ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দিবস থাকে। সেই দিবসের কোনটি খুব অদ্ভুত, কোনোটি মজার, আবার কোনোটি দরকারি। তেমনই একটি দিন আজ। আজ আপেল খাওয়ার দিন। তাই প্রিয় জনকে আজ উপহার হিসাবে আপেল দিয়ে পারেন, আর আপেল খেতে কিন্তু কম বেশি সবাই পছন্দ করে। সেটা হতে পারে হলুদ, সবুজ, গোলাপি বা লাল রঙের আপেল।
প্রচুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ও সহজলভ্য একটি ফল এই আপেল। এই ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রতি বছরের ২১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আপেল দিবস পালন করে।
ন্যাশনাল টুডে বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে-১০ থেকে ২০ বছর আগে প্রাচীন বন্য আপেল গাছের সন্ধান পাওয়া যায় মধ্য এশিয়াতে। তবে শুরুর দিকে সেই আপেলগুলো স্বাদ কিছুটা টক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৭তম শতাব্দীর প্রথম দিকে আপেল ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন, এই সময়েই রোমান জনগোষ্ঠী আপেলের আকার বড়, মিষ্টি ও বৃহৎ পরিসরে চাষাবাদ শুরু করে। আমরা এখন যে আপেল খাই, এই আপেলের বিকাশ তখনই হয়েছিল। তারপর আপেল যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে।
আপেল দিবস যুক্তরাষ্ট্রে পালন করা হলেও দিবসের শিকড় আসলে ইউরোপে। ১৯৯০ সালের ২১শে অক্টোবর যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা কমন গ্রাউন্ড আপেলের বিভিন্ন প্রজাতির গুরুত্ব বোঝাতে দিবসটির প্রচলন করেছিল। বর্তমানে আপেলপ্রেমীরা এখনো বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত সাড়ে সাত হাজারের বেশি জাতের আপেলের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে আপেল দিবস পালন করে।
তবে গবেষকরা বলছেন, আপেল খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। কখন আপেল খেলে উপকার হবে বা অবেলাতে আপেল খেলে কি হবে তা জেনে নিন-
খাওয়ার উপযুক্ত সময়: প্রতিদিন যদি একটি করে আপেল খাওয়া যায় তবে আর ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। আয়ুবের্দীয় শাস্ত্র মতে, প্রতিটি ফল খাওয়া একটা নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। এতে তা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। তাই আপেল খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। পুষ্টিবিজ্ঞানিদের রীতিতে, সকালবেলা আপেল খেতে পারলে সেটা খুবই উপকারি। কারণ আপেলের খোসা ও আঁশ পেকটিন সমৃদ্ধ। অনেকেরই অপর্যাপ্ত ঘুম, দেরিতে ঘুম ইত্যাদির কারণে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয় ও বদ হজম হয়ে থাকে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে আপেল খাওয়া সব থেকে ভালো।
সকালবেলায় আপেল খেলে অন্ত্রের ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। পেকটিন ল্যাকটিক এসিড সুরক্ষিত রাখতে এবং কোলনে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া ভালোভাবে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। যা পরবর্তিতে পাঁচন তন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও পেকটিন টকসিনের পরিমাণ কমাতে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজাসিস দূর করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। তাই সকালবেলা আপেল খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
এবি