এইমাত্র
  • এক যুগেও সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত শেষ না হওয়া দুঃখজনক: হাইকোর্ট
  • নেপালে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ১৭০
  • জনগণের কাছে যেতে বললেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
  • লেবাননে স্থল অভিযানের পরিকল্পনা ইসরাইলের
  • ফের মাশরাফীর বিরুদ্ধে মামলা
  • ইউক্রেনে সব লক্ষ্য পূরণ করা হবে: পুতিন
  • স্বামীসহ গ্রেফতার সাবেক এমপি হেনরি
  • ফেরত আনা হচ্ছে রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনাকে
  • প্রথম ভাষণে যা বললেন হিজবুল্লাহর উপপ্রধান
  • এবার চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় ইলিয়াস কাঞ্চন
  • আজ সোমবার, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    তিস্তার পানি কমলেও কমেনি জলাবদ্ধতা

    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

    তিস্তার পানি কমলেও কমেনি জলাবদ্ধতা

    কাওছার মাহমুদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

    গেল ৪-৫ দিনের টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বেড়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্লাবিত হয়ে হয়েছে তিস্তার তীরবর্তী নির্মাণ অঞ্চল। শুধু তিস্তায়ী নয় পানি বেড়েছে লালমনিরহাট ও তার আশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সব কটি নদ-নদীতে।

    তবে গতকাল দুপুর থেকে কমতে শুরু করেছে তিস্তাসহ সবকটি নদনদীর পানি। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছ জলাবদ্ধতা এবং বেশ কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন। এতে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার তথ্যমতে, দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

    স্থানীয়রা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে গত শুক্রবার থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। শনিবার রাত ১১টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তার পানি প্রবাহ। একই সময়ে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন। ডুবে যায় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ। শনিবার রাত থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে কিন্তু কমেনি জলাবদ্ধতা। এদিকে তিস্তার পানি কমে গেলেও নতুন করে নদী ভাঙনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    চরাঞ্চলবাসী আরো জানান, বন্যার পানির প্রবাহের কারণে ভেঙে গেছে গ্রামীন কাঁচা পাকা রাস্তা, রাস্তাগুলো খানাখন্দ আর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘর-বাড়িতে এখনো কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকার কারণে রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সংকটপূর্ণ রয়েছে।

    বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরবর্তীকালে বন্যা কবলিত এলাকায় ডায়রিয়া, চুলকানি, জন্ডিসের মতো পানিবাহিত রোগ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায়।

    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, অসময়ে টানা বৃষ্টির কারণে আমনের ক্ষতিহয়। বেশকিছু নিম্নাঞ্চল ও চরের ধান তলিয়ে গেছে। এটি স্থায়ী হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। তবে কি পরিমাণ ধান তলিয়ে গেছে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না এখনই।

    লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, নদীর গভীরতা কমে যাওয়ার করণে অল্প ও পানিতেই নির্মল প্লাবিত হচ্ছে ।

    তিনি আরও জানিয়েছে, নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু হলেও নদী ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে। ভাঙ্গন শুরু হলে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে করা হবে।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…