এইমাত্র
  • নতুন নির্বাচনের দাবি ড. ইউনূসের
  • সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী
  • আম বাগান থেকে কৃষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • হামলাকারীরা পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিলো: ওবায়দুল কাদের
  • মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
  • আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
  • ‘চরম তাপ মহামারি’ বিশ্বকে ভোগাচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব
  • কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিলেন ওবামা
  • মিয়ানমারে বাংলাদেশসহ ছয় দেশের নিরাপত্তা বৈঠক
  • দেশকে ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে এ সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    রিফিল না করেই এক্সটিংগুইশার পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার লাগান শামসুদ্দিন

    হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম
    হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

    রিফিল না করেই এক্সটিংগুইশার পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার লাগান শামসুদ্দিন

    হলি সিয়াম শ্রাবণ, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম

    ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার শামসুদ্দিন। স্টেশন চত্ত্বরে তার ডিউটি থাকলেও তিনি বাহিরে ঘুরাফেরা করতে বেশী পছন্দ করেন।

    ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে ব্যাক্তিগত কাজের অজুহাতে বাজারে বের হয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়ান। খুঁজে ফিরেন কার দোকানে রয়েছে মেয়াদ উর্ত্তিণ অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার)।

    তারপর তাদেরকে ভয় ভীতি দেখিয়ে রিফিল (নবায়ন) করার জন্য নিয়ে যান। রিফিল করার জন্য টাকা নিলেও রিফিল না করেই পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার লাগিয়ে ফিরিয়ে দেন। আবার কারোরটা বিক্রি করে দেন। র্দীঘদিন যাবৎ এভাবেই প্রতারিত করে আসছেন সাধারণ মানুষকে।

    চাকুরির পাশাপাশি অন্য কোন পেশায় জড়িত হতে না পারার নিয়ম থাকলেও শামছুদ্দিন দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে তার অবৈধ ব্যবসা।

    মেয়াদ উর্ত্তীণ ফায়ার এক্সটিংগুইশারে নতুন স্টিকার লাগিয়ে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। টাকা দিয়ে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কিনেও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে ব্যবসায়ী, প্রতিষ্ঠান মালিকেরা।

    ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল রোডের সেবা ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক আমিনুল হক রেনু শামসুদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ফায়ার সার্ভিস অফিসের শামসুদ্দিন আমার প্রতিষ্ঠানে এসে বলে আমার অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে।

    ৫ শত টাকায় রিফিল করার কথা বলে সিলিন্ডার নিয়ে যায়। কিন্তু ৩-৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আমাকে রিফিল করে দেয়নি। পরে আমি তাকে চাপ প্রয়োগ করলে আরও ২শত টাকা নিয়ে অন্য একটি বোতল এনে দেয়।

    ইমডো ডায়াগোনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক জাহিদ হাসান জানান, ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে আমার প্রতিষ্ঠানের দু’টি ফায়ার এক্সটিংগুইশার নিয়ে যায় রিফিল করার জন্য।

    ৮-১০ দিন পর আমার অবর্তমানে ফিরত দিয়ে চলে যায়। পরে আমি দেখতে পাই আমার একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমার বোতল আমাকে না দিয়ে অন্য কারো বোতল আমাকে দিয়ে গিয়েছে।

    স্টার ফায়ার সেপ্টির পরিচালক মাইনুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সিলিন্ডার বিক্রি করি, আমরাই রিফিল করি। যারা আমাদের থেকে ক্রয় করে তারা আমাদের জানালে আমরা লোক দিয়ে রিফিল করিয়ে দেই। এই কাজ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নয়।

    অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রিফিল করা তার কাজ কিনা জানতে চাইলে স্টেশন সাব অফিসার শামসুদ্দিন জানান, সচেতনতার জন্য উপর থেকে নির্দেশনা রয়েছে তাই তিনি এটা করে থাকেন। কোন কোম্পানি থেকে রিফিল করান জানতে চাইলে তিনি কোন কোম্পানির নাম বলতে পারেননি। রিফিল না করেই পুরাতন সিলিন্ডার পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার কেন লাগান জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

    ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনর্চাজ দেলোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বরাবরেই অস্বীকার করে থাকেন। এবারের বিষয়টি আমি উর্ধতন অফিসারকে অবহিত করবো।

    ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মিজান গণমাধ্যমকে জানান, রিফিল করা ফায়ারকর্মীর নয়। উনি যদি করে থাকেন তাহলে এটা নিয়মবহির্ভূত।

    ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান গণমাধ্যমকে জানান, পুরাতন সিলিন্ডার পরিস্কার করে নতুন ষ্টিকার লাগানো অন্যায়। যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…