নেত্রকোনায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক জনাব শাহেদ পারভেজ, নেত্রকোনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার জনাব শিবলি সাদিক,পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব নজরুল ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব আবু সাঈদ, রাজুরবাজার কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা, শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি জনাব বজলুর রহমান, ট্রাফিক ইন্সপেকটর জহিরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুল আমিন, জেলা সিভিল সার্জন, বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী জনাব মো.অহিদুর রহমান, অক্সিজেন যুবসংগঠনের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও অটো সিএনজি মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ ১০০ শতাধিক লোকজন ।
প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালন করা হয়। এ বছরের প্রতিপাদ্য: উচ্চস্বরে শব্দ ও সঙ্গীত শ্রবণশক্তি হ্রাসের বিপদ সংকেত। শব্দদূষণ নীরব ঘাতক নয়, শব্দদূষণ মানুষের জন্য সরব ঘাতক ও শব্দসন্ত্রান।
আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বের সাথে দিবসটি পালন করা হয়। আমাদের দেশে ২০০৩ সাল থেকে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, কানের ভিতর ঝিঁঝিঁ শব্দ, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার মনোযোগ কমে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামান্দ্য, গ্যাস্টি্রক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া।
আলোচনায় ট্রাফিক ইন্সপেকটর জহিরুল ইসলাম বলেন, ''আমরা সারাদিন শব্দের মাঝেই থাকি, আমাদের রাস্তার শব্দ দূষণে আামদের জীবনে শেষ''।
প্রধান অতিথির জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, আমরা যারা যানবাহন ব্যবহার করি,আতশবাজি করি, সারাশহরে মাইক ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করি এগুলো প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হবে। আমরা মানুষ, আমার শব্দের কারণে অন্যের ক্ষতিহবে তা হতে পারেনা। আমাদের সচেতনতায় এগুলো কমিয়ে আনতে পারি। আগামী প্রজন্মকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আসুন সকলে শব্দ দূষণ সম্পর্কে সচেতন হই, পরস্পরর্কে সচেতন করি, নিজেদের কানকে সুরক্ষা করি এবং নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করি। মানুষসহ সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ আবাস গড়ে তোলার কাজে একজন অংশিদার হই।