ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গণপরিবহনের তুলনায় ব্যক্তিগত এবং মালবাহী যানবাহনের চাপ বেশি। আর এই যানবাহনের চাপে নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এমনই চিত্র চোখে পড়ে।
সরজমিনে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ অংশের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলাচল করছে। আর সোনারগাঁয়ের চৈত্রী গার্মেন্ট থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এ পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।
মহাসড়কের পাশের পাম্প স্টেশনগুলোতেও যানবাহনের প্রচুর চাপ দেখা গেছে। যানবাহনের চাপে টোল নিতে গিয়ে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এক যাত্রী বলেন, পারিবারিক কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি। শিমরাইল মোড় থেকে চৈত্রী পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে আসতে পারলেও টোলপ্লাজা পর্যন্ত যেতে সোয়া ১ ঘণ্টা লেগেছে। এর আগে এ পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ ১০-১৫ মিনিট সময় লাগতো।
আরেক যাত্রী বলে, বন্ধুরা মিলে চট্টগ্রামে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি। হরতাল-অবরোধের কারণে সপ্তাহের অন্যদিন প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আজ বের হয়েছি। কিন্তু যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
এক ট্রাক চালক বলেন, হরতাল-অবরোধে অনেক জায়গায় বাস-ট্রাক পুড়িয়ে দেয়। এ কারণে আমরা ভয়ে মহাসড়কে বের হই না। আজ যেহেতু হরতাল নেই তাই মালামাল পৌঁছে দিতে বের হয়েছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের অত্যাধিক চাপ আছে। তবে মহাসড়কে কোথাও যানজট না থাকলেও টোলপ্লাজায় টোল নিতে দেরি হওয়ায় গাড়ির চাপ চৈত্রী গার্মেন্ট এলাকায় চলে এসেছে। আশা করছি দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।