এইমাত্র
  • খুলনায় পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
  • ভারতে অনলাইন ইংরেজি মাধ্যম মাদরাসা চালু
  • এক কর্মস্থলে ৩ বছরের বেশি নয়, পরিপত্র জারি
  • যুবলীগ-ছাত্রলীগ ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক: রিজভী
  • থেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠক, শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার
  • রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ৩ শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন
  • দেশের বাজারে আবারো কমলো সোনার দাম
  • দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
  • প্রথমবার ইসরাইলের সামরিক সদর দপ্তরে ড্রোন হামলা চালালো হিজবুল্লাহ
  • ট্রাম্পের বিজয়ে ক্ষেপছে মার্কিন নারীরা, পুরুষদের সঙ্গে যৌনতায় ‘না’
  • আজ শুক্রবার, ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    কিয়ামতের দিন যারা নবীজি (সা.)-এর সবচেয়ে কাছে থাকবে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

    কিয়ামতের দিন যারা নবীজি (সা.)-এর সবচেয়ে কাছে থাকবে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

    প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কামনা রাসূলের সঙ্গ লাভে ধন্য হওয়া। পৃথিবীতে এ সৌভাগ্য হয়েছিল একমাত্র সাহাবায়ে কেরামের। পরবর্তী উম্মতের জন্য আল্লাহর রাসুল রেখে গেছেন কোরআন ও সুন্নাহ। তবে অনাগত উম্মতের জন্য তার হৃদয়ে ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা।

    উম্মতের মধ্যে যারা আল্লাহর রাসুলকে না দেখেই ভালোবাসবে এবং তার আদেশ নিষেধ মেনে চলবে তাদের সম্পর্কে নবীজির ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে এক হাদিসে হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার ভাইদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ইচ্ছা করছে। সাহাবিরা বললেন, আমরা কি আপনার ভাই নই? রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা তো আমার সাহাবি তথা সঙ্গি। আমার ভাই হলো, যারা আমার ওপর ঈমান আনবে, কিন্তু আমাকে দেখবে না।’-(মুসনাদে আহমাদ: ১২৭১৮)।

    রাসুলকে না দেখেও তার বর্ণিত কিছু কিছু কথার ওপর আমল করলে উম্মতে মুহাম্মদী কেয়ামতের দিন আল্লাহর রাসূলের কাছাকাছি থাকার সৌভাগ্য লাভ করবে। এমন একটি বিষয় হলো উত্তম চরিত্র।

    এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: বলেন-
    একবার রাসুল সা: বললেন, আমি কি তোমাদের ওই ব্যক্তি সম্পর্কে অবগত করব না যে কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে? সাহাবায়ে কিরাম চুপ রইলেন। রাসুল সা: একই প্রশ্ন করলেন দুই বা তিনবার। তখন তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! অবশ্যই বলুন। তিনি বললেন, সে হলো ওই ব্যক্তি, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৬৭৩৫)।

    আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন আমল জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি সহায়ক হবে? মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ভয় ও উত্তম চরিত্র। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০৪)।

    হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত আরেকটি রেওয়াতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্মগতভাবে বা ইচ্ছাপূর্বক অশ্লীল ভাষী ছিলেন না। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী।’ –(সহিহ বোখারি : ৩৭৫৯)।

    কেয়ামতের দিন মানুষের সওয়াব ও গুনাহ পরিমাপের জন্য মিজানে ওজন করা হবে। সেদিন যে আমলের ওজন সবচেয়ে বেশি ভারী হবে তা হলো- উত্তম চরিত্র।

    এ সম্পর্কে হজরত আবু দারদা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন মুমিনের দাঁড়িপাল্লায় উত্তম চরিত্রের চেয়ে বেশি ওজনের আর কোন জিনিস হবে না। কেননা, আল্লাহতায়ালা অশ্লীল ও কটুভাষীকে ঘৃণা করেন।’ -(সুনানে তিরমিজি : ২০০২)।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও ছিলেন সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তিনি কখনও কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি। চরিত্রবান মানুষদেরকে তিনি ভালোবাসতেন। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় মানুষদের কাতারে শামিল হতে চাইলে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া আবশ্যক।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…