কক্সবাজারের টেকনাফে ইজিবাইক চালক মোস্তাক মিয়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মাস্টার মাইন্ড আব্দুর রহিমসহ উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ৬ ঘাতককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানিক দলের সদস্যরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পৃথক পৃথক ভাবে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।
ধৃত ঘাতকরা হচ্ছে-সংঘটিত হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড আব্দুর রহিম ও তার সহযোগী আব্দুল আমিন, ফরিদ আহাম্মদ, ওমর ফারুক, সাদেকুর রহমান ও নুরুল আমিন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে তাদেরকে আটক করার সত্যতা নিশ্চিত করে টৈকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে আরও জানান, ধৃত আসামিরা চলতি বছরের গত মার্চ মাসের ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক চালক মোস্তাক মিয়াকে নির্মম ভাবে হত্যা করার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্ধি করে বালুভর্তী একটি প্লাস্টিকের বস্তা গলায় বেঁধে দিয়ে টেকনাফ পৌরসভা ইসলামাবাদ-অলিয়াবাদ সংলগ্ন খায়ুকখালী খালে পেলে দিয়েছিল মর্মে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ জবানবন্দি দিয়েছে ধৃত আসামিরা।
তারা ঐ দিন মোস্তাক মেরে ফেলার পর তার টমটম নামক ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
সংঘটিত ঘটনার পর থেকে পুলিশের অভিযানিক দল সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার মাধ্যমে উখিয়া থানা এলাকা হতে জড়িত অপরাধীদের কাছ থেকে টমটম ক্রেতা ফরিদ আহাম্মদকে করে। এরপর আসামি ফরিদ আহাম্মদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত মাষ্টার মাইন্ড আব্দুর রহিম,আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়া ও খুনিদের ছিনতাই করা ইজিবাইক বিক্রয়ে সহযোগিতা কারী ওমর ফারুকেও আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
ধৃত আসামিরা টমটম চালক মোস্তাকে পূর্ব-পরিকল্পিত কিভাবে হত্যা করেছে বিজ্ঞ আদালতে সেই হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস