এইমাত্র
  • ‘হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি প্রক্রিয়াধীন’
  • জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে: কোদালের কোপে নিহত ১, গ্রেফতার ২
  • প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আশাহত মির্জা ফখরুল
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব
  • পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
  • ফের প্রেমে পড়েছেন পরীমণি, বললেন 'থাকুক কিছু রহস্য জমা'
  • অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো রূপরেখা ও কৌশল নেই: টিআইবি
  • স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক পিন্টু আর নেই
  • আরও কমবে তাপমাত্রা, শীত নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
  • বিজয় দিবস ভালোভাবে উদযাপন করতে চায় সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আজ সোমবার, ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪
    জাতীয়

    এক মাসের মধ্যেই হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম

    এক মাসের মধ্যেই হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ পিএম

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    সোমবার (১৮ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

    এদিকে, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

    সকালে কড়া নিরাপত্তায় তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এছাড়া জানা গেছে, গণহত্যার মামলার তদন্তের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানাবে তদন্ত সংস্থা।

    যদিও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়েছে। তবে বর্তমানে অন্য মামলায় তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

    এর আগে ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় কারাবন্দি সাবেক দুই উপদেষ্টা, সাবেক ১০ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এক সচিব, এক বিচারপতিসহ ২০ জনকে হাজির করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে উপরের ১৪ জনকে ১৮ নভেম্বর হাজির করতে বলা হয়। এ ছাড়া পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, আব্দুল্লাহ আল কাফি, আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল তাদের হাজির করার আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন: বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে গত জুলাই ও আগস্টে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে নতুন প্রসিকিউশন টিম ও তদন্ত সংস্থা গঠিত হয়েছে। বিচারের জন্য আইন সংশোধন ও ভবন মেরামতের কাজও চলমান। গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, ১৪ দলের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত গুম, হত্যা, গণহত্যাসহ একশর বেশি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে।

    এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

    উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১৫ সালের পর থেকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অনেকটা গতি হারিয়ে ফেলে। তবে হাসিনা সরকার পতনের পর ফের ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু হয়েছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…