অস্তির পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে বাজারে দাম কমে এসেছে অর্ধেকে। দেশি পেঁয়াজ ১৪০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দাম আরো কমার আশা বিক্রেতাদের। দেশি পেঁয়াজ বাজারে আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।
অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্থানে অসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান ও জরিমানার আওতায় আনা হলেও যশোরের শার্শা উপজেলায় কোন অভিযানে নামেনি উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং এর অভাবে আসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থিতিশীল করে রেখেছিল।
গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরই গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিনগুন হয়। ৮০ টাকা থেকে বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০০ টাকায়। এ সময়ে বেশি লাভের আশায় মজুদদার ও চাষীরা আগাম দেশি পেঁয়াজ মজুদ শুরু করে। ফলে সঙ্কট দেখিয়ে দাম বেড়ে যায় পেঁয়াজের বাজারে।
অন্যদিকে ভারত থেকে টিসিবি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করেছে ও সরকার ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছে এমন খবরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। অধিক মুনাফার আশায় মজুদ করে রাখা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।
অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরা কিছুটা বেশি দামে এখনো বিক্রি করছেন বলে কয়েকজন ক্রেতা জানান। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না থাকায় প্রতারিত হচ্ছেন তাঁরা।
তবে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী কাশেম আলী ও মামুন হোসেন বলেন, মোকামে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে দিয়েছে। বাজারে ছাড়ছেন মজুদ করে রাখা দেশি বিদেশি পেঁয়াজ। এজন্য কমছে দাম। এক সপ্তাহের মধ্যে দাম একশ টাকার নিচে নামবে বলে জানান তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, এবার পেঁয়াজের চাষ বেড়েছে। কৃষকেরা দামও পাচ্ছে ভাল। তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজের আমদানি বাড়লে দাম সহনশীলতা পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) ফারজানা ইসলাম জানান, এমন বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে পেঁয়াজের বাজার অস্তির করার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
পিএম