আধুনিক নার্সিংয়ের জনক ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষে আজ রবিবার (১২ মে) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছর এদিনে দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের নার্স আমাদের ভবিষ্যৎ, অর্থনৈতিক শক্তি নার্সিংসেবার ভিত্তি’। এ উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সদের সংগঠনগুলো নানা সেবামূলক কর্মসূচি পালন করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, চিকিৎসক ও নার্সের অনুপাত হতে হবে ১: ৩। অর্থাৎ একজন চিকিৎসকের সঙ্গে অন্তত ৩ জন নার্স থাকতে হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) নিবন্ধিত দেশে চিকিৎসক রয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৭৩। সেই অনুযায়ী দেশে নার্স প্রয়োজন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৯।
তবে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি কর্মরত নার্স ৯৫ হাজার ১৬৮ জন, যা চাহিদার তুলনায় বেশ কম। বর্তমানে দেশে ৬৭টি সরকারি ও ৩৭২টি বেসরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিবছর ৩৫ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। পড়ালেখা শেষ করে প্রতিবছর বের হয় ২৫ হাজারের মতো নার্স।
বাংলাদেশ প্রাইভেট নার্সিং কলেজ অ্যান্ড অ্যালাইড হেলথ সার্ভিস প্রোভাইডার ইনস্টিটিউট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসনাত মো. ইয়াহিয়া বলেন, দেশে দক্ষ নার্সিং জনবলের ব্যাপক ঘাটতি। এই পেশায় যুক্ত হতে আগ্রহীদের সংখ্যা কম। তা ছাড়া নার্সিং শিক্ষা, সেবা প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মতো বিনিয়োগকারীও কম।