যশোরে ৩ দিনব্যাপী মাহফিলে বয়ান করবেন আল্লামা মামুনুল হক, শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মাহফিলে আরও বয়ান করবেন মাওলানা আমির হামজা, মাওলানা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর মতো সুপরিচিত বক্তা। নতুন বছরের ১, ২ ও ৩ জানুয়ারি যশোর শহরের পুলেরহাটের আদ-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ মাঠে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ফাউন্ডেশনের পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, তিন দিনব্যাপী তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে ৮-১০ লাখ মানুষ সমাগম টার্গেটে মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলছে। দেশের প্রখ্যাত ছয় জন আলেম নিয়ে এটাই প্রথম কোনো বড় অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রথম দিন গত বুধবার আলোচনা করেছেন আল্লামা মামুনুল হক ও আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয় দিন গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচনা করবেন মুফতি আমির হামজা ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। শেষ দিন আজ শুক্রবার আলোচনা করবেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও ড. মিজানুর রহমান আজহারি। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হবে। মাহফিলে নারীদের জন্য বসার পৃথক ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিদিন ইসলামি নাশিদ পরিবেশন করবেন দেশ বরেণ্য ইসলামি কণ্ঠশিল্পীরা।
প্রথম দিন মাহফিলে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশুদ্ধ কোরআন শিক্ষার তাগিদ দিয়েছেন আল্লামা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘শিশুদেরকে কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে আর কোনো অপশক্তি আমাদের দেশকে বিপথগামী করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় অর্থে বিবর্তনবাদ, ট্রান্সজেন্ডার, অসভ্যতা, বর্বরতা শিক্ষার চক্রান্ত নতুন বাংলাদেশ গ্রহণ করবে না। এজন্য আমরা যে কথা বলছি, কোরআনকে ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে আল্লাহর কোরআনের আলো জ্বালাতে হবে। প্রতিটি প্রাইমারি স্কুলে একজন ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিশুদ্ধ কোরআন পড়ানোর আওয়াজ গণদাবিতে পরিণত করতে হবে। এ অধিকার যদি স্বাভাবিকভাবে পূরণ না হয়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঈমান আকিদা রক্ষায় যে কোনো মূল্যে আদায় করে নিতে হবে।
এফএস