শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাণীতে তারেক রহমান স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে আমি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন বুকে পিঠে ’গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে। গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। নূর হোসেনের সে অবদান বৃথা যায়নি। নূর হোসেনকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নূর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই ’৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
বাণীতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তার সে স্বপ্ন আজো পুরোপুরি সফল হয়নি। ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আগের রাতের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও এখনও তাদের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে।
তারেক রহমান বলেন, আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানাই- আসুন সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
এফএস