এইমাত্র
  • মির্জাপুরের বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা
  • ভালুকায় খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে স্যালাইন ও পানি বিতরণ
  • রাবিতে জীববিজ্ঞানে ‘ট্রান্সলেশনাল’ গবেষণার ওপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • 'সংসদ সদস্যরা উপজেলা প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'
  • বেরোবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
  • ইবিতে পরিক্ষা কক্ষে নেই শিক্ষক!
  • চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
  • চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে যেন আগুনের হল্কা, তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি
  • তীব্র গরমে বাড়ছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীর চাপ
  • ৩ দিন পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকবে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
  • আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বকশীগঞ্জে দেড় ঘন্টা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২ পিএম
    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২ পিএম

    বকশীগঞ্জে দেড় ঘন্টা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:১২ পিএম

    জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজ কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছচারিতা, দলিল লেখক ও জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাদাচরনের অভিযোগে দলিল লেখকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

    বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সাব-রেজিস্টি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। তবে তার বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্-রেজিস্টার বলেন দলিল লেখকদের অনৈতিক আবদার না মানার কারনেই তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এই ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।

    দলিল লেখকরা জানান, গত বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাধাচরন করে আসছেন। কথায় কথায় তিনি দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। সকাল বেলার দলিল তিনি রাতে পাশ করেন। মনগড়া ভাবে চালাচ্ছিলেন সরকারি অফিস। সকল দলিল লেখকরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। দিন দিন তার হয়রানি বেড়েই চলছিল।

    বুধববার রেহেনা বেগম নামে এক নারী তারই সহোদর বোন রুবিনা আক্তারকে ৫৮ শতাংশ জমি হেবা মুলে দলিল করে দিতে যান। ওই দলিল নিয়ে সাব-রেজিস্টারের কামরায় যান দলিল লেখক শহিদুল্লাহ। এ সময় সাব-রেজিস্টার জমির দাতার কাছে জানতে চান কেনো তিনি তার বোনকে হেবা মুলে জমির দলিল করে দিচ্ছেন। কত টাকা নিয়েছেন।

    তার এমন পশ্নে এক পর্যায়ে জমির দাতা বলেন তার বোন তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন তাই দলিল করে দিচ্ছেন। এই কথা শোনেই সাব-রেজিস্টার রেগে যান এবং দলিলটি সম্পাদন না করেই ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা সাব-রেজিস্টারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্টার আলী আহসান খোকা ও শহিদুল্লাহর সাথে অসাদাচরন করেন এবং তাদের দুজনকেই সাসপেন্ড করেন। মুহুর্তেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যন্যা দলিল লেখকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করে সাব-রেজিস্টারের অপসারন দাবি করেন। এক পর্যায়ে সাব-রেজিস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন দলিল লেখকরা। সেই সাথে সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতীর ঘোষনা দেন। ফলে বেকায়দায় পড়ে যায় দাতা গ্রহীতারা।

    বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা বলেন, সাব-রেজিস্টার কোন মানুষকে মানুষ মনে করেন না। অনিয়মকে তিনি নিয়মে পরিনত করেছেন। কথায় কথায় দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। আজ বৈধ এক দলিল না করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি আমিসহ একাধিক দলিল লেখকের সাথে খারাপ আচর করেন এবং আমিসহ দুইজনকে সাসপেন্ড করেন। আমরা দলিল লেখকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তার অপসারনের দাবিতে।

    দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন, বকশীগঞ্জের কোন দলিল লেখক সাব-রেজিস্টারকে এই অফিসে দেখতে চাইনা। তার আচরনে সবাই অতিষ্ট। কোন কারন ছাড়াই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে তিনি খারাপ আচরন করেন। মনগড়া ভাবেই চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। আমরা তার অপসারন চাই। সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে জানান তিনি। কোন দলিল লেখক যদি সাব-রেজিস্টারের পক্ষ নিয়ে কোন দলিল সম্পাদন করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

    বগারচর এলাকার আল আমিন বলেন, ঢাকার কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন তিনি। ব্যাংক চালানসহ সকল কাজই সম্পন্ন করেন। হঠাৎ করেই সাবরেজিস্টার ও দলিল লেখকদের দ্বন্ধে তিনি আর দলিলটি করতে পারেননি। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন।

    এব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কিছু দলিল লেখক তার কাছ থেকে অনৈতিক আবদার করে আসছিলেন। তাদের কথামত কাজ না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, কাউকে সাসপেন্ড করার সূযোগ আমার নেই, তাদের শোকজ করেছি মাত্র। তারা সরকারি সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টা এবং কিছু বিনষ্ট করেছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। দলিল লেখকরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান।

    বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে টানা ৭ দিন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম এর অপসারন দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতী পালন করেছিলেন দলিল লেখকরা। বুধবার ২য় বারের মত সাবরেজিস্টারের অপসারন দাবিতে আন্দোলনে নামলের দলিল লেখকরা।

    এআই

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…