এইমাত্র
  • সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি মেহেদীর জামিন স্থগিত
  • ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন আমীর খসরু
  • জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
  • দায়িত্ব নিল নতুন আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার
  • ড. ইউনূসের ৬ মামলা বাতিল, বাদী আদালতের সময় নষ্ট করেছেন: হাইকোর্ট
  • সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের গাড়িতে হামলা, মামলা করতে গিয়ে গ্রেফতার
  • বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান
  • শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে লড়তে চান জেড আই খান পান্না
  • জাতি গঠনমূলক কাজে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: রাষ্ট্রপতি
  • অটোচালকদের রেললাইন অবরোধে ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪
    আইন-আদালত

    ওয়ার্কশপে হাত হারানো নাঈমকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পিএম

    ওয়ার্কশপে হাত হারানো নাঈমকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের রায় বহাল

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পিএম

    ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ করে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

    মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে শিশুটির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

    এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি ওয়ার্কশপের কাজ করতে গিয়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছিলেন, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করতে হবে। ১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছিল। ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল।

    এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

    আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। সঙ্গে ছিলেন, আইনজীবী তামজিদ হাসান। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। অন্যদিকে ওয়ার্কশপ মালিকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আইনজীবী আবদুল বারেক। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

    প্রসঙ্গত, ‘ভৈরবে শিশুশ্রমের করুণ পরিণতি’ শিরোনামে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, তখন নাঈম হাসানের বয়স ১০ বছর। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামে। তার বাবা আনোয়ার হোসেনের পেশা জুতা ব্যবসা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ে আনোয়ার কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ সময় সংসারের চাপ সামলাতে নাঈমকে তার মা-বাবা কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপে কাজে দেন। এই ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়েই তার ডান হাতটি মেশিনে ঢুকে যায়। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় ডান হাতটি।

    প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে শিশুটিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

    একইসঙ্গে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা নিজ কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা দিয়ে অনুসন্ধান করতে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। পরে সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…