নারী কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাইদুজ্জামান রেজা ও এনামুল হক নামে দুই সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের করেছে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষণ রায়। গত ২৪ জুন রংপুরের বিজ্ঞ সাইবার টাইবুন্যালে এই মামলা দায়ের করেন তিনি।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে দেবীগঞ্জ থানার ওসিকে আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা করায় কয়েকদিন ধরে চলছে সমালোচনা। অভিযোগে লিখা হয়েছে এই দুই সাংবাদিক তাদের ফেসবুক আইডি থেকে গত ২ জুন চেয়ারম্যান ও সাবেক নারী ইউপি সদস্যকে নিয়ে এডিট করে তৈরি পর্নোগ্রাফি ব্যাপক প্রচার করেছেন।
মামলায় সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজা ও এনামুল হকসহ ৮ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন ওই চেয়ারম্যান।
সাংবাদিক সাইদুজ্জামান রেজা দৈনিক সকালের সময় ও নাগরিক টেলিভিশনের পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি এবং পঞ্চগড় জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং এনামুল হক আমার সংবাদের দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা।
মামলা সম্পর্কে দুই সাংবাদিক বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সংবাদ প্রচার করেছি। জেলার অনেক সাংবাদিকই সে সময় এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সকলকে বাদ দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের দুইজনের নাম মামলায় দেওয়া হয়েছে। স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করতে চেয়ারম্যানের এই হীন চেষ্টা।
জানা যায়, এর আগে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বউ ও স্বামী রেখে পরকীয়া সম্পর্কে মজেছেন পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায় ও তার পরিষদের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. রাশেদা বেগম। পরিস্থিতি বেগতিক অবস্থায় যাওয়ায় প্রতিকার চেয়ে দেবীগঞ্জ থানায় ও পরে আদালয়ে অভিযোগ করেন রাশেদা বেগমের স্বামী আবু সাঈদ। আবু সাঈদ হাসানপুর কাঠালতলী এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাশেদা বেগমের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্বামী চার বছর আগে বিদেশে যান এবং নিজের উপার্জিত অর্থ স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে পাঠান। এরই মধ্যে রাশেদা বেগম পামুলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিভূষন রায়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে বিদেশে থেকে দেশে ফেরেন আবু সাঈদ। এরপর স্ত্রীর কাছে পাঠানোর টাকার হিসাব চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা করে। পরে রাশেদা কিছু টাকা চেয়ারম্যানকে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। সেই সঙ্গে অনুতপ্ত হয়ে কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চায়। তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার পরেও পরকীয়া সম্পর্ক চলমান রাখার অভিযোগ ওঠে। চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে বাধা দিলে তিনি বিভিন্নভাবে হুমকি দেন বলেও জানা যায়।
পিএম