এইমাত্র
  • বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটিতে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
  • চীনের সঙ্গে বিএনপির সর্ম্পক গভীর হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • পাঁচ থেকে সাত বছরের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি, তবে অস্ত্র ছাড়তে রাজি নয় হামাস
  • ‘কাশ্মীরে হামলা সাজানো’ বিস্ফোরক মন্তব্য ভারতীয় সেনার
  • ১০২৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারত
  • সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
  • দক্ষিণের ২১ জেলায় দুই ঘণ্টা ‘ব্ল্যাক আউট’
  • বন্ধ থাকার পর ফের চালু মেট্রোরেল
  • দেশে মৃত ভোটার ছাড়ালো ২৩ লাখ, নতুন যুক্ত হয়েছে ৬৩ লাখ
  • ডেটিং অ্যাপে পলাশের একাউন্ট, তরুণীর সতর্কবার্তা
  • আজ রবিবার, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মারধরের ঘটনায় মামলা

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২ এএম
    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২ এএম

    ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মারধরের ঘটনায় মামলা

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২ এএম

    ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ৫ জনকে মারধরের ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, মমেক হাসপাতালের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত সৌদি সিকিউরিটি এন্ড ক্লিনিং সার্ভিসের ৪ জন কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন এবং মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    এর আগে, সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মমেক হাসপাতালের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, মহানগর ও জেলা ছাত্রদলসহ ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    মারধরের ঘটনায় আহত হন- হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী সোহেল (২২), সাগর (১৮), হৃদয় (২৪), শামীম (২২) এবং নাজমুল (৩০)।

    মামলার এজাহারে বাদী শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় হাসপাতালের আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ট্রলিবয় রূহান হোসেন রূপু একজন রোগী নিয়ে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে চিল্লাচিল্লি করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক রোগী লাইট জ্বালাতে নিষেধ করলে ট্রলিবয় রূপু আহত রোগীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে কথা কাটাকাটি করেন। একপর্যায়ে রূপু অন্য ট্রলিবয়দের ডেকে এনে আহতদের মারধর করেন।

    এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান আশিক জানান, দীর্ঘ সময় ধরে ফ্যাসিস্টদের দোসর সৌদি সিকিউরিটি সার্ভিসের ঠিকাদার আবুল হাসেম এবং মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও শহীদ সাগর হত্যা মামলার আসামি আসাদুজ্জামান রুমেলের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট হাসপাতালের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে লাগামহীন অনিয়ম, দুর্নীতি করে চলছে। মূলত ওই সিন্ডিকেটটি হাসপাতালের ভেতরে আধিপত্য ধরে রাখার জন্য তাদের অনুগত উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে যেমন নিয়োগ বাণিজ্য করছে। ঠিক তেমনি রোগীদের নানা বিড়ম্বনায় ফেলছে। আমাদের ভাইদের হামলা ও মারপিটের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং নেপথ্যের মদদদাতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

    সমন্বয়ক গুকুল সূত্রধর মানিক বলেন, ফ্যাসিস্টদের দোষরগণ এখনো সমাজের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন। হাসিনাকে ফাইনান্স করার জন্য এখনো প্রচুর প্রতিষ্ঠান টিকে আছে। তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের সৌদি সিকিউরিটি সার্ভিস। যারা আমাদের জুলাই অভ্যূত্থানের বীর আহত যোদ্ধাদের উপরে হামলা করেছে। আমরা অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ফ্যাসিস্টদের দখলে থাকা সৌদি সিকিউরিটি সার্ভিসের টিকাদারি লাইসেন্স বাতিলের জোর দাবি জানাই।

    অভিযোগের বিষয়ে সৌদি সিকিউরিটি এন্ড ক্লিনিং সার্ভিসের ঠিকাদার আবুল হাসেম বলেন, যারা মারধরের সঙ্গে জড়িত তারা আমার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে আসছে। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না।

    জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শামীম হোসেন বলেন, আহতদের মারধরের সঙ্গে জড়িত রূহান হোসেন রূপু (২০) এবং মোশারফ হোসেনকে (৩৬) আটক করে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে জড়িত অন্যদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

    এদিকে ছাত্র আন্দোলনে আহতদের মারধরের ঘটনায় ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাইন উদ্দিন।

    তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। সেই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে, সৌদি সিকিউরিটি সার্ভিসের ঠিকাদার আবুল হাসেম আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠিকাদারি করে আসছে। রোগীদের নিম্নমানের খাবার বিতরণ করা, তার নিয়োগকৃত আউটসোর্সিংয়ের কর্মীদের দিয়ে রোগীদের জিম্মি করে হুইলচেয়ার, ট্রলি বাণিজ্য করে অর্থ আদায় করে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই করা হতো মারধর।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…