চক্ষু চিকিৎসা করেন অধ্যাপক ডা. রিপন সরকার। রোগী সাপ্তাহে একদিন কুড়িগ্রামে আসেন। বাকি দিন রংপুরে বসেন। কুড়িগ্রামে রোগী দেখেন সেবা ক্লিনিকে। নতুন রোগীর কাছ থেকে ফি (ভিজিট) নেন ৭০০ টাকা। একই রোগী দ্বিতীয়বার দেখাতে গেলে নেন ৫০০ টাকা। আবার চক্ষু রোগী ৪ মাস পরে গেলেই দিতে হবে নতুন রোগী হিসেবে টাকা মানে পুরো ৭০০ টাকাই। তিনি কুড়িগ্রামে সাপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার প্রায় শতাধিক রোগী দেখেন ও অপারেশন করেন। একজন রোগীকে তিনি সর্বোচ্চ ২/৩ মিনিট সময় দিয়ে থাকেন।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে আসা কৃষক মানিক মিয়া খুঁজছিলেন চক্ষু ডাক্তার। পরিচিত একজনের কাছ থেকে ডা: রিপন সরকারের নাম শুনে তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য খোঁজখবর নেন। কিন্তু ভিজিট শুনেই খেপে ওঠেন তিনি। কথা বলেন, ’সময়ের কন্ঠস্বরের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'এটা কী করে সম্ভব! ভিজিটই যদি ৭০০ টাকা দিতে হয় তবে এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাব কিভাবে? আমরা তো গরীব মানুষ।
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ‘সময়ের কন্ঠস্বরের এ প্রতিবেদক তার মাকে চোখ দেখাতে নিয়ে যান ডা: রিপন সরকারের কাছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ডাক্তার প্রায় শতাধিক রোগীকে বসিয়ে রেখে ৫ জনকে অপারেশন করতে নিয়ে গেছেন। ডাক্তারের জন্য টানা ৩ ঘন্টা অপেক্ষার পর ডাক্তার ওটি থেকে নামেন। পরে এ প্রতিবেদক তার মাকে দেখান। দুচোখ দেখে ডাক্তর বলেন সমস্যা নেই। ডাক্তারে কাছে ভিজিট কত বলতেই তিনি বলেন ৭০০ দেন। বলেই অন্য রোগী দেখা শুরু করেন। এত সল্প সময়ে এত ভিজিট কেনো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রংপুর থেকে এসে এখানে রোগী দেখি রংপুরে আরো বেশি ভিজিট নেই।
অন্যদিকে রাজধানীসহ সারা দেশে ডাক্তারদের ভিজিট বা পরামর্শ ফি ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি চিকিৎসকদের লাগামছাড়া ভিজিটও সমন্বয় করা দরকার।
এফএস