শীত আসলেই হাঁসের মাংস খাওয়ার মৌসুম শুরু হয়। হাঁসের মাংস খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। শীতে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। শুধু খাওয়াই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্যও হাঁসের মাংস বেশ উপকারী।
হাঁসের মাংস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর হলেও কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। এতে ফ্যাট ও ক্যালরি তুলনামূলক বেশি থাকে, যা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কারা হাঁসের মাংস থেকে দূরে থাকবেন।
হার্টের সমস্যা
হাঁসের মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা রক্তে কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এটি হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই এই রোগে আক্রান্তরা হাঁসের মাংস থেকে দূরে থাকবেন।
ডায়াবেটিক রোগী
হাঁসের মাংসের উচ্চ ফ্যাট উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে এটি কম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগী
হাঁসের চর্বি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে পারে, যা এথেরোসক্লেরোসিস বা ধমনির বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
লিভারের সমস্যা থাকলে
লিভারজনিত সমস্যা থাকলে ফ্যাট বেশি থাকায় হাঁসের মাংস খাওয়া এড়ানো ভালো, কারণ এটি লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
ওজন কমাতে ডায়েট করলে
হাঁসের মাংস ক্যালরি ও ফ্যাট সমৃদ্ধ। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা
অতিরিক্ত ফ্যাটি খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়াতে পারে। হাঁসের মাংস যদি সঠিকভাবে রান্না না করা হয়, তবে এটি হজমে সমস্যা করতে পারে।
সতর্কতা
হাঁসের মাংস রান্নার আগে অতিরিক্ত চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করলে এটি তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর হয়। তেলে ভাজা বা গভীর ভাজা হাঁসের মাংস খাওয়া এড়িয়ে চলুন। গ্রিল, বেক বা সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো। সপ্তাহে একবার বা নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে এটি ক্ষতির কারণ হবে না। যদি কোনো ক্রনিক অসুখ থাকে, তবে হাঁসের মাংস খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এমআর