এইমাত্র
  • পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
  • ৮ বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • কঠোর নিরাপত্তায় বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
  • যশোরে আগাম শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন
  • চুরি করতে গিয়ে বোনের শাশুড়িকে জবাই করে হত্যা
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন শোয়েব মালিক
  • যুদ্ধাপরাধী হিসেবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা উচিত: হামাস
  • কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না: কাদের
  • জীবনের শেষ ভিডিওবার্তায় যা বলেছিলেন শাফিন
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    আবাসিক হোটেলে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা লুট: নেপথ্যে হাকিম বাহিনী

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ১২:২৫ এএম
    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ১২:২৫ এএম

    আবাসিক হোটেলে জিম্মি করে তিন লাখ টাকা লুট: নেপথ্যে হাকিম বাহিনী

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ১২:২৫ এএম

    পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আবাসিক হোটেলে বর্ডারকে জিম্মি করে রেখে তিন লাখ টাকা ও স্মার্ট ফোন লুটের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তি তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে গত শনিবার (২০ মে) দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ মে) আবু বক্কর সিদ্দিক ও শাবলুর রহমান নামে দুই ব্যক্তি সন্ধ্যায় পুরাতন মাইক্রো ক্রয় করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে দেবীগঞ্জে আসেন। পরে তারা পৌর সদরের বন্ধন মোড় এলাকার করতোয়া আবাসিক হোটেলের ১০৩ নাম্বার রুমে ওঠেন। রাতের খাবার খেতে চৌরাস্তা এলাকায় গেলে সেখানে পূর্বপরিচিত হাকিম নামে একজনের সাথে তাদের দেখা হয়। সেখানে আলাপ কালে হাকিম জানতে পারে যে তারা মাইক্রো কেনার উদ্দেশ্যে দেবীগঞ্জে আসেন। হাকিম এই সময় মুঠোফোনে হেলাল ও মামুন নামে দুইজনকে ডেকে নেন।

    অভিযুক্তরা হলেন- দেবীগঞ্জ পৌরশহরের উত্তরপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে হাকিম (৩৫), দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দীন (৩৫) এবং মধ্যপাড়া এলাকার মাইক্রো চালক মামুন ইসলাম।

    পরে ওই ব্যক্তিদের খাওয়া শেষ হলে হাকিম ও তার সহযোগীরা এগিয়ে দেওয়ার কথা বলে হোটেল পর্যন্ত তাদের সাথে আসে। বক্কর ও শাবলুরের সাথে হোটেলের রুমে প্রবেশের পর তারা রুমের দরজা ভেতর থেকে লাগিয়ে দেয় এবং মুঠোফোনে আরো ৭/৮ জন সহযোগীকে ডেকে নেয়। এরপর বক্কর ও শাবলুরের মুখে স্কচটেপ দিয়ে ও হাত-পা বেঁধে রাতভর বেধড়ক মারপিট শুরু করে হাকিম ও তার সহযোগীরা। পরে তাদের কাছে থাকা তিন লাখ টাকা ও দুইটি স্মার্টফোন লুট করে তারা। হাকিম ও তার সহযোগীরা সকাল পর্যন্ত হোটেলে ভুক্তভোগীদের আটকে রাখে। পরে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ভুক্তভোগীদের ছেড়ে দিয়ে দ্রুত ঠাকুরগাঁও চলে যেতে হুমকি দেওয়া হয়।

    করতোয়া আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রাজিব ইসলাম জানান, ঘটনার দিন হাকিম ও তার সহযোগীদের রাতে হোটেলে দেখেন তিনি। অভিযুক্ত হাকিম ভুক্তভোগীদের পূর্ব পরিচিত বলায় তাদের ব্যাপারে কোন সন্দেহ হয়নি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ম্যানেজার হোটেলের মূল গেইটে তালা দিয়ে বাসায় যান।

    পরিমল দে মার্কেটের নৈশ প্রহরী ত্যাজেন্দ্র নাথ বলেন, ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে হাকিমের বেশ কয়েকজন সহযোগী এসে হোটেলে প্রবেশের বিকল্প পথ আছে কিনা জানতে চায়। হোটেলের পেছনে একটি রাস্তা আছে বলায় সেদিক দিয়ে তারা হোটেলে প্রবেশ করে। হোটেলে প্রবেশে বাধা দিলেও তারা শুনেনি। সর্বশেষ ভোর সাড়ে ৫টায় সেই নৈশপ্রহরী তাদের হোটেলের সামনে দেখেন বলে নিশ্চিত করেন।

    সরেজমিন অনুসন্ধানে হোটেলের পেছনে বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকানো অংশ ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী এক দোকানদার বলেন, হোটেলের সামনে তাদের চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থান ত্যাগ করার কথা বলা হয়। কিন্তু অভিযুক্তরা তাকে ধমক দিয়ে দোকান বন্ধ করে বাসা যেতে বলেন।

    দেবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রনজু আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

    উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে হাকিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এর আগে ভুক্তভোগীরা আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ায় এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল অভিযুক্তরা।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…