সুন্দরী টিভি উপস্থাপক জাকিয়া তাজিন। তাকে দেখেই লোলুপ লিপ্সায় মাতেন নিরীহ, খোদাভক্ত বুজুর্গ ‘দরবেশ’ খ্যাত সালমান এফ রহমান। ছলে-বলে কলে-কৌশলে তাকে টেনে নেন নিজের কব্জায়।
আর তাজিনও নিজের স্বামীকে দূরে ঠেলে হয়ে ওঠেন সালমানের প্রিয়ভাজন। এর মধ্যদিয়ে হাঁটু অব্দি দীর্ঘ পাঞ্জাবী-পায়জামা পরা শুভ্র শ্মশ্রুমতির ভেতরের রূপ ধরা পড়ে ব্যবসায়ী-রাজনীতিক সালমানের।
বাইরে সফেদ সালমানের ভেতরটা যে কতটা নিকষ কালো, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল্লাহ আল মুনির। সালমান এফ রহমান কেড়ে নিয়েছেন তার সুন্দরী স্ত্রীকে। এমনকি কেড়ে নিয়েছেন তার অনেক ব্যবসা-বাণিজ্যও।
হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ এবং ব্যাংক ও শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির জন্যই বরাবর কুখ্যাত সালমান এফ রহমান। এবার বেরিয়ে এলো তার নারী লিপ্সার কাহিনী।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে মুনিরের স্ত্রী উপস্থাপিকা জাকিয়া তাজিনকে নিয়ে সালমানের নোংরামি তুলে ধরা হয়েছে। শফিউল্লা আল মুনির দাবি করেন, তার স্ত্রী শেয়ারবাজার নিয়ে টিভিতে অনুষ্ঠান করার সূত্রে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে পরিচয়। একটা পর্যায়ে তাদের মধ্যে অবৈধ বাজে সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সালমান এফ রহমান তাকে ডেকে নিয়ে স্ত্রী তাজিনকে তালাক দিতে হুমকি দেয়। তার কাছ থেকে আটটি শর্তে তিনশ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন।
তিনি বলেন, ‘শর্তগুলোর মধ্যে ছিল, আমি কখনোই আমার কোম্পানির মালিকানা দাবি করতে পারবো না; আমার স্ত্রীকে ডিভোর্সের বিষয়ে কাউকেই কিছু বলতে পারবো না; এমনকি আমার ছেলের কাস্টডিও চাইতে পারবো না।’
‘তবে আমি যখন রাজি হলাম না, তখন এ বিষয়টি অনেকেই জানতে পারে। এক পর্যায়ে আমি এক মাস গুম হওয়ার মতো ছিলাম। হামলা-মামলার ভয়ে তটস্ত থাকতাম সবসময়। পরে ২০২০ সালের দিকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়।’
সচেতন মহল বলছে, এমন ঘটনায় সালমান এফ রহমানের বাইরের আর ভেতরের দুই রূপই প্রকাশ পেয়েছে। বাইরে তিনি সফেদ রূপ ধারন করলেও তার ভেতরটা জঘন্য-কুৎসিত। অপরের স্ত্রীকে কেড়ে নিয়ে তিনি তার আসল রূপ প্রকাশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে এক হকার নিহত হওয়ার ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় করা হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ।