নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
তিনি বলেন, 'এই ওসি তাদের (বিএনপি জামায়াত) কাছ থেকে টাকা খেয়ে কোম্পানীগঞ্জে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর জন্য যড়যন্ত্র করছে। এই ওসি পুলিশের খরচ আছে বলে আমার কাছ থেকে একলাখ টাকা খেয়েছে। যে আদালতে যাক আমি প্রমাণ দিতে পারবো। আর সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। আমরা ছেড়ে দেবোনা। আমরাও সব জানি। তুমি কি? তোমাকেও চিনি তোমার এসপিকেও চিনি। এসব বন্ধ করো। এসব বন্ধ করো বলে দিচ্ছি। নাহলে নিষ্কৃতি পাবেনা। আর ভালো না লাগলে কোম্পানীগঞ্জ ছেড়ে চলে যাও।
রোববার(১০ ডিসেম্বর) সকালে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কাদের মির্জা বলেন, 'পুলিশ প্রশাসন প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু লোক বিএনপি জামাত থেকে টাকা খেয়ে তাদের ধরছেনা। এই কোম্পানীগঞ্জের ওসি আমার কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে। এটার প্রমাণ আছে। এটা আমার নেত্রীকে আমি বলবো। মানুষ ঘরে গরু রাখতে পারেনা। এটার সাথে পুলিশ কি জড়িত না? পুলিশের কারণে মানুষ রাতে ঘুমাতে পারেনা। পুলিশের কারণে সালিশের নামে বাণিজ্য চলছে। দুইপক্ষ থেকে টাকা নিয়ে আর কথা বলেনা। মুখ বন্ধ করে রাখে। পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় বিএনপি ডাকাতি, মানুষ হত্যা ও জ্বালাও পোড়াও করছে।'
বিএনপি জামাতকে কোম্পানীগঞ্জের ওসি এবং নোয়াখালীর এসপি উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ' ওসি ও এসপি বিএনপি জামাতকে উস্কানি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। এটার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলবো। এরপরও যদি সংশোধন না হয় তাহলে আমরা নারী পুরুষ সবাইকে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জে ঝাড়ু মিছিল করবো। '
চুরি ও ডাকাতির সাথে পুলিশ সদস্যরা জড়িত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গরু চুরি এগুলো এদের( পুলিশ) কাজ। এরা এগুলার সাথে জড়িত। পুলিশ ধরাও পরেছে। ধরা পরে নাই? চর এলাহীতে রিক্সা চুরি করার সময় ধরা পরছে। রিক্সা চুরি করার সময় বলরাম নামে একটা হিন্দু ছেলেকে হত্যা করেছে। এটার জন্য পুলিশ দায়ী।'
পুলিশ আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি বলেন, 'আজকে পুলিশ আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। তারা আইনশৃংখলা রক্ষা করতে পারছেনা।
কোম্পানীগঞ্জে হরতাল অবরোধের দিন তারা মাঠে থাকেনা। এখানে কয়েকটা থাকে আমাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য থাকে, আর কোথাও পুলিশ নাই। আমরা কি এসব সময় অতিক্রম করি নাই। যেসব জায়গায় জামাত বিএনপির লোকজন আছে তাদের পাহারায় সেখানে পুলিশ থাকে সারাদিন রাত।'
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন,'এই যে এখানে সরকারি জায়গা সব পুলিশ দখল করে খাচ্ছে। তারা সরকারি বেতন সুযোগ সুবিধা পায় তবু সরকারি জায়গায় দোকান দিয়ে ভাড়া নেয়ার দরকার আছে নাকি? আমাদের রিক্সা স্টেন্ড নাই, সিএনজি স্টেন্ড নাই, তারা এখানে ঘর বানিয়ে ভাড়া খাচ্ছে। আপনারা সোচ্চার থাকেন, ভয় পাবেননা।'
এসময় তার ব্যবস্থাপনায় নির্মিত একটি বহুতল মার্কেট দেখিয়ে বলেন, 'এটাও তাদের দখলে ছিল। আমি সরকার থেকে একোয়ার করে এটা নিয়েছি। তখন ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তারা এগুলো দখল করে এসপিকে টাকা দেয়। এসপি নোয়াখালীর কিছু সাংবাদিক লাগিয়ে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।'
তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, ' আপনারা বলেন আমার এখানে কোন 'হেলমেট বাহিনী' আছে? আপনাদের চোখে পরছেনি? উপস্থিত নেতাকর্মীরা সমস্বরে বলেন 'না'। এগুলো নাকি আমার অনুগত। আমি নাকি তাদেরকে লালন পালন করি। এটা ওসি বলে, এটা এসপি বলে। তারা রিপোর্ট দেয়। সব তথ্য আমার কাছে আছে। পুলিশের কোন কাজ নাই, এখানে এসে বসে থাকে। আমাদের নেতাকর্মীদের পাহারা দেয়ার জন্য।
এফএস