এইমাত্র
  • অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতাদের তিন দিনের আল্টিমেটাম
  • আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম
  • ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা উঠে গেল
  • নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদির বৈঠক আয়োজনে ঢাকার প্রস্তাব
  • গোপন গ্রুপের শামীমা তুষ্টি বললেন, গালি আর ট্রল আমার গ্রহণ করতে হবে
  • মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কৃষককে কুপিয়ে জখম
  • আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
  • নেশার টাকা না দেয়ায় পিতাকে হত্যা করল ছেলে
  • নেত্রকোনায় বিদ্যুৎপৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
  • আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় এখন ফাস্টফুডের দোকান
  • আজ রবিবার, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    ইসলামে বড়দের প্রতি ছোটদের করণীয়

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম

    ইসলামে বড়দের প্রতি ছোটদের করণীয়

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৫ পিএম

    বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন মুসলিম ঐতিহ্যের বিশেষ স্মারক ও নৈতিক শিক্ষা এবং হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহান শিক্ষা। তিনি সারা জীবনে এই শিক্ষা সমাজে বাস্তবায়ন করেছেন। মুরব্বিদের যথাযথ মর্যাদা দেয়া, বয়োবৃদ্ধদেরকে মাতা-পিতার মতো সম্মান দেখানো মানবিক মূল্যবোধেরই পরিচয় বহন করে। ইসলাম তাই মুরব্বিদের প্রতি সৎ আচরণ প্রদর্শনের তাগিদ দিয়েছে।

    রসূলে কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বড়দের সম্মান করে না, ছোটদের দয়া করেনা এবং আলেমের (হক) অনুধাবন করে না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। (মুসনাদে আহমদ)

    হযরত আবু উমামাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একবার রসূলাল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু, হযরত আবু ওবায়দা ইবনে জাররাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু ও সাহাবাদের এক জামাতের সাথে বসেছিলেন। তাঁর নিকট পেয়ালা আনা হল যাতে পানীয় জাতীয় কিছু ছিল। রসূলাল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত পেয়ালা হযরত আবু ওবায়দা রাযিয়াল্লাহু আনহুকে দিলেন। হযরত হযরত আবু ওবায়দা রাযিয়াল­াহু আনহু বললেন, হে আল্লাহর নবী, আপনি গ্রহণ করুন। রসূলাল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল­াম বললেন, তুমি প্রথম পান কর, কেননা বরকত আমাদের বড়দের সাথে আছে। (হায়াতুস সাহাবাহ)

    হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অর্থাৎ, একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মিসওয়াক করছি। এমন সময় আমার নিকট দু’জন ব্যক্তি এলো যাদের একজন অন্যজনের চেয়ে বয়সে বড়। এরপর আমি ছোটজনকে মিসওয়াক দিলাম। ফলে আমাকে বলা হলো বড়কে অগ্রাধিকার দাও। তখন আমি বড়জনকে মিসওয়াক প্রদান করলাম। (মুসলিম)

    পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা হজরত খিজির এবং হজরত মুসা (আ.)-এর ঘটনার বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। ওস্তাদের সঙ্গে শিষ্যের আচরণ কেমন হবে, সেই আদব-কায়দা উঠে এসেছে আয়াতে। ‘হজরত মুসা (আ.) তাকে (খিজির) বললেন, সত্য পথের যে জ্ঞান আপনাকে দান করা হয়েছে তা থেকে আমাকে শিক্ষা দেবেন, এ শর্তে আমি কী আপনার অনুসরণ করব? তিনি (খিজির) বললেন, আপনি কিছুতেই আমার সঙ্গে ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারবেন না! আর যে বিষয় আপনার জানা নেই, সে বিষয়ে কীভাবে আপনি ধৈর্য ধারণ করবেন? (সুরা কাহাফ ৬৬-৬৮)

    ঠিক এভাবেই হজরত মুসা (আ.)-কে আল্লাহতায়ালা শিক্ষা দান করেছেন অজানা বিষয়ের জ্ঞান সম্পর্কে। এখান থেকে সূক্ষ্ম একটি বিষয় উঠে এসেছে যে, শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের আচরণ কেমন হবে? ছাত্র হিসেবে চূড়ান্ত ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। আর কোনো শিক্ষকের সব কাজই হয়তো বা বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভালো ও কল্যাণকর মনে হবে না। এটাই স্বাভাবিক। তবে এর মধ্যেও যে কল্যাণ ও রহস্য লুকিয়ে আছে তা হজরত মুসা ও খিজির (আ.)-এর এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।

    আমাদের এই প্রজন্মের মধ্যে বেয়াদবি ও বড়দের প্রতি অশ্রদ্ধা ইত্যাদির ভয়াবহ অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এখন। এমনকি শিক্ষক ও মা-বাবার প্রতি তরুণ প্রজন্মের অভক্তি, অশ্রদ্ধা ও অসম্মান বেড়ে চলছে। তাদের ভুল খুঁজে বের করা, দোষ ধরা এবং কোনো কাজের অহেতুক সন্দেহ ও সমালোচনা করা ইত্যাদি প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    এজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। ছেলে-মেয়ের আদর্শ ও নৈতিক শিক্ষার অভাব পূরণ করতে হবে। তাদের সঠিক শিক্ষা-দীক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তারা যেন বড়দের সম্মান রক্ষা করেন এবং মুরব্বিদের সঙ্গে আন্তরিকতা পূর্ণ ব্যবহার করেন, এসব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…