জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে একটি এতিমখানা হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১১ বছর বয়সের ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ওই ঘটনাটি জানাজানি পর অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে পালিয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্র জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এতিমখানা হাফেজিয়া মাদ্রাসার পড়াশুনা করেন এই ছাত্র। বাবা মারা যাওয়ায় ওই মাদ্রাসায় থাকতো। এ সুযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক মুক্তার হোসেন ওই ছাত্রকে রাতের বেলায় নিয়মিত ডেকে নিয়ে ভয় দেখিয়ে বলাৎকার করতো। ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি। সোমবার রাতে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার সকালে অসুস্থতার খবর পেয়ে মাদ্রাসায় দেখতে যায় পরিবারের সদস্যরা। এরপর ওই ছাত্র তার মাকে বলাৎকার করা কথা খুলে বলে। এরপর ওই শিক্ষক মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে পালিয়ে যায়। এই রিপোর্ট লেখার আগে প্রতিবেদক হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় দেখেছেন।
ওই ছাত্রের মা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক আমার ছেলের সঙ্গে খারাপ কাজ করত। আমি ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করছি। ছেলের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় যেতে পারিনি। আমি থানায় মামলা করবো।
হাসপাতালের চিকিৎসক সাদমান বিন শহীদ বলেন, শিশুটির যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে তার অভিভাবকেরা জানিয়েছেন। আমরা শিশুটির কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিয়েছি। এখনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, ঘটনাটি জানার পর মাদ্রাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত শিক্ষক মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে পালিয়ে রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। ছাত্রের পরিবার অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর