কুড়িগ্রামের উলিপুরে হিমেল হাওয়া আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবনে স্থাবিরতা নেমে এসেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। বিশেষ করে অতিদরিদ্র, ছিন্নমূল, শ্রমজীবী এবং নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বুধবার (৮ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পরিবর্তণের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা। এরমধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। ভোরের কনকনে ঠা-ায় কাজে যেতে পারছে না শ্রমজীবিরা। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠা-া নিবারনের চেষ্টা করছে।
তিস্তা নদী বেষ্টিত উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের চর গোড়াইপিয়ারের কৃষক গণি মিয়া (৪৬) বলেন, 'চরের এত্তি (এদিকে) খুব ঠান্ডা। তাছাড়া আজ বাতাস আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি এক সঙ্গে। সকালে কাজে আসতে খুব কষ্ট হয়, কিন্তু কিছু করার নেই। কাজ ছাড়া হামার পেট চলে না।'
কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, চরাঞ্চলে ঠা-ার প্রকোপটা একটু বেশি। এ ছাড়া গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আর বাতাস। চরে দুই ঘণ্টা থাকলে হাত-পা বরফ হয়ে যায়।
জেলা প্রশাসক সূত্র জানায়, নয় উপজেলায় ১২ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, আরো পাঁচ হাজার পিস মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া শীতবস্ত্র কেনার জন্য ৪৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ (বুধবার) জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৫ ডিগি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশে মেঘ থাকার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেঘ কেটে গেলে দু'একদিনের মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এমআর