চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নেশাদ্রব্য কেনার টাকা না দেওয়ায় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানকে তার মাদকাশক্ত ছেলে শিশির আহম্মেদ পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে আব্দুস সোবহান অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এঘটনায় শনিবার দুুপুরেই অভিযুক্ত শিশির আহম্মেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুুপুরে নিহত আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তোলেন। ওই দিন রাতেই ছেলে শিশিরের সাথে গন্ডগোল বাধে। পরে দিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলে দুজনের মধ্যে দিনভর হট্টগোল চলে। ওই দিন মাঝ রাতে আব্দুস সোবহানের আত্মচিৎকার শোনেন প্রতিবেশীরা। এরপর থেকে নিহত সোবহানকে বাইরে দেখেনি এলাকাবাসী।
শনিবার দুপুরে বাড়ির দ্বীতল ভবন থেকে পচা গন্ধ বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাইয়ের মেয়ে গুলশান আরার ভাষ্য মতে তার চাচাতো ভাই শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্থ ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে শনিবার দুপুরে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের বাড়ি থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শিশিরকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এআই