পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমির দলিল সম্পাদন করার সময় দলিল লেখক সমিতিতে দলিল প্রতি বাধ্যতামূলক 'তিন হাজার টাকা চাঁদা প্রদান' করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আ.স.ম নুরুজ্জামান তার বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এই সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বছরের পর বছর দলিল লেখক সমিতিতে দলিল সম্পাদন করতে গেলেই দলিল প্রতি তিন হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। এভাবে বছরে কোটি টাকা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গত রবিবার (২৯ মে) উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত উম্মুক্ত কর্মশালায় বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানোর পর আমার এবং পরিবারের সদস্যদের দলিল সম্পাদন করা হবে না বলে সন্ধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করেন দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মনু। যা একই সাথে নাগরিক অধিকারহরণ ও মানহানিকর।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার (২৯ মে) উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সভার উপদেষ্টা পঞ্চগড় ২ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকেও জানানো হয়। মন্ত্রী এই সময় এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক নির্দেশ প্রদান করেন।
আ.স.ম নুরুজ্জামান আরো বলেন, অন্যায়ভাবে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ও মানহানিকর ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সংবাদ সম্মেলনে তিনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দলিল সম্পাদনে বাড়তি অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিয়ে গত রবিবার (২৯ মে) উপজেলা ভূমি অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত ভূমি সেবা সপ্তাহের সমাপনী দিবসে কর্মশালা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সহ সভাপতি আ স ম নুরুজ্জামান প্রতিবাদ জানান।
এই সময় অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ফেরদৌস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদার, সাব রেজিস্ট্রার নিশাদুর রহমান, উপ সহকারী স্যাটেলমেন্ট অফিসার শাখাওয়াত হোসেন সহ উপজেলা পরিষদ, দশ ইউনিয়ন ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যায় দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মনু তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। যাতে উল্লেখ ছিল, দলিল লেখক সমিতির জরুরী বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আ. স.ম নুরুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের দলিল সম্পাদন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দলিল লেখক সমিতির কারো বক্তব্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি।