সৌদি আরবের মক্কার কাকিয়া ফুটবল গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ৪–১ গোলে পরাজিত করেছে ব্রাজিল। বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে আয়োজিত এই ম্যাচে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে ছিল সমানতালে লড়াই ও আক্রমণ–পাল্টা আক্রমণ। দশম মিনিটে প্রথম আঘাত হানে আর্জেন্টিনা। স্ট্রাইকার কায়সারের নেওয়া নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে হেডে বল জালে পাঠান রায়হান। গোল খাওয়ার পর ব্রাজিল দ্রুত ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে এবং মাঝমাঠ দখলের লড়াই আরও তীব্র হয়।
প্রথমার্ধজুড়ে ব্রাজিল বলের দখল বাড়ালেও আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ ছিল সংগঠিত। উভয় দলই কয়েকটি সম্ভাবনাময় আক্রমণ গড়ে তোলে, তবে শেষ মুহূর্তের ব্যর্থতায় গোলের ব্যবধান আর বাড়েনি। ফলে এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি ও উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। দুই দলই সমতায় ফেরাতে কিংবা ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। খেলার একপর্যায়ে আর্জেন্টিনার ডি-বক্সের ভেতরে হ্যান্ডবল করেন সাকিব। প্রথমে রেফারির নজরে না পড়লেও পরে ভিআরের সহায়তায় ঘটনাটি পর্যালোচনা করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
পেনাল্টি থেকে শান্ত মাথায় গোল করেন ইমরান, ম্যাচে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। এরপর ম্যাচের ছন্দ পুরোপুরি বদলে যায়। আর্জেন্টিনা একাধিক সহজ সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এই সুযোগ কাজে লাগায় ব্রাজিল। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা স্ট্রাইকার ইউনুস দ্রুতই নিজের উপস্থিতি জানান দেন। তার গতি, বল নিয়ন্ত্রণ ও নিখুঁত ফিনিশিং আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগকে বিপর্যস্ত করে তোলে। অল্প সময়ের মধ্যেই টানা তিনটি গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ইউনুস, কার্যত ম্যাচ থেকে আর্জেন্টিনাকে ছিটকে দেন।
শেষ পর্যন্ত ৪–১ গোলের বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ব্রাজিল এবং শিরোপা নিজেদের করে নেয়।
ম্যাচ শেষে তিন গোলের পর অসাধারণ হ্যাটট্রিকের জন্য ইউনুসকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়। ভালো খেলোয়াড় হিসেবে যৌথভাবে পুরস্কার পান আর্জেন্টিনার কায়সার ও লুৎফর রহমান।
খেলা শেষে আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রায় দুই শতাধিক দর্শক, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে এক ভুঁড়িভোজের আয়োজন করা হয়, যার মধ্য দিয়ে আনন্দঘন এই ক্রীড়া আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে।
এনআই