ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ২য় ধাপে আবারও বাড়ছে নেত্রকোণার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকাল ৩টা পর্যন্ত কলমাকান্দা উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে অন্তত ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩ দিনের ভারী বর্ষণে আবারও পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করেছে। নদ-নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে নদ-নদীর আশেপাশের অঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া কলমাকান্দার-দূর্গাপুর সড়কের রহিমপুর হতে খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তাটি খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকায় ভেঙে যায়। এতে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের শ্রীপুর, কাইতাপুর, বিশ্বনাথপুর, বেলুয়াতলী, সেনপাড়াসহ অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি বেড়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
খারনৈ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, পানি বেড়ে পাহাড়ি ঢলে সড়ক ভেঙে গেছে। সেই সাথে প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে খারনৈ ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, কলমাকান্দায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কতিপয় নিম্ন অঞ্চলগুলোর বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী বিকাল ৩টা পর্যন্ত সোমেশ্বরী নদী দূর্গাপুরের বিজয়পুর স্টেশনে বিপদসীমার ৩.৯২ মিটার নিচ দিয়ে, দুর্গাপুর স্টেশনে বিপদসীমার ১.২৩ মিটার নিচ দিয়ে, কংস নদী পূর্বধলার জারিয়া স্টেশনে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং ধনু নদী খালিয়াজুরী স্টেশনে বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এইচএ