এইমাত্র
  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই
  • রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ওরস্যালাইনের উদ্ভাবক রিচার্ড ক্যাশ মারা গেছেন
  • সুপ্রিম কোর্ট বারের ক্যান্টিনে গরুর মাংস রান্নার অনুমতি চেয়ে রিট
  • এবার সরকারি খরচে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত
  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার
  • সরকারি চাকরির বয়সসীমা নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান, ৩ দিনের আলটিমেটাম
  • সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ: গ্রেফতার ২৬ জন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত
  • গণমাধ্যম ঘেরাওয়ের হুমকি, যা জানালো তথ্য মন্ত্রণালয়
  • রাজধানীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর হাতে প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকের
  • আজ শুক্রবার, ৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
    শিক্ষাঙ্গন

    মূল্যবৃদ্ধির চাপে জর্জরিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ব্যবস্থা

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম

    মূল্যবৃদ্ধির চাপে জর্জরিত গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ব্যবস্থা

    ক্যাম্পাস প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম

    গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষম খাদ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বারবার অভিযোগ উত্থাপন এবং একাধিকবার ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ পরিবর্তন করা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি ঘটেনি। বরং খাবারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও পরিমাণের ঘাটতি শিক্ষার্থীদের হতাশায় ফেলেছে।

    শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ক্যান্টিনে খাবারের দাম অযৌক্তিকভাবে বেশি, যার সাথে খাবারের মান বা পরিমাণের কোনো সামঞ্জস্য নেই। উদাহরণস্বরূপ, সিঙ্গাড়ার দাম ৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০ টাকা হয়েছে, অথচ গুণগত মান একই রয়েছে। এর পাশাপাশি ক্যান্টিনের ভৌত অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। রান্নাঘরের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, নিরাপদ পানীয় জলের অপ্রতুলতা এবং সীমিত বসার ব্যবস্থা তাদের সমস্যাকে আরও জটিল করে তুলেছে।

    ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল মাযেদ সালাফি অভিযোগ করেন, ক্যান্টিন মালিক তার বাইরের দোকানের অবশিষ্ট খাবার একই দামে ক্যান্টিনে বিক্রি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাজার দরের চেয়ে কম হওয়া উচিত।

    ক্যান্টিন পরিচালক মো. আরশেদ জানান, "বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সীমিত কার্যদিবস এবং কর্মচারীদের বেতনসহ নানা খরচের কারণে দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না। তিনি অভিযোগ করেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানে কোনো ভর্তুকি নেই। এতে স্টাফদের পুরো মাসের বেতন ও অন্যান্য খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।"

    বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন কমিটির সদস্য ও ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক তানিয়া আহমেদ জানিয়েছেন, "পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য ক্যান্টিন স্থানান্তরের পরিকল্পনাও রয়েছে।"

    ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মাদ মুকাম্মেল বলেন, "বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্যান্টিনে ভর্তুকির কোনো নজির তার জানা নেই। ক্যান্টিন কমিটির সুপারিশ পেলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।"

    শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ দ্রুত একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করে স্বল্প খরচে মানসম্মত খাবার ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…