো মালিক বস্তুটি খুঁজে পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছে। মালিক পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি ধনী হলে কয়েকজনকে সাক্ষী বানিয়ে এ বস্তুটি মালিকের পক্ষ থেকে গরীব কাউকে দান করে দেয়া আবশ্যক। আর যদি ব্যক্তি গরীব হয়, তাহলে তার জন্য দান করা বা নিজের জন্য রেখে দেওয়া উভয়টির ইচ্ছাধীন থাকবে।

    গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল খাওয়া: কোন গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল কুড়িয়ে খাওয়া বৈধ হবে? এ বিষয়ে অনেকে জানতে চান। না, গাছের নিচে পড়ে থাকা ফল মালিকের অনুমতি ছাড়া কাওয়া বৈধ হবে না। যদি অনুমতি থাকে তাহলে খাওয়া বৈধ। চাই অনুমতি প্রত্যক্ষভাবে থাকুক বা পরোক্ষভাবে। (রদ্দুল মুহতার ৬/৪৪৪, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া ৫/৩৯৩, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া মাজমাউল আনহুর ২/২৫৬, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ২৩/৩৭৯)

    শিক্ষার্থীদের ফেলে যাওয়া জিনিস ব্যবহার: স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষার পর ছাত্ররা অনেক জিনিস রেখে চলে যায়। ঐ সমস্ত বস্তু ব্যবহার করা যাবে কি না? ফিক্বাহশাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি অধ্যয়নে প্রমাণিত হয়, যে সমস্ত বস্তু কুড়িয়ে পাওয়া যায় তা দুই ধরনের হয়।

    প্রথম প্রকার কুড়ানো বস্তুটি এমন, যা সাধারণত মানুষ তালাশ করে না। এটার হুকুম হলো, কুড়ানেওয়ালা ব্যবহার করতে পারবে। দ্বিতীয় প্রকার কুড়ানো বস্তুটি এমন, যা সাধারণত মানুষ তালাশ করে। এই প্রকারের হুকুম হলো, কুড়িয়ে পেলো সে তা সংরক্ষণ করে এ পরিমাণ সময় পর্যন্ত ঘোষণা করতে হবে যে, এরপর মালিককে পাওয়ার আশা থাকে না।

    যদি মালিককে না পাওয়া যায় এবং যে কুড়িয়ে পেয়েছে সে নিজে মুখাপেক্ষী হয়, তাহলে সে নিজে ব্যবহার করতে পারবে। আর সে ধনী হলে, মালিকের নামে সদকা করে দিতে হবে এবং পরতবর্তীতে মালিক এসে দাবি করলে তাকে উক্ত বস্তু ফেরত দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি- ২/২৯৯-৩০০, আল-মুহিতে বুরহানি- ৮/৮৬৬, ফাতাওয়ায়ে সিরাজিয়া- ২৪১)

    হযরত জাইদ ইবনু খালিদ আল-জুহানি রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, কোনো হারানো জিনিস প্রাপ্তি প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল সা.-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এক বছর না হওয়া পর্যন্ত এর ঘোষণা দিতে থাক। যদি শনাক্তকারী কোনো লোক পাওয়া যায়, তাহলে তাকে তা ফেরত দাও। এর ব্যতিক্রম হলে, তুমি এর থলে ও থলের বন্ধনী সঠিকভাবে চিনে রাখো এবং এর মধ্যকার জিনিস গণনা করার পর কাজে ব্যবহার করো। তারপর মালিক এসে গেলে, তার কাছে এটা ফিরিয়ে দিও। (ইবনে মাজাহ ২৫০৭, তিরমিজি ১৩৭৩)

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…