এইমাত্র
  • ছাত্রদলের নিহত কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
  • প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় হাবু গ্রেফতার
  • ভোলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মসজিদের ইমামের মৃত্যু
  • ওমানে প্রাণ হারালেন চট্টগ্রামের ২ প্রবাসী
  • বাংলাদেশ ছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশ, যেন আরেকটি গাজা
  • জানা গেল মাগুরার সেই শিশুর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা
  • চাঁদপুরের পর কক্সবাজারেও আতঙ্কের আরেক নাম দিদারুল
  • বগুড়ায় আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার
  • নেত্রকোনায় সংঘর্ষে নিখোঁজ হওয়া তিন জনের লাশ উদ্ধার
  • স্ত্রী-ছেলেসহ সালমান এফ রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
  • আজ মঙ্গলবার, ২৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১১ মার্চ, ২০২৫
    বিনোদন

    একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম
    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম

    একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম

    একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

    গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া। গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

    বড় মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী।

    পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র–অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

    ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। এর আগে তিনি ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সন্‌জীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে গানের দীক্ষা নেন। তাঁর প্রথম অডিও অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। অ্যালবামটির নামও ছিল শিল্পীর নামেই, ‘পাপিয়া সারোয়ার’।

    দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পাপিয়া সারোয়ার পেয়েছেন। তাঁর ব্যতিক্রমী কণ্ঠ ও গায়কির প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে। আধুনিক গানেও আছে তাঁর সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাঁকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। সংগীতবোদ্ধাদের মতে, আধুনিক গান বাছাইয়ে বেশ সচেতন ছিলেন বলে তাঁর অ্যালবামের সংখ্যা কম। তাঁর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।

    পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। পাপিয়া সারোয়ার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়। সর্বশেষ এই পরিষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…