এইমাত্র
  • শপথ নেওয়ার পর যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী
  • ‘নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না’
  • একদিনে ইসরাইলে ১১ বার হামলা হিজবুল্লাহর, ব্যাপক ক্ষতি
  • টান টান উত্তেজনার পর স্বাভাবিক হচ্ছে গুলিস্তান
  • বাসসের নতুন চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন
  • শপথ নিলেন তিন উপদেষ্টা
  • ডিসেম্বরে শুরু হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ
  • দুই হাজার টাকা নিয়ে বিয়ে, বিবাহবার্ষিকীতে জানা গেল আলভীর স্ট্রাগলের গল্প
  • পাচারের অর্থ ফেরাতে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতা চাইলেন ড. ইউনূস
  • ‘চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়’
  • আজ রবিবার, ২৬ কার্তিক, ১৪৩১ | ১০ নভেম্বর, ২০২৪
    জাতীয়

    জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

    যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ এএম

    যুদ্ধ-সংঘাত পরিহার করে মানবকল্যাণে কাজ করুন

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:১৮ এএম

    বিশ্ব নেতাদের যুদ্ধ-সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তি, মানবকল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ আপনাদের সকলের কাছে, বিশ্ব নেতাদের কাছে আমার আবেদন, যুদ্ধ, স্যাংশন ও সংঘাতের পথ পরিহার করুন। আমাদের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থায়ী শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করুন।

    শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকলকে এক যোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের জন্য নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য অভিন্ন সংকট মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ জন্য, আমাদের অবশ্যই বিভাজন, সঙ্কীর্ণতা ও বিচ্ছিন্নতার বিপরীতে একতা, সহমর্মিতা ও বহুপাক্ষিকতা বেছে নিতে হবে।

    বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ এবং তৎসংশ্লিষ্ট হুমকি নিয়ে চিন্তিত। যা প্রতিনিয়ত তথ্যের অপব্যবহার এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে। আমার সরকার চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। আমরা কখনই সন্ত্রাসবাদ কার্যক্রম সংঘটনে বা অন্যের ক্ষতি সাধনে আমাদের ভূমি ব্যবহৃত হতে দেই না।’

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিককালে পবিত্র কুরআন শরীফ পোড়ানোর মত জঘন্য অপরাধ আমাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। এ ধরনের জঘন্য অপরাধ শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকেই আঘাত করে না, এটি অস্থিরতাকে উসকে দেয় এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গত মাসে রোহিঙ্গাদের বাস্তুচূত হওয়ার ছয় বছর পূর্ণ হয়েছে। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আমরা অস্থায়ীভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু, পরিস্থিতি এখন আমাদের জন্য সত্যিই অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। প্রত্যাবাসন নিয়ে অনিশ্চয়তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক হতাশার জন্ম দিয়েছে। এই পরিস্থিতি সম্ভাব্য মৌলবাদকে ইন্ধন দিতে পারে। এই অবস্থা চলমান থাকলে এটি আমাদের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

    ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ অকার্যকর হয় পড়েছে জানিয়ে এ ব্যবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…