এইমাত্র
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উপদেষ্টার দপ্তরের নির্দেশে তদন্ত শুরু
  • সাবেক বিচারপতি মেজবাহ উদ্দিন মারা গেছেন
  • বাসভবন-কার্যালয় প্রস্তুত, সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান
  • ফটিকছড়িতে অবাধে কাটা হচ্ছে পাহাড়-টিলা-কৃষি জমি, হুমকিতে পরিবেশ
  • আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    জাতীয়

    নির্বাচন ইস্যুতে ‘অযাচিত-অযৌক্তিক’ চাপ, জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১ এএম

    নির্বাচন ইস্যুতে ‘অযাচিত-অযৌক্তিক’ চাপ, জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি

    সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২১ এএম

    বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল থেকে ‘অযৌক্তিক’ রাজনৈতিক চাপের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের মহাসচিবের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে ‘অযাচিত’, ‘অযৌক্তিক’ ও ‘আরোপিত’ রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে।

    গত ১৯ নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের নির্বাহী দপ্তরের শেফ দ্য কেবিনেট আর্ল কুর্টনি রেটরের কাছে এই চিঠি পাঠান। চিঠিটি গত ২০ নভেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে আর্ল কুর্টনি রেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় র‍্যাট্রের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় এবং বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর তিনি এই চিঠি পাঠান।

    এমন সময় এই চিঠির বিষয়টি সামনে এলো, যখন পশ্চিমের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বারবার সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের দুই বিতর্কিত নির্বাচনের পর পরবর্তী নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

    চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 'গণতন্ত্রের একজন ক্রুসেডার এবং তিনি দেশের মানুষের ভোট, খাদ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন।

    চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে সংকল্পবদ্ধ। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো ও মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো তিনি সহ্য করবেন না, যা বিরোধী দল নিয়মিত করে আসছে।

    ড. মোমেন লিখেছেন, শেখ হাসিনা তার ১৫ বছরের মেয়াদে হাজারো নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, আঞ্চলিক নির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনের আয়োজন করেছেন। খুবই ছোটখাট কিছু ঘটনা ছাড়া সব নির্বাচনই ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।

    তিনি আরও লেখেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানুষের সম্মান রক্ষায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে এসব মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে ‘অযাচিত, অযৌক্তিক ও আরোপিত রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করব জাতিসংঘ ও তার সেক্রেটারিয়েট, সংস্থা ও স্থানীয় কার্যালয়গুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি উদ্যমী ও সহযোগিতামূলক মনোভাবসম্পন্ন সদস্য রাষ্ট্র। আমরা প্রবলভাবে আশাবাদী যে, জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রগতি ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

    মোমেন বলেন, বাংলাদেশ আশাবাদী যে, জাতিসংঘ ও তার সব অঙ্গ সংগঠন ও সংস্থা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার জন্য একটি শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রগতিশীল ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য অংশীদারের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে। আমরা আরও প্রত্যাশা করব যে, জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পক্ষপাতহীনতা, সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলে সংস্থাটির গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখবে। যদি তাদের প্রতিবেদনগুলোতে ভুল তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠতার অভাব থাকে এবং এগুলো যদি উপাত্ত-নির্ভর না হয়, তাহলে তারা তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে, যা সংস্থাটির সামগ্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি এক অশনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…