পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের ধোলাই মার্কেট এলাকায় নোঙ্গর করা একটি মাছ ধরা ট্রলারে হঠাৎ বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণ ঘটে। মূহুর্তের মধ্যে ট্রলারটি চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে পানিতে ডুবে যায় এবং ট্রলারে থাকা ২ জেলে আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন- চিংগড়িয়া গ্রামের চলাচিপা উপজেলার বাসিন্দা হারুন পহোলান (৬০) ও আবুল সরদার (৫০)।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে আবুল সরদার প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী ফেরলেও হারুনের পা, শরীরের অধিকাংশ দগ্ধ হয়। বরিশাল শে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ট্রলারটি ছয় জেলে নিয়ে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় জেলেদের রাতের খাবারের জন্য রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো হারুন পহোলান নামের এক জেলে। আর ট্রলারের ছাদে নামাজ পড়তেছিল জেলে হাবিব। অন্য চার জেলে তীরে দাড়িয়ে কথা বলতেছিল। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ট্রলারটির সামনের অংশ ভেঙ্গে উড়ে যায়। ট্টলারের গ্যাস সিলিন্ডারটি অক্ষত থাকলেও কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ট্রলার মালিক আলমাস মোল্লা বলেন, মাছ শিকারে সাগরে রওয়ানা করবো বাজার করাসহ সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায় ঠিক এমন সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। আমার ২ জন জেলে আহত হয়েছ। তার মধ্যে বাবুর্চি গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে। আমার ট্রলারটি নিমেষেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় পানিতে তলিয়ে গেছে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।
ধুলাস্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, সোমবার সকালে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার অখ্যাত রয়েছে। সিলিন্ডারটি রয়েছে ট্রলারের পিছনের দিকে আর বিধ্বস্ত হয়েছে ট্রলারের সামনের দিক। যখন এটি বিস্ফোরিত হয় তখন পুরো এলাকা কম্পন ধরে যায়। তবে এটা আসলে কি বিস্ফোরিত হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।